ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপাদান বা বৈশিষ্ট্য কী কী?, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপাদান বা বৈশিষ্ট্য কী কী?, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৈশিষ্ট্য সমূহ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৈশিষ্ট্য কী কী?

SMES বা এসএমই’র বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর, এসএমই’র চারটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তর ভূমিকা : উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দ্রুত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগসমূহ বা SMES জীবনীশক্তি হিসেবে কাজ করে। এসএমই হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি এবং দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজার গঠনের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। নিম্নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বা এসএমই উদ্যোগসমূহের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো :

১. নমনীয় গঠন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ বা প্রতিষ্ঠান গঠন খুবই সহজ, কারণ এসব প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি সাধারণত ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের গঠন সাধারণত একমালিকানা ব্যবসায়ের অনুরূপ বিধায়, SME’s-এর শুধুমাত্র নিজের উদ্যম, সাহসিকতা, সৃজনশীলতা ও পর্যাপ্ত মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করতে পারে।

২. সীমিত অবস্থান : ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির প্রতিষ্ঠান বা SME’s নির্দিষ্ট ভৌগোলিক আয়তনের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির শিল্পপ্রতিষ্ঠান দেশের অভ্যন্তরে সীমিত আকারে তৈরি করা যায়। সাধারণত উৎপাদনশীল SME’s প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক, দেশীয় এবং কর্পোরেটের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায় পরিচালনা করে।

৩. সমান প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো : ‘এসএমই’র প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমান স্তরবিন্যাস এবং বিভিন্ন বিভাগের ব্যবসায় সেটের সমন্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন করে।

৪. সহজ কৌশলগত গ্রহণ : এসএমই-এর সাংগাঠনিক কাঠামো সামন্তরাল এবং সীমিত আকারের হওয়ায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কৌশলগত সিদ্ধান্তসমূহ সহজে ও দ্রুত বাস্ত বায়ন করা সম্ভব হয় ।

৫. স্বল্প তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার : এসএমই’র প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই স্বল্প পরিমাণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাঝারি আকৃতির ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে হালকা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।

৬. সীমিত ব্যবসায় ইউনিটসমূহ : সীমিত ও মাঝারি উদ্যোগসমূহ বা এসএমই’র ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের ইউনিটসমূহ সীমিত আকারের হয় ।

৭. সহজ পরিচালনা : ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আকার সীমিত হওয়ায় এর পরিচালনাও অত্যন্ত সহজ। পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার যোগ্যতা ও দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

৮. সহজ ঋণ সুবিধা : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগসমূহের সম্প্রসারণের লক্ষে সরকার, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাসমূহ (এনজিও) সহজশর্তে এই খাতে অধিক সংখ্যক ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে ।

৯. অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগসমূহের ক্ষেত্রে খুব বেশি শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হয় না । এজন্য অধিকসংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় ৷

১০. বিলোপ সাধন : এসএমই’র গঠনের মতো এর বিলোপের ক্ষেত্রেও তেমন কোনো আইনগত জটিলতা নেই । এর উদ্যোক্তা খুব সহজেই মালিকানা পরিবর্তন করতে পারে বা চাইলেই বিলোপ সাধন করতে পারে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যদিও বিভিন্ন দেশের এসএমই’র আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। তবুও এসএমই’র সকল উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপাদান বা বৈশিষ্ট্য কী কী?, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৈশিষ্ট্য সমূহ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৈশিষ্ট্য কী কী?

Leave a Comment