কেস স্টাডি কি?, কেস স্টাডি কাকে বলে?, কেস স্টাডির গুণাবলি আলোচনা কর, কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর,কেস স্টাডির সংজ্ঞা দাও, কেস স্টাডি বলতে কি বুঝ?

প্রশ্ন সমাধান: কেস স্টাডি কি?, কেস স্টাডি কাকে বলে?, কেস স্টাডির গুণাবলি আলোচনা কর, কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর,কেস স্টাডির সংজ্ঞা দাও, কেস স্টাডি বলতে কি বুঝ?

কেস স্টাডি কি?, কেস স্টাডি কাকে বলে? , কেস স্টাডির সংজ্ঞা দাও, কেস স্টাডি বলতে কি বুঝ?

ব্যবস্থাপনা তার কর্ম পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার সময় নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়। এসব সমস্যার সঠিক সমাধানের উপর ব্যবস্থাপনার কর্মদক্ষতা ও কাজের গতিশীলতা নির্ভর করে। এ লক্ষ্যে ব্যবস্থাপক কোনো একটি সমস্যা ও শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সামনে উপস্থাপন করে বাস্তবমুখী সুপারিশ করার সুযোগ দেন। দলগত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কোনো কেস সমাধানের উৎকৃষ্ট পন্থা বেরিয়ে আসে। এই পন্থাটি উৎকৃষ্ট কৌশল। Two heads are better than one headএর মর্মবাণী কেস পদ্ধতির মূল যুক্তিতে পরিণত হয়।

সহজ অর্থে কেস পদ্ধতির মূলকথা হলো কেস বা ঘটনা। কেস বলতে কারবার সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ের বাস্তব সমস্যাকে বুঝায় ব্যাপক অর্থে। ব্যবস্থাপক বাস্তবে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয় সেগুলোর সমবেত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার কৌশলকে ঘটনা প্রবাহ বলে।

বিশেজ্ঞদের মতামত : মার্কিন অধ্যাপক লেটনের মতে, কেস আলোচনা কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করার সমতুল্য। (ডি. জে. চেরিংটন) DJ Cherringtion এর মতে- “কেস পদ্ধতির মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থী সমস্যার বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয় । এবং বিকল্প সমাধান সম্পর্কে বিবেচনা করতে পারে।

পলিন ভি ইয়ং এর মতে কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা বা নিয়মাবলি বিশদভাবে অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করার পদ্ধতি হলো কেস পদ্ধতি ।
সুতরাং কেস পদ্ধতি হলো ব্যবস্থাপককর্তৃক শিক্ষার্থীদের সামনে কোনো সমস্যা উপস্থাপন করা এবং দলগত আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কৌশল বের করা.


আরো ও সাজেশন:-

কেস স্টাডির গুণাবলি আলোচনা কর, কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

কেস স্টাডি হলো কোন ঘটনা বা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, যা মোকাবিলা করে কোনো উদ্যোক্তা সমতা হয়েছেন বা বাম হয়েছেন। এরূপ ঘটনা বিশ্লেষণ করে একজন গবেষক তা এমনভাবে লিখিত আকারে উপস্থাপন করেন গাঠের মাধ্যমে কোনো পাঠক সে সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা নিয়ে বাস্তব জ্ঞান লাভে সামর্থ হয়।

নিম্নে কেস স্টাডির বৈশিষ্ট্যবলি আলোচনা করা হলো :

১. উৎকর্ষ বৃদ্ধি : ঘটনা পদ্ধতিতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর আলোচনার মাধ্যমে তাদের চিন্তা শক্তির উৎকর্ষ বৃদ্ধি করতে পারে। এই পদ্ধতিকে বাস্তব অভিজ্ঞতার বিকল্প হিসেবে বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বাস্তবে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপায় আয়ত্ত করে।

২. বাস্তব সমস্যা চিহ্নিত করণ : ব্যবস্থাপনার গুরু দায়িত্বের মধ্যে বাস্তব সমস্যা চিহ্নিত করতে না পারলে কোন প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না, কেস পদ্ধতি প্রতিষ্ঠানের বাস্তব সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সর্বোত্তম পন্থা খুঁজে বের করে ।

৩. সমস্যা কারণ নির্ণয় : কেস পদ্ধতি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উদ্ভুত সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে এর কারণ নির্ণয় করে। এ পদ্ধতিতে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে এর কারণ নির্ণয় করে। এ পদ্ধতিতে সমস্যাসমূহ সম্পর্কে ব্যাপক আলাপ আলোচনা করা সম্ভব হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৪. সমস্যা সমাধান : সমস্যা চিহ্নিত এবং কারণ নির্ধারণ করেই হাতগুটিয়ে চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। তা সমাধানের পথও আলোচনার মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে।

৫. সমস্যার বাস্তব বিশ্লেষণ : কেস পদ্ধতির আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্ভুত সমস্যার বাস্তব বিশ্লেষণ। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক গণ দলবদ্ধভাবে সমস্যা বিশ্লেষণে। অংশ গ্রহণ করে বিধায় বাস্তব সমস্যার বাস্তব বিশ্লেষণ সম্ভব হয় ।

৬. কাজের মাধ্যমে শিক্ষ লাভ : কেস পদ্ধতির অপর নাম ব্যবহারিক জ্ঞান। কেস পদ্ধতি মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক প্রয়োগিক কার্যসম্পাদন করা হয় বলে তাকে ব্যবহারিক জ্ঞানও বলা যায় ।

৭. সমবেত প্রচেষ্টা : ঘটনা প্রবাহ পদ্ধতিকে একটি সমবেত ও সমবায় মূলক প্রচেষ্টা হিসেবে বলা যায়। এই পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপক গণ দলগত আলাপ-আলোচনায় অংশ নেয় এবং সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রসমূহ নিধারণ করে ।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

৮. শিক্ষার্থী নির্ভর পদ্ধতি : ঘটনা প্রবাহ পদ্ধতি প্রকৃতিগতভাবে শিক্ষার্থী নির্ভর একটি পদ্ধতি। আমাদের দেশে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে শিক্ষকদের সবকিছু বলতে এবং শিক্ষার্থীদের শুনতে হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা মুখ্য হয় এবং শিক্ষক বা প্রশিক্ষণদাতার ভূমিকা গৌণ হয়ে পড়ে।

৯. বাস্তব অভিজ্ঞতার বিকল্প : এ পদ্ধতিকে বাস্তব অভিজ্ঞতার বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কারণ ব্যবস্থাপকগণ বাস্তবে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার মধ্য দিয়ে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপায় খুঁজে বের করতে পারে। এ ছাড়াও এ পদ্ধতি ব্যবস্থাপকদের চিন্তা শক্তির উৎকর্ষ বৃদ্ধি করতে পারে।

১০. উৎকৃষ্ট পদ্ধতি গ্রহণ : কেস পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের একাধিক বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করে সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় ৷

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, কেস স্টাডি হলো আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অন্যতম পদ্ধতি। এর এমন কিছু বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান যা এ পদ্ধতিকে দিন দিন আরও জনপ্রিয় করে তুলছে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment