কন্টেন্ট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন,কন্টেন্ট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়?

কন্টেন্ট মার্কেটিং করে ইনকাম করুন,কন্টেন্ট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়?

অনেকে এখন ও বিষয়টি সম্পর্কে  পরিষ্কার ধারণা নিতে পারেন নি। সমস্যা নেই আমরা আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন তাহসিনের সাথে ঘটা ঘটনায় ফিরি। তাহসিন যে কলাম পড়েছিলো, সেটি ছিলো একটি আন্তর্জাতিক ঘটনা বিশ্লেষণ। কিন্তু কলামিস্ট সেখানে আইফোনের কিছু গুনগান গাইলো। কিছু বিশেষ সুবিধার কথা বর্ণনা করলো। যা তাহসিনের মনে দাগ কাটলো। সে আইফোন সম্পর্কে কৌতুহল প্রকাশ করলো। 

এই যে তাহসিনের আইফোনের প্রতি কৌতুহল সৃষ্টি, এটি ছিলো কন্টেন্ট মার্কেটিং এর একমাত্র উদ্দেশ্য। কন্টেন্ট মার্কেটিং কে বলা হয়ে থাকে সবচেয়ে স্মার্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি গুলোর একটি। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বিশ্বস্ত কাস্টমার সৃষ্টি করা যায়। 

তাহসিনের কথাই ধরুন না, সে যার কলামটি পড়ছিলো, তিনি তাহসিনের নিকট অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ। তার প্রিয় এই জ্ঞানীগুনী মানুষের কলমে জানা তথ্য তাহসিনের নিকট সবচেয়ে বিশ্বস্ত হবে এমন টাই স্বাভাবিক। আর এই বিশ্বস্ততার বিষয়টি মার্কেটাররা বুঝতে পেরে এটিকে একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে রুপান্তর করে ফেলেছে। 

ফলফল হচ্ছে- তাহসিন আইফোনের অন্য সাধারণ এড এর তুলনায় এই এডটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন মনে করবে, এর মাধ্যমে মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য ও হাসিল হবে। তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং একটি স্মার্ট এবং রিলায়বল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি হিসেবে পরিচিত। 

অবশ্যই! নিচে আমি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর তথ্য যুক্ত করছি কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে — যাতে আপনি বিষয়টা আরও গভীরভাবে বুঝতে পারেন এবং প্র্যাকটিক্যালভাবে কাজে লাগাতে পারেন।


✅ কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ধরণ (Types of Content Marketing)

১. ব্লগ কন্টেন্ট (Blog Content):
নিয়মিতভাবে SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লেখা।

২. ভিডিও কন্টেন্ট (Video Content):
YouTube, Facebook বা Instagram এর জন্য ইনফরমেটিভ বা এন্টারটেইনিং ভিডিও তৈরি।

৩. ইনফোগ্রাফিক্স (Infographics):
চিত্রের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন – সহজে শেয়ার হয় এবং বোঝাও যায়।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট:
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন, টুইটার ইত্যাদির জন্য পোষ্ট বা রিলস।

৫. ইমেইল নিউজলেটার:
সাবস্ক্রাইবারদের জন্য নিয়মিত আপডেট বা টিপস পাঠানো।

৬. পডকাস্ট:
যারা অডিও শুনতে পছন্দ করে তাদের জন্য নিদিষ্ট টপিক নিয়ে আলোচনা।

৭. ই-বুক ও কেস স্টাডি:
দীর্ঘ ও গভীর কন্টেন্ট যারা পড়ে তাদের জন্য।


✅ কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের উপকারিতা

🔹 ব্র্যান্ড বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়
🔹 SEO তে র‍্যাঙ্কিং ভালো হয়
🔹 সোশ্যাল শেয়ার বাড়ে
🔹 গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে
🔹 কনভার্সন বাড়ে (ক্রেতা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে)
🔹 কম খরচে মার্কেটিং করা যায়


✅ কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে সফল হবার কিছু টিপস

  1. 🎯 একটি নির্দিষ্ট নিস বা টপিক নির্ধারণ করুন
    — যেমন: ফিটনেস, ফুড, ট্রাভেল, টেক, বেবি কেয়ার, মেন্টাল হেলথ ইত্যাদি।
  2. 🔍 SEO শিখুন (Keyword, On-page SEO, Title optimization)
    — যেন Google এ সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। বিস্তারিত: পড়ুন
  3. 📆 কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করুন
    — কোন দিনে কোন কন্টেন্ট প্রকাশ করবেন তা আগেই ঠিক রাখলে কনসিস্টেন্ট থাকা সহজ হয়।
  4. 📊 Google Analytics ও Search Console ব্যবহার করুন
    — কোন কন্টেন্ট কতটা পারফর্ম করছে তা বুঝতে পারবেন।
  5. 🤝 Collaboration করুন
    — গেস্ট পোস্ট লিখুন, অন্যান্য ব্লগারের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।

✅ কন্টেন্ট মার্কেটিং শিখতে ফ্রি রিসোর্স

প্ল্যাটফর্মকী শিখতে পারবেন
Google Digital Garageডিজিটাল মার্কেটিং ও কন্টেন্ট মার্কেটিং
HubSpot Academyকন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি, SEO
Coursera / edXপ্রফেশনাল কোর্স (কখনো কখনো ফ্রি)
YouTube (ex: Neil Patel, Simplilearn)প্র্যাকটিক্যাল টিপস ও টিউটোরিয়াল

✅ ভবিষ্যতের চাহিদা

📈 ২০২৫ ও তার পরের দিকে কন্টেন্ট মার্কেটিং আরও বড় হবে কারণ:

  • মানুষ Ads এ বিশ্বাস কম করছে, অথচ ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট পছন্দ করছে।
  • কোম্পানিগুলো এখন কনটেন্ট মার্কেটিংয়ে বেশি বাজেট রাখছে।

✅ কন্টেন্ট মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার

আপনি চাইলে নিচের পজিশনগুলোতে কাজ করতে পারেন:

  • 📌 Content Writer
  • 📌 SEO Content Specialist
  • 📌 Copywriter
  • 📌 Content Strategist
  • 📌 Digital Marketer (with content focus)
  • 📌 Freelance Blogger / Affiliate Marketer

আপনি যদি বলেন, আমি আপনাকে একটি রোডম্যাপ বা কন্টেন্ট মার্কেটিং শেখার পরিকল্পনা বানিয়ে দিতে পারি — একদম বিগিনার লেভেল থেকে।

আপনি কি বাংলা ভাষায় কাজ করতে চান, না ইংরেজিতে গ্লোবাল মার্কেট ধরতে চান? 🎯
এই বিষয়টা জানালে আমি আরও পারসোনালাইজড গাইড দিতে পারি।

সতর্কতা (Awareness)

সাধারন রিডারের মধ্যে এই পর্যায়ে প্রোডাক্ট সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে। ধারণা পেয়ে তাদের প্রোডাক্টটি সম্পর্কে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। এই পর্যায়ে একজন কাস্টমার কিনবেন নাকি কিনবেন না, এই সম্পর্কে দ্বিধা দন্ধে থাকেন। মনস্থির করতেই এই পর্যায়ে সময় লেগে যায়। মূলত কৌতুহল সৃষ্টি করাই এই পর্যায়ের মূল উদ্দেশ্য। 

রিসার্চ (Research)

যখন একজন সাধারণ রিডার কোন প্রোডাক্ট এর নাম শুনে থাকেন বা অল্প কিছু ধারণা পেয়ে থাকেন তখন তার কৌতুহল হয় প্রোডাক্ট টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার। বিস্তারিত জানার উদ্দেশ্য হচ্ছে তিনি হয়তো প্রোডাক্ট টি কিনবেন বলে মনে মনে ভাবছেন। ভাবনার বীজ সবে মাত্র বপিত হয়েছে। যখন ই কোন একজন কাস্টমার কোন কিছু কিনবেন বলে মনস্থির করে থাকেন, তখন তারা রিসার্স করা শুরু করে দেন। অর্থাৎ প্রডাক্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে শুরু করেন। গুগল সার্চ করে থাকেন। যেমন- তাদের কোন আইফোন টি কেনা উচিত। কোনটি তারা এফোর্ড করতে পারবে এই পর্যায়ে তারা এটি সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষন শুরু করেন। 

বিবেচনা (Consideration)

এই পর্যায়ে কাস্টমার সব তথ্য হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রোডাক্টের মাঝে তুলনা মূলক পার্থক্য সৃষ্টি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর্যায় এটি। দাম থেকে শুরু করে কোন প্রোডাক্টটি তারা এফোর্ড করতে পারবে কিনা এই সবকিছুর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। কোথায় সবচেয়ে সুলভ মুল্যে কিনতে পারবেন, সেই সম্পর্কেও সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। অর্থাৎ কোন মডেলের আইফোন কিনবেন এবং কোথা থেকে কিনবেন এই সম্পর্কে ডিসিশন নিয়ে থাকেন। 

কেনা (Buy)

এই পর্যায়ে তারা তাদের পছন্দের প্রোডাক্ট টি কিনে নিয়ে থাকেন। সব সিদ্ধান্ত আগের পর্বেই শেষ করে আসেন। 

অর্থাৎ একটি পন্য সেল করাতে হলে রিডারকে এই পদ্ধতির মধ্যদিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর কন্টেন্ট মার্কেটিং এই বিষয়টিকে নিয়েই কাজ করে থাকে। 

কন্টেন্ট মার্কেটিং একটি স্মার্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। সাধারণত ভোক্তারা বিষয়টি বুঝতে পারে না। তাহসিনের ঘটনাটাই দেখুন না। তাহসিনের মত করে কত শতাংশ চিন্তা করে থাকে? সবাই বুঝতে পারে না যে আসলে এটি কি উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। আমরা ফেসবুকে ও হরহামেশা এই ধরনের কন্টেন্ট দেখতে পাই। এদের মধ্যে কিছু আছে সাধারণ ইউজার। তারা নিজেরাও জানে না কিভাবে তারা একটা ব্রান্ডকে প্রমোট করে ফেলছে। এছাড়া বাদ বাকি যত মার্কেটার যারা আছে, তারা কিন্তু বিষয়টা বেশ ভালো ভাবে জানেন এবং বুঝে থাকেন।

 কথা বলছিলাম কেন কন্টেন্ট মার্কেটিং আপনার জন্য প্রয়োজন তা নিয়ে। কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কোন পন্যের প্রতি আকৃষ্ট করে নেওয়া যায় খুব সহজে। এই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর বিশেষ জনপ্রিয়তা গড়ে উঠেছে – ভোক্তারা বেশিরভাগ ই মনে করে উঠতে পারেনা এটি মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে তৈরি, এজন্য।

এই মার্কেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি প্রথমে ইউজারদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারবেন। মানে তাদের কে প্রথমে প্রোডাক্টটি সম্পর্কে অবগত করাতে পারবেন। এর পরের ধাপ গুলো নিজে নিজে গ্রাহক আগের কন্টেন্টের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে সম্পন্ন করবে। সব শেষে মার্কেটারদের মিশন শেষ হবে  কাস্টমারকে কোন প্রোডাক্ট কিনিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে। 

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

ঘরে বসে টাকা আয় করার কিছু পরামর্শ

Leave a Comment