ঝুঁকির প্রকারভেদ বর্ণনা কর, কিভাবে জীবন বীমার দাবি আদায় করা হয় বর্ণনা কর।

Advertisement

ঝুঁকির প্রকারভেদ বর্ণনা কর

ব্যবসাই হোক অথবা ব্যক্তিগত জীবনেই হোক, ঝুঁকি (RISK) সর্বত্রই বিরাজমান। অর্থাৎ জীবনের পদে পদে ঝুঁকি। আমরা চাই বা না চাই ঝুঁকি সারাক্ষণ আমাদের ছায়ার মতো অনুসরণ করছে। ঝুঁকির অস্তিত্ব অনস্বীকার্য। সুষ্ঠ এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঝুঁকির মোকাবেলা করা সম্ভব।

ঝুঁকির সংজ্ঞা:

ঝুঁকির আভিধানিক সংজ্ঞা হচ্ছে সম্ভাব্য বিপদের সম্মুখীন হওয়া।

ঝুঁকির প্রকারভেদ:

ঝুঁকি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-

১। নিখাদ ঝুঁকি (Pure Risk)

Advertisement

২। নির্দিষ্ট ঝুঁকি (Particular Risk)

৩। মৌলিক ঝুঁকি (Fundamental Risk) এবং

৪। ব্যবসায়িক ঝুঁকি (Speculative Risk)

নিখাদ ঝুঁকি (Pure Risk):

নিখাদ ঝুঁকি বলতে সেই সকল ঝুঁকিকে বুঝায় যার কারণে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে অর্থাৎ উভয়েরই সম্ভাবনা থাকে।

নির্দিষ্ট ঝুঁকি (Particular Risk):

নির্দিষ্ট ঝুঁকি বলতে সাধারণত সেই সকল ঝুঁকিকে বুঝায় যেখানে ঝুঁকির দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতির পরিমাণ সীমিত, যা কেবল ব্যক্তি বিশেষ বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

মৌলিক ঝুঁকি (Fundamental Risk):

মৌলিক ঝুঁকি বলতে সেই সকল ঝুঁকিকে বুঝায় যা ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত হয় না বা যার উপর মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ বা হাত নাই। এই সকল ঝুঁকি সংঘটিত হওয়ার কারণে সমাজ সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। যেমন- প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি।

ব্যবসায়িক ঝুঁকি (Speculative Risk):

ব্যবসায়িক ঝুঁকি বলতে সেই সকল ঝুঁকিকে বুঝায় যার কারণে লাভ এবং লোকসান উভয়েরই সম্ভাবনা থাকে। যেমন- শেয়ার বাজারে লেনদেন করা ইত্যাদি।

কমপ্লায়েন্সের ঝুঁকি : সরকারী আইন পরিবর্তনের কারণে উদ্ভূত ঝুঁকি।

অপারেশনাল ঝুঁকি : যন্ত্রপাতি ভাঙ্গা, প্রক্রিয়া ব্যর্থতা, শ্রমিকদের দ্বারা লকআউট ইত্যাদির কারণে উদ্ভূত ঝুঁকি

খ্যাতি ঝুঁকি : কোনও বিভ্রান্তিমূলক, মামলা মোকদ্দমা, খারাপ পণ্য বা পরিষেবাগুলির সমালোচনা ইত্যাদির ফলে উদ্ভূত ঝুঁকি

কৌশলগত ঝুঁকি : প্রতিটি ব্যবসায়িক সংস্থা একটি কৌশল নিয়ে কাজ করে তবে কৌশল ব্যর্থ হওয়ার কারণে ঝুঁকি দেখা দেয়।

তরলতার ঝুঁকি : আর্থিক সরঞ্জামের ফলে উদ্ভূত ঝুঁকিটি বাজারে দ্রুত লেনদেন হয় না।

বাজারের ঝুঁকি : আর্থিক সম্পদে ওঠানামার কারণে উদ্ভূত ঝুঁকি।

কিভাবে জীবন বীমার দাবি আদায় করা হয় বর্ণনা কর।

Advertisement 2

মৃত্যু পরবর্তী স্বত্ব আদায়
জীবন বীমার স্বত্ব আদায়কে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায় – মেয়াদী স্বত্ব আদায় এবং মৃত্যু পরবর্তী স্বত্ব আদায়।
পলিসির মেয়াদ চলাকালীন সময়ে বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটলে, তার মনোনীত উত্তরাধিকারীরা বীমার অর্থ দাবি করতে পারবেন।বীমার অর্থ দাবি করার পূর্বে, বীমাকৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের স্বত্ব আদায় প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে।

মৃত্যু পরবর্তী বীমার দাবি বা স্বত্ব আদায়ের সাধারণ পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের একটি তালিকা তৈরী করে দিলাম।তবে মনে রাখবেন, বীমা আদায়ে একেক কোম্পানীতে একেক রকম ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে।

মৃত্যু পরবর্তী স্বত্ব আদায় প্রক্রিয়া
স্বত্ব আদায়ের প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল – বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে বীমা কোম্পানীকে অবহিত করা।বীমা কোম্পানী মৃত্যুকে ‘আর্লি ডেথ’ এবং ‘নন-আর্লি ডেথ’ এ দুটি শ্রেণীতে ভাগ করে।
বীমা গ্রহণের তিন বছরের মধ্যে যদি বীমাকৃত ব্যক্তি মারা যান, তবে তা আর্লি ডেথ বা অকালীন মৃত্যু হিসেবে গন্য হবে।স্বত্ব আদায়ের ডকুমেন্ট দুই ধরণের মৃত্যুতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে বীমা লেনদেনের ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।তাছাড়া প্রয়োজনীয় অন্যান্য নথিপত্রও সংগ্রহ করুন যা স্বত্ব আদায়ের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে।অনলাইন ভিত্তিক বীমা পলিসির ক্ষেত্রে, ফর্মের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা
বীমার স্বত্ব আদায়ে সাধারণত যেসব ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় –
• ডেথ সার্টিফিকেট
• পলিসির মূল নথিপত্র
• বীমার মনোনীত প্রাপকের পরিচয়পত্র
• বীমাকৃত ব্যক্তির বয়সের প্রমাণপত্র
• ডিসচার্জ ফর্ম
• মেডিকেল সার্টিফিকেট (মৃত্যুর কারণের প্রমাণপত্র হিসেবে)
• পুলিশ এফআইআর (অপমৃত্যুর ক্ষেত্রে)
• পোস্টমর্টেম রিপোর্ট (অপমৃত্যুর ক্ষেত্রে)
• হাসপাতাল রেকর্ড/সার্টিফিকেট (যদি কোন অসুস্থতার কারণে মৃত্যু ঘটে)

Advertisement 2

একজন দাবিদার হিসেবে, বীমাকৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর অবিলম্বে আপনাকে বীমার দাবি জানাতে হবে।তাছাড়া নিশ্চিত করুন আপনার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কি না।

H.S.C

Advertisement 5

Advertisement 3

2 thoughts on “ঝুঁকির প্রকারভেদ বর্ণনা কর, কিভাবে জীবন বীমার দাবি আদায় করা হয় বর্ণনা কর।”

Leave a Comment