জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের 4990 টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান শুরু আজ থেকে।
গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্নাতক বা সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের বিষয়টি উদ্বোধন করেছেন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকাল থেকেই বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের টিউশন ফি বাবদ 4990 টাকা প্রদান শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী মোবাইলে উপবৃত্তি পৌঁছে গিয়েছে।
স্নাতক পাস পর্যায়ে উপবৃত্তি বিতরণ শুরু হয়েছে। ডিগ্রি ১৫-১৬, ১৬-১৭, ১৭-১৮ সেশনের যারা উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিকাশ ওয়ালেটে টাকা পর্যায়ক্রমে গত রাত ১০ টার ভিতরে চলে আসার কথা।এখনো না আসলে অপেক্ষা করুন।
টাকার পরিমাণ: ৪৯০০/-
উল্লেখ্য যে গত বছর জুন মাসের 12 তারিখে উপবৃত্তি প্রদানের জন্য ফরম ছাড়া হয় এবং এই ফর্ম পূরণ করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন শুধুমাত্র তাদেরকেই উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এর মাধ্যমে স্নাতক(পাস) কোর্সের উপবৃত্তি – ২০১৯ প্রোগ্রামে চুড়ান্ত মনোনিত শিক্ষার্থীদের বিকাশ একাউন্টে গতকাল থেকে উপবৃত্তির প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করা হইলো।
উল্ল্যেখ্য ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে এ উপবৃত্তির আবেদন ফরম ছাড়া হয় ১৫-১৬, ১৬-১৭ ও ১৭-১৮ সেশনের জন্য।
একই বছরের সেপ্টম্বর মাসে উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য চুড়ান্ত মনোনিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং তাদের নামে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়।
১৪ মে ২০২০, প্রধানমন্ত্রী করোনা আপদকালীন মুহূর্তে এ টাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিকাশ একাউন্টে পাঠানোর শুভ উদ্ভোধন করেন।
এ উপবৃত্তির আওতায় ২ লাখ ৯ হাজার ৬৭৪ জনকে মোট ৪৯০০/- টাকা করে প্রদান করা হলো।
ধীরে ধীরে সকলের একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।
ডিগ্রী উপবৃত্তি প্রদান করা হয় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের (কিছু ক্যাটাগরিতে) ৭৫% মেয়ে, ২৫% ছেলে রেসিও তে। অনার্সে কেন দেয় না এসব কথা বলে লাভ নাই, অনার্সে বোর্ড বৃত্তি সহ অনেক ব্যাংক স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা আছে, আপনার ভালো রেজাল্ট থাকলে এবং আবেদন করলে এতোদিনে টাকা পেয়ে যেতেন।
অনার্সের পড়াশুনাতে অনেক খরচ গুণতে হয়, ডিগ্রীতে তার অর্ধেকও না, এখন এ অর্ধেক খরচও যারা এফোর্ট করতে পারেনা তাদের জন্য এ ইনসেন্টিব।
এর আরেকটি উদ্দ্যেশ্য ডিগ্রী পড়তে ছাত্রদের প্রলুব্ধা করা।
বি:দ্র: যতটা বর্ণনা করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক ভালো পরিবার হতে বিলং করা স্টুডেন্টেরও উপবৃত্তির জন্য মনোনীত হতে দেখেছি, এর কারণ হলো ডকুমেন্ট, আপনি যথাযত ডকুমেন্ট দিলেন, তো চুড়ান্ত নির্বাচনে নাম আসতে বাঁধা নাই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছরই জুন এবং জুলাই মাসের দিকে উপবৃত্তি প্রদান সংক্রান্ত প্রকাশ করেছেন অনলাইন থেকে অথবা নিজ নিজ কলেজ থেকে এই ফরম সংগ্রহ করে সেটা পূরণ করে তারপর কলেজে জমা দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। উল্লেখ্য ডিগ্রী 2015-16 গেছে যারা ছিলেন তারা অলরেডি টিউশন ফি বাবদ 4990 টাকা তাদের মোবাইলের বিকাশ একাউন্টে পেয়ে গিয়েছেন।
আমরা বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি যে অনার্স পড়ুয়া যারা রয়েছেন তারা এই উপবৃত্তি পাবেন কিনা। উত্তরটি হচ্ছে, না আপনি পাবেন না।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র ডিগ্রী পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করে থাকে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে ডিগ্রী পড়ুয়া সবাইকেই উপবৃত্তির 4990 টাকা পাবে?
না সবাই পাবেন শুধুমাত্র যারা ফরম পূরণ করে কলেজে জমা দিয়েছিলেন তাদের মধ্য থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারাই এই টাকাটা পাবে।
কিভাবে উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপবৃত্তি প্রদানের জন্য তারা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এবং সেইসাথে প্রতি বছর জুন-জুলাই মাসের দিকে একটি ফল প্রকাশ করে থাকে এটি আপনি অনলাইনে অথবা কলেজ থেকে সংগ্রহ করে তারপর পূরণ করে আপনার নিজ নিজ কলেজে জমা দিতে হবে।
আবেদন করার পর যারা এখনো পাননি কিভাবে পাবেন?
আপনি যদি অলরেডি আবেদন করে থাকেন তাহলে সেটার তালিকা আপনি দেখতে পারবেন। নির্বাচিতদের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে শুধুমাত্র তারাই পাবেন এবং আপনাকে এর জন্য 2 থেকে 3 দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপবৃত্তি সংক্রান্ত অন্য কোন প্রশ্ন যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে প্রশ্ন করতে পারেন আপনি চাইলে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করতে পারেন অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আপনি চাইলে সেখানে পোস্ট করতে পারেন
সূত্র/edubdinfo24.com
- কোম্পানি সচিব ও একান্ত সচিব পার্থক্য
- স্কিন ইফেক্ট কি? ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্ট এর প্রভাব
- পিরিয়ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, সমালোচনার মুখে কড়া জবাব টিভি তারকা দিব্যার
- আদর্শ কোম্পানি সচিবের গুণাবলি
- কোম্পানি সচিব বলতে কি বুঝ ও কোম্পানি সচিবের ভূমিকা আলোচনা কর