খেলার মাধ্যমে প্রাণিকোষ এবং প্রাণিটিস্যুর গঠন ও কাজ বিশ্লেষণ; প্রথমে জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের ৩৩-৪২ নং পৃষ্ঠা পাঠ করতে হবে।

খেলার মাধ্যমে প্রাণিকোষ এবং প্রাণিটিস্যুর গঠন ও কাজ বিশ্লেষণ;

শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ

প্রাণি টিস্যু ব্যাখ্যা করতে পারব। একই রকম কোষ সমষ্টির ও একই কাজ সম্পন্ন করার ভিত্তিতে টিস্যুর কাজ মূল্যায়ন করতে পারব। টিস্যু, অঙ্গ এবং তন্ত্রে কোষের সংগঠন ব্যাখ্যা করতে পারব। টিস্যুতন্ত্রের কাজ ব্যাখ্যা করতে পারব।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

১. প্রথমে জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের ৩৩-৪২ নং পৃষ্ঠা পাঠ করতে হবে।

২. এবার নিচের বৈশিষ্ট্যের তালিকাটি লক্ষ্য করতে হবে (অ্যাসাইনমেন্টের মধ্যে এই তালিকা ওঠানাের প্রয়ােজন নেই)।

৩. একটি ছক্কা নিতে হবে যেখানে এক থেকে ছয় পর্যন্ত যেকোনাে পূর্ণসংখ্যা পড়তে পারে। যদি ছক্কা না পাওয়া যায় তাহলে ১ থেকে ৬ পর্যন্ত সংখ্যা লেখা ছয়টি কার্ড বানিয়ে নিতে পারবে যে কার্ডগুলাে দিয়ে ছক্কার মতাে লটারি করা যাবে।

৪. ছক্কাটি পরপর তিনবার ছুঁড়ে যে তিনটি দান উঠবে সেই তিনটি সংখ্যা খেলার একটি রাউন্ড হিসেবে গণ্য হবে। উদাহরণ: ধরা যাক, যথাক্রমে ৩, ৬ এবং ৪ পড়ল তাহলে সেই রাউন্ডে উপরের বৈশিষ্ট্যের তালিকা থেকে বৈশিষ্ট্য-১ হিসেবে ৩ নং বৈশিষ্ট্য (একস্তরী) বেছে নিতে হবে;
বৈশিষ্ট্য-2 হিসেবে ৩ + ৬ = ৯ নং বৈশিষ্ট্য (স্তম্ভের মতাে) বেছে নিতে হবে; এবং বৈশিষ্ট্য-৩ হিসেবে ৯ + ৪ = ১৩ নং বৈশিষ্ট্য (সিলিয়াযুক্ত) বেছে নিতে হবে। ছকে নির্ধারিত ঘরে এগুলাে লিখতে হবে এবং ‘বলােতাে আমি কে?’ এর ঘরে ঐ তিনটি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এমন প্রাণিটিস্যু বা প্রাণিকোষের নাম লিখতে হবে।

এই ঘর পূরণ করার জন্য অবশ্যই পাঠ্যপুস্তকে নির্ধারিত পৃষ্ঠাসমূহের (৩৩-৪২) মধ্যে থেকে মােটা হরফে ছাপা নামসমূহ বেছে নিতে হবে।

৫. যদি সেই তিনটি বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে কোনাে প্রাণিটিস্যু বা প্রাণিকোষ না পাওয়া যায় তাহলে আবার হুঁক্কা ছুড়তে হবে এবং বৈশিষ্ট্য রাফ কাগজে নােট করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না এমন তিনটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যেগুলাে দিয়ে একটি সত্যিকারের প্রাণিটিস্যু বা প্রাণিকোষ বােঝায়।

যেমন: ৯ নং বৈশিষ্ট্যের পরও না মিললে আবার ছক্কা থেকে। ১ পড়ল, তখন দেখতে হবে ১০ নং বৈশিষ্ট্যের সাথে আগের তিনটির মধ্যে কোন দুটি মিলিয়ে গ্রহণযােগ্য কোনাে প্রাণিটিস্যু বা প্রাণিকোষ পাওয়া যায় কিনা। পাওয়া গেলে তখন সেই তিনটি বৈশিষ্ট্য মিলিয়ে একটি রাউন্ড হবে।

খেলার মাধ্যমে প্রাণিকোষ এবং প্রাণিটিস্যুর গঠন ও কাজ বিশ্লেষণ

৬. এভাবে যদি ১৮ নং পার হয়ে যায় তাহলে আবার ১ নং থেকে বৈশিষ্ট্যের নং গণনা শুরু হবে। যেমন: ১৬ নং এর পরে ছক্কায় ৫ পড়লে ১৬ + ৫ = ২১ হয়। কিন্তু বৈশিষ্ট্য আছে ১৮ নং পর্যন্ত, তাই ২১ বলতে ১৮ এর পর তিন ঘর অর্থাৎ ৩ নং বৈশিষ্ট্য বােঝাবে।

৭. এমন দশটি রাউন্ড খেলতে হবে যেগুলােতে অবশ্যই কোনাে না কোনাে প্রাণিটিস্যু বা প্রাণিকোষের বৈশিষ্ট্য মেলে এবং সেগুলাে উল্লিখিত ছকে লিখতে হবে।

৮. তিনটি বৈশিষ্ট্য মিলে যায় এমন একাধিক প্রাণিটিস্যু বা প্রাণিকোষ পাওয়া গেলে সেগুলাের মধ্যে যেকোনাে একটির নাম সেই রাউন্ডের ‘বলােতাে আমি কে?’ ঘরে লেখাই যথেষ্ট।

৯. তিনটি বৈশিষ্ট্যের হুবহু মিলে যাওয়া রাউন্ড একাধিকবার লেখা যাবে একই রাউন্ডে একই বৈশিষ্ট্য একাধিকবার গণ্য করা যাবে না। সেক্ষেত্রে পুনরায় ছক্কা ছুড়ে অন্য বৈশিষ্ট্য বেছে নিতে হবে। তবে ভিন্ন রাউন্ডে একই বৈশিষ্ট্য থাকা সম্ভব।

১০. সবশেষে পূরণকৃত ছকটি অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে জমা দিতে হবে।

উত্তর সমূহ:

রাউন্ডবৈশিষ্ট্য-১বৈশিষ্ট্য-২বৈশিষ্ট্য-৩বলোতো আমি কে?
শোষণএকটি নিউক্লিয়াসস্তম্ভের মতোকলামনার টিস্যু
নালি যুক্তসংকোচনমেসোর্ডামহৃদপেশী
নিঃসরণশোষণরূপান্তরিতগ্রন্থি আবরণী টিস্যু
এক স্তরীএকটি নিউক্লিয়াসউদ্দীপনাস্নুায়ু টিস্যু
শোষণবহুস্তরীএকাধিক নিউক্লিয়াসস্ট্যাটিফাইড টিস্যু
নালী যুক্তসংকোচনএকাধিক নিউক্লিয়াসঐচ্ছিক পেশি

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

কোনাে কোনাে বিজ্ঞানী জীবকোষকে জীবদেহের গঠন ও জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। লােয়ি (Loewy) এবং সিকেভিজ (Siekevitz) 1969 সালে বৈষম্য ভেদ্য (selectively permeable) পর্দা দিয়ে আবৃত এবং জীবজ ক্রিয়াকলাপের একক যা অন্য সজীব মাধ্যম ছাড়াই নিজের প্রতিরূপ তৈরি। করতে পারে, এমন সত্তাকে কোষ বলেছেন।

প্রাণিদেহের গঠন ও কার্যের একককে প্রাণিকোষ বলে। প্রাণিকোষে জড় কোষপ্রাচীর থাকে না। কোষে থাকে বিভিন্ন কোষ অঙ্গাণু, যেমন- কোষ ঝিল্লি, প্রােটোপ্লাজম, সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, গলগি বডি, রাইবােজোম, লাইসােজোম, এন্ডােপ্লাজমিক রেটিকুলাম, মাইটোকনড্রিয়া, কোষ গহ্বর, মাইক্রোটিউবিউলস, সেন্ট্রোসােম।

বহুকোষী প্রাণিদেহে অনেক কোষ একত্রে কোনাে বিশেষ কাজে নিয়ােজিত থাকে। একই ভ্ৰণীয় কোষ থেকে উৎপন্ন হয়ে এক বা একাধিক ধরনের কিছুসংখ্যক কোষ জীবদেহের কোনাে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমষ্টিগতভাবে একটা কাজে নিয়ােজিত থাকলে ঐ কোষগুলাে সমষ্টিগতভাবে টিস্যু (Tissue) বা তন্ম তৈরি করে। একটি টিস্যুর কোষগুলাের উৎপত্তি, কাজ এবং গঠন একই ধরনের হয়।

প্রাণি টিস্যুর প্রকারভেদ: প্রাণি টিস্যু তার গঠনকারী কোষের সংখ্যা, বৈশিষ্ট্য এবং তাদের নিঃসৃত পদার্থের বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে প্রধানত চার ধরনের হয়—

  1. আবরণী টিস্যু,
  2. যােজক টিস্যু,
  3. পেশি টিস্যু এবং
  4. স্নায়ু টিস্যু।

(a) আবরণী টিস্যু (Epithelial Tissue)
এই টিস্যু বিভিন্ন অঙ্গের আবরণ (lining) হিসেবে কাজ করে। তবে অঙ্গকে আবৃত রাখাই আবরণী। টিস্যুর একমাত্র কাজ নয়। এই টিস্যুর আরও চারটি কাজ হলাে: অঙ্গকে আবৃত রাখা, সেটিকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করা (protection), প্রােটিনসহ বিভিন্ন পদার্থ ক্ষরণ বা নিঃসরণ করা (secretion), বিভিন্ন পদার্থ শােষণ করা (absorption) এবং কোষীয় স্তর পেরিয়ে সুনির্দিষ্ট পদার্থের পরিবহন (transcellular transport)। আবরণী টিস্যুর কোষগুলাে ঘন সন্নিবেশিত এবং একটি ভিত্তিপর্দার উপর বিন্যস্ত থাকে।

(b) যােজক টিস্যু (connective Tissue)
যােজক বা কানেকটিভ টিস্যুতে মাতৃকার (Matrix) পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি এবং কোষের সংখ্যা কম। গঠন এবং কাজের ভিত্তিতে কানেকটিভ টিস্যু প্রধানত তিন ধরনের হয়। যথা-

  1. ফাইব্রাস যােজক টিস্যু (Fibrous Connective Tissue)
  2. কেলিটাল যােজক টিস্যু (Skeletal connective Tissue)
  3. তরল যােজক টিস্যু (Fluid connective tissue)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

(c) পেশি টিস্যু (Muscular Tissue)
ভূণের মেসােডার্ম থেকে তৈরি সংকোচন ও প্রসারণশীল বিশেষ ধরনের টিস্যুকে পেশি টিস্যু বলে। এদের মাতৃকা প্রায় অনুপস্থিত। পেশিকোষগুলাে সরু, লম্বা এবং তন্তুময়। যেসব তন্দুতে আড়াআড়ি ডােরাকাটা থাকে, তাদের ডােরাকাটা পেশি (striated muscle) এবং ডােরাবিহীন তন্তুকে মসৃণ পেশি (Smooth muscle) বলে। পেশিকোষ সংকোচন এবং প্রসারণের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সঞ্চালন, চলন ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন ঘটায়। অবস্থান, গঠন এবং কাজের ভিত্তিতে পেশি টিস্যু তিন ধরনের, ঐচ্ছিক পেশি, অনৈচ্ছিক পেশি এবং হৃৎপেশি।

(d) স্নায়ু টিস্যু (Nerve tissue)
দেহের বিশেষ সংবেদী কোষ নিউরন বা স্নায়ুকোষগুলাে একত্রে স্নায়ু টিস্যু গঠন করে। স্নায়ু টিস্যু অসংখ্য নিউরন দিয়ে গঠিত। স্নায়ু টিস্যু পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা, যেমন তাপ, স্পর্শ, চাপ ইত্যাদি গ্রহণ করে দেহের ভিতরে মস্তিষ্কে বহন করে এবং মস্তিষ্কের বিশ্লেষণের পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপযুক্ত কাজ করে থাকে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ২০২১ সালের SSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

আমাদের YouTube এবং Like Page

Leave a Comment