Google Adsense Ads
ঘরে বসে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স করুন খুব সহজে। বিআরটিএ বাতায়নে বিআরটিএ বাতায়নে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড এর আবেদনের প্রক্রিয়া।
ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায় ২০২৫
সড়কে যেকোনো ধরনের মোটরযান চালানোর স্বীকৃতি স্বরূপ ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অনুমতিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশের মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ৩ নং ধারা অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যক্তি সর্বসাধারণের ব্যবহৃত কোনো রাস্তায় মোটরযান চালাতে পারবেন না। তাই গাড়ি চালানোর জন্য বৈধতার ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিকল্প নেই।
ড্রাইভিং লাইসেন্স কি এবং কেন প্রয়োজন?
ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি সরকারি অনুমোদনপত্র যা কোন ব্যক্তি বৈধভাবে সড়কে গাড়ি চালাতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়। এটি একটি আইনি নথি যা নির্দেশ করে যে একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট ধরনের মোটরযান চালানোর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ।
- বৈধভাবে গাড়ি চালানোঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া সড়কে গাড়ি চালানো আইনত অপরাধ। বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন আইনের আওতায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এটি আইনগত অনুমোদনপত্র যা নির্দেশ করে যে আপনি সড়কে গাড়ি চালানোর যোগ্য।
- সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষা একজন ব্যক্তির গাড়ি চালানোর দক্ষতা এবং সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এটি নিশ্চিত করে যে একজন ড্রাইভার ট্রাফিক নিয়ম-কানুন মেনে চলতে সক্ষম এবং সড়ক নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারদর্শী।
- দুর্ঘটনা প্রতিরোধঃ অযোগ্য এবং অদক্ষ ড্রাইভারদের সড়কে চলাচল রোধ করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ ড্রাইভারদের লাইসেন্স প্রদান করা হয়, যা দুর্ঘটনা কমাতে সহায়ক।
- ব্যক্তিগত ও অন্যান্য মানুষের নিরাপত্তাঃ লাইসেন্স প্রাপ্ত ড্রাইভার সড়কে চলার সময় নিজেদের এবং অন্যদের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সচেতন থাকে। তাদের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা তাদেরকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম করে।
- আইনি প্রমাণ ও পরিচয়পত্রঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি আইনি নথি যা বিভিন্ন জায়গায় পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি একটি সরকারি অনুমোদনপত্র যা আপনার সনাক্তকরণে সহায়ক হতে পারে।
বাংলাদেশ রোড ট্রাসপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃক মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়। শুধু মোটর গাড়ির চালানোর স্বীকৃতিপত্র নয়, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কার্যকলাপে ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রেও ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি অপরিহার্য নথি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য নূন্যতম যোগ্যতা
বিআরটিএ এর তথ্য মতে,
- বাংলাদেশের মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ যেকোনো নাগরিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বয়স কমপক্ষে ২০ বছর।
- আবেদনকারীকে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে নূন্যতম এসএসসি পাশ দেখাতে হয়।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স
যেকোনো ধরনের মোটরযান ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রথম ও আবশ্যকীয় ধাপ হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ।
বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স দুই ধরনের হয়ে থাকে: অপেশাদার ও পেশাদার। অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে কোনো প্রকারভেদ না থাকলেও পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ৩ (তিন) টি ধরন আছে। এই ধরন গুলো যানবাহনের ওজনের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
১. হালকা মোটরযানের (ওজন ২৫০০ কেজির নিচে) জন্য প্রার্থীর নূন্যতম বয়স ২০ বছর।
২. মধ্যম মোটরযানের (ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) জন্য কমপক্ষে ২৩ বছর। তবে এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর কমপক্ষে ৩ বছর ব্যবহৃত হালকা মোটরযান ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হয়।
৩. ভারী মোটরযানের (ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি) জন্য নূন্যতম বয়স ২৬ বছর এবং এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর কমপক্ষে ৩ বছরের মধ্যম মোটরযানের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হয়।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র |
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন ২০২৫
যেহেতু ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রথমে লার্নার কার্ড সংগ্রহ করতে হবে এবং ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য অবশ্যই বিআরটিএ অনুমোদিত ও মানসম্মত ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল নির্ধারণ করা উচিত।
আরো পড়ুন: ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক ও সমাধান PDF
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনের ২০২৫
খুব সহজে অনলাইনেই লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা যায়। লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের যে কাগজপত্রের স্ক্যান কপি বা সফট কপি সংরক্ষণ প্রস্তুত রাখতে হবে তা হল-
১. প্রার্থীর ছবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল সাইজের সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোবাইট),
২. জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অথবা পাসপোর্ট (অনূর্ধ্ব ৬০০ কিলোবাইট),
৩. বর্তমান ঠিকানার গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানির বিল (সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোবাইট,
৪. রেজিস্টার্ড ডাক্তারের সইসহ পূরণকৃত মেডিকেল সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি (অনুর্ধ্ব ৬০০ কিলোবাইট ), [মেডিকেল সার্টিফিকেট ফরম ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন]
২০২৫ বিআরটিএ সেবা বাতায়ন-এ আবেদন প্রক্রিয়া
প্রথমেই বিআরটিএ সেবা বাতায়ন-এ গিয়ে এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। [সেবা বাতায়নের ওয়েবসাইট লিংক]
এনআইডি’র অনুরূপ তথ্যগুলো দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এ সময় আবেদনকারী পরীক্ষার স্থান নির্বাচন করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারিত হবে।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের শেষ ধাপে ফি জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়ে যাবে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। এক্ষেত্রে আবেদন ফি ক্যাটাগরি-১ (শুধু গাড়ি) ৫১৮ টাকা ও ক্যাটাগরি-২ (গাড়ি ও মোটরসাইকেল) ৭৪৮ টাকা।
এটি ড্রাইভিং টেস্টের প্রবেশপত্র বা অনুমতি পত্র হিসেবে পরীক্ষার দিন ব্যবহার করতে হবে।
বিআরটিএ কর্তৃক স্বতন্ত্র সা্ব-ওয়েবসাইট
BRTA Service Portal (BSP) Bangladesh Road Transport Authority(BRTA) will allow citizen to resister as a service recipient as driver, owner, vehicle dealer to register learner driving license, smart card driving license, driving license renewal, duplicate driving license and all relevant services. https://bsp.brta.gov.bd/drivingLicense
Google Adsense Ads
২০২৫ ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা বা টেস্ট সমূহ
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে একজন প্রার্থী বা আবেদনকারীকে তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এগুলো হলো: লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আবেদনকারী যদি মানসম্মত ড্রাইভিং স্কুল অথবা দক্ষ প্রশিক্ষণকের তত্ত্বাবধানে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নেয়, সেক্ষেত্রে এ পরীক্ষাগুলো তার জন্য অত্যন্ত সহজ হবে।
আরো পড়ুন: Driving License Check,বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার উপায়
বর্তমানে ড্রাইভিং টেস্ট এর দিনেই প্রার্থী/গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডের জন্য আবেদন ২০২৫
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় অনলাইনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে হয়।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২০২৫
- ৫ বছরের নবায়ন ফি সহ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ২,৪৮৭ টাকা।
- ১০ বছরের নবায়ন ফি সহ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ৪,২১২ টাকা।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত ফ্রি জমা দিয়ে আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। সকল পরীক্ষায় সফলভাবে পাশ করার পর আপনাকে আপনার বিআরটিএ সার্ভিস পোটালে গিয়ে অনলাইন এর মাধ্যমে স্মার্টকার্ড এর জন্য ফি জমা দিতে হবে।
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ফি জমা দেওয়ার পর ১ থেকে ৭ দিনের মধ্যে আপনি ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন সেটা দিয়ে আপনি ড্রাইভিং করেত পারবেন। এরপর স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হলে আপনার ঠিকানা অনুয়াযী ডাকযোগে বিআরটিএ প্রেরন করবে। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় নির্ধারিত ডেলিভারি ফি প্রদান করতে হয়।
ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন ২০২৫
শিক্ষানবিশ লাইসেন্স বা এনআইডি কার্ডের ফটোকপি সহ বিআরটিএ যেকোন সার্কেল অফিস থেকে ডোপ টেস্টের ফরম ও স্মারক সংগ্রহ সংগ্রহ করতে হবে।
ফর্মটি সহ বিআরটিএ নির্ধারিত যেকোনো হাসপাতাল থেকে ডোপ টেস্ট করানো যাবে। এক্ষেত্রে হাসপাতাল ভেদে ডোপ টেস্ট ফি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য বর্তমানে বিআরটিএ থেকে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে। তাই একজন ড্রাইভিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য দালালের শরণাপন্ন হওয়া মূর্খতার শামিল।
সঠিক ড্রাইভিং দক্ষতা অর্জনের জন্য হতে পারে আপনার সহায়ক। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে আধুনিক পদ্ধতিতে শিখুন এবং সড়কে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন!
আজকের বিষয়: ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায় ২০২৫
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও
Google Adsense Ads