‘উৎপাদনকারী ও ভোক্তার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা বিপণন কার্যাবলির প্রধান উদ্দেশ্য‘বিপণন কার্যাবলির ধারণা,বিপণনের বন্টন সংক্রান্ত কার্যাবলী,বিপণন কার্যাবলি এর গুরুত্ব,পণ্য বিপণনে বিক্রয় এর গুরুত্ব,প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ এর মধ্যে পার্থক্য।

শ্রেণি: HSC/2022 বিষয়: উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন ২য় পত্র এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 278
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ‘উৎপাদনকারী ও ভোক্তার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা বিপণন কার্যাবলির প্রধান উদ্দেশ্য‘

 শিখনফল

  • বিপণন কার্যাবলি ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • বিপণন কার্যাবলি যেমন ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ মোড়কীকরণ এর ধারণা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ এর মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • বিপণন কার্যাবলি এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ করতে পারবে

নির্দেশনা

  • বিপণন কার্যাবলির ধারণা
  • বিপণনের বন্টন সংক্রান্ত কার্যাবলী
  • বিপণন কার্যাবলি এর গুরুত্ব
  • পণ্য বিপণনে বিক্রয় এর গুরুত্ব
  • প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ এর মধ্যে পার্থক্য।

  • বিপণন কার্যাবলির ধারণা

উত্তর:

সাধারণ লােকজন বিপণন কার্য বলতে শুধুমাত্র ক্রয় ও বিক্রয়কেই বুঝে থাকে । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিপণন কার্যের পরিধি অনেক বিস্তৃত । বিপণন কার্যাবলীকে এমন কতগুলাে কাজ বা সেবার সমষ্টি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায় যা উৎপাদকের নিকট থেকে ভােক্তা বা ব্যবহারকারীর নিকট পণ্য বা সেবার প্রবাহ পরিচালিত করার প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত হয়ে থাকে ।

অর্থাৎ উৎপাদক ও ভােক্তার মধ্যে পণ্য ও সেবার আদান – প্রদানে যেসব কার্যাবলি জড়িত থাকে সেগুলাে বিপণন কার্যের আওতায় পড়ে একটি বিপণন কার্য উৎপাদক নিজে কিংবা মধ্যস্থ ব্যবসায়ী ( পাইকার , খুচরা ব্যবসায়ী , আড়তদার ) বা ভােক্তারা সম্পাদন করতে পারে ।

বিপণন কার্যাবলি উৎপাদক ও ভােক্তার মধ্যবর্তী পর্যায়ে পণ্য বা সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য সম্পাদিত হয়ে থাকে । বিপণন কার্যাবলির সাথে পণ্যের স্বত্ত্ব পরিবর্তন , পণ্যের হস্তান্তর , পণ্যের সংরক্ষণ , পণ্যের প্রসারসহ ইত্যাদি জড়িত । বিপণন পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে বিপণন কার্যাবলি নিয়মিত বিশ্লেষণ করা প্রয়ােজন ।

কারণ এর মাধ্যমে বিপণন – দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব । সাধারণত বিপণনে ক্রয় , বিক্রয় , পরিবহন , গুদামজাতকরণ , প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ , অর্থসংস্থান , মােড়কীকরণ , ঝুঁকি – বহন , বাজার তথ্য সংগ্রহ , মূল্য নির্ধারণ , পণ্যের প্রসার ইত্যাদি কাজ সম্পাদিত হয় ।

  • বিপণনের বন্টন সংক্রান্ত কার্যাবলী

উত্তর:

১। উৎপাদন পূর্ব কার্যাবলি : পণ্য বণ্টন কাজ আরম্ভ করার পূর্বে বিপণন পদ্ধতিতে কিছু কাজ করতে হয়। এই কাজগুলোকে উৎপাদন-পূর্ব বিপণন কার্যাবলি বলা হয়। এই কার্যাবলির গুরুত্বপুর্ণ বিষয়সমূহ হলো

ক) বিপণন পরিবেশ বিশ্লেষণ : বিপণনেরকিছু নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং কিছু অনিয়ন্ত্রণযোগ্য উপাদান রয়েছে। বিপণন তার ব্যস্টিক এবং সামষ্টিক পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। এদের প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনা করা বিপণনেরএকটি অন্যতম প্রধান কাজ।

খ) ভোক্তা বিশ্লেষণ : ভোক্তাদের নানাবিধ বিষয় যেমন ভোক্তার বৈশিষ্ট্য, বাজার বিভক্তিকরণ, টার্গেট ক্রেতা, বাজার বিশ্লেষণ, বাজার অবস্থান ইত্যাদি বিষয় ভোক্তা বিশ্লেষণের অন্তর্ভুক্ত। পণ্য বিপণনের পূর্বে এ সকল বিশ্লেষণ প্রয়োজন। অন্যথায় বাজারে সফলতা লাভ করা যায় না।

গ) পণ্য পরিকল্পনা : পণ্যের উপর সমগ্র বিপণনেরসার্থকতা নির্ভর করে। কি পণ্য, কাদের জন্য, কি পরিমাণ ইত্যাদি পণ্য পরিকল্পনার মূল বিষয়। তাই এগুলির যথাযথ বিশ্লেষণ প্রয়োজন এবং সেভাবে পণ্য পরিকল্পনা প্রনয়ন করতে হবে।

ঘ) বিপণন পরিকল্পনা : বিপণন-লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিপণন-নির্বাহীকেবিপণন প্রোগ্রামসমূহহের মধ্যে সমন্বয়সাধন করতে হয়। পণ্য, মূল্য বণ্টন এবং প্রসারের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। বিজ্ঞাপনের সাথে বণ্টনের অথবা পণ্যের মূল্যের সাথে পণ্যের গুনগত মানের সমন্বয় করতে হবে। এগুলো সঠিকভাবে করতে না পারলে বিপণন-লক্ষ্য অর্জন অনেকটা দুরূহ হয়ে পড়বে।

২। উৎপাদন-পরবর্তী কার্যাবলি : পণ্য উৎপাদনের পর বিপণনেরগুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ আরম্ভ হয়। এই কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পাদন করতেনা পারলে কোন প্রতিষ্ঠান বাজারে তার অবস্থান দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে পারবে না। এই স্তরের গুরুত্বপুর্ণ কাজগুলো হলো

ক) ক্রয় : ক্রয় বিপণনেরঅন্যতম প্রধান কাজ। প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ক্রয কাজ সম্পাদিত হয়। তাই ক্রয়ের পূর্বে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে পণ্যের চাহিদা এবং সঠিক সরবরাহের উৎস নির্বাচন করতেহয়। ক্রয় কার্যে প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো- ক্রেতারা কি চায়, কত পরিমান চায় এবং কোন্ সময়ের মধ্যে চায়?

খ) বিক্রয় : বিপণনেরসর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিক্রয়। বিক্রয়ের পরিমানের উপর প্রতিষ্ঠানের মুনাফা নির্ভর করে। ফলে বিক্রয়ের মাধ্যমে পণ্য স্বত্ব হস্তান্তর করলেই চলে ন॥ সেই সাথে পণ্য পরিকল্পনার উন্নয়ন, চাহিদা সৃষ্টি, ক্রেতা সৃষ্টি, বিক্রয়ের শর্তাবলি নির্ধারণ ইত্যাদি কার্যাবলি সম্পাদনের প্রয়োজন হয়।

গ) পরিবহণ : বণ্টন সংক্রান্ত কার্যাবলির মধ্যে পরিবহন অন্যতম। পরিবহন পণ্যের স্থানগত উপযোগ সৃষ্টি করে। আসলে পরিবহন পণ্যের উৎপাদন স্থান এবং ভোগের স্থানের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করে। পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির ফলে উৎপাদনে বিশেষায়ন, শ্রমবিভাজন ও বৃহদায়তন উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

ঘ) গুদামজাতকরণ : গুদামজাতকরণের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্যের সময়গত উপযোগ সৃষ্টি করা হয়। চাহিদা ও যোগানের সাথে এবং এক মৌসুমের পণ্য অন্য মৌসুমে ভোগ করার ক্ষেত্রে গুদামজাতকরণ সহায়তা করে থাকে। উৎপাদন এবং ভোগের মধ্যবর্তী সময়ে পণ্য সংরক্ষণে গুদামজাতকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ঙ) মোড়কিকরণ : পণ্যসামগ্রী সহজে বহনযোগ্য এবং আকর্ষণীয় করার জন্য মোড়কিকরণ প্রয়োজন হয়। এর পরে পণ্যের গুনগত মান বজায় রাখা যায় এবং ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। পণ্যের মান নির্ধারণ এবং শ্রেণীকরণের সাথে মোড়কীকরণ জড়িত। পণ্য হস্তান্তরের সময় মোড়কিকরণ বিশেষ ভূমিকা রাখে।

চ) মান নির্ধারণ/ প্রমিতকরণ : পণ্যদ্রব্যের মৌলিক গুণাবলীর ভিত্তিতে পণ্য বিন্যস্ত করার প্রক্রিয়াকে মান নির্ধারণ বলে। আলুর চিপস্ তৈরী করার জন্য তিন ধরনের আলুর মান নির্ধারণ করা যায়। যেমন ছোট আলু, বড় আলু এবং মধ্যম আলু। ছোট, বড় এবং মধ্যম হলো তিনটি মান।

ছ) শ্রেণিবদ্ধকরণ/পর্যায়িতকরণ : পণ্যের মান অনুযায়ী পুনরায় বিভাজন করে পণ্যকে সাজানোকে শ্রেণীবদ্ধকরণ অথবা পর্যায়িতকরণ বলে। বিভিন্ন ভিত্তিতে পণ্যের মান নির্ধারণ করা যায়, যেমন রং, গন্ধ, ঘনত্ব, গঠন, স্বাদ ইত্যাদি। শ্রেণীবদ্ধকরণ অথবা পর্যায়িতকরণের সময় এগুলোকে ভিত্তি করেই কাজ করতে হয়।

জ) বণ্টন প্রণালি নির্বাচন : উৎপাদনকারীর নিকট থেকে পণ্য কিভাবে ভোক্তাদের হাতে পৌঁছাবে তা নিয়ে বিপণন নির্বাহীকে চিন্তাভাবনা করতে হয়। এখানে প্রণালি নির্বাচন,

মধ্যস্থব্যবসায়ী, সরবরাহকারী ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্টনকারীদের সহযোগিতার উপর বিপণনেরসফলতা অনেকাংশে নির্ভরশীল।

ঝ) অর্থসংস্থান : বিপণন কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য অর্থ সংস্থান প্রয়োজন। উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার নিকট পণ্য পৌছানোর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। যেমনমজুরী, বেতন, ভাড়া, বীমা এবং কর প্রদান ইত্যাদি কার্যাবলি অর্থসংস্থান ব্যতীত সম্পাদন সম্ভব নয়। তাই অর্থসংস্থানও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

ঞ) ব্যান্ডিং : পণ্যের নামকরণ করা, নামকে জনপ্রিয় করা ও নামের প্রসার ঘটানোকে ব্রান্ডিং বলে। পণ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্রান্ডিং। যদি ব্রান্ডিংকে জনপ্রিয় করে তোলা যায়, তবে একটি প্রতিষ্ঠান অতি সহজেই প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে।

ট) মূল্য নির্ধারণ : বিপণনেরঅন্যত্বম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মূল্য নির্ধারণ। ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা এবং প্রতিষ্ঠানের কাঙ্খিত মুনাফা অর্জনকে একই সাথে সমন্বয় করা বিপণন নির্বাহীর জন্য খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিযোগীদের মাঝে অবস্থান করে মূল্য নির্ধারণ এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে হয়।

৩। বিক্রয়োত্তরকার্যাবলি : পণ্য বিক্রয় করলেই বিপণনেরকাজ সমাপ্ত হয় না। পণ্য বিক্রয়ের পরও বিপণনেরঅনেক কাজ থাকে। বিক্রয় পরবর্তী কার্যাবলিসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো।

ক) বিক্রয়োত্তর সেবা : পণ্যের ধরণ অনুযায়ী বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া প্রয়োজন। পণ্যের জন্য যে গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি রয়েছে তা সময়মত প্রতিপালন করা, পণ্য পৌঁছে দেয়া অথবা যথাযথ মেরামত করা ইত্যাদি কাজগুলো সময়মত করা বিপণনেরকাজের আওতাভুক্ত।

খ) ভোক্তার সন্তুষ্টি পরিমাপ : পণ্য সম্পর্কে ভোক্তাদের মতামত কী সেটা জানা প্রয়োজন। কারণ ভোক্তাদের ধরে রাখার জন্য তাদের চাহিদা, তাদের অভিযোগ এবং পণ্য সম্পর্কে তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং সেই ভাবে বিপণন প্রোগ্রামসমূহ পরিবর্তন অথবা সমন্বয় করতে হবে।

গ) নতুন পণ্য উন্নয়ন : পণ্য উৎপাদনের পর বাজার প্রতিযোগিতার কথা চিন্তা করতে হয়। নতুন পণ্য অফারের মাধ্যমে প্রতিযোগীরা বাজার দখল করতে পারে। তাই পণ্যের নতুন ব্যবহার, পণ্যের উন্নয়ন এবং পণ্য ব্যবহারে ক্রেতাদের উদ্ভুদ্ধ করা বিপণনেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

ঘ) বিপণন নিয়ন্ত্রণ : পরিকল্পনা অনুযায়ী বিপণনেরসকল বিষয় সম্পাদিত হচ্ছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করা দরকার। অতিরিক্ত উৎপাদন এবং বিক্রয় যেমন ঠিক নয়, তেমনি কম উৎপাদন এবং বিক্রয়ও যথার্থ নয়। প্রয়োজন হলো কাম্য উৎপাদন এবং বিক্রয়। আর সেই কারণেনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিপণনেরপ্রোগ্রামসমূহ কাম্য অবস্থায় রাখা যায়।

  • বিপণন কার্যাবলি এর গুরুত্ব

উত্তর:

ব্যবসায়িক পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে উৎপাদনও বন্টন প্রক্রিয়াদিন দিন জটিল হচ্ছে। এই কারণে বিপণন কার্যাবলির গুরুত্ব বাড়ছে। বিপণন কার্যাবলীর গুরুত্ব নিম্নরূপ

১. পণ্যের সুষম বন্টন : বিপণন কার্যক্রমের কারণে উদ্বৃত্ত পণ্য অপ্রতুল স্থানে সরবরাহ করে সকল স্থানে পণ্যের সুষম বন্টন করা সম্ভব হয়।

২. উৎপাদন বৃদ্ধি : উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করে পণ্য প্রস্তুতকরণে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাজে বিপণন কার্যক্রম সহযোগিতা করে।

৩. স্থিতিশীল মূল্য : পণ্যের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখে। যারফলে ক্রেতা সাধারণ সহজে ও উপযুক্ত মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারে।

৪. ভোগের বৈচিত্র্য : বিপণন তার কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রেতা ও ভোক্তার বিভিন্ন চাহিদা ও প্রয়োজন মোতাবেক বিভিন্ন ধরণের পণ্য ও সেবা সরবরাহ করে। যার ফলে ক্রেতা ও ভোক্তাপণ্যের সমাবেশ থেকে পছন্দ অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করতে পারে।

৫. ব্যবসায়িক ঝুঁকি হ্রাস : বিপণন ব্যবসায়িক ঝুঁিক হ্রাস করার জন্য কোন্ ধরনের, কোন্ মানের ও কী পরিমাণে পণ্য উৎপাদিত হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তগ্রহণে সাহায্য করে।আবার উৎপাদিত পণ্য কিভাবে ক্রেতা ও ভোক্তার কাছে স্বল্প সময়ে সরবরাহ করা যাবে সে ব্যাপারেও বিপণন কাজ করে।

৬. সম্পর্কের উন্নয়ন : বিপণন কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রেতা ও ভোক্তার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের সময় যেমন সম্পর্ক তৈরি হয়,তেমনি সে সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে ক্রেতা ও ভোক্তাকে সস্তুষ্ট রাখার চেষ্টা চালানো হয়।

৭. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার : বিপণন কার্যক্রম দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য প্রস্তুত করে ভোক্তার ভোগের সুযোগ করে দেয়।

৮. অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন : বিপণন কার্যক্রমের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন হয়। ফলে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কর্মসংস্থানের ফলে জীবন-যাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটে। আবার, সমাজের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে ক্রেতা, ভোক্তাসহ সমাজের বিভিন্ন পক্ষের উন্নয়ন সম্ভব হয়।

উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বিপণনের কার্যাবলী এমন কতগুলো কাজের সমষ্টি যা ব্যবসায়ের কাজে সুবিধা দেওয়ার সাথে সাথে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে।

  • পণ্য বিপণনে বিক্রয় এর গুরুত্ব

উত্তর:

যেকোন পণ্য বা সেবা উৎপাদনের পর তা বিক্রয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সাধন করা যায়। পণ্য বিপণনে বিক্রয়ের গুরুত্ব নিম্নরূপ-

  • বিক্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতা একটি স্থানে একত্রিত হতে পারে। বিক্রেতা পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাকে জানাতে পারে, আবার ক্রেতার কাছ থেকে পণ্য সম্পর্কে অভিব্যক্তিও জানতে পারে। 
  • বিক্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে পণ্য বা সেবার মালিকানার বিনিময় হয়। তাই বিক্রয় বিপণন কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
  • ভোক্তার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য বিপণনকারী ক্রেতা বা ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করে বিক্রয়ের মাধ্যমে।
  • বিক্রয় কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপণনকারী প্রকৃত ক্রেতা সৃষ্টি করতে পারে, আবার স্থায়ী ক্রেতায় রূপান্তর করতে পারে।
  • পণ্য প্রস্তুত করার পর পণ্য বিক্রয় করে বিপণনকারী বাজারে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সমতা রাখতে পারে।
  •  বিক্রয়কর্মীদের মাধ্যমে উপযুক্ত ক্রেতা ও ভোক্তার কাছে পণ্য হস্তান্তর করে। পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে বিক্রয়কর্মীকে প্রেষণা প্রদান করা যায়।
  • প্রমিতকরণ ও পর্যায়িতকরণ এর মধ্যে পার্থক্য।

উত্তর:

AVvXsEiKdZBNRiuAOH2NugZbB5UG2BSs3eUjwJ7s68xrXaGw7qEMa3wU HxQqneCwhhRrhyeUd5 OgwX GRyX3BtCt9kv5ZB95Z3Uw3Ap0gsNs8ioyKFnId6 P7 sYU9htzkZMdj539VpIGKomRKcpbypjV6D7CqomhuXXn07PoO9oLgEVV0NGCfokt3oiO6XA

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 9 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/


Leave a Comment