গর্ভবতী হলেও পিরিয়ড হতে পারে,গর্ভাবস্থায় কি মাসিক হতে পারে?,ঋতুস্রাব বন্ধ না হলেও হতে পারেন গর্ভবতী,আপনি কি প্রেগন্যান্ট? পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই বুঝবেন যে লক্ষণে,পিরিয়ডের চলাকালীন কি প্রেগন্যান্ট হওয়া সম্ভব?,পিরিয়ড হলেও কি গর্ভধারণ সম্ভব?

বিষয়: গর্ভবতী হলেও পিরিয়ড হতে পারে,গর্ভাবস্থায় কি মাসিক হতে পারে?,ঋতুস্রাব বন্ধ না হলেও হতে পারেন গর্ভবতী,আপনি কি প্রেগন্যান্ট? পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেই বুঝবেন যে লক্ষণে,পিরিয়ডের চলাকালীন কি প্রেগন্যান্ট হওয়া সম্ভব?,পিরিয়ড হলেও কি গর্ভধারণ সম্ভব?,

গর্ভধারণ হয়েছে কি হয়নি সেটা বুঝতে বেশির ভাগ মহিলারাই নির্ভর করেন পিরিয়ডের ওপর। পিরিয়ড না হলে ভয়, হলে নয়, ব্যাপারটি কিন্তু অতটাও সোজাসাপ্টা নয়।

নিয়মিত যৌন সম্পর্কে রয়েছেন অথচ পিল খান না এমন মেয়েরা অনেক সময়েই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। একটা প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে পিরিয়ড ঠিকঠাক সময়ে যদি হয় তবে গর্ভধারণ হয়নি এবং পিরিয়ড মিস হলে তবেই সেটি চিন্তার কারণ।

সচরাচর পিরিয়ড মিস হলে তারপরই মেয়েরা প্রেগনেন্সি কিট কিনে পরীক্ষা করেন বা ইউরিন টেস্ট করেন। প্রেগনেন্সি অবাঞ্চিত হলে তার পরে গর্ভপাতের জন্য চিকিৎসকের সাহায্য নেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে পিরিয়ড হওয়া মানেই প্রেগনেন্সি নেই এই ধারণাটি ভুল।

প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাস, যাকে ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার বলে, সেই পর্যায়ে পিরিয়ড চালু থাকতে পারে। ২৫ শতাংশ গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যেই এই বিষয়টি দেখা যায়। এটি মোটামুটিভাবে স্বাভাবিক বলেই ধরা হয় কিন্তু অতিরিক্ত ব্লিডিং হলে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।

সেক্ষেত্রে মিসক্যারেজের আশঙ্কা থাকে। তাই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার চিন্তায় যারা থাকেন এবং প্রতি মাসে পিরিয়ড দেখে যারা নিশ্চিন্ত হন, তাদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট সময়ে প্রেগনেন্সি কিট কিনে পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো।

কিছু ক্ষেত্রে সম্ভবা নারী গর্ভাবস্থায় যোনিপথে রক্তপাত হতে দেখেন। খুব অল্প ক্ষেত্রে এরকমও শোনা গেছে যে গর্ভবতী মাসিকের মতো থেমে থেমে রক্তপ্রবাহ দেখছেন। ভাল করে জেনে রাখুন, গর্ভাবস্থায় যোনি থেকে রক্ত বের হলে সেটা কখনোই মাসিক না, বরং অন্যকিছু। চলুন বিস্তারিত জানা যাক। মাসিক তখনই হয়, যখন আপনি গর্ভধারণ করেননি।

প্রতিমাসেই আপনার জরায়ুতে রক্তে পরিপূর্ণ ঘন আস্তর তৈরি হয় যাতে সহবাসে বা অন্যকোনভাবে নিষিক্ত ডিম্বানু যেন এখানে আটকাতে পারে। যদি কোন মাসে আপনি গর্ভধারণ না করেন, তাহলে আপনার শরীর এই টিস্যু ও রক্তের আস্তর দেহ থেকে বের করে দেয়।

এই বের হয়ে যাওয়াই মাসিক বা মেনস্ট্রুয়াল পিরিয়ড বা সংক্ষেপে পিরিয়ড। যখনই কোন ডিম্বানু জরায়ুর দেয়ালে আটকায়, আপনার হরমোন এই রক্ত ও টিস্যুর আস্তরকে শরীর থেকে বের না করার সংকেত দেয়, কারণ এটা ডিম্বানুতে থাকা সম্ভাব্য মানব সন্তানের আবাসস্থল। আপনার গর্ভাবস্থা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আস্তরন এখানেই থাকবে, এবং এজন্য এসময় আপনার মাসিক হওয়া অসম্ভব।

এই রক্তপ্রবাহের ব্যাখ্যা কী? বিভিন্ন কারণে গর্ভাবস্থায় রক্ত যেতে পারে। এরমাঝে কিছু অবস্থা নিয়ে চিন্তিত হবার কারণ আছে, কিছু একেবারের নির্দোষ। ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং অনেক মহিলারা জানান তাদের মাসিকের তারিখের সপ্তাহখানেক আগেই তারা হালকা রক্ত যেতে দেখেন, যেটাকে অনেকে স্পটিং বলে। স্বাভাবিকভাবে তারা একে আগেভাগেই মাসিক হয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেন।

কিন্তু দেখা যায় এই রক্তপাত মাসিকের তুলনায় বেশ সামান্য এবং এক বা দুইদিনেই শেষ হয়ে যায়। একে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং বলে। নিষিক্ত ডিম্বানু জরায়ুর দেয়ালের আস্তরে আটকে যাওয়ার সময় এই রক্তপ্রবাহ ঘটায় এরকম ধারণা থেকেই এই নামকরণ। তবে নিশ্চিতভাবে আমরা এখনো জানিনা এর কারণ কী।

অন্যান্য কারণ এছাড়াও নিচের দৃশ্যপটে রক্তপাত হতে পারে: ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যক্ষ পরীক্ষার সময় যোনি থেকে রক্তপাত সহবাস কোন পরীক্ষার উদ্দেশ্য সার্ভিক্স বা জরায়ুমুখ থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় যেহেতু গর্ভাবস্থায় সার্ভিক্সে রক্তপ্রবাহ বেশি থাকে, তাই উপরের দৃশ্যপটে রক্তপ্রবাহ ঘটতে পারে।

এছাড়াও নিচের যেকোন ক্ষেত্রে রক্তপাত হতে পারে মিসক্যারেজ এক্টোপিক প্রেগনেন্সি গর্ভফুল বা প্লাসেন্টার কোন সমস্যা সংক্রমণ সাধারণ নিয়ম হিসেবে গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হতে দেখলে (এমনকি রক্তপাত থেমে গেলেও) ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী। কারণ এটা রক্তপাতের পেছনে কোন গুরুতর সমস্যা কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া দরকার। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সামান্য রক্তপাত হওয়া গর্ভবতী কোন জটিলতা ছাড়াই সন্তান প্রসব করে থাকে। যদি আপনার গর্ভাবস্থায় রক্তপাতের সাথে কোন ধরনের ব্যাথা থাকে, তাহলে অতিদ্রুত ডাক্তারের সাথে কথা বলুন বা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যান।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment