একতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে কিভাবে লাভ – লোকসান নির্ণয় প্রক্রিয়া আলোচনা

Advertisement

যেসব প্রতিষ্ঠান দুই তরফা দাখিলা পদ্ধতি মোতাবেক তাদের হিসাবের বই সংরক্ষণ করে না অর্থাৎ একতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের লাভ-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় পদ্ধতি আলাদা। নিম্নে একতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে লাভ-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় পদ্ধতি অলোচনা করা হলো—

লাভ/ক্ষতি = (সমাপনী মূলধন + উত্তোলন) – (প্রারম্ভিক মূলধন + অতিরিক্ত মূলধন)

এখানে, প্রারম্ভিক মূলধন = প্রারম্ভিক মোট সম্পদ — প্রারম্ভিক মোট দায় এবং

সমাপনী মূলধন = সমাপনী মোট সম্পদ — সমাপনী মোট দায়

উদাহরণ : ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে রাবেয়া ট্রেডার্সের প্রারম্ভিক মোট সম্পদ ও প্রারম্ভিক মোট দায়ের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১,৮০,০০০ টাকা ও ৭৫,০০০ টাকা। ৩১ ডিসেম্বর তারিখে উক্ত ব্যবসায়ের নিম্নোক্ত সম্পদ ও দায়গুলো ছিল :

নগদ ৮০,০০০ টাকা, মজুদ পণ্য ৩৪,০০০ টাকা, দেনাদার ৯৬,০০০ টাকা, আসবাবপত্র ৪০,০০০ টাকা, পাওনাদার ৪৫,০০০ টাকা এবং ব্যাংকঋণ ৫০,০০০ টাকা। বছরের মাঝামাঝি মালিক অতিরিক্ত মূলধন আনয়ন করেন ৬০,০০০ টাকা এবং ব্যবসায় থেকে সারা বছরে মালিক নগদ উত্তোলন করেন ৩৫,০০০ টাকা।

উপরোক্ত তথাদি থেকে প্রারম্ভিক মূলধন, সমাপনী মূলধন এবং লাভ-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করো।

Advertisement

সমাধান : প্রারম্ভিক মূলধন = প্রারম্ভিক মোট সম্পদ — প্রারম্ভিক দায়

                     = ১,৮০,০০০ — ৭৫,০০০ = ১,০৫,০০০ টাকা।

সমাপনী মূলধন = সমাপনী মোট সম্পদ — সমাপনী মোট দায়

    = (নগদ + মজুদ পণ্য + দেনাদার + আসবাবপত্র) — (পাওনাদার + ব্যাংকঋণ)

    =(৮০,০০০+৩৪,০০০+৯৬,০০০+৪০,০০০)— (৪৫,০০০ + ৫০,০০০)

    = ২,৫০,০০০ — ৯৫,০০০  = ১,৫৫,০০০ টাকা।

লাভ/ক্ষতি = (সমাপনী মূলধন + উত্তোলন) – (প্রারম্ভিক মূলধন + অতিরিক্ত মূলধন)

    = (১,৫৫,০০০ + ৩৫,০০০) — (১,০৫,০০০ + ৬০,০০০)

    = ১,৯০,০০০ — ১,৬৫,০০০  = ২৫,০০০ টাকা (লাভ)

    অতএব, লাভের পরিমাণ ২৫,০০০ টাকা।

H.S.C

Advertisement 5

Advertisement 2

Advertisement 2

Advertisement 3

1 thought on “একতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে কিভাবে লাভ – লোকসান নির্ণয় প্রক্রিয়া আলোচনা”

Leave a Comment