গদ্য : আমার পথ, লেখক কাকে সালাম ও নমস্কার জানিয়েছেন?

গদ্য : আমার পথ

১। একদিকে স্বার্থ, আরেক দিকে প্রেম, একদিকে প্রবৃত্তি, আরেক দিকে নিবৃত্তি। সেই দোলায়মান অবস্থায় এই। দ্বন্দ্বের মাঝখানেই যা সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলে, যা ঐক্যের আদর্শ রক্ষা করে, তাকেই বলি মঙ্গল।

(ক) লেখক কাকে সালাম ও নমস্কার জানিয়েছেন?

উত্তর: ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক তার কর্ণধারকে নমস্কার করেছেন।

(খ) স্পষ্ট কথা বলায় একটা অবিনয় থাকে কেন?

উত্তর: স্পষ্ট কথা বা সত্য মাত্রই শক্তি। সে শক্তির প্রকাশ দুর্বলের কাছে অবিনয় বলে মনে হয়।
স্পষ্ট কথা বা সত্যের প্রকাশ সূর্যরশ্মির মতো। নিজেকে চিনলে, নিজের সত্যকেই কর্ণধার মনে জানলে নিজের শক্তির উপর অটুট বিশ্বস আসে। তখন সে মেয়েলি বিনয়ের আবরণ ছুড়ে সত্যের নাঙ্গা প্রকাশ ঘটায়, যাকে দুর্বলের কাছে অবিনয় মনে হয়।

(গ) উদ্দীপকে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ প্রকাশ করে কী? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম এমন এক ‘আমি’র আগমন প্রত্যাশা করেছেন যার পথ সত্যের পথ, সত্য
প্রকাশে তিনি নির্ভীক, অসংকোচ। তিনি প্রতিটি মানুষকে পূর্ণ ‘আমি’ করতে চেয়েছেন, আর এভাবে প্রত্যেককে সংযোগ


করে ‘আমরা’ হয়ে উঠতে চেয়েছেন। তাঁর এ ভাবনা সত্যপথের পথিকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।
নজরুলের এই ‘আমি সত্তা’ মিথ্যার ভয়কে জয় করে সত্যের আদলে নিজেকে চিনে নিতে সাহায্য করে।


সুস্পষ্টভাবে নিজের বিশ্বাস আর সত্যকে প্রকাশ করতে না জানলে তৈরি হয় পরনির্ভরতা। কবি ভগ্ন আত্মাবিশ্বাসের
পরিবর্তে দাম্ভিক হতে চান। কারণ তাঁর বিশ্বাস সত্যের দম্ভ যাদের আছে তাদের জন্য অসাধ্য সাধন করা কঠিন কাজ
নয়। তিনি ভুল করতে রাজি আছেন, কিন্তু ভন্ডমি করতে রাজি নন। তাঁর কাছে নিজেকে জানাই হল সত্যকে জানা, আর এই সত্যকে জানার মাধ্যমে মানুষ দাঁড়াতে পারে তার অস্তিত্বের ভিত্তিমূলে। নজরুল বলেছেন, মানুষের মাঝে
মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারলেই ধর্মের প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হবে, এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের বিরোধ মিটে যাবে।


সমগ্র মানব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি

(ঘ) যা ঐক্যের আদর্শ রক্ষা করে, তাকেই বলি মঙ্গল”- উক্তিটি ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

উত্তর: যা ঐক্য আদর্শ রক্ষা করে তাকেই বলি মঙ্গল আমার পথ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো।
এখানে ঐক্য আদর্শ বলতে আমাদের বোঝানো হয়েছে ভালো খারাপ এই দুটি পথ কে আমরা যদি আমাদের সব জাগায় গুনি পথ টা ব্যবহার করতে হবে।

এক্ষেত্রে কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন যে যারা মিথ্যা কে আঁকড়ে ধরে লোকে আঁকড়ে ধরে তারা নতুন কিছু করতে পারেনা, নজরুল বলেছেন সে কোনকিছুকে আমি বেদবাক্য বলে মেনে নিন নিজের বিবেক যেটা বলি সেটা কে গ্রহণ করেন তিনি বলেছেন আমি সে দাসত্ব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত অর্থাৎ এই যে অন্যের উপরে নির্ভর করা অন্যের কথা মত চলার কোন কিছুকে বেদবাক্য হিসাবে না নেয়ায় সবকিছু থেকে তিনি মধ্যে পাওয়া যায়। এখানে বলা হয়েছে তার মানে তার মধ্য থেকে পাওয়া যাবে যদি আমার কাছে আসতে দেবো না তাহলে রাস্তা খুঁজে পাবেনা আমার আগুন নিভে যাবে।

একদিকে স্বার্থ, আরেক দিকে প্রেম, একদিকে প্রবৃত্তি, আরেক দিকে নিবৃত্তি। সেই দোলায়মান অবস্থায় এই। দ্বন্দ্বের মাঝখানেই যা সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলে, যা ঐক্যের আদর্শ রক্ষা করে, তাকেই বলি মঙ্গল।

Leave a Comment