খেজুর কি বহুমূত্র রোগীরা খেতে পারে?,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খেজুর,ডায়াবেটিস রোগীদের কি খেজুর খাওয়া উচিত?,খেজুর কী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো?,ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টিজাতীয় খাবারের তালিকায় খেজুর

Advertisement

বিষয়: খেজুর কি বহুমূত্র রোগীরা খেতে পারে?,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খেজুর,ডায়াবেটিস রোগীদের কি খেজুর খাওয়া উচিত?,খেজুর কী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো?,ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টিজাতীয় খাবারের তালিকায় খেজুর

বর্তমানে মানুষ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সচেতন। বর্তমানে লোকজন খাবারে মিষ্টিতেও স্বাস্থ্যকর উপাদান খুঁজে চলেছে। খেজুর কিন্তু মিষ্টি এবং চিনির অন্যতম বিকল্প, বিশেষ করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য।

চকলেট থেকে মিষ্টি পর্যন্ত, সবেতেই খেজুর থাকলে নিরাপদ বলে মনে হয়। আবার চকলেট বা মিষ্টির বিকল্প হিসেবে খেজুর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এটি কি আসলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো? একজন ডায়াবেটিক রোগী প্রতিদিন কয়টি খেজুর খেতে পারেন?

ডায়াবেটিক রোগী খেজুর খেতে পারেন?

যুগ যুগ ধরে, খেজুর জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। এই খাবারে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। প্রায় ১০০ গ্রাম খেজুরে প্রায় ৩১৪ ক্যালোরি থাকে, বিশেষ করে খেজুরের মাংস মিষ্টি এবং ক্যালোরিতে বেশি। মেডজুলের মতো খেজুরগুলি অন্যান্য জাতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বড় হতে পারে, যা অন্যান্য জাতের খেজুরের তুলনায় বেশি উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ২ থেকে ৩টে খেজুর খাওয়া ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ হতে পারে। তবে ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া নেওয়া প্রয়োজন।

ডায়াবেটিক রোগীদের খেজুর খাওয়া কি প্রয়োজনীয়?

পরিমিত পরিমাণে খেজুর খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করতে পারে। খেজুরে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। খেজুরের কম গ্লাইসেমিক মাত্রা এটিকে পুষ্টির একটি ভালো উৎস করে তোলে।

Advertisement

খেজুরে থাকা ফাইবারের উপস্থিতি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাদাম এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে মিলিত হলে খেজুর তৃপ্তি দেয় এবং অদ্ভুত ক্ষুধা মেটায়। তাছাড়া খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমায়।

এক নজরে জেনে নিন খেজুরের গুনাগুন:

সবশেষে, খেজুরে উপস্থিত ফাইটোয়েস্ট্রোজেনগুলি ইস্ট্রোজেন হরমোনের মতো শরীরের উপর একই রকম প্রভাব ফেলে, যা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির সঠিক কাজ করতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস এবং প্রাক-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খেজুর খাওয়ার জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়। প্রতি দিন ১-২ টো খেজুর খাওয়া যেতেই পারে। অনেক রোগীর চিকিৎসকরা খেজুর খাওয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ দেন, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেজুর খাবেন না।।

খেজুরে জিআই কম থাকে, যা পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না। এছাড়াও, বাদাম, ওটস, কুইনোয়ার মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে খেজুরের মিশ্রণ খেতেও ভাল এবং আরও স্বাস্থ্যকর।

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস শুধু একটি রোগই নয়, অনেক রোগের উপসর্গও। 
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টিজাতীয় খাবার ক্ষতিকারক বলা হয়। তাই বলে মিষ্টিজাতীয় সব খাবারই কি নিষেধ? ডায়াবেটিস রোগীদের যদি নিয়মিত মিষ্টিজাতীয় কিছু খাওয়ার ইচ্ছে থাকে, তাহলে এর জন্য ভালো একটি বিকল্প হলো খেজুর। 

খেজুর ভরপুর মিষ্টি একটি ফল। সুস্বাদু এই মরু ফলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন। স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, খেজুর খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে না। বরং এটি স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী। কারণ স্বাস্থের জন্য ভালো এমন অনেক উপাদান খেজুরে রয়েছে।

তবে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত খেজুর খেলে ১ বা ২টি খেতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি মিষ্টির বিকল্প হতে পারে খেজুর। মূল খাবার নয়।  বেশি মাত্রায় খেজুর খেলে ক্ষতিও হতে পারে। 

এটি অত্যন্ত নরম ও উপকারী মিষ্টি। ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে একটি নিরীক্ষা চালানো হয়েছে। ১০ জন মানুষকে চার সপ্তাহ নিয়মিত ১০০ গ্রাম খেজুর খাওয়ানো হয়েছে। চার সপ্তাহ পর তাদের ব্লাড গ্লুকোজ বাড়েনি। এবং তাদের কোলেস্টরেলও নিয়ন্ত্রণে ছিল। 

বিখ্যাত আজওয়া খেজুরও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে একটি স্বাস্থ্যগবেষণায় বলা হয়েছে। অনেক পুরনো ডায়াবেটিস রোগী আজওয়া খেজুর খেয়ে উপকৃত হতে পারেন। 

সব ডায়াবেটিস রোগীর জন্যই খেজুর উপকারী, এমনটি অবশ্য নয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের মতামতই চুড়ান্ত। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত খেজুর খেতে হলে ডাক্তারকে জানিয়েই খেতে হবে। 

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও

Advertisement 5

Advertisement 2

Advertisement 2

Advertisement 3

Leave a Comment