Advertisement
বিষয়: করোনা ‘ওমিক্রন’ থেকে বাঁচতে করণীয়
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বে। এরই মধ্যেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৭৭টি দেশে ছড়িয়েছে। তবে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ওমিক্রনের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনাভাইরাসের মধ্যে ঘটেছে অনেকগুলো মিউটেশন। অর্থাৎ ভাইরাস নিজেকে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে। আর এই বদল হয়েছে ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে।
আর এই বদলে যাওয়া ভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রামক বলেই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। তাহলে ওমিক্রন থেকে বাঁচতে কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ৭টি অভ্যাস মেনে চলা খুবই জরুরি। তাহলে হয়তো ওমিক্রন থেকে রেহাই মিলবে-
>> সবারই জানা আছে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি’যুক্ত খাবার কতটা জরুরি। কারণ এই ধরনের খাবার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রাখুন পাতে। লেবু, কমলা, আমলকিসহ টকজাতীয় ফলে থাকে ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি।
>> শরীর সুস্থ রাখতে যেমন শরীরচর্চার প্রয়োজন ঠিক তেমনই বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতেও তা চালিয়ে যেতে হবে। শরীরচর্চার মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়ে। জিমে, মাঠে যেখানে খুশি ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে চলাফেরা করুন। ব্যায়াম করতে সমস্যা হলে জগিং করুন বা হাঁটুন ৩০ মিনিট।
Advertisement
>> শীতের এ সময় সবাই কমবেশি সর্দি-কাশিতে ভোগেন। কে সাধারণ সর্দি-কাশি আর এক ওমিক্রনে আক্রান্ত তা নিশ্চয়ই আপনি টের পাবেন না! তাই সুরক্ষিত থাকতে অন্তত মাস্ক পরুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা থেকে বাঁচতে হলে মাস্কই হলো প্রধান অস্ত্র। তাই সব সময় মাস্ক পরুন। বিশেষ করে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই পনরতে হবে।
>> করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতেই অনেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়টি ভুলতে চলেছেন! যা ওমিক্রন সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভালো হয় অন্তত ৩০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুলে। তবে যেহেতু এখন শীতের সময় তাই ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
>> ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। ঠিক যেমনটি করোনার শুরুর সময় থেকেই শারীরিক দূরত্ব রাখার কথা বলা হয়েছে। তাই বাজার, বাস, ট্রেনে কিংবা ভিড় এলাকায় চলাফেরার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন।
>> করোনার টিকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিতে হবে। টিকা রোগ আটকাতে না পারলেও রোগের ঘাতক রূপ থেকে বাঁচাতে পারে। তাই টিকা আবশ্যক।
>> যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা বিশেষ সতর্ক থাকুন। যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান ও নিয়মমাফিক চলুন।
- অতিকামিতা,হাইপারসেক্সুয়ালিটি, অত্যধিক যৌন আসক্তি কি আসলেই নেশা
- জরায়ু বড় হয়ে কারণ ও প্রতিকার, মেয়েদের বড় জরায়ু ছোট বা টাইট ও আকর্ষণীয় করুন
বাইরে করোনার ভয়! কিন্তু উপায় কি, অফিস বা টুকিটাকি কাজে পা রাখতেই হচ্ছে ঘরের বাইরে। এই সময় করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিজের শরীরকে শক্তিশালী করে তোলাটা এখন আমাদের প্রথম কাজ। খোঁজ রইল এমন কিছু খাবারের যা খাদ্যতালিকায় থাকলে আপনার ইমিউনিটি বাড়বেই বাড়বে।
কমলালেবু, বাতাবি, মৌসাম্বি, জাতীয় ফল রোজ একটা করে খান। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। গরম জলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন। ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে, যা লড়াই করে শরীরে তৈরি হওয়া কোনও ইনফেকশনের সঙ্গে।
আমন্ড ও আখরোট
আমন্ড, আখরোট, কাঠবাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিল ই। ভিটামিন ই-ও আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি এই ধরণের বাদামে থাকা প্রোটিন আর আয়রন শরীরকে দীর্ঘক্ষণ ধরে কর্মক্ষম রাখে।
রসুন
কাঁচা রসুন অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিসেপটিকের গুণে সমৃদ্ধ। এটি ঠান্ডা লাগা, কাশি, সর্দি, ভাইরাল ফিভারের থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। রসুনে রয়েছে ভিটামিন সি, বি ১, বি ৬ এবং ফসফরাস ও আয়রন। তাই স্যুপ হোক বা তরকারি, খাবারে রসুন অবশ্যই রাখুন।
রাঙা আলু
রাঙাআলুতে থাকা ভিটামিন এ আর ফাইবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রাঙা আলু হজম হতে দেরি হয়, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই এর থেকে এনার্জিও বেশি পাওয়া যায়। তরকারিতে বা রোস্ট করে খেতে পারেন রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু।
কাঁচা হলুদ
আয়ুর্বেদিকের দুনিয়ায় হলুদ ‘ওয়ান্ডার ড্রাগ’ হিসেবে পরিচিত। এটি নানা ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরকে তৈরি করে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে মধু সহযোগে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন ঘুমোতে যাওয়ার আগে।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
Advertisement 2
- কীভাবে প্যারাসিটামল কার্যকরভাবে ব্যবহার করবেন,কেন ব্যথা উপশমের জন্য প্যারাসিটামল প্রস্তাবিত হয়
Advertisement 5
- ডেলিভারির পর মায়েদের ব্লিডিং কতদিন হয়,সিজারের কতদিন পর ২য় বাচ্চা,সিজারের কতদিন পর আম খাওয়া যায়
- কীভাবে প্যারাসিটামল ওভারডোজের লক্ষণগুলি চিনবেন,কেন দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ব্যবস্থাপনার জন্য প্যারাসিটামল ব্যবহার করা হয়,
- প্যারাসিটামল খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট এর কাজ কি
- অতিকামিতা,হাইপারসেক্সুয়ালিটি, অত্যধিক যৌন আসক্তি কি আসলেই নেশা
- সিজারের পর কতদিন পর্যন্ত ব্লিডিং হয়,বাচ্চা হওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়
Advertisement 5
Advertisement 2
Advertisement 3