জিএম ফসল কী?,সুপার হাইব্রিড ধানের চাষ চাষিদের বীজের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে ব্যাখ্যা কর,ফসল চাষে সফলতা পেতে এনায়েতপুরের চাষিরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা ব্যাখ্যা কর,কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এনায়েতপুরের চাষিরা কীভাবে স্ববলম্বী হয়েছিল- বিশ্লেষণ কর

প্রশ্ন সমাধান: জিএম ফসল কী?,সুপার হাইব্রিড ধানের চাষ চাষিদের বীজের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে ব্যাখ্যা কর,ফসল চাষে সফলতা পেতে এনায়েতপুরের চাষিরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা ব্যাখ্যা কর,কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এনায়েতপুরের চাষিরা কীভাবে স্ববলম্বী হয়েছিল- বিশ্লেষণ কর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : কৃষিনির্ভর এনায়েতপুর গ্রামের চাষিরা মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষ করে। তাদের উঁচু জমিগুলো অনেক সময়ই খালি পড়ে থাকে। ফলে চাষিরা ওই সময়ে বেকার বসে থাকেন। জমিতে ফসল না থাকা ও বেকারত্বের কারণে দিশেহারা কৃষকরা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ চাইলে কৃষি কর্মকর্তা চাষিদের মৌসুম নির্ভরতামুক্ত বিভিন্ন জাত চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করেন। ধানসহ বিভিন্ন শাকসবজির মৌসুম নির্ভরতামুক্ত ফসল চাষ করে এনায়েতপুরের চাষিরা বর্তমানে স্বাবলম্বী।

ক. জিএম ফসল কী?
খ. সুপার হাইব্রিড ধানের চাষ চাষিদের বীজের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে ব্যাখ্যা কর।
গ. ফসল চাষে সফলতা পেতে এনায়েতপুরের চাষিরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এনায়েতপুরের চাষিরা কীভাবে স্ববলম্বী হয়েছিল- বিশ্লেষণ কর।

উত্তর :

ক. সংকরায়ন ও ক্রমাগত নির্বচনের মাধ্যমে ফসলের বংশগতি পরিবর্তন করে যে নতুন ফসল উৎপাদন করা হয় তাকে জিএম ফসল বলে।

খ. সুপার হাইব্রিড ধানের বড় অসুবিধা হলাে এসব অত্যাধুনিক ধানের বীজ রাখা যায় না। এক প্রজন্মেই বীজের গুণাগুণ শেষ হয়। চাষিরা এ বীজ পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারে না। প্রতিবার চাষ করার জন্য তাদের নতুন বীজ সংগ্রহ করতে হয়। এভাবেই সুপার হাইব্রিড ধানের চাষ, চাষিদের বীজের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে।

গ. মৌসম নির্ভরশীলতা বাংলাদশে কৃষির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও বাংলাদশের কৃষি আবহাওয়া ও জলবায়ু নির্ভরশীল। ফসল চাষে সাফল্য পেতে এনায়েতপুরের চাষিরা মৌসুম নির্ভরতামুক্ত ফসল চাষের পদক্ষেপ নিয়েছিল। তা নিচে ব্যাখ্যা করা হল

১. এনায়েতপুরের চাষিরা মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষের পরিবর্তে সারা বছর চাষ করা যায় এমন ফসলের চাষ করেছিলেন। শীতকালীন।

অনেক ফসল আছে যেমন- টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি এখন সারা বঠর চাষ করা যায়।

২. এনায়েতপুরের চাষিরা এ ধরনের ফসল চাষ করেছিলেন। ধানের ক্ষেত্রে বিআর ২৮ সারা বছর চাষ করা যায়। এনায়েতপুরের চাষিরা আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলাের মধ্যে কৃষি যন্তপাতি, সবুজ সার ও কমপােস্ট সার, সাথি ফসল, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। এগুলাে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে কৃষকরা সাফল্য পেয়েছিলেন।

৩. উঁচু জমিতে খরা মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা করেছিল ও সেচনির্ভর ফসলের আবাদ করেছিল। বর্ষা মৌসুমে মৌসুম উপযােগী সবজির চাষ । করে লাভবান হয়েছিলেন।


আরো ও সাজেশন:-

ঘ. বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতি মেরুদন্ড। তবে বাংলাদেশের কৃষি এখনাে তেমন প্রযুক্তিনির্ভর নয়। বাংলাদেশের অন্যান্য গ্রামের মতাে এনায়েতপুরের কৃষকরা মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষ করেন। ফলে মৌসুম। ছাড়া অন্য সময়গুলােতে চাষিরা বেকার বসে থাকেন।

কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে তারা মৌসুম নির্ভরতামুক্ত ফসলের আবাদ করেন। বর্তমানে মৌসুম নির্ভরতামুক্ত অনেক ফসলের জাত আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে এক মৌসুমে অন্য মৌসুমে আবাদ করা যায়।

যেমন- টমেটো। আগে টমেটো শীতকালে চাষ করা হতাে এখন তা গ্রীষ্মকালেও চাষ করা হয়। আবার ধানেরএমন অনেক জাত আছে যেগুলাে সারা বছর চাষ করা যায়। যেমন- বিআর ২৮ ধান বছরে ৩বার চাষ করা সম্ভব। আবার কখনাে কখনাে বিরূপ পরিবেশেও ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে।

যেমন- গ্রিণ হাউসে সবজির চাষ। এনায়েতপুরের কৃষকরা পূর্বে উঁচু জমিতে ফসলের চাষ করতে পারত না। এখন তারা অনায়াসে গ্রীষ্মকালে সেচ দিয়ে টমেটোর চাষ করতে পারবে। এতে করে অসময়ে ফল ফলিয়ে তারা বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হবে। এলাকায় কাজের সুযােগ সৃষ্টি হবে। মানুষ আর বেকার থাকবেনা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : কৃষক রফিক টেলিভিশনে ভিয়েতনামের কৃষির উপর একটি প্রতিবেদন দেখছিলেন। প্রতিবেদনে ভিয়েতনামের কৃষিতে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তি, চাষাবাদের ধরন ও চাষিদের কার্যক্রমের চিত্র দেখানো হয়। একপর্যায়ে উপস্থাপক বললেন বাংলঅদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে না পারার কারণে পিছিয়ে আছে। রফিক টেলিভিশনের অনুষ্ঠান থেকে ভিয়েতনামের চাষিদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা লাভ করে তার এলাকায় চাষিদের সংগঠিত করেন।

ক. কৃষি কী?
খ. আদি কৃষির উৎপত্তি সাধারণত মানুষের হাতেই- ব্যাখ্যা কর।
গ. রফিক কীভাবে তার এলাকার কৃষকদের সংগঠিত করেন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের কৃষির ক্ষেত্রে উপস্থাপকের মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

উত্তর :

ক. ফসল, পশুপাখি, বন ও মাছ চাষ করতে মাটির জৈবিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাকে কৃষি বলে।

খ. অবিজ্ঞ কৃষকদের হাত ধরেই যেমন কৃষির আধুনিকায়ন হয়েছে। তেমনি বলা যায়, আদি কৃষির উৎপত্তি সাধারণত মানুষের হাতেই। নিচে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলােআদি মানুষ বিভিন্ন ফলমূল ও শস্য বিভিন্ন বনজঙ্গল থেকে সংগ্রহ করতাে। ফল খাওয়হর পর এর বীজ গুহার পাশেই ফেলে রাখত। সেখান থেকেই নতুন চারাগাছ গজাত। নতুন চারাগাছের ফসল যেগুলাে তাদের কাছে ভালাে মনে হতাে সেগুলােই তারা সংগ্রহ করত এবং পরবর্তী বছর আবাদ করত। এভাবেই মানুষের হাতেই আদি কৃষির উৎপত্তি হয়েছিল।

গ. বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কৃষিতে সবচেয়ে বড় মিল ধান উৎপাদন। তবে এক্ষেত্রে দৃশ্যত ভিয়েতনামের কৃষকদের অগ্রগতি বাংলাদেশর চাইতে দ্রুত। এর প্রধান কারণ হলাে ভিয়েতনামের কৃষকেরা সুসংগঠিত। কৃষক রফিক টেলিভিশনে ভিয়েতনামের কৃষির উপর একটি প্রতিবেদন দেখছিলেন। প্রতিবেদনের মূল উপজীব্য বষিয়টি ছিল কৃষক সংগঠন। রফিক প্রতিবেদন দ্বারা উৎসাহী হয়ে নিচের উপায়ে কৃষকদের সংগঠিত করেন

১. কৃষকরা সংগঠিত হলে তারা কীভাবে লাভবান হবেন তা তিনি তাদের বােঝালেন।

২. সংগঠিত হলে কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবেন তা তাদের বােঝালেন।

৩.সমবায় ভিত্তিতে ফসল আবাদ করলে সরকারের পৃষ্ঠপােষকতা পাওয়া যাবে এ সম্পর্কে তাদের অবহিত করলেন।

৪. সমবায় সংগঠনগুলাে শক্তিশালী হলে সরকার তাদের ন্যায্য দাবি দাওয়া মেনে নেবে।

৫. সংগঠন শক্তিশালী থাকলে সকল সংস্থার নীতি ও কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে তারা ভূমিকা রাখতে পারবেন।

এসব বােঝানাে ফলে রফিকের এলাকার কৃষকরা সংগঠিত হন।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

ঘ. উদ্দীপকে উপস্থাপকের মন্তব্যটি হলাে- বাংলাদেশের মতাে স্বল্পোন্নত দেশগুলাে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে না পারার কারণে কৃষিতে পিছিয়ে আছে। মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে কারণ বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চার সূচনা প্রচীনকালেই হয়েছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যর্থতার কারণে ইতিমধ্যেই কৃষিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পরেছে। বাংলাদেশের মতাে স্বল্পোন্নত দেশগুলাে অবস্থা একই। বাংলাদেশের তুলনায় চীন কৃষিতে অনেক উন্নত দেশ।

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সকল কৃষিজাত উৎপাদন হেক্টরপ্রতি চীনে বেশি। এর কারণ হলাে তাদের অধিকাংশ ধানের জাত মৌসুম নির্ভরশীল নয় এবং ফলন আগের থেকে সাত গুণ বেশি। ভারতের কৃষি বাংলাদেশের চেয়ে অনেক অগ্রসর।

ধানসহ অন্যান্য শস্য, ডাল ফসল, ফুল, ফল, শাকসবজি, ভােজ্য তেলবীজ, তুলা, আখসহ অন্যান্য মাঠ ফসল, পােল্টি, ডেইরি, মৎসসহ প্রায় সকল কৃষিপণ্য উৎপাদনে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে।

এর কারণ হলাে তাদের কৃষকরা সংগঠিত ও কৃষি প্রযুক্তিগুলাে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করেন। অপরদিকে বাংলাদেশের মতাে স্বল্পোন্নত দেশগুলাে উন্নতমানের কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার না করায় ক্রমেই কৃষিতে পিছিয়ে পড়ছে। উপরের আলােচনা হতে দেখা যায়, বর্তমান কৃষি উৎপাদন নির্ভর করছে কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর। যারা কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছে না তারা

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

1 thought on “জিএম ফসল কী?,সুপার হাইব্রিড ধানের চাষ চাষিদের বীজের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে ব্যাখ্যা কর,ফসল চাষে সফলতা পেতে এনায়েতপুরের চাষিরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা ব্যাখ্যা কর,কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এনায়েতপুরের চাষিরা কীভাবে স্ববলম্বী হয়েছিল- বিশ্লেষণ কর”

Leave a Comment