চুক্তির ভিত্তিতে অংশীদারী ব্যবসায় পরিচালনায় ও বিলোপ সাধনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিক বিশ্লেষণ।

শ্রেণি: ১২শ HSC ইন কমার্স-2021 বিষয়: ব্যবসায় সংগঠন এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 07 বিষয় কোডঃ 1728
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা ,
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ চুক্তির ভিত্তিতে অংশীদারী ব্যবসায় পরিচালনায় ও বিলোপ সাধনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিক বিশ্লেষণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • অংশীদারী চুক্তিপত্রের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।,
  • অংশীদারী চুক্তিপত্রের বিষয়বস্তু বর্ণ না করতে পারবে।,
  • অংশীদারদের যোগ্যতাগুলো বর্ণনা করতে পারবে।,
  • অংশীদারী ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে পারবে।,

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • অংশীদারী চুক্তিপত্রের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।,
  • অংশীদারী চুক্তিপত্রের বিষয়বস্তু বর্ণ না করতে হবে।,
  • অংশীদারদের যোগ্যতাগুলো বর্ণনা করতে হবে।,
  • অংশীদারী ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে হবে।,

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • অংশীদারী চুক্তিপত্রের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।,

অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তির বিষয়বস্তু দলিলে লিপিবদ্ধ করা হলে তাকে অংশীদারি চুক্তিপত্র বলে।

অংশীদারি চুক্তিপত্র হলো একাধিক ব্যক্তির মধ্যে স¤পাদিত অংশীদারি বিষয়ক সম্মতির দলিল। বাংলাদেশে বহাল ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে যে, অংশীদারি স¤পর্ক সৃষ্টি হয় চুক্তি থেকে, সামাজিক মর্যাদা থেকে নয়। অংশীদারদের মূলধনের অনুপাত, লাভ-ক্ষতি বণ্টনের অনুপাত, অংশীদারদের দায়িত্ব, অধিকার, পারিশ্রমিক, ব্যবসায় পরিচালনা পদ্ধতি, ঋণ গ্রহণ, বিরোধ নি®পত্তি প্রভৃতি যাবতীয় বিষয় চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়। চুক্তি মৌখিক, লিখিত বা নিবন্ধিত হতে পারে।

তবে চুক্তি যে ধরনের হোক না কেন অংশীদারি ব্যবসায় শুরু করার জন্য চুক্তি করা বাধ্যতামূলক; তবে তা লিখিত হওয়ায় বাঞ্ছনীয়। এজন্য চুক্তিই অংশীদারি ব্যবসায়ের মূলভিত্তি।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • অংশীদারী চুক্তিপত্রের বিষয়বস্তু বর্ণনা করতে হবে।,

১. অংশীদারি ব্যবসায়ের নাম
২. ব্যবসায়ের ঠিকানা
৩. ব্যবসায়ের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও আওতা
৪. ব্যবসায়ের কার্যক্রম বিস্তৃতির বর্তমান ও সম্ভাব্য এলাকা
৫. ব্যবসায়ের অস্তিত্ব
৬. অংশীদারদের মোট মূলধনের পরিমাণ
৭. ব্যবসায়ের মোট মূলধনের পরিমাণ
৮. অংশীদারদের প্রত্যেকের প্রদত্ত পুঁজির পরিমাণ ও তা পরিশোধ পদ্ধতি
৯. মূলধনের উপর সুদ দেয়া হবে কি না, হলে কি হারে
১০. অংশীদারগণ ব্যবসায় হতে কোন অর্থ উত্তোলন করতে পারবে কিনা, পারলে কত বা কি হারে
১১. উত্তোলিত অর্থের উপর সুদ ধরা হবে কিনা, হলে কি হারে
১২. ব্যবসায়ের লাভ লোকসান বণ্টন পদ্ধতি ও হার
১৩. ব্যবসায়ের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি
১৪. ব্যবসায়ের হিসাবরক্ষণ ও হিসাব নিরীক্ষা পদ্ধতি
১৫. ব্যবসায়ের বিলোপসাধন পদ্ধতি

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • অংশীদারদের যোগ্যতাগুলো বর্ণনা করতে হবে।,

এক নজরে বিভিন্ন ধরনের অংশীদারদের বৈশিষ্ট্য :

বৈশিষ্ট্যসাধারণ অংশীদারসীমিত অংশীদারনামমাত্র অংশীদারনিষ্ক্রিয় অংশীদারআপাতঃ দৃষ্টিতে অংশীদারকর্মী অংশীদার
মূলধন বিনিয়োগনগদেনগদেসুনাম দেয়নগদেঅবসরের পর মূলধন নেওয়া না হলেশ্রম দেয়
পরিচালনাসক্রিয়সক্রিয় নয়নিষ্ক্রিয়সক্রিয় নয়অংশ নিতে পারে নাঅংশ নেয়
লাভ-ক্ষতি বণ্টনসক্রিয়সক্রিয়সক্রিয়সক্রিয়সুদ পায়সক্রিয়
দায়অসীমসীমিতঋণ গ্রহণ করলে দায় বর্তায়অসীমবিজ্ঞপ্তি না দিলে দায় বর্তায়অসীম

৭. আচরণে অনুমিত অংশীদার : অংশীদার না হয়েও অংশীদার হিসেবে আচরণের মাধ্যমে/ মৌখিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান

৮. প্রতিবন্ধ অংশীদার : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তিকে অংশীদার হিসেবে পরিচয় দেয় এবং ব্যক্তি মৌনতা প্রকাশ করে

সাংকেতিকভাবে, সাধারণ অংশীদার = মূলধন বিনিয়োগ + পরিচালনায় অংশগ্রহণ + লভ্যাংশ গ্রহণ + দায় বহন (অসীম)
সীমিত অংশীদার = মূলধন বিনিয়োগ + মুনাফায় অংশগ্রহণ – পরিচালনা
নামমাত্র অংশীদার = সুনাম প্রদান + মুনাফায় অংশগ্রহণ – পরিচালনা – মূলধন বিনিয়োগ – দায় গ্রহণ
নিষ্ক্রিয় বা ঘুমন্ত অংশীদার = মূলধন বিনিয়োগ + লভ্যাংশ গ্রহণ + দায় গ্রহণ (অসীম) – পরিচালনা
আপাতঃ দৃষ্টিতে অংশীদার = ব্যবসায় ঋণ প্রদান + সুদ গ্রহণ – মূলধন বিনিয়োগ
আপাতঃ দৃষ্টিতে অংশীদারগণ অংশীদার নয়, তারা পাওনাদার

অংশীদার হবার অযোগ্য :
১. নাবালক
২. পাগল
৩. দেউলিয়া ব্যক্তি
৪. অজ্ঞান ব্যক্তি
৫. সরকারি কর্মচারি
৬. রাষ্ট্রীয় বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি (রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিবর্গ, ইত্যাদি)
৭. প্রতিষ্ঠান বা সংঘ
৮. মানসিক প্রতিবন্ধী
৯. বিদেশি রাষ্ট্রদূত
১০. বিদেশি শত্রু ও দেশদ্রোহী

অংশীদার বলে গণ্য করা যাবে না :
১. যারা অংশীদারদের প্রদত্ত ঋণের সুদের পরিবর্তে ব্যবসায় হতে লাভের অংশ গ্রহণ করে
২. যে কর্মচারিগণ পারিশ্রমিক হিসেবে লাভের অংশ গ্রহণ করে
৩. কোন মৃত অংশীদারের বিধবা পত্নী বা শিশুপুত্র যদি লাভ অনুসারে বার্ষিক বৃত্তি (Annuity) গ্রহণ করে
৪. ব্যবসায়ের প্রাক্তন মালিক বা অংশীদার যদি তার সুনাম (Goodwill) বিক্রয় বাবদ লাভ গ্রহণ করে

একটি কোম্পানি অন্য অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হতে পারে
একটি ফার্মের অংশীদার অন্য ফার্মের অংশীদার হতে পারে না
কোম্পানির সাধারণ শেয়ার মালিক অন্য কোন ফার্মের অংশীদার হতে পারে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • অংশীদারী ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে হবে।,

বাংলাদেশে বহাল ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩৯ ধারায় অনুযায়ী; “সকল অংশীদারের মধ্যকার অংশীদারি সম্পর্কের বিলুপ্তিকে অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলে”

অর্থাৎ অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলতে ব্যবসায়ের অংশীদারদের মধ্যকার সম্পর্ক, ব্যবসায়ের বিষয়-সম্পত্তি ও দেনা পাওনার সার্বিক নিষ্পত্তিকে বুঝায়। এককথায়, সকল অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তিবদ্ধ সম্পর্কের বিলুপ্তিকেই অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধন বলা হয়।

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপ সাধন পদ্ধতি:

বাংলাদেশে বহাল ১৯৩২ সালের অংশীদারি আইনের ৩৯ ধারার মতে অংশীদারি ব্যবসায় বিলোপ সাধন ৫ ভাবে হতে পারে। যথা: 

  1. সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে বিলোপসাধন (অংশীদারি আইনের ৪০ ধারা অনুযায়ী)
  2. বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন (অংশীদারি আইনের ৪১ ধারা অনুযায়ী)
  3. বিশেষ ঘটনা সাপেক্ষে বিলোপসাধন (অংশীদারি আইনের ৪২ ধারা অনুযায়ী)
  4. বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বিলোপ সাধন (অংশীদারি আইনের ৪৩ ধারা অনুযায়ী)
  5. আদালতের নির্দেশে বিলোপ সাধন (অংশীদারি আইনের ৪৪ ধারা অনুযায়ী)

অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধনের পদ্ধতি
নিচে অংশীদারি ব্যবসায়ের বিলোপসাধনের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
১. চুক্তি অনুসারে বিলোপসাধন
অংশীদারি আইনের ৪০ ধারা অনুসারে সকল অংশীদারের সম্মতিক্রমে বা অংশীদারদের মধ্যকার স¤পাদিত চুক্তি অনুসারে
এ ব্যবসায় বিলোপসাধন ঘটতে পারে।
২. বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন
অংশীদারি আইনের ৪১ ধারা অনুসারে নি”ের দু’টি অবস্থায় অংশীদারি ব্যবসায় বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন ঘটে।
(ক) সকল অংশীদার বা একজন ব্যতীত সকল অংশীদার এক সাথে দেউলিয়া বলে ঘোষিত হলে; বা
(খ) কোনো ঘটনা দ্বারা অংশীদারি ব্যবসায় পরিচালনা অবৈধ হয়ে পড়লে।
৩. বিশেষ ঘটনা সাপেক্ষে বিলোপসাধন
অংশীদারি আইনের ৪২ ধারায় বলা হয়েছে যে, অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তি সাপেক্ষে নি”ের যে কোনো অবস্থায় এরূপ
ব্যবসায়ের বিলোপ ঘটতে পারে:
(ক) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ব্যবসায় গঠিত হয়ে থাকলে এবং উক্ত সময় উত্তীর্ণ হলে;
(খ) পূর্ব নির্ধারিত ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে গেলে;
(গ) কোনো অংশীদারের মৃত্যু হলে;
(ঘ) কোনো অংশীদার দেউলিয়া বলে ঘোষিত হলে।
৪. বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বিলোপসাধন
অংশীদারি আইনের ৪৩ ধারা অনুসারে ইচ্ছাধীন অংশীদারির ক্ষেত্রে কোনো অংশীদার অন্যান্য সকল অংশীদারকে লিখিত
বিজ্ঞপ্তির দ্বারা ব্যবসায়ের বিলোপের ইচ্ছা প্রকাশ করলে এরূপ ব্যবসায়ের বিলোপসাধন ঘটবে।
৫. আদালত কর্তৃক বিলোপসাধন
আদালতে ব্যবসায় বা অংশীদারের বিষয়ে কোনো মামলা করা হলে বা ব্যবসায় ভঙ্গের আবেদন করলে অংশীদারি আইনের
৪৪ ধারা অনুসারে নি”ের যে কোনো কারণে আদালতে ব্যবসায় ভঙ্গের নির্দেশ দিতে পারে:-
(ক) কোনো অংশীদারের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটলে;
(খ) কোনো অংশীদার কর্তব্য পালনে চিরতরে অসামর্থ্য বিবেচিত হলে;
(গ) কোনো অংশীদারের অসদাচরণ দ্বারা ব্যবসায় ক্ষতিসাধন হবে বলে মনে হলে;
(ঘ) কোনো অংশীদার ইচ্ছাকৃতভাবে চুক্তি শর্ত ভঙ্গ করলে;
(ঙ) কোনো অংশীদার ব্যবসায়ের তাঁর পূর্ণ অংশ তৃতীয় পক্ষের নিকট হস্তান্তর করলে।
উপরে উল্লিখিত কারণগুলো ছাড়াও আদালত অন্য কোনো যুক্তিযুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত কারণে অংশীদারি ব্যবসায়
বিলোপসাধনের আদেশ দিতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment