করোনায় বিপদে হবু মায়েরা

চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সেবার অপ্রাপ্তিতে ঢাকার বাসিন্দা উদ্যোক্তা জিনিয়া মেনেই নিয়েছেন চিকিৎসা সেবা ছাড়াই সন্তান জন্ম দিতে হবে তাকে। তিনি মনে করছেন, হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িতে সন্তান জন্মের ঝুঁকির চেয়ে বেশি। যেহেতু তার কোনো সমস্যা নেই, এবং পরিবারে চিকিৎসক আছেন তাই তিনি বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।

চিকিৎসকের প্রাপ্তি থাকলেও ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে পারছেন না গর্ভবতীরা। সদ্য সন্তান প্রসব করা বেসরকারি কর্মকর্তা রুবিনা খান তার গর্ভাবস্থায় দুইবার হাসপাতাল বদলেছেন আর চিকিৎসক বদলেছেন পাঁচবার। তার দুইজন চিকিৎসক নিজেরাই করোনা পজেটিভ ছিল। ফলে ঝুঁকি ছিল রুবিনারও।

যখন গর্ভবতীদের চিকিৎসায়ই এতখানি অসুবিধা, সদ্য প্রসূতিরা গুরুত্ব পাচ্ছেন অনেক কম। ঢাকার বাসিন্দা রাবিতা রকিব জানান, গর্ভাবস্থায় তাও চিকিৎসা পাওয়া গেছে কিন্তু প্রসবের পর কোনোভাবেই চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না, এমনকি টেলিমেডিসিন সেবা নিতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

করোনার কারণে গর্ভবতী ও প্রসূতিদের এইসব সমস্যার কথা স্বীকার করেন, অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট রওশন আরা বেগম। তিনি বলেন, আগে চিকিৎসা সেবা পাওয়া দুরূহ হলেও এখন অবস্থার কিছু উন্নতি হয়েছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অন্তত চারবার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ এবং দুইবার আল্ট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দেন। ছাড়াও কোনো উপসর্গ না থাকলে প্রসবের আগে এবং প্রাথমিক গর্ভাবস্থায় করোনা সন্তানকরণের পরামর্শ দেন তিনি। করোনার মাহমারিতে সন্তান না গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেন তিনি।

Leave a Comment