ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণ ও প্রতিকার,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণসমূহ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণসমুহ, যে সকল কারনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের লাভ হয় না , যে সমস্ত কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে থাকে তার উল্লেখযােগ্য বিষয়গুলাে

প্রশ্ন সমাধান: ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণ ও প্রতিকার,ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণসমূহ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণসমুহ, যে সকল কারনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের লাভ হয় না , যে সমস্ত কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে থাকে তার উল্লেখযােগ্য বিষয়গুলাে

ভূমিকা : পৃথিবীতে সবধরনের কার্যক্রমেরই সফলতা। এবং ব্যর্থতা পাশাপাশি বিরাজ করে। ক্ষুদ্র ব্যবসায় কার্যক্রম ও এর ব্যতিক্রম নয়। একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায় গড়ে তােলা সহজ হলেও পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন কারণে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার কারণ

যে সমস্ত কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে থাকে তার উল্লেখযােগ্য বিষয়গুলাে নিম্নে আলােচনা করা হলাে :

১. পণ্য বা সেবার বেশি বা কম মূল্য নির্ধারণ : যে সকল কারণে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায় ব্যর্থ হয় তার অন্যতম প্রধান কারণ হলাে সঠিক মূল্য নির্ধারণ না করা। অনেক সময় দেখা যায় উৎপাদিত পণ্য বা সেবার মূল্য এত বেশি নির্ধারণ করা হলাে যে ভােক্তাগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেল। এতে করে ঐ পণ্য বা সেবার চাহিদা কমে যায় এবং উক্ত পণ্য বিক্রয় কম হয়।

২. অতিরিক্ত বাকিতে বিক্রয় : ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উদে বা মালিকগণ ভােক্তা ধরে রাখার জন্য অথবা বিক্রয় বৃদ্ধির দ” অধিক পরিমাণে বাকিতে পণ্য বিক্রয় করে। কিন্তু অপি, ক্ষেত্রে দেখা যায় বাকিতে বিক্রয়ের সকল অর্থ আদায় করা, হয় না। এতে করে প্রতিষ্ঠানের মূলধনের ঘাটতি সৃষ্টি হয় । ব্যবসায় ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়।

৩.পূর্বানুমানে ব্যর্থতা : যেকোনো ব্যবসায় পরিচালিত … অনেকটা পূর্বানুমানের ভিত্তিতে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের মালিক উদ্যোক্তাগণ অনেক সময় অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ হওয়ার সঠিক পণ্য বা সেবার চাহিদা ও বাজার সম্পর্কে সঠিক পূর্বানুমান কল পারে না। এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান উৎপাদন ও ঢাঠি সাথে সামস্য বিধান করতে পারে না। যার দরুন ব্যবসায় হয়

৪. নথিপত্র সংরক্ষণে ব্যর্থতা : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যর্থতার অ. কারণ হলাে দুর্বল নথিপত্র সংরক্ষণ ব্যবস্থা। এরূপ ব্যবসা মালিকগণ সাধারণত নিজেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকে।

৫. প্রয়োজন অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ : কোন কোনাে ঋe বিপরীতে ঋণদাতাকে নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করতে হয় । সুন হলাে ব্যবসায়ের একটি ব্যয়। একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ম প্রয়ােজনের অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করে তাহলে উহাকে সুদ খাতে অলাভজনকভাবে ব্যয় বহন করতে হয়। এতে করে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূলধনের পরিমাণ দিন দিন কমে যায় এক প্রতিষ্ঠানটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।

৬. বাকিতে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় : অতিরিক্ত পণ্য বাকিতে ক্রয় করলে অপ্রয়ােজনীয় দায় সৃষ্টি হয়, যা ব্যবসায়কে ঝুঁকিপূর্ণ করে তােলে।

৭. অদক্ষ শ্রমিক ; ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের শ্রমিক কর্মীর অদক্ষতা এই ব্যবসায়ের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। যেকোনাে প্রতিষ্ঠানের পণ্যদ্রব্য ও সেবার মান উন্নত হতে হলে সেখানে শ্রমিক কর্মীর নিপুণ হাতে ছোঁয়া থাকা দরকার ।

৮. উদ্বৃত্ত মূলধন : যেকোনাে ব্যবসায় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কাম্য মূলধন অপরিহার্য প্রয়ােজনের অতিরিক্ত মূলধন একটি ব্যবসায়ের জন্য অতিরিক্ত খরচ সৃষ্টি করে।


আরো ও সাজেশন:-

৯. পূর্ণ অভিজ্ঞতা ছাড়াই ব্যবসায় আরম্ভ : যে কোনো ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বড় ধরনের মূলধন স্বরূপ কাজ করে থাকে। কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে দেখা যায়। উদ্যোক্তাগণ কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ব্যবসায়িক আরম্ভ করে থাকে। এতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসা বেশী দিন টিকে থাকতে পারে না এবং শেদ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।

১০. পর্যাপ্ত মূলধন সরবরাহ : মূলধন হলো যেকোনাে ব্যবসায়ের সঞ্জীবনী শক্তি মূলধন ছাড়া কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না ! পণ্য বা সেবাদামগ্রীর ধারণা থেকে শুরু করে প্রয়ােজনীয় সকল ক্ষেত্রেই মূলধন দরকার কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের বড় সমস্যা মূলধন সংকট।

১১. ঋণ সরবরাহ, পর্যাপ্ত মূলধন কিন্তু এক মূলধন সরবরাহ করা স. এস থেকে ঋণ গ্রহণ করতে হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১২. উপযুক্ত শিক্ষা ; কহ একটি জাতিকে উন্নয়নে সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায় উ বা অর্ধশিক্ষিত একটি না। তাছাড়া পণ্যের ৪ বিবেচনা এন যাতে তারা : সাধারণত স্থানীয় কাঁচান বিশেষ ষেরৱাই । ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সফলতার জন্য দরকার কিম একজন উদ্যোক্তার পক্ষে প্রয়োজনীয় সকল করা সম্ভব পর হয় না। এই জন্য তাকে বিভিন sণ গ্রহণ করতে হয়।

১৩. অঙ্ক শিক্ষা : কথায় আছে শিক্ষার জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা টিকে উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু যে গাৰসায় উদ্যোক্তা দেখা যায় তাদের অধিকাংশই অশিক্ষিত চত একটি ব্যবসায় সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারে না পণ্যের মান ভােক্তার চাহিদা রুচি, ক্রয় ক্ষমতা ইত্যাদি এন যাতে তারা ব্যবসায়ে সফলতা অর্জন করতে পারে তার উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত কাঁচামালের সরবরাহ : ক্ষুদ্র ব্যবসায় গড়ে ওঠে – স্থানীয় কাঁচামালের ভিত্তিতে। অনেক সময় দেখা যায় কামালের ভিত্তিতে কোন বিশেষ এলাকায় বিশেষ ৰ ক্ষুদ্র ব্যবসায় গড়ে উঠল। কিছু দিন পর দেখা গেল ঐ কামালের ভিত্তিতে কোন বিশেষ এলাকায় বিশেষ ধরনের ক্ষদ তলায় গড়ে উঠল । কিছু দিন পর দেখা গেল ঐ কাঁচামালের পর্যাপ্ত সরবরাহ যেখানে হচ্ছে না।

১৪. পর্যাপ্ত শক্তি সম্পদ সরবরাহ : নিরবচ্ছিন্নভাবে যে কোনাে ব্যবসায়ের উৎপাদন কার্য পরিচালনা করতে হলে শক্তি সম্পদের সুষ্ঠু ও সুন্দর ব্যবস্থা থাকার দরকার। কিন্তু ক্রমাগত পাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য উৎপাদন সহায়ক শক্তি সম্পদের ব্যপক অভাব পরিলক্ষিত হয়। যার ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উদ্যেক্তাগণ সফল হতে পারছে না। এটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের একটি সমস্যা এই সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যপ্ত পরিমাণ শক্তি সম্পদের সরবরাহ করতে হবে

১৫. যােগাযােগ ও পরিবহণ সমস্যা : যেকোনাে ব্যবসায়ের উন্নতিতে যােগাযােগব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম । কিন্তু বাংলাদেশে যােগাযােগ ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত তেমন উন্নতি ঘটেনি বলে ক্ষুদ্র ব্যবসায় ও সফলতার মুখ দেখাতে পারছে না। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের এটি একটি সমস্যা

১৬. সৃষ্টি বাজার : ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের আর একটি বড় সমস্যা হলাে বাজারের সীমাবদ্ধতা এখানে বাজারের সীমাবদ্ধতা বলতে পূণ্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়ক্ষমতা সম্পন্ন ভােক্তার সংখ্যাকে বােঝানাে হচ্ছে।

১৭. সরকারি পৃষ্ঠপােষক বৃদ্ধি : একটি দেশের সরকারি সাহায্য সহযােগিতা ব্যতীত কোনােভাবেই ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ক্ষুদ্র ব্যসায়ের উন্নয়নে ব্যাপক বাধা থাকলেও উহা সমাধানের ও পথ রয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সমস্যাসমূহ দূর করতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আশা করা যায়।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

ক্ষুদ্র ব্যবসা কাকে বলে? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সুবিধা ও অসুবিধা কি?

অপেক্ষাকৃত কম পুঁজি বিনিয়োগ করে ক্ষুদ্র পরিসরে পণ্যদ্রব্য বা সেবাকর্ম উৎপাদন অথবা বিভিন্ন উৎপাদনকারী বা মধ্যস্থ ব্যবসায়ীর নিকট হতে পণ্যদ্রব্য ও সেবা সামগ্রী ক্রয় করে তা ব্যবহারকারীর নিকট বিক্রয় কার্যে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষুদ্র ব্যবসা বলে। যেমন— কুটির শিল্প এক মালিকানা খুচরা ব্যবসায়। বাংলাদেশে সরকারিভাবে স্বল্প পুঁজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ব্যবসা বলে গণ্য করা হয়।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের সুবিধা

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক ও পেশাগত কতকগুলো সুবিধা রয়েছে। নিচে তা আলোচনা করা হলো:

১. ব্যক্তিগত সুবিধা :

  • ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে ব্যক্তিগত কৃতিত্ব লাভ ও প্রদর্শনের এবং সকল দক্ষতা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
  • এতে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং কৌশল উদ্ভাবন ও প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে।
  • এতে দায়িত্ববান হওয়ার সুযোগ বেশি।
  • বিনিয়োগ ও সম্পদ বৃদ্ধির সুবিধা।
  • ব্যবস্থাপনার উপর নিয়ন্ত্রণের সুবিধা।

২. সামাজিক সুবিধা :

  • সমাজে ব্যক্তিগত সুনাম বৃদ্ধি।
  • সমাজের বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
  • ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা হ্রাস।
  • দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনের সুবিধা।

৩. পারিবারিক সুবিধা :

  • ব্যবসায়ের স্বার্থে পরিবারের সবাই একসাথে কাজ করার সম্ভাবনা থাকে।
  • পরিবারের সদস্যরা ব্যবসায়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
  • প্রয়োজনে পরিবারের সম্পদ ব্যবসায়ের কাজে নিয়োগ করা যায়।
  • ব্যবসায়ের সাফল্যে পরিবারের সুনাম বৃদ্ধি পায়৷

৪. পেশাগত সুবিধা :

  • অধিকতর পেশাগত উন্নতির সম্ভাবনা থাকে।
  • কর্মক্ষমতার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়।
  • অধিকতর পরিপূর্ণ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ গুণাবলি অর্জন করা যায়।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের অসুবিধা

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের বিবিধ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এ কতকগুলো অসুবিধা রয়েছে। নিচে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের অসুবিধাসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. ব্যক্তিগত অসুবিধা :

  • সুনামহানির সম্ভাবনা থাকে।
  • ব্যর্থতার কারণে আর্থিক অপচয় হওয়ার ভয় থাকে।
  • ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ থেকে বঞ্চিত হয়।
  • আত্মবিশ্বাস লোপ পেতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিশ্রম স্বাস্থ্যহানি ঘটায়।
  • সময় অপচয়ের সম্ভাবনা থাকে।

২. সামাজিক অসুবিধা :

  • ব্যর্থতার কারণে সামাজিক মর্যাদা হ্রাস।
  • প্রাতিষ্ঠানিক নির্বাহী হওয়ার সুযোগ হতে বঞ্চিত।
  • ব্যবসায়ী মহলের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সুযোগ কম।
  • প্রাতিষ্ঠানিক সঞ্চয় হতে বঞ্চিত।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment