ডালিম খাওয়ার উপকারিতা,ডালিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা,ডালিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা-Benefits of eating pomegranate

বেদানা, আনার বা ডালিম মোটামুটি সবারই পছন্দের ফল। ডালিমদানা খাওয়ার পাশাপাশি এর জুসও খেতে পারেন। কারণ, ডালিমের জুসও অনেক উপকারী।  নিয়মিত ডালিম খেলে তা দেহের বহু উপকার পাওয়া যায়। এটি Lythraceae পরিবারের Punica গণের অন্তর্ভুক্ত ফলের গাছ।

বৈজ্ঞানিক নাম: Punica granatum

ইংরেজি নাম: pomegranate

ডালিমের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম ডালিমে ৭৮ ভাগ পানি, ১.৫ ভাগ আমিষ, ০.১ ভাগ স্নেহ, ৫.১ ভাগ আঁশ, ১৪.৫ ভাগ শর্করা, ০.৭ ভাগ খনিজ, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ১৪ মিলিগ্রাম অক্সালিক এসিড, ৭০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ০.৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ইত্যাদি থাকে।

ডালিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

রক্তচাপ কমাতে: 

ডালিম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাহলে নিয়মিত ডালিম খাওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহেই আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

ডালিমে  রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি যা শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত ডালিমে খেলে শরীর থাকবে সুস্থ ও সতেজ।

যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে:

প্রতিদিন এক গ্লাস ডালিমের জুস সাহায্য করে প্রয়োজনীয় হরমোন বৃদ্ধিতে, নারী ও পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতার জন্যই।

হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে:

মাংস পেশিতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দিতে সাহায্য করে এই ডালিমের রস। নিয়মিত বেদানার রস খেলে তা ধমনীর আবরণে জমে থাকা চর্বির স্তরকে গলিয়ে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটা করে ডালিম খেতে পারলে হৃদরোগের হাজারো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ডালিমের বিচির উপকারিতা,আনার খাওয়ার উপকারিতা

আথ্রাইটিস ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম:

ডালিম আথ্রাইটিসে উপকার করে। এছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়:

ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে:

আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধী:

ডালিম বা বেদানার রস ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকারি খাদ্য। গবেষণায় দেখা গেছে স্কিন ক্যান্সার ও প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে বেদানার রস সাহায্য করে।

ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী:

দেহে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ডালিম। এছাড়া এটি ফাংগাস ইনফেকশনের বিরুদ্ধেই ভূমিকা রাখে।

ডালিমের উপকারিতা ও অপকারিতা,ডালিমের অপকারিতা

সর্দি-কাশি দূর করে:

ডালিমে রয়েছে পটাশিয়াম ও ফাইবার যা ইমিউন সিস্টেম মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পেতে ডালিমের রস ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আমাশয় নিরাময়ে:

আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের খোসা। যারা আমাশয়ের রোগী ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে সেবন করলে আমাশয় নিরাময়ে ভল ফল পাওয় যায়। আমাশয় নিরাময়ে ডালিমের কাঁচা খোসা এবং শুকনা খোসা দুটোই কার্যকরী। তাই ডালিম খেয়ে খোসা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে ঘরে রেখে দেয়া ভাল।

গর্ভপাত নিরাময়ে: 

ডালিম গাছের পাতা বেটে মধু ও দধি একসাথে মিশিয়ে সেবন করলে গর্ভপাতের আশংকা দুর হয়।

ক্রিমি দূর করতে: 

ডালিম গাছের মূল বা শিকড় থেকে ছাল নিয়ে চূর্ন করে চুনের পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করলে আনায়াসেই ক্রিমিনাশ হয়। বয়স ভেদে ১–৩ গ্রাম পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। 

পরিশেষে : ডালিম খাওয়ার উপকারিতা,ডালিমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

আপনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কিছু পোস্ট

স্বাস্থ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী ঔষধি গুন গোপন সমস্যা রূপচর্চা রোগ প্রতিরোধ

Leave a Comment