প্রশ্ন সমাধান: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় নারীর ক্ষমতায়ন সংক্ষেপে আলোচনা কর, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের বাস্তব চিত্র তুলে ধর।,জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা কর
ভূমিকা : বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ। এখানে নারীরা এখন শুধু স্থানীয় পর্যায়ে নয় বরং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা তাদের দমিয়ে রাখতে পারছে না সত্য কিন্তু প্রতিনিয়ত এ সমাজব্যবস্থা নারীর অংশগ্রহণকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন : জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াটি মূলত সম্পন্ন হয় প্রত্যেকটি দেশের আইনসভায়। আইনসভায় মহিলা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমেই মহিলাদের জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখতে পারে। আইনসভায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের দাবি একটি জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ব্রিটিশ আমলের মহিলাদের সংরক্ষিত ৭টি আসন বৃদ্ধি পেয়ে ১৫টিতে উন্নীত করা হয় এবং ১৯৭৯ সালে এক সংশোধনীর মাধ্যমে একে ১৫ থেকে ৩০ এ উন্নীত করা হয়। বর্তমানে নারীদের সংরক্ষিত আসন ৫০ এ উন্নীত হয়েছে।
আরো ও সাজেশন:-
অপরদিকে আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ নারী ক্ষমতায়নে অধিক সোচ্চার ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপও নিয়েছে। জাতিসংঘের Economic and social commission ১৯৯৫ সাল নাগাদ পার্লামেন্ট, রাজনৈতিক দল, স্বার্থগোষ্ঠী ইত্যাদিতে নারীর অংশগ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ৩০% স্থাপন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন রাষ্ট্রের ও আন্তর্জাতিক নারীর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, রাজনৈতিক দলে কাঠামোগত চরিত্রে সংসদীয় রাজনীতিতে নারীর আগমনকে নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত করে
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত নয়। তাই সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে যাতে নারী-পুরুষ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- LC কি, LC কয় প্রকার,LC বিস্তারিত আলোচনা কর
- অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি সমালোচনাসহ আলোচনা কর।, সমালোচনাসহ অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি বর্ণনা কর ।
- দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে যা জান লিখ
- স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের জামানতযুক্ত ও জামানতবিহীন উৎসসমূহ লিখ
- স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ, স্বল্পমেয়াদি ঋণের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর
- উৎসের ভিত্তিতে তহবিল বা অর্থায়নের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে চিত্রের সাহায্যে আলোচনা কর