কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যকার ইলেক্ট্রনিক কমিউনিকেশন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লেখ

Google Adsense Ads

কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যকার ইলেক্ট্রনিক কমিউনিকেশন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লেখ

কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যকার ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন (Electronic Communication) সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ

ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন হলো তথ্য ও বার্তা পাঠানোর একটি আধুনিক এবং দ্রুত পদ্ধতি, যা কোম্পানি এবং শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের প্রয়োজনীয় তথ্য, যেমন বার্ষিক প্রতিবেদন, লভ্যাংশ, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও সভার কার্যক্রম দ্রুত এবং সহজে পৌঁছে দিতে পারে। তবে এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধাও রয়েছে।


ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের সুবিধা

১. দ্রুত যোগাযোগ

  • ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের মাধ্যমে তথ্য দ্রুত শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পৌঁছায়। ইমেইল, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে।
  • গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা বিজ্ঞপ্তি দ্রুত শেয়ার করা যায়, যা সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সহায়ক।

২. খরচ সাশ্রয়ী

  • কাগজপত্র, ডাকবহর বা অন্যান্য যোগাযোগের পদ্ধতির তুলনায় ইলেকট্রনিক যোগাযোগ অনেক কম খরচে করা যায়।
  • বিশেষত বড় সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার থাকলে, ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন খুবই সাশ্রয়ী।

৩. পরিবেশবান্ধব

  • কাগজের ব্যবহার কমানোর ফলে এটি পরিবেশের ওপর চাপ কমায়। শেয়ারহোল্ডারদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে তথ্য পাঠালে বনসম্পদ সংরক্ষিত থাকে।

৪. সহজ পৌঁছানো

  • শেয়ারহোল্ডাররা বিশ্বের যেকোনো স্থানে বসে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কোম্পানির প্রতিবেদন, নোটিশ, বা সিদ্ধান্তগুলি পড়তে পারেন। এটি ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা দূর করে।

৫. স্বচ্ছতা এবং তাত্ক্ষণিকতা

  • ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তাদের কর্মকাণ্ডের সর্বশেষ তথ্য স্বচ্ছভাবে পৌঁছে দিতে পারে। এতে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্ন বা উদ্বেগ দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।

আরো ও সাজেশন:-

Honors Suggestion Linksপ্রশ্ন সমাধান সমূহ
Degree Suggestion LinksBCS Exan Solution
HSC Suggestion Links2016 সাল থেকে সকল জব পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর
SSC ‍& JSC Suggestion Linksবিষয় ভিত্তিক জব পরিক্ষার সাজেশন

ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের অসুবিধা

১. প্রযুক্তিগত সমস্যা

  • ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা (যেমন ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা, ইমেইল সার্ভারের সমস্যা) হতে পারে।
  • শেয়ারহোল্ডাররা যদি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে না জানেন, তাহলে তাদের জন্য তথ্য গ্রহণে সমস্যা হতে পারে।

২. নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা

  • ইলেকট্রনিক যোগাযোগে সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকতে পারে, যেমন হ্যাকিং, তথ্য চুরি বা অননুমোদিত প্রবেশ।
  • শেয়ারহোল্ডারদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ থাকতে পারে।

৩. শেয়ারহোল্ডারের ইন্টারনেট ব্যবহার দক্ষতা

  • সব শেয়ারহোল্ডারের কাছে ইন্টারনেট বা কম্পিউটার সুবিধা নেই বা তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কম থাকতে পারে।
  • বিশেষত বৃদ্ধ বা প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন জনগণের জন্য ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া কঠিন হতে পারে।

৪. আইনি বা নিয়ন্ত্রক বাধা

  • কিছু দেশের আইন বা নিয়মাবলী ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশনের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের সাথে যোগাযোগের অনুমোদন দেয় না, বিশেষত যারা অফলাইনে তথ্য পাওয়ার অধিকারী।
  • শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি ছাড়া ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাঠানো আইনি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

৫. অযাচিত বা স্প্যাম ইমেইল

  • ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে অযাচিত বা স্প্যাম ইমেইল পাঠানো হতে পারে, যা শেয়ারহোল্ডারদের বিভ্রান্ত করতে পারে।
  • কোনো শেয়ারহোল্ডার যদি ভুল বা মিথ্যা তথ্য গ্রহণ করেন, তাহলে তা কোম্পানির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

উপসংহার

ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন কোম্পানি এবং শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে দ্রুত এবং কার্যকর যোগাযোগের জন্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম, তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা এবং ঝুঁকি রয়েছে। কোম্পানির উচিত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ পদ্ধতি গ্রহণ করা, যাতে সবাই তথ্য সহজেই প্রাপ্ত করতে পারে এবং নিরাপত্তা বজায় থাকে।

Google Adsense Ads

উপসংহার : কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যকার ইলেক্ট্রনিক কমিউনিকেশন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লেখ

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যকার ইলেক্ট্রনিক কমিউনিকেশন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লেখ

আরো পড়ুন:

Google Adsense Ads

Leave a Comment