ডুয়োপলি বাজার কাকে বলে, ডুয়োপলি বাজারের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি, অলিগোপলি বাজার কাকে বলে?, অলিগােপলি বাজারের বৈশিষ্ট্য, ডুয়ােপলি বাজারের বলতে কি বুঝ?,অলিগোপলি বাজারের বলতে কি বুঝ?

প্রশ্ন সমাধান: ডুয়োপলি বাজার কাকে বলে, ডুয়োপলি বাজারের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি, অলিগোপলি বাজার কাকে বলে?, অলিগােপলি বাজারের বৈশিষ্ট্য, ডুয়ােপলি বাজারের বলতে কি বুঝ?,অলিগোপলি বাজারের বলতে কি বুঝ?

ডুয়ােপলি বাজারের বলতে কি বুঝ? 

ইংরেজি Duopoly শব্দের Duo অর্থ দুজন এবং Poly অর্থ বিক্রেতা। সুতরাং ডুয়ােপলি বলতে আমরা এমন বাজার ব্যবস্থা বুঝি যেখানে কেবল মাত্র দুজন বিক্রেতা আছে। অলিগােপলি বাজারে একটি বিশেষ রূপ হল ডুয়ােপলি । অর্থাৎ কমলিগােপলি বাজারের যখন দুটো ফার্ম বা দুজন বিক্রেতা বিবেচনা করা হয় তখন দুয়ােপলি। উদ্ভব হয়। এক্ষেত্রে ফার্ম দুটি মুনাফা সর্বোচ্চ করার লক্ষ্যে একে অপরের উপর গভীরভাবে নির্ভরশীল।

তাদের উৎপাদিত দ্রব্য যদি সমজাতীয় হয় তবে নির্ভরশীলতার মাত্রা আরও গভীর হয়। অর্থাৎ অলিগােপলির মত এক্ষেত্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা পরিলক্ষিত হয়। মােট কথা অলিগােপলি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদগণ জটিলতা এড়ানোর জন্য ভুয়ােপলি বাজার ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করার প্রায়স পান। ডুয়ােপলি বাজারের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য মডেল হল কর্নট মডেল, স্ট্যাকাল বার্জ মডেল, এজওয়ার্থ মডেল। 


আরো ও সাজেশন:-

ডুয়োপলি বাজারের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Duopoly Market)

ডুয়োপলি বাজারব্যবস্থা কতকগুলো বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়। নিম্নে ডুয়োপলি বাজারব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলোর বর্ণনা দেওয়া হল।

  • ১. ডুয়োপলি বাজার ব্যবস্থায় কেবল দু’জন বিক্রেতা বা দু’টি ফার্ম উপস্থিত থাকে।
  • ২. এই বাজার ব্যবস্থার এক বিক্রেতার সাথে অপর বিক্রেতার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিদ্যমান।
  • ৩. ডুয়োপলি বাজার ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিক্রেতাদ্বয় পরস্পর নির্ভরশীল।
  • ৪. এই বাজার ব্যবস্থায় চাহিদা রেখা অনিশ্চিত প্রকৃতির হয়ে থাকে।
  • ৫. এই বাজার ব্যবস্থায় সমজাতীয় উৎপাদন বিরাজমান থাকে।

সাধারণত উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ ডুয়োপলি বাজার ব্যবস্থায় লক্ষ্য করা যায়। এসব বৈশিষ্ট্যের অধিকাংশ কোন বাজারে যদি বিদ্যমান থাকে তবে তাকে আমরা ডুয়োপলি বাজার বলে চিহ্নিত করতে পারি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অলিগোপলি বাজার কাকে বলে?

যে বাজারে বিক্রেতা দু’য়ের অধিক কিন্তু খুব বেশি নয়, তাকে অলিগোপলি বাজার বলে।

খেয়াল করলে দেখতে পারবেন বর্তমান বিশ্বে মোটর গাড়ি, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, ওষুধ ও রাসায়নিক শিল্প, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং কম্পিউটারের ন্যায় বিভিন্ন উৎপন্ন দ্রব্যের ক্ষেত্রে অলিগোপলি বাজার পরিলক্ষিত হয়।

উইলিয়াম ফেলনার “স্বল্পের মধ্যে প্রতিযোগিতা” দ্বারা অলিগোপলিকে আখ্যায়িত করেছে।

অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের একটি বিশেষ রূপ হলো অলিগোপলি। যে অপূর্ণ প্রতিযোগিতার বাজারে মুষ্টিমেয় বিক্রেতা থাকে তাকে অলিগোপলি বাজার বলে। মুষ্টিমেয় বলতে বিক্রেতার সংখ্যা ঠিক কত তার কোনো স্থিরতা নেই। তবে এ সংখ্যা দুয়ের চেয়ে বেশি হতে হবে। এ বাজারে বিক্রেতারা পণ্যের দাম ও যোগান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

অলিগোপলি বাজারের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে অর্থনীতিবিদ লেফটউইচ (Leftwitch) বলেন, ‘‘সেই ধরনের বাজার ব্যবস্থাকে অলিগোপলি বলা হয় যেখানে কতিপয় প্রতিদ্বন্দ্বী বিক্রেতা বা ফার্ম থাকে এবং প্রত্যেকের কার্যাবলি অপরকে প্রভাবিত করে।”

পূর্ণ অলিগোপলি বাজারে ফার্মগুলোর মধ্যে সমঝোতা থাকলে অস্বাভাবিক মুনাফা এবং সমঝোতা না থাকলে স্বাভাবিক মুনাফা অর্জিত হবে। অন্যদিকে, অপূর্ণ অলিগোপলিতে স্বল্পকালে অস্বাভাবিক মুনাফা এবং দীর্ঘকালে স্বাভাবিক মুনাফা অর্জিত হবে।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

অলিগােপলি বাজারের বৈশিষ্ট্য

1। পারস্পরিক নির্ভরশীলতা

অলিগােপলি বাজারের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল পারস্পরিক নির্ভরশীল। বাজারে অল্প সংখ্যক ফার্ম বিক্রেতার মধ্যে প্রতিযােগিতা বিদ্যমান থাকায় দাম ও উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাজারে ফার্মের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা প্রকাশ পায়।

2। দ্রব্যের প্রকৃতি

অলিগোপলি বাজারের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল দ্রব্যের প্রকৃতি। বাজারে দ্রব্যসমূহ সমজাতীয় বা অসমজাতীয় হতে পারে। যদি অসমজাতীয় দ্রব্য নিয়ে অলিগােপলি/ বাজার গড়ে ওঠে তবে তাকে পৃথককৃত অলিগােপলি বলে। অপরদিকে সমজাতীয় দ্রব্যের বাজারকে বিশুদ্ধ অলিগােপলি বলে।

3। বিজ্ঞাপন

অলিগােপলি বাজারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বিক্রেতা তার পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে রেডিও, টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা, ফেষ্টুন ইত্যাদির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করে এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় করে।

4। তীব্র প্রতিযােগিতা

অলিগােপলি বাজারে ফার্মসমূহ একে অন্যের সাথে তীব্র. প্রতিযােগিতায় লিপ্ত হয়। পণ্য বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফার্ম বাজার দখলের জন্য মরিয়া হয়ে লাগে।

5। দলীয় মনােভাব

অলিগােপলি ফার্মসমূহ অনেক সময় মূনাফা সর্বোচ্চ করার জন্য দলীয় ফার্ম বিবেচনা করে। কয়েকটি ফার্ম দলীয়ভাবে উৎপাদন কাজ পরিচালনা করতে পারে। এ দলিয় মনােভাব সমঝােতামূলক অথবা চুক্তিভিক্তিক হতে পারে।

6। গােষ্টিগত আচরণ

অলিগােপলি বাজার অনেক সময় ফার্মের স্বাধীন আচরণের পরিবর্তে গােষ্ঠিগত আচরণ পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু এ গােষ্ঠিগত আচরণ বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে একই রকমভাবে লক্ষ্য করা যায়।

7। পণ্যের চাহিদা রেখা অনির্ধারিত

এ বাজারে চাহিদা রেখা অনির্ধারিত থাকে। কিছু সংখ্যক বিক্রেতা থাকায় একজনের দামের পরিবর্তন দ্বারা অন্য বিক্রেতার উপর কি ধরনের প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত করা যায় না। ফলে চাহিদা রেখার প্রকৃতি অনির্ধারিত হয়ে পড়ে।

8। দামের অনমনীয়তা

অলিগােপলি বাজারে দাম প্রায় অনমনীয় হয়। এ কারণে উৎপাদনকারি খুবই বিচক্ষণ হয়।

9। মুষ্টিমেয় বিক্রেতা

অলিগােপলিতে বিক্রেতার সংখ্যা দুই এর অধিক কিন্তু সীমিত। অর্থাৎ, মুষ্টিমেয় বিক্রেতা থাকে। এই মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিক্রেতা দ্রব্যের উৎপাদন, যােগান ও দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

10। দাম-নেতৃত্ব

অলিগােপলি বাজারের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দাম নেতৃত্ব। দাম নেতৃত্ব অলিগােপলিতে একটি বৃহৎ ও প্রাধান্য বিস্তারকারী কার্য যে দামে তার পণ্য বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অন্যান্য কার্যগুলাে তাই মেনে নেয়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment