গুগল এডস এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কিছু দিকনির্দেশনা,কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স পেতে পারেন,গুগল এডসেন্স পাওয়ার সহজ উপায়

আজকের বিষয়: গুগল এডস এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কিছু দিকনির্দেশনা,কিভাবে আপনার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্স পেতে পারেন,গুগল এডসেন্স পাওয়ার সহজ উপায়

২০২৪ আপনি কি খুব দ্রুত গুগল এডসেন্স পেতে চান ?

তাহলে আজকে আপনাদের জন্য দ্রুত এডসেন্স পাওয়ার কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করব ।

1.ডোমেইন (Domain):

 আপনাকে ওয়েবসাইট বানানো সময় অবশ্যই একটি সাব ডোমেইন(Sub Domain) নিতে হবে। 

কারন গুগল এডসেন্স এপ্রোভাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্রি সাব ডোমেইনের তুলনায় প্রিমিয়াম কাস্টম ডোমেইন কে প্রাধান্য দেয়। আজকের টপিক যেহেতু দ্রুত এডসেন্স পাওয়া সংক্রান্ত তাই সেদিক বিবেচনা করেই আমি আপনাদের টিপ্স দিচ্ছি। 

তবে ডোমেইন টি যেন অবশ্যই  টপ লেভেলের ডোমেইন(Domain) হয় সেটি মাথায় রাখবেন।

যেমন- 

.com

.net 

.org 

.info 

এর মধ্যে থাকে যে কোন একটি .(Dot) ডোমেইন (Domain)নিয়ে নিবেন। এতে করে আপনার দ্রুত এডসেন্স এপ্রোভাল পাওয়ার সুযোগ থাকবে বেশী। 

 

2.থিম নির্বাচন(Select best Themes):

 দ্রুত এপ্রোভাল পাওয়ার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের থিম যথেষ্ট ভুমিকা রাখে।  

সেটা আপনি wordpress বা blogger.com যেভাবেই করুন না কেন।

 আপনার ওয়েবসাইট যদি WordPress এ হয় তাহলে Generatepress ব্যবহার করুন . আর ব্লগার এ হলে Seopro template ব্যবহার করুন।

3.পেইজ তৈরী (Create Page):

 পেইজ তৈরি করার সময় 

About ,

Contact,

Privacy Policy,

Term And Conditions.

 এই নামে পেইজ তৈরি করেন নিন।কারন এই পেইজগুলো বাধ্যতামুলক।  না থাকলে গুগলের এডসেন্স পাওয়া  আশা করবেন না। এবং সেগুলো টপমেনুতে যোগ করুন। 

4.আর্টিকেল(Articles) :

প্রতিটি পোস্ট নুন্যতম 500+ শব্দ দিয়ে লিখতে হবে।আবেদন করার আগে কমপক্ষে ৩০ টা আরটিক্যাল লিখুন।প্রতিটা পোস্ট এর এসইও(SEO) করুন ভালভাবে। 

সেগুলো গুগল সার্চ কনসলে(Google Search Console) সাবমিট করুন। আপনার পেইজের সাইট ম্যাপ সাবমিট করতে ভুলবেন না। একটি পোস্টের সাথে আরেক টা পোস্টের ইন্টালিংক করবেন।

5.এস ই ও (SEO) :

একটি ওয়েব সাইটে কে রেংক করার জন্য এস ই ও(SEO) করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এস ই ও(SEO) ছাড়া ওয়েব সাইটে কে ভালো অবস্থানে নিতে পারবেন না বা ভালো অডিয়েনস(Audience)  পাবেন না। তেমনি অডিয়েনস ছাড়া ভালো ইনকাম করতে পাবেন না। সো এস ই ও করার জন্য যে বিষয় আর্টিকেল(Article) লিখবেন সেই বিষয়ে কিওয়ার্ড(Keyword)  আইডিয়া নিবেন। 

6.ভিজিটর(Visitor):

বেশি বেশি ভিজিটর(Visitor) আনা জন্য আপনার ওয়েব সাইটে কে গুগল নিউজে(Google News) সাবমিট করবেন। গুগল নিউজে সাবমিট করলে  দেখবেন আপনার পোস্ট সহজে গুগল সার্চ কনসোলে

(google search Console) ইনডেএক্স(index) হচ্ছে। 

পোস্ট(Post) ইনডেএক্স  করতে এখানে ক্লিক করুন

আর গুগল নিউজে সাবমিট করার ফলে আপনার বিভিন্ন পদ্ধতিতে গুগল ভিজিটর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। 

আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

গুগল এডস এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কিছু দিকনেদর্শনা :

১/ এমন টপিক নিয়ে লিখুন যেসব বিষয়ের উপর গুগলের কাছে বিজ্ঞাপন রয়েছে । এখন সেটা কিভাবে বুঝবেন গুগলের কাছে কোন টপিকের উপর বিজ্ঞাপন বেশি রয়েছে ? তা জানতে skyfu সাইটটি ব্যবহার করতে পারেন ।

এই সাইটে গিয়ে আপনার নিশটা লিখে সেখানে সার্চ করুন তাহলে সাইটটি দেখাবে আপনার টপিকের উপর গুগলের কাছে কেমন বিজ্ঞাপন রয়েছে । [ এর কারণ আপনি যদি গুগলের কাছে রয়েছে বিজ্ঞাপন অনুযায়ী কনটেন্ট পাবলিশ করেন তাহলে দ্রুত এডসেন্স পাবেন ]

২/ আর্টিকেলে LSI কিওয়ার্ডযুক্ত করুন । LSI কিওয়ার্ড বলতে বুঝায় সেসব কিওয়ার্ড যা আপনি কোনোকিছু গুগলে সার্চ করলে গুগল সবার শেষে সাজেষ্ট করে থাকে । তাহলে আপনার আর্টিকেল রেংকিংও ভালো করবে ।

৩/ প্রতিটি আর্টিকেলের গড় শব্দ ১৪০০ শব্দের রাখার চেষ্টা করুন । [ আমি এই নিয়ে ৭টা এডসেন্স পেলাম এবং সবকটি সাইটের গড় শব্দ ছিলো ১৫০০+ শব্দের , এবং যার ফলে আমাকে কখনো ২০টার বেশি পোষ্ট করতে হয়নি এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে ] ।

৪/ নতুন সাইটে ডাউনলোড , এডস অথবা বিজ্ঞাপন , হ্যাকিং ,লিংক এইসব শব্দ ব্যবহার করবেন নাহ । [ এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেলে ব্যবহার করতে পারেন ] । তবে ডাউনলোড লিংক সরাসরি দিলে এডস লিমিট ও কিছুদিনের মধ্যে সাসপেন্ড খেতে পারেন । [ সেক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভের লিংক দিতে পারেন ]

৫/ লাইভ স্ট্রিমিং ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করবেন নাহ ।

৬/ এমন সাইটকে লিংক করবেন নাহ যাদের ssl সার্টিফিকেট নেই । এবং এমন কোনো ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক দিবেন নাহ যা এখন exist করে নাহ । [ যার ফলে 404 error দেখাবে ]

৭/ এমন সাইটের সাথে লিংক করবেন নাহ যা আপনার সাইটের অথবা যে পোষ্ট লিখেছেন তার সম্পর্কিত নাহ । তাহলে গুগল [ misleading webpage প্রবলেম ধরে থাকে ]

৮/ সাইটের নেভিগেশন ঠিক থাকা চাই । যেমন : ক্যাটাগরিগুলোকে মেইন মেনুতে যুক্ত করে দেওয়া ।এবং contact us,about us,term and condition ,privacy policy পেইজ গুলোকে Footer menuতে যুক্ত করে দেওয়া ।

৯/ সাইটকে মোবইল রেসপনসিভ করে তৈরী করা । কারণ বেশিরভাগ ট্রাফিক মোবাইল থেকেই আসে তাই সাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি অবশ্যই হতে হবে ।

ব্লগ সাইট করে যদি এডসেন্স থেকে ইনকাম করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে সাইটকে কখনো বেশি ডিজাইন করবেন নাহ । সাইটকে সিম্পলভাবে প্রফেশনাল লুক দেওয়ার চেষ্টা করুন । [ অতিরিক্ত ডিজাইন সাইটের লোডিং টাইম বাড়িয়ে দেয় ]

১০/ যে থিমটা ব্যবহার করছেন তা কি এডস ফ্রেন্ডলি তা চেক করে দেখুন । আমার কাছে ফ্রি সবচেয়ে ভালো একটা ওয়ার্ডফ্রেস থিম হচ্ছে : Oceanwp Theme । ফ্রিমিয়াম প্রায় সব থিমেই গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় তবে Generatepress ভালো কাজ করতে দেখা যায় । আমার সাইট oceanwp দিয়েই তৈরী করা ঘুরে আসতে পারেন ।

১১/ গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার আগে সাইটে স্লাইডার,পপআপ ব্যবহার না করাই বেস্ট ।[ অর্থাৎ সাইট হবে একদম সাদামাঠা ]

১২/ contact us, about us, terms and condition page , privacy policy pageগুলো খুব ভালো করে সঠিক তথ্য দিয়ে তৈরী করুন । টার্মস এন্ড কন্ডিশন ও প্রাভেসি পলিসি পেইজ তৈরীর জন্য নতুনরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটের সাহায্য নিতে পারেন । অনেক সাইট রয়েছে যারা এই পেইজগুলো জেনারেট করে দিয়ে থাকে ।

১৩/ ওয়েবসাইট সিকিউরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এডসেন্স পেতে । আপনি যদি ssl সার্টিফিকেট একটিভ না করে থাকেন তাহলে গুগলের কাছে আপনার সাইটটি নিরাপদ নয় ।

এছাড়াও নালড ও ক্র্যাক থিম – প্লাগিন ব্যবহার যদি করে থাকেন তাহলে অনেক সময় সাইটে ভাইরাস আক্রমন হবে । যার ফলে ক্রোম বাউজারে “ red screen deceptive “ Error আসতে পারে

। তাই সাইটকে সিকিউরিটিফুল করে রাখতে হবে ।

১৪/ সাইট স্পিড অপটিমাইজেশন করাও গুরুত্বপূর্ণ । কারণ যখন আপনার সাইট দ্রুত লোড হবে তখন আপনার সাইট ইউজারের কাছে খুব ভালো লাগবে এবং গুগলও এমন সাইটকে দ্রুত রেংকিং দিয়ে থাকে । যার ফলে আপনি প্রচুর ট্রাফিকও পাবেন এবং ট্রাফিক যেসব সাইটে থাকে সেসব সাইটে গুগল ৯০% এপ্রুভ দিয়ে দেই ।

১৫/ সাইটে যেখানে ইমেইজ বা ব্যানারের জন্য জায়গা বা ডিজাইন করা হয়েছে সেখানে ইমেইজ বা ব্যানার ইমেইজ ব্যবহার করুন অন্যাথায় গুগল “ ‍site construction ”য়ে রয়েছে এমন মনে করে প্রবলেম ধরবে ।

১৬/ ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করলে গুগল এডসেন্স দ্রুত এপ্রুভাল পাওয়া যেতে পারে ।

১৭/ নিজে ইমেইজ তৈরী করে ব্যবহার করুন । যেমন : canva ও ফটোশপ দিয়ে তৈরী করুন ছবি । pexels,unplash সাইটগুলোর ফ্রি ইমেইজ ব্যবহার করতে পারেন তবে সে ইমজেইগুলোকেও একটু এডিট করে পোষ্ট করাই ভালো ।

অতিরিক্ত তথ্য

এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার পর কখনো নিজের এডসে নিজে ক্লিক করবেন নাহ বা কাউকে ক্লিক করার জন্য বলবেন নাহ । তাহলে লিমিট বা সাসপেন্ড হতে পারেন ।
এক পেইজে ৫টার বেশি এডস না দেখানো ভালো । অতিরিক্ত এডস দেখালে সাইট স্লো হয়ে যাবে ।

আমি আশা করছি এই জিনিসগুলো যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনিও সহজে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাবেন । আমি ইতিমধ্যে ৭টা সাইটে এপ্রুভাল পেয়েছি এবং উপরে বলা কাজগুলো নিজে করেছি ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এখন অনেকেই হয়তো বলবেন ভালো সে তো আমরাও শুনেছি । ভালো বলেই তো ওয়েবসাইটের জন্য সবার আগে গুগল এডসেন্সই চাই! না পেয়েই তো এদিক সেদিক চেষ্টা করি। তাই পারলে নতুন কিছু শোনান যাতে সহজে গুগল এডসেন্স একাউন্ট পাওয়া যায়। এসব শুনতে শুনতে ক্লান্ত এবং হতাশ!

উত্তরঃ জ্বী ভাই আপনার কথা মানছি। লেখাটি সম্পূর্ণ পড়লে অবশ্যই নতুন কিছু পাবেন যা সচরাচর কেউ বলেনা। তবে আগেই বলে নিই যদিও আমার এই ব্লগে আপনারা নিজেই গুগল এডসেন্স দেখতে পাচ্ছেন তবুও আমি কোনো বিশেষজ্ঞ নই বরং নিজেই এখনো শিখছি। তবে এটুকু বলা যায় গুগল এডসেন্স সফলভাবে চালাতে হলে এ বিষয়ে গুগলের সকল নীতিমালা সঠিকভাবে অনুসরন করতে হবে। কাজেই বিভ্রান্ত হতে না চাইলে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকেই সঠিক তথ্য জানতে হবে।

তাহলে Google AdSense সম্পর্কে সঠিক তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে ২০২৪


উত্তরঃ
 আসলে গুগল এডসেন্স হেল্প বা সাপোর্ট সেন্টারে এডসেন্স সম্পর্কে সব তথ্যই আছে। সরাসরি সেখান থেকে জানলে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্যটি পাওয়া যায়। তবে সবগুলো লেখা পড়তে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আর সব প্রশ্নের সরাসরি উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়না। এমন অনেক প্রশ্নই মনে আসে যার উত্তর সরাসরি সেখানে নেই। যেসব প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর নেই সেসব বিষয়ে আপনি AdSense help ফোরামে যখন খুশি, যতো খুশি প্রশ্ন করতে পারেন। খুব দ্রুত কোনো এক্সপার্ট এসে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবে।

আমাদের ব্লগে কোনো অনুমাননির্ভর তথ্য দেয়া হয়না বরং আমাদের ব্লগে এডসেন্স নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে পাঠকদের জন্য উপকারী বিষয়গুলো শেয়ার করা হয়েছে।

এখন আসুন কিছু প্রশ্নোত্তরের আলোকে Google AdSense সম্পর্কে জানা যাক।

গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায় ২০২৪

প্রশ্ন: গুগল এডসেন্স কি? কিভাবে এডসেন্স থেকে আয় করা যায়?


উত্তর:
 গুগল এডসেন্স হলো গুগলের এড নেটওয়ার্ক প্রোগ্রাম। Google Ads যার পূর্বনাম Google Adwords এর মাধ্যমে গুগল বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে যেসব বিজ্ঞাপন ( Display Ads) পায় তা AdSense এর মাধ্যমে পাবলিশারদের দিয়ে থাকে। Publisher গণ তাদের ওয়েবসাইটে উক্ত বিজ্ঞাপণগুলো প্রচার করলে এ থেকে গুগলের যা আয় হয় তার ৬৮% তারা পাবলিশারদের দিয়ে থাকে। ওয়েবসাইট ছাড়াও বিজ্ঞাপনগুলী ইউটিউব চ্যানেল এবং মোবাইল এপসেও প্রদর্শন করা যায় তবে এজন্য ভিন্ন ভিন্ন শর্ত এবং নিয়মাবলী প্রযোজ্য। উল্লেখ্য এটি গুগলের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস।

প্রশ্ন: ব্লগার ব্লগে বাংলা কনটেন্টে কি AdSense পাওয়া যায় ২০২৪

উত্তর: জ্বী যায়। আমি নিজেই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ! আর এই লেখার মূল আলোচনা এ বিষয়টি কেন্দ্র করেই। ব্লগার ব্লগে অর্থাৎ blogspot subdomain ব্লগেও খুব সহজেই এডসেন্স পাওয়া যায়। একে বলে হোস্টেড এডসেন্স (Hosted AdSense)। এমন বাধ্যবাধকতা নেই যে আগে কোনো টপ লেভেল ডোমেইন(.com .net .org .info) নিয়েই শুরু করতে হবে অথবা ডোমেইন হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেসেই  শুরু করতে হবে।

আমি প্রথমে এই ব্লগেই এডসেন্সের জন্য এপ্লিকেশন করেছি আর এপ্রুভও হয়েছে। সমকাল ব্লগ তখন ছিলো Blogger subdomain এ। পরবর্তীতে Custom domain সেট করা হয় এবং AdSense Account টি হোস্টেড এডসেন্স (Hosted AdSense) থেকে আপগ্রেড করে নন-হোস্টেড এডসেন্স (Non Hosted AdSense) করা হয়।

আর বাংলা লেখায় গুগল এড দেয় এটা এখন পুরনো খবর। গত ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৭ থেকে গুগল এডসেন্স বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটে এড দেয়া শুরু করেছে। আরও পড়ুন  ব্লগার ব্লগে এডসেন্স বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সহজ পদ্ধতি।

প্রশ্ন: কিভাবে এডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্য এপ্লিকেশন করতে হয় ২০২৪


উত্তর:
 গুগল এডসেন্স একাউন্টের জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই আগে যাচাই করে নিতে হবে আপনার ওয়েবসাইটটি এডসেন্স পাওয়ার জন্য Eligible কিনা। যদি নিশ্চিত হন আপনার ওয়েবসাইটি গুগল এডসেন্সের Program policy এবং Terms and Conditions সম্পূূূর্ণরূপে অনুসরণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে তবেই নির্দিষ্ট Form টি পূরন করে sign up করুন।

তবে যদি ব্লগার ব্লগে blogspot subdomain থেকে হোস্টেড (Hosted) একাউন্টের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে এই ফরমের মাধ্যমে আবেদন করা যাবেনা। সেক্ষেত্রে আপনার ব্লগার ব্লগ থেকেই আবেদন করতে হবে।

প্রশ্ন: গুগল এডসেন্স  এর  জন্য এপ্লিকেশন করার আগে ব্লগের বয়স কতোদিন হতে হবে? 

উত্তর: এইটা নিয়েই অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ায়! কেউ বলে ব্লগের বয়স কমপক্ষে ছয়মাস হতে হবে আবার কেউ বলে ছয়মাস হওয়ার প্রয়োজন নেই! ভালো লেখা হলে তিন চার মাসেই এডসেন্স পাওয়া যায়! তাহলে কার কথা বিশ্বাস করবেন? এক্ষেত্রে আমি বলবো আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা! আমি প্রথমে আমার এই ব্লগের বয়স ছয়মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই এডসেন্স এপ্লিকেশন করেছিলাম! গুগল এপ্লিকেশন রিজেক্ট করে ইমেইল করেছিলো। সেখানে এপ্লিকেশন রিজেক্ট হওয়ার যে কারণ উল্লেখ ছিলো তার একটিতে স্পষ্ট বলা ছিলো যে ব্লগের বয়স কমপক্ষে ছয়মাস হতে হবে এডসেন্স পেতে হলে। দেখুন গুগল নিজেই কি বলে এ বিষয়ে:

Has your site been active for at least six months?

In some locations, we may require your site to have been active for at least six months before it will be considered. We’ve taken this step to ensure the quality of our advertising network and protect the interests of our advertisers and existing publishers.

প্রশ্ন: গুগল এডসেন্স  একাউন্ট এর জন্য এপ্লিকেশন করার আগে ব্লগে মোট কতটি পোস্ট থাকতে হবে? 


উত্তর: এটি নিয়েও চরম বিভ্রান্তি দেখতে পাবেন গুগলে সার্চ করলে! কেউ বলে ২৫/৩০ কেউ বলে ৫০+ আবার কেউবা বলে ১০০+! এক্ষেত্রেও আমি শুধু নিজের অভিজ্ঞতাই বলবো। আমার এই ব্লগটি এপ্রুভ হওয়ার সময় পোস্ট ছিলো মাত্র ১৮ টি! অবশ্য এর চেয়েও কম পোস্টে কেউ পেয়ে থাকলে আমার জানা নেই। কাজেই নতুনদের ঘাবড়ানোর কারণ নেই! ২০+ পোস্ট লেখার পরই এপ্লাই করতে থাকুন। এপ্রুভ না হলে বারবার এপ্লাই করলেও কোনো সমস্যা নেই। তবে পোস্টগুলো যেনো অবশ্যই ইউনিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে অর্থাৎ কপি পেষ্ট লেখা চলবেনা।

প্রশ্ন: লেখার আকার কমপক্ষে কতো শব্দের হতে হবে? 

উত্তর: কেউ বলে ৫০০ আবার কেউ বলে ১০০০ শব্দের হতে হবে! আমার ১৮ টি পোস্টের বেশ কয়েকটি লেখাই ছিলো মাত্র ৪/৫ লাইনের! তারপরও এপ্রুভ হয়েছে। তবে লেখার মান যত ভালো হবে , লেখা যতো তথ্যবহুল হবে, লেখার আকার যতো বড় হবে ততো তাড়াতাড়ি এপ্রুভ হবে। কিন্তু লেখার আকার বড় করতে গিয়ে অর্থহীন বাক্য দিয়ে Content ভরিয়ে ফেলা ঠিক হবেনা।

প্রশ্ন: লেখার মান কেমন হতে হবে? কপি পেস্ট করা যাবে?

উত্তর: কপি পেস্ট যে করা যাবেনা সেটা গুগল স্পস্টই বলে দিয়েছে! আমিও কপি পেস্ট করিনি। যা লেখা হয়েছে সব নিজ থেকেই লেখা। তবে তারমানে এই নয় যে নেট থেকে কোনো তথ্য নেয়া যাবেনা। প্রয়োজনীয় তথ্য নেট থেকে সংগ্রহ করে নিজের ভাষায় লেখা যাবে।

প্রশ্ন: শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়েই লিখতে হবে? নাকি একাধিক বিষয় নিয়েও ব্লগে লেখা যাবে?

উত্তর: আমার ব্লগে দেখতেই পাচ্ছেন একাধিক বিষয়ে লেখা হয়েছে। অবশ্যই একাধিক টপিকস এবং Keywords এর উপরে লেখা যাবে। তবে কিছু বিষয় আছে যেগুলো কোনভাবেই ওয়েবসাইটে লেখা যাবেনা, লিখলে AdSense এপ্রুুভ হবেনা। এগুলো prohibited content।

প্রশ্ন: কোন টেমপ্লেটটি ব্যাবহার করলে ভালো হবে?

উত্তর: এখন আমার ব্লগে যে Template টি দেখতে পাচ্ছেন এটি এডসেন্স পাওয়ার অনেক পরে নিয়েছি। শুরুতে এপ্লিকেশন এপ্রুভ হওয়ার সময় ছিলো ব্লগারের Simple template। কাজেই নিজের পছন্দমত যেকোনো টেমপ্লেট ব্যবহার করা যাবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নেই তবে ওয়েবসাইটের Navigation যেনো User-friendly হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রশ্ন: ব্লগে Privacy policy, Contact, About ইত্যাদি দেয়া কি জরুরি?

উত্তর : গুগল এগুলো স্পষ্টভাবেই ব্যাবহার করতে বলেছে। তবে এপ্লিকেশন করার সময় আমার ব্লগে এগুলো ছিলোনা। এপ্রুভ হওয়ার পরে এসব রেখেছি। তবে ওয়েবসাইটে বিশেষ করে Privacy policy অবশ্যই রাখতে হবে। এ বিষয়ে Google বলেছে :

Privacy

You must disclose clearly any data collection, sharing, and usage that takes place on any site, app, or other property as a consequence of your use of any Google advertising service. To comply with this disclosure obligation with respect to Google’s use of data, you have the option to display a prominent link to How Google uses data when you use our partners’ sites or apps

এডসেন্স এড্রেস ভেরিফিকেশন: মনে রাখতে হবে এড্রেস ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক। এডসেন্স একাউন্টে দেয়া এড্রেস ভেরিফিকেশন করার আগে পেমেন্টের জন্য ব্যাংক একাউন্ট নম্বর এড করা যায়না। এডসেন্স একাউন্টে প্রথম ১০ ডলার জমা হওয়ার সাথে সাথেই এডসেন্স পাবলিশারের এড্রেস ভেরিফিকেশনের জন্য একটি পিন নম্বর জেনারেট করা হয়। এরপর পিন নম্বরটি বাই পোস্টে পাবলিশারের দেয়া ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় গুগল। চিঠি পাওয়ার পর নির্দিষ্ট নিয়মে পিন নম্বরটি বসিয়ে নিজের ঠিকানা ভেরিফাই করতে হয় এডসেন্স পাবলিশারকে। প্রথমবার কোনো কারণে চিঠি না পেলেও ভয়ের কিছু নেই। সর্বোচ্চ তিনবার চিঠি পাঠানো হয়। এরপরও না পৌঁছালে তবুও ঘাবড়ানোর কিছু নেই।সেক্ষেত্রে নিজের ভোটার আইডি কার্ডের স্ক্যান কপি অথবা ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি দিয়েও এড্রেস ভেরিফিকেশন করা যায়।

শেষ করার আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস:গুগল এডসেন্স পেতে চাইলে ব্লগে কখনও ভায়োলেন্স প্রকাশ পায় এমন কোনো ছবি রাখা যাবেনা এবং কোনো ড্রাগস নিয়ে আলোচনা করা যাবেনা। এমনকি এমন কোনো মুভি পিকচারও রাখা যাবেনা যেখানে অস্ত্র বা বোমা বিস্ফোরণের দৃশ্য রয়েছে! আমার ব্লগে জেমস বন্ড মুভির একটি দৃশ্যের ছবি ছিলো যেখানে নায়ক অস্ত্র হাতে দৌড়াচ্ছে। এপ্রুভ করার আগে এজন্য গুগল আমাকে সতর্ক করে ইমেইল করেছিলো। এরপর ছবিটি ডিলিট করার পরেই  AdSense এপ্রুভ করেছিলো গুগল! 

এখানে স্বল্প পরিসরে কমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলাম। প্রশ্নগুলো আমার নিজের মনেও উদয় হয়েছিলো।প্রশ্নোত্তরগুলোর উত্তর ভালোভাবে ফলো করলে খুব তাড়াতাড়ি এবং সহজেই পাওয়া যাবে স্বপ্নের Google AdSense। গুগল এডসেন্স তাদের Program policy এবং Terms and conditions এর বিষয়ে খুবই সিরিয়াস। কাজেই এডসেন্স একাউন্ট পাওয়ার জন্য এবং তা টিকিয়ে রাখার জন্য এগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে চলার কোনো বিকল্প নেই।

কাদের জন্য এডসেন্স উপযুক্ত নয়?

  • যারা ওয়েবসাইট নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করার আগেই দ্রুত টাকা রোজগার করতে চায়।
  • যাদের ধৈর্য্যের অভাব আছে ।
  • লেখালেখির প্রতি আগ্রহ কম। অন্যের লেখা কপি করার প্রবনতা আছে।
  • ওয়েবসাইট শুধু ফেসবুক ভিজিটরের উপর নির্ভরশীল।
  • SEO এর মাধ্যমে Organic visitor আনার পরিকল্পনা নেই।
  • মনে করে একটি AdSense account পেয়ে গেলেই হাজার হাজার ডলার আসতে থাকবে।
  • প্রচুর পড়াশোনা করার আগ্রহ ও ধৈর্য্য নেই।

একেকজনের একেকরকম প্রশ্ন থাকবেই। প্রশ্নের আসলে কোনো শেষ নেই।এডসেন্স নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। উত্তর জানা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই তা দিয়ে দেয়া হবে। আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে নিয়মিত ব্লগে চোখ রাখুন।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment