একজন কর্মীর কাজের ব্যর্থতার শান্তিস্বরুপ কী হতে পারে গুবিশ্লেষণ কর

একজন কর্মীর কাজের ব্যর্থতার শান্তিস্বরুপ কী হতে পারে গুবিশ্লেষণ কর।
নির্দেশনাঃ
ক, পদাবনতি ধারনা ব্যাখ্যা করবে।
খ, পদাবনতির কারণ ও ফলাফল বর্ণনা করবে।
গ, পদাবনতির পক্ষে যুক্তি প্রদান করবে।
ঘ, উত্তরের স্বপক্ষে নিজস্ব মতামত প্রদান করবে

উত্তর সমূহ:

ক, পদাবনতি ধারনা ব্যাখ্যা করবে।

উত্তর:

বরখাস্তকরণ পদ্ধতিটি যদি ব্যর্থ হয় এবং প্রতিষ্ঠান যদি তারপরও অপরাধী কর্মীকে
চাকুরীচ্যুত করতে না চায়, তবে পদাবনতি পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত কারণে শাস্তিস্বরূপ পদাবনতি পদ্ধতি কমই ব্যবহার করে, কারণ এ ব্যবস্থা শুধুমাত্র অপরাধী কর্মীকেই মনোবলহীন করে না, একই সাথে কর্মীর সহকর্মীদেরকেও মনোবলহীন করতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আরো একটি দিক হলো, বরখাস্তকরণের মত এটি অস্থায়ী ব্যবস্থা নয়। ফলে পদাবনতি প্রাপ্ত ব্যক্তি সবসময় অন্তর্জ্বালায় ভুগতে থাকে যা তার প্রেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করে।

কর্মরত কর্মীদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে কর্মীকে উচ্চতর পদে আসীন করা হলে তাকে পদোন্নতি বলে।

আর এর বিপরিত দিক হলো বতমান পদ থেকে নিচে পদে কাজ কার বা অবনতি হওয়াকে বুঝায়

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


খ, পদাবনতির কারণ ও ফলাফল বর্ণনা করবে।

উত্তর:

১. কাজে অনুপস্থিতি ঃ ব্যবস্থাপকদের জন্য একটি বড় সমস্যা হলো কর্মীদের কাজে অনুপস্থিতি। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মীর জন্য কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। কর্মীদের স¤িমলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারে।
যদি একজন কর্মী কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে প্রতিষ্ঠানের জন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাময়িকভাবে হয়তো অন্য কাউকে দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু কর্মী দীর্ঘদিন বা ঘন ঘন অনুপস্থিত থাকলে তা ব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যাপক সমস্যা হিসাবে দেখা দিতে পারে। কর্মী কেন ঘন ঘন কাজে অনুপস্থিত থাকে? এই প্রশ্নের সরাসরি বা যথাযথ উত্তর পাওয়া একটু কঠিন, তবে বেশ কয়েকটি কারণ আমরা পেতে পারি। প্রথমত, অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রাতষ্ঠানিক লক্ষ্যের সঙ্গে কর্মীর লক্ষ্যের কোন সামঞ্জস্য থাকে না। কর্মী যখন কাজের সঙ্গে বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না, তখন তার কাজে উপস্থিতির হার কমে যায়। দ্বিতীয়ত, কর্মীদের কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। অনেক কর্মীর ক্ষেত্রে তাদের কাজ তাদের জীবনের একমাত্র আকর্ষণ নয়। ফলে, যথাযথ সময়ে কাজে উপস্থিত হওয়া তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচিত হয় না। তৃতীয়ত, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা বা পটভুমি (ইধপশমৎড়ঁহফ) ভিন্ন হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


২. কাজের অভ্যন্তরে আচরণ ঃ দ্বিতীয় শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাটি সৃষ্টি হতে পারে কাজের অভ্যন্তরে কর্মীর আচরণ থেকে। এই ধরনের সমস্যার মধ্যে রয়েছে আবাধ্যতা, কাজে হৈ চৈ সৃষ্টি, সহকর্মীদের সঙ্গে বিবাদ, কাজে নিরাপত্তার নিয়ম না মানা, অসর্তকতা, অর্পিত কাজ যথাসময়ে শেষ করার ক্ষেত্রে অলসতা ইত্যাদি। এই সমস্ত আচরণ প্রতিষ্ঠানের আইন
সরাসরি ভঙ্গের সামিল। যেমন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ আমান্য করা কিংবা সহকর্মীদের সংগে ঝামেলা সৃষ্টি করা কার্যক্ষেত্রে একেবারেই নিষিদ্ধ। যেহেতু এই সমস্ত আচরণ প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়, সেহেতু এই সমস্ত শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কর্মীর বা কর্মীদের বিপক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৩. কাজে অসৎ আচরণ ঃ কাজে অসৎ আচরণের জন্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রাখে। পাশ্চাত্যে আজকাল ‘সততার পরীক্ষা’ নামে একটি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান জানতে পারে একজন কর্মীর আচরণে অসৎ হওয়ার প্রবণতা কতটা। একজন কর্মী যদি তার কর্মী জীবনে একবারও অসৎ আচরণ প্রদর্শন করেন, তা হলেই তিনি চিরদিনের জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তির তালিকায় থাকবেন। ভুল হোক বা ঠিক হোক, এটা ধরে নেওয়া হয় যে, যিনি একবার অসৎ হতে পেরেছেন তার আরো অসৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠান ঐ কর্মীকে বা কর্মীদেরকে কিছুটা আলাদা করে দেখতে পারে।


৪. কাজের বাইরের কার্যক্রম ঃ কার্য ক্ষেত্রে শৃঙ্খলাজনিত সমস্যার তালিকায় এমন কিছু কাজ আছে যা কর্মী কাজের বাইরে করেন, কিন্তু ঐগুলি তার কাজকে প্রভাবিত করে এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণাত্নক ভাবমূর্তি সৃষ্টি করে। যেমন, আইন বহির্ভূত ধর্মঘট, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করা। এছাড়া ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মী কর্তৃ

প্রতিষ্ঠানের দূর্নাম করা কিংবা প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ স¤পর্কে যে কোন স্থানে প্রশ্ন তোলাও এই ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত সমস্যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
একজন কর্মী তার কার্যক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ ঘন্টা অবস্থান করেন; কিন্তু তার বাহ্যিক কাজ যদি প্রতিষ্ঠানকে বিব্রত করে, তাহলে প্রতিষ্ঠান তার বিপক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত ব্যবস্থাপক
স্তরে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে দেখা যায়।

বিশৃঙ্খলার কারণ সমূহ


প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কম বেশী শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা রয়েছে, তবে বিশৃঙ্খলা যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্যই অনভিপ্রেত। তবুও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং এই বিশৃঙ্খলার কারণ সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো

১. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দূর্ব্যবহার ঃ প্রতিটি কর্মীই তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে যথাযথ ব্যবহার আশা করেন। কারণ ভালো ব্যবহার একজন কর্মীকে ভালো কাজে উদ্দীপ্ত করে। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্মকর্তা যদি প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করেন তাহলে কর্মীর মধ্যে ক্রোধের সঞ্চার হতে পারে। এর ফলে এক সময় কর্মীর মধ্যে নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতা দেখা
যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


২. চাপা ক্ষোভ ঃ একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। এই সমস্ত সমস্যার অধিকাংশগুলি তাদের কাজের সঙ্গে স¤পর্কযুক্ত। অনেক সময় দেখা যায় যে, কর্মীরা সমস্যা স¤পর্কে ব্যবস্থাপককে জানাচ্ছেন, কিন্তু
কোন ধরনের প্রতিকার বা সহানুভূতি পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে কর্মীদের মনে চাপা ক্ষোভের জš§ হয় এবং তারা বিশৃঙ্খ আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ হয়।


৩. চাকুরী জনিত সমস্যা ঃ একজন কর্মী যখন চাকুরীতে যোগদান করেন, তখন তার মধ্যে স্বাভাবিক আশা থাকে ন্যায্য বেতন ও মজুরী পাওয়ার, পদোন্নতি পাওয়ার এবং কাজের সুন্দর পরিবেশ পাওয়ার। যখন সে ন্যয্য বেতন পায় না, কাজের সুন্দর পরিবেশ পায় না এবং দেখতে পায় যে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়ম কানুন মানা হচ্ছে না, তখন তার মধ্য ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এতে করে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে বাধ্য হয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


৪. ব্যবস্থাপকের স্বেচ্ছাচারিতা ঃ কর্মীরা ব্যবস্থাপকের যুক্তিসঙ্গত আচরণ আশা করেন, কারণ ব্যবস্থাপকই প্রতিষ্ঠানের সার্বিক তত্ত¦াবধনের দায়িত্বে নিয়োজিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক স্বেচ্ছাচারী আচরণ প্রদর্শন করেন, সাধারণ নিয়ম কানুন অনুসরণ করেন না। ফলে কর্মীরা তিক্ত বিরক্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে প্রবৃত্ত হয়।


৫. নিয়ম-কানুন স¤পর্কে অজ্ঞতা ঃ অনেক প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের সঙ্গে ব্যবস্থাপনার যোগাযোগের পরিমাণ সীমিত। এর ফলে ব্যবস্থাপনার নির্ধারিত অনেক নিয়মকানুন স¤পর্কে কর্মীরা অজ্ঞ থাকে। এর ফলে কোন কাজ করলে নিয়ম শৃঙ্খলা ভাঙ্গা হবে তা তারা জানতে পারে না এবং কর্মীরা অজ্ঞতার জন্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ জনিত অনেক কাজ করে ফেলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


৬. ট্রেড ইউনিয়নের প্ররোচনা ঃ যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিক সংঘ আছে, সে ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন অনেক সময় শ্রমিকদেরকে বিশৃঙ্খল আচরণে প্ররোচিত করে। এই প্ররোচনার কারণ শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা হতে পারে আবার ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্যও হতে পারে। তবে ট্রেড ইউনিয়ন কর্তৃক প্ররোচনার ক্ষেত্র
বিশৃঙ্খলার মাত্রা ব্যাপক হয়

পদাবনতি ফলাফল

12
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


গ, পদাবনতির পক্ষে যুক্তি প্রদান করবে।

উত্তর:

বরখাস্তকরণ পদ্ধতিটি যদি ব্যর্থ হয় এবং প্রতিষ্ঠান যদি তারপরও অপরাধী কর্মীকে
চাকুরীচ্যুত করতে না চায়, তবে পদাবনতি পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত কারণে শাস্তিস্বরূপ পদাবনতি পদ্ধতি কমই ব্যবহার করে, কারণ এ ব্যবস্থা শুধুমাত্র অপরাধী কর্মীকেই মনোবলহীন করে না,

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

একই সাথে কর্মীর সহকর্মীদেরকেও মনোবলহীন করতে পারে।
আরো একটি দিক হলো, বরখাস্তকরণের মত এটি অস্থায়ী ব্যবস্থা নয়। ফলে পদাবনতি প্রাপ্ত ব্যক্তি সবসময় অন্তর্জ্বালায় ভুগতে থাকে যা তার প্রেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করে। শৃঙ্খলা বিধান কাজের জন্য যদি পদাবনতি ব্যবহার করা হয়, তাহলে তিনটি উপাদান উপস্থিত থাকতে হবে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১) কর্মীকে যে পদে পদাবনতি দেওযা হবে সেই পদের কাজ স¤পন্ন করার সামর্থ তার আছে

২) কর্মীকে চাকুরীচ্যুত করার বিষয়ে ব্যবস্থাপনার নীতিগত বা আইনগত বাধা আছে

৩) পদাবনতি সমস্যা সংকুল কর্মীকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ করবে

উল্লিখিত তিনটি উপাদানের উপস্থিতিতে পদাবনতি প্রদান করলে কর্মী বুঝতে পারে যে, সে যদি তার আগের অবস্থা ফিরে পেতে চায় তবে নিজকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করতে হবে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে। তাকে আরো বুঝাতে হবে যে,

ব্যবস্থাপনা প্রতিনিয়ত প্রাতিষ্ঠানিক আইন ভঙ্গজনিত কাজকে উপেক্ষা করবে না। তবে পদাবনতি পদ্ধতিটি সাধারণত ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় না। বিশেষত ব্যবস্থাপনা এবং পেশাজীবি কর্মীদের ক্ষেত্রে পদাবনতি পদ্ধতির ব্যবহার খুবই
কম।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শৃঙ্খলা বিধান প্রক্রিয়ার ছয়টি ধাপ রয়েছে : লিখিত মৌলিক সতর্কতা, লিখিত সতর্কতা, বরখাস্ত, পদাবনতি, বেতন বা মজুরী কর্তন, চাকুরী চ্যূতি। এই ছয়টি ধাপের মধ্যে পদাবনতি ও বেতন বা মজুরী কর্তন এই দু’টি ধাপ ঘন ঘন ব্যবহার করা হয় না, তবে এই দু’টি ধাপের গুরুত্ব অপরিসীম।

শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত কারণে ব্যবস্থাপক কর্মীকে যে মৌখিক ভর্ৎসনা করেন ব্যবস্থাপক তা লিখিত ভাবে নিজস্ব কর্মী ফাইলে রাখেন। এই পদ্ধতিকে লিখিত মৌখিক সতর্কীকরণ বলে এবং এই রেকর্ড একটি সাময়িক রেকর্ড যা শুধুমাত্র ব্যবস্থাপকদের কাছে থাকে। লিখিত মৌখিক সতর্কীকরণে কর্মীর সঙ্গে শৃঙ্খলা ভঙ্গ জনিত কারণে ব্যবস্থাপক যে সাক্ষাৎকার পরিচালনা করেন তার উদ্দেশ্য,
তারিখ, ফলাফল লিপিবদ্ধ করা হয়।

মৌখিক সতর্কীকরণের সঙ্গে লিখিত মৌখিক সতর্কীকরণের পার্থক্য হলো, মৌখিক সতর্কীকরণে শুধু মৌখিকভাবে কর্মীকে সতর্ক করা হয়। লিখিত সতর্কীকরণ প্রদানের পূর্বে যে কাজগুলি করা হয় তা অনেকটা লিখিত মৌখিক সতর্কীকরণ ধাপের অনুরূপ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

যেমন, কর্মীর সঙ্গে একক ভাবে তার শৃঙ্খলা ভঙ্গ জনিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, এর ফলাফল কী হলো তা জানানো হয় এবং ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধের জন্য কী শাস্তি হবে তা ব্যাখ্যা করা হয়। পার্থক্য হলো যে, এই ধাপে অতঃপর কর্মীকে জানানো হয় যে, তাকে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত সতর্কীকরণ পত্র দেওয়া হবে।

বরখাস্তকরণ শৃঙ্খলা বিধান কাজের পরবর্তী ধাপ এবং এটি অনুসরণ করা হয় পূর্ববর্তী ধাপগুলি ব্যবহার করে যদি আশানুরূপ ফল না পাওয়া যায়। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে লিখিত মৌখিক সতর্কীকরণ এবং লিখিত সতর্কীকরণ প্রয়োগ না করে সরাসরি কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়, যদি কর্মী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের মাত্রা মারাত্মক হয়। বরখাস্তকরণ পদ্ধতিটি যদি ব্যর্থ হয় এবং প্রতিষ্ঠান যদি তারপরও অপরাধী কর্মীকে চাকুরীচ্যুত করতে না চায়, তবে পদাবনতি পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত কারণে শাস্তিস্বরূপ পদাবনতি পদ্ধতি কমই ব্যবহার করে, কারণ এ ব্যবস্থা শুধুমাত্র অপরাধী কর্মীকেই মনোবলহীন করে না, একই সাথে কর্মীর সহকর্মীদেরকেও মনোবলহীন করতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


ঘ, উত্তরের স্বপক্ষে নিজস্ব মতামত প্রদান করবে

উত্তর:

শৃঙ্খলা বিধান প্রক্রিয়ার ছয়টি ধাপ রয়েছে : লিখিত মৌলিক সতর্কতা, লিখিত সতর্কতা, বরখাস্ত, পদাবনতি, বেতন বা মজুরী কর্তন, চাকুরী চ্যূতি। এই ছয়টি ধাপের মধ্যে পদাবনতি ও বেতন বা মজুরী কর্তন এই দু’টি ধাপ ঘন ঘন ব্যবহার করা হয় না, তবে এই দু’টি ধাপের গুরুত্ব অপরিসীম।

এখানে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত কারণে শাস্তিস্বরূপ পদাবনতি পদ্ধতি কমই ব্যবহার করে, কারণ এ ব্যবস্থা শুধুমাত্র অপরাধী কর্মীকেই মনোবলহীন করে না, একই সাথে কর্মীর সহকর্মীদেরকেও মনোবলহীন করতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

H.S.C

2 thoughts on “একজন কর্মীর কাজের ব্যর্থতার শান্তিস্বরুপ কী হতে পারে গুবিশ্লেষণ কর”

Leave a Comment