এইচএসসি ২০২২ পরীক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ইসলাম শিক্ষা ১ম পত্র উত্তর, ইসলামি সংস্কৃতি চর্চায় মক্তব শিক্ষার গুরুত্ব পর্যালােচনা করে প্রতিবেদন প্রণয়ন

অ্যাসাইনমেন্ট: ইসলামি সংস্কৃতি চর্চায় মক্তব শিক্ষার গুরুত্ব পর্যালােচনা করে প্রতিবেদন প্রণয়ন;

শিখনফল/বিষয়বস্তু:

ইসলাম শিক্ষায় মক্তব: ধারণা, কার্যাবলী, প্রয়ােজনীয়তা;

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):
১। মক্তবের ধারণা;

২। মক্তবের কার্যাবলী;

৩। মক্তবের প্রয়ােজনীয়তা;

৪। বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে মক্তব শিক্ষার সুবিধা গুলাে বর্ণনা;

৫। মক্তব শিক্ষার অসুবিধা উত্তোরণের উপায়;

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

তারিখ : — সেপ্টেম্বর , ২০২১ খ্রি .
বরাবর , প্রধান শিক্ষক রাকিবুল স্কুল ,ঢাকা।
বিষয় : পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ’ বিষয়ক প্রতিবেদন।।

জনাব,
বিনতি নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং বা.উ.বি.৩৫৫-১ তারিখ ১৩/৯/২০২১ অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিন্মে পেশ করলাম ।

মক্তবের ধারণা;

ইসলামীয় শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার প্রতিষ্ঠানকে মক্তব বলা হয়। মক্তবে জ্ঞানী এবং দক্ষ শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতেন।

মক্তব (আরবি: مكتب‎‎)[১] বা মাক্তাবিহ (আরবি: مكتبة‎‎)[২] বা মাক্তাবখানা (ফার্সি: مكتب، مکتبخانه‎‎) , আল কোত্তাব (আরবি: الكتَّاب‎‎ Kottāb ) বলেও পরিচিত (আরবি: الكتَّاب‎‎ Kottāb )[৩] হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরবি প্রতিশব্দ। শিশুদের পড়া, লেখা, ব্যাকরণ ও ইসলামি বিষয়াদি শিক্ষাদান এর মূল কাজ হলেও অন্যান্য ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক বিষয়ও এর অন্তর্ভুক্ত। ২০ শতকের আগ পর্যন্ত মক্তব মুসলিম বিশ্বে জনশিক্ষার একমাত্র মাধ্যম ছিল। সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রকার উদ্যোগে মক্তব প্রতিষ্ঠিত হত।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে মক্তব একটি প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা। এতে শিক্ষকরা তাদের সামনে মেঝেতে বসা ছাত্রদের শিক্ষাদান করতেন। ইসলাম ও ধ্রুপদি আরবি ভাষা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে কুরআন মুখস্থ করানোর প্রতি মূল মনোযোগ দেয়া হত। আধুনিক স্কুলের সংখ্যাবৃদ্ধির সাথে সাথে মক্তবের সংখ্যা কমে গিয়েছে।

আধুনিক আরবিতে মক্তব (আরবি: مكتب‎‎) ইংরেজি অফিস বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে মাকতাবিহ (আরবি: مكتبة‎‎) দ্বারা গ্রন্থাগার বা পাঠের স্থান বোঝানো হয়। আল কোত্তাব (আরবি: الكتَّاب‎‎) দ্বারা বইয়ের বই অর্থও বোঝানো হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা
ইবনে সিনা লিখেছেন যে শিশুদেরকে ৬ বছর বয়সে মক্তবে পাঠানো উচিত। তার মতে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা দিতে হবে এবং এ সময়ের মধ্যে তাদের কুরআন, ইসলামী অধিবিদ্যা, ভাষা, সাহিত্য, ইসলামী নীতিবিদ্যা ও অন্যান্য দক্ষতা, যেমন বিভিন্ন ব্যবহারিক জ্ঞান শিক্ষা দেয়া হবে।

মাধ্যমিক শিক্ষা
ইবনে সিনা মক্তবের মাধ্যমিক শিক্ষাকে বিশেষায়িত সময় বলে উল্লেখ করেছেন যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সামাজিক অবস্থানের আওতামুক্ত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠবে। তিনি লিখেছেন যে ১৪ বছরের পর একজন শিশুকে শিক্ষার জন্য নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত যাতে সে তার ভবিষ্যত কর্মজীবনের জন্য পথ খুজে নিতে পারে। তার মতে এটা একটি অন্তর্বর্তী অবস্থা এবং শিক্ষার্থীর মানসিক উন্নয়ন ও পছন্দের বিষয়কে হিসেব করতে বিধায় শিক্ষা সমাপ্তি সময় বয়সের কারণে সহজতা প্রদান করা উচিত।

মক্তবের কার্যাবলী;

মক্তব এর কার্যাবালিসমূহ :

  • কায়দা।
  • আমপারা।
  • চল্লিশটির মত হাদিস পাঠদান।
  • নজরানা।
  • মাসনুন দোয়া।
  • মাসআলা মাসায়েল।
  • তাজবীদ।
  • আক্বীদা বিষয়ক প্রথমিক পাঠদান।

মক্তবের প্রয়ােজনীয়তা;

মক্তব ইসলামী শিক্ষা অর্জনের প্রাচীন এবং প্রথম শিক্ষা কেন্দ্র। মহানবী (সা.) ছিলেন এই শিক্ষা কেন্দ্রের প্রথম ও প্রধান শিক্ষক। মক্তবের পরিচয় : ‘মক্তব’ আরবি শব্দ। এর অর্থ_লেখার স্থান, শিক্ষা কেন্দ্র, বিদ্যালয় ইত্যাদি। আবার ‘মাক্তাবুন’ দ্বারা লাইব্রেরি বা উচ্চশিক্ষা কেন্দ্রকেও বোঝায়। ব্যবহারিক অর্থে ছোট ছোট মুসলিম বালক-বালিকার প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষায়তনকে বলা হয় মক্তব।

ইসলাম শিক্ষায় মক্তবের ভূমিকা :

১. আদর্শ শিক্ষালয় : একটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক গুণাবলির উন্নয়নই শিক্ষার উদ্দেশ্য। মক্তবে শিশুর মনে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের ভিত্তি স্থাপিত হয়। প্রতিটি কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে_এ ধারণাটি দেওয়া হয়। মক্তবে পড়ুয়া শিশু বড় হয়ে আল্লাহকে অস্বীকার করে না এবং অন্যায়, অবাধ্য ও সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত হয় না। যে শিক্ষা আখিরাতের চেতনা সৃষ্টি করে না, নৈতিকতার প্রশ্ন নেই, তা অপ্রয়োজনীয় এবং অর্থহীন।

২. প্রাথমিক শিক্ষায়তন : শিশুদের মন শৈশবে কাদামাটির মতো কোমল থাকে। এ সময় তাদের যেমন খুশি তেমন করে গড়ে তোলা যায়। আর শৈশবের শিক্ষাই স্থায়ী হয়ে থাকে। একজন মনীষী বলেছেন : ‘শৈশবের শিক্ষা পাথরে খোদাই করা চিত্রাঙ্কনের মতো স্থায়ী।’ শিশুরা সহজে এবং আনন্দের সঙ্গে মক্তবেই তাদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে।

৩. কোরআন-হাদিস শিক্ষা কেন্দ্র : মক্তবে শিশুরা কোরআন-হাদিসের প্রাথমিক শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়। তাদের এর উপকারিতা এবং কল্যাণ সম্পর্কেও জ্ঞান দেওয়া হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন : ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম, যে নিজে কোরআন শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’

৪. ইমান শিক্ষা : ইমান ছাড়া সব ভালো কাজই অর্থহীন। আল্লাহ, ফেরেশতা, নবী-রাসুল, আসমানি কিতাব, পরকাল, হাশর-নাশর ইত্যাদি সম্পর্কে শিশুদের মনে বিশ্বাসের ভিত মজবুত করা হয়।

৫. মাসয়ালা শিক্ষা : মুসলিমজীবনে কিভাবে চলতে হবে, ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, হালাল, হারাম, মাকরূহ, মুবাহ ইত্যাদি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা দিয়ে থাকে মক্তব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৬. পরিচ্ছন্নতার প্রাথমিক জ্ঞান : মক্তবে শিশু অজু-গোসল, পাক-পবিত্রতার নিয়ম-কানুন শেখার পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করে। এতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে ওঠে। শরীর এবং পোশাক পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতেও যত্নবান হয়।

৭. আদব-কায়দা শিক্ষা : সমাজে বাবা-মা, ভাইবোন, ছোট বড়, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী_কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়, সহপাঠীদের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হয়, মক্তবে এসব আদব-কায়দা শিক্ষা দেওয়া হয়।

৮. মমত্ববোধ : মক্তবে বিভিন্ন পরিবারের ছেলেমেয়েরা একত্রে মিলেমিশে থাকে। তাই তাদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি মমত্ব ও সহমর্মিতা গড়ে ওঠে। তারা সমাজের সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলতে অভ্যস্ত হয়।

৯. নিরক্ষরতা দূরীকরণ : মক্তবভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় একদিকে যেমন কোনো শিশুই নিরক্ষর ও শিক্ষাবঞ্চিত থাকে না, তেমনি অবসর সময়ে স্বল্প ব্যয়ে সফলভাবে বয়স্ক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ থেকে নিরক্ষরতার অভিশাপ দূর করা যায়।

১০. দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি : মক্তবে শিশুদের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। এখানে নবী-রাসুল, সাহাবি এবং মনীষীদের দেশপ্রেমের বিষয়টিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে পেশ করে তাদের দেশের প্রতি দায়িত্বশীল করে তোলার চেষ্টা করা হয়।

বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে মক্তব শিক্ষার সুবিধা গুলাে বর্ণনা;

কোরআনে কারিম আল্লাহতায়ালার কিতাব। এটা মানবতার জন্য দিকনির্দেশনা ও আলোকবর্তিকা। কিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতি যত সমস্যার সম্মুখীন হবে, তাদের যা যা প্রয়োজন হবে সব বিষয়ের বর্ণনা রয়েছে কোরআনে কারিমে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন,

‘এবং আমি আপনার প্রতি এমন কিতাব নাজিল করেছি, যা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা। হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্য সুসংবাদ।’ সুরা নাহল : ৮৯

কোরআনে কারিমের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, যে ব্যক্তি এটি বোঝার ও অনুধাবন করার চেষ্টা করে, সে তাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে, হৃদয়ে নাড়া দেয়। অন্তরকে মার্জিত ও পরিশীলিত করে। আত্মাকে করে সংশোধিত। মানুষকে নেক আমলের প্রতি উৎসাহী করে তোলে। তার প্রভাব শুধু মানবকুল পর্যন্তই সীমিত নয়; বরং একে যদি খুব মজবুত ও শক্ত পাহাড়ে অবতীর্ণ করানো হতো তাহলে অবশ্যই সেটি কেঁপে উঠত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন,

‘যদি আমি এ কোরআন পাহাড়ের ওপর অবতীর্ণ করতাম, তবে আপনি দেখতে পেতেন যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহতায়ালার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে, আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্য বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তাভাবনা করে।’ সুরা হাশর : ২১

মক্তবে কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষা দেয়া হয় আদব-ক্বায়দা! মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন মুরুব্বীদের দেখলে সালাম দেওয়া, সুন্দর ভাষায় কথা বলা, সম্মান দেয়া ইত্যাদি। যখন একজন কুরআন শরিফ পড়তে পারে তখন মোটামুটি সে মক্তব পাশ করে। শেখা হয় চলমান জীবনের প্রয়োজনীয় দ্বীনি শিক্ষা। আদব কায়দা তথা নীতি নৈতিকতা, কিভাবে বড়দের দেখলে সালাম দিতে হয়, সম্মান দিতে হয়। মক্তবে শেখানো হয় সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা। অন্যজনের জিনিস বিনা অনুমতিতে না ধরা, শুনানো হয় বিভিন্ন শিক্ষা মূলক গল্প।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

মক্তবে কোরআন ও হাদিসের পাঠদানের পাশাপাশি ইবাদত-বন্দেগি, অজু, গোসল, নামাজ, রোজাসহ বিভিন্ন বিষয়েও শিক্ষা দেওয়া হয়। মক্তবের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবহারিক জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মক্তবে আদব-কায়দা, শিষ্টাচার, সভ্যতা, ভদ্রতা, সৌজন্যতা, নম্রতা বড়দের শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করার শিক্ষা দেওয়া হয়। তাছাড়া হালাল-হারাম, পাক-পবিত্রতাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়াদি সম্পর্কে জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা খুব সহজে দেওয়া হয়।

মক্তব শিক্ষার অসুবিধা উত্তোরণের উপায়;

একটা সময় ছিল, শিশুশিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তিই ছিল মক্তব শিক্ষা। শিশুরা শৈশবে পিতা-মাতার কাছ থেকে শিক্ষার হাতেখড়ি নিয়ে মক্তবে চলে যেত। এর মাধ্যমে তাদের প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত হতো। মক্তব শিক্ষা মসজিদকেন্দ্রিক হওয়ায় নিজ ঘর ছাড়া আল্লাহর ঘরে নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে প্রবেশ করার সুযোগ রয়েছে। কারণ মসজিদে প্রবেশের জন্য কোনো সময়ই কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

মক্তবে শিশুরা নৈতিকতা শিক্ষার বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা লাভ করে। যেগুলো পরবর্তী জীবনে পালন করা বেশ সহজ হয়। বলতে দ্বিধা নেই, শিক্ষাজীবনের শুরুতে মানসিক ও নৈতিক গুণাবলির জীবনে যতটা প্রভাব সৃষ্টি করে, তা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর হয়ে ওঠে না। এ কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় আদর্শ ও নৈতিকতার বিষয়টি বারবার আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতা চর্চা বাড়ানোর জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করতে হচ্ছে। অথচ এটা গঠনের সময় ছিল, শিশুকালে। তখনকার এই ঘাটতির মারাত্মক পরিণতি এখন আমরা প্রতিনিয়ত অবলোকন করছি। শিক্ষাজীবনের শুরুতে মন ও মস্তিষ্কে স্থান করে নেওয়া নৈতিক শিক্ষাগুলো মানুষ সাময়িক পালন না করলেও তা সব সময় মানুষের বিবেককে তাড়া করে। ফলে কর্মজীবনে কেউ সাময়িক বিচ্যুতির পথে হাঁটলেও একসময় না একসময় সে সঠিক পথ খুঁজে পায়।

বিশুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা, ইবাদত-বন্দেগির নিয়ম, প্রয়োজনীয় দোয়া-দরুদ শিক্ষার ক্ষেত্রে মক্তবের ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয়। কোরআন শিক্ষার বিষয়ে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন,

‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম, যে নিজে কোরআন শেখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন,

‘কোরআন শরিফ তেলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদত।’

মক্তব জনশিক্ষার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হলেও বর্তমানে মসজিদকেন্দ্রিক এই শিক্ষা বিলুপ্তির পথে। এর অন্যতম কারণ হলো, দিন দিন ধর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়া। তাছাড়া শহরকেন্দ্রিক মানুষ সকালে শিশু-কিশোরদের নানা কারণে আগের মতো মক্তবে পাঠায় না। ফলে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে সমাজ।

তাই আমাদের কর্তব্য হলো, ব্যক্তি থেকে শুরু করে সামাজিক পর্যায়ে মক্তব শিক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া, মক্তব শিক্ষাকে গণমুখী ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা। এ শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটুকু দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে বাস্তবতার নিরিখে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া, মক্তবকে সুসংগঠিত করা এবং এর কার্যক্রমকে বেগবান করা।

প্রতিবেদকের নাম : রাকিব হোসেন সজল
রোল নং : ০১
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক,
প্রতিবেদনের শিরোনাম : পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : ঢাকা
তারিখ : –/—/২০২১ ইং ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

Leave a Comment