প্রশ্ন সমাধান: ইসলামি ব্যাংকের গৃহসামগ্রী প্রকল্প সম্পর্কে আলােচনা কর, ব্যাংকের গৃহসামগ্রী প্রকল্প সম্পর্কে আলােচনা কর
বাংলাদেশের মতাে উন্নয়নশীল দেশে মধ্যবিত্ত ও নমধ্যবিত্ত শ্রেণি, বিশেষ করে সীমিত আয়ের চাকরিজীবীগণ অর্থনৈতিক টানাপােড়নে সংসারের দৈনন্দিন খরচ মেটাতেই হিমশিম খান।
তাদের পক্ষে প্রয়ােজনীয় গৃহসামগ্রী যেমন-রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, খাট, আলমারি, ওয়ারড্রোব, সােফাসেট, প্রেসার কুকার, সেলাই মেশিন ইত্যাদি ক্রয় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বর্তমান সময়ে এসব গৃহসামগ্রী আধুনিক জীবনযাত্রার মানের সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িত। কিন্তু সীমিত আয়ের জন্য তারা জীবনযাত্রার মান কাক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করতে পারেন না।
ইসলামি ব্যাংক ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ব্যাংকিং খাতে সর্বপ্রথম সীমিত আয়ের চাকরিজীবিদের সহযােগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে গৃহসামগ্রী বিনিয়ােগ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে, যা ইতােমধ্যে সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য : সীমিত আয়ের চাকরিজীবীদের গৃহসামগ্রী ক্রয়ে সহায়তা দান; সীমিত আয়ের লােকদের জীবনযাত্রার মানােন্নয়নে সহায়তা করা; চাকরিজীবীদের সুন্দর ও সৎ জীবনযাপনের সুযােগ সৃষ্টি করে দেয়া।
গৃহসামগ্রীর ধরন : গৃহকর্মে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী বা আসবাবপত্র; রান্নাঘরে ব্যবহারযােগ্য সামগ্রী; বাড়িতে ব্যবহারের জন্য মােটর পাম্প পাওয়ার পাম্প ইত্যাদি, সিআই শিট, রড, কাঠ সামগ্রী গৃহনির্মাণে ব্যবহৃত সামগ্রী, স্বর্ণালংকার, নলকূপ, মােবাইল টেলিফোন সেট, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রছাত্রীদের মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জামাদিযন্ত্রপাতি, শিক্ষামূলক সরঞ্জামাদিযন্ত্রপাতি, বই-পত্র ইত্যাদি এবং অন্যান্ট সামগ্রী যা গৃহকর্মে অত্যাবশ্যকীয় বলে বিবেচিত।
আরো ও সাজেশন:-
বিনিয়োগ গ্রাহকের যােগ্যতা : নিচে বর্ণিত ব্যাংকের স্থায়ী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আগ্রহী ব্যক্তিগণ এ প্রকল্পের আওতায়। বিনিয়ােগ সুবিধা গ্রহণের আবেদন করতে পারবেন :
(ক) সরকারি ব্যাংক;
(খ) আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংক;
(গ) ব্যাংক ও আর্থিক ব্যাংক।
(ঘ) সশস্ত্র বাহিনী, বিডিআর, পুলিশ ও আনসার;
(ঙ) আন্তর্জাতিক আর্থিক ও সাহায্য সংস্থা;
(চ) বহুজাতিক কোম্পানি;
(ছ) স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি;
(জ) বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি স্কুল, কলেজ ও সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ;
(ঝ) প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ,
বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ইত্যাদিতে স্থায়ীভাবে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ। বিনিয়ােগের পরিমাণ ।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
ডাক্তার, প্রকৌশলী, স্থপতি, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট, এফসিএম-এর জন্য ব্যাংকের বিনিয়ােগের পরিমাণ নিম্নরূপ : ঢাকা মহানগরী : সর্বোচ্চ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা।
অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহর : সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা। * অন্যান্য পৌর এলাকা : সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা। ১০০% মুদারাবা মেয়াদি আমানত ও মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব লিয়েনের বিপরীতে ব্যাংকের বিনিয়ােগ-সীমা ০২ (দুই) লাখ টাকা। অন্যান্য শ্রেণির জন্য ব্যাংকের বিনিয়ােগ-সীমা ০১ (এক) লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এনসিও, প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি বিদ্যালয় ও বেসরকারি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং একই ধরনের অন্যান্য পেশাজীবীদের জন্য ব্যাংকের বিনিয়ােগ সীমা সর্বোচ্চ ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) হাজার টাকা।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য ব্যাংকের বিনিয়ােগ সীমা সর্বোচ্চ ৪০ (চল্লিশ) হাজার টাকা।
গ্রাহক তা তার বিনিয়ােগের বিপরীতে ব্যাংকের পাওনার ৫০% । নিয়মিতভাবে পরিশােধ করলে উক্ত গ্রাহককে নতুন সামগ্রীর জন্য উপরে বর্ণিত বিনিয়ােগের পরিমাণের ভিতর পুনরায় বিনিয়ােগ সুবিধা প্রদাণ করা হয়।
আবেদনকারীর বিনিয়ােগ সুবিধার পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারিত হয় যাতে তার মাসিক কিস্তির পরিমাণ কোনাে অবস্থায় তার মােট মাসিক বেতনের ৫০% এর বেশি না হয়। তবে ব্যাংক কোনাে আবেদনকারীর কিস্তি পরিশোধের ক্ষমতার ব্যাপারে নিশ্চিত হলে বিশেষ বিবেচনায় উপরে বর্ণিত শর্ত শিথিল করে।
- বিনিয়ােগের মেয়াদ : সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বছর।
- বিনিয়ােগ পদ্ধতি : বাই-মুয়াজ্জাল।
গ্রাহকের ইকুইটি : মােট মূল্যের ন্যূনতম ২৫%। গ্রাহককে ব্যাংকের বিনিয়ােগ বিতরণের পূর্বে ইকুইটি সংশ্লিষ্ট শাখায় তার সঞ্চয়ী বিনিয়ােগ হিসেবে নগদ জমা করতে হয়। |
বিনিয়োেগ বিতরণের নিয়ম : বিনিয়ােগ মঞ্জুরির পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে তার নির্ধারিত ইকুইটি সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিতে হয়। উক্ত শাখা ৭ (সাত) দিনের ভিতর পে-অর্ডার/চেক/ড্রাফট ইত্যাদির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সামগ্রী ক্রয় করে গ্রাহককে সরবরাহ করে থাকে। এই সামগ্রীর উপর ব্যাংকের মালিকানা নিশ্চিতকরণের জন্য সামগ্রী ক্রয়-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ব্যাংকের নামে থাকে এবং এর উপর প্রয়ােজনে ব্যাংকের স্টিকার লাগানাে হয়। ব্যাংকের পাওনা সম্পূর্ণ আদায় হওয়ার পর তা সশ্লিষ্ট গ্রাহকদের নামে চলে যায় ।
আদায় পদ্ধতি : ব্যাংকের বিনিয়ােগ মুনাফাসহ মাসিক কিস্তি তে দুই বছরের মধ্যে আদায় করা হয়। কিস্তি প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরিশােধ করতে হয়। যে মাসে সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয় তার পরবর্তী মাস থেকে প্রথম কিস্তি শুরু হয়ে থাকে। গ্রাহকের চাকরিরত ব্যাংকের প্রকৃতি এবং সেখানে গ্রাহককের পদমর্যাদার উপর নির্ভর করে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে ব্যাংকের পাওনা আদায় করা হয়ে থাকে।
১. গ্রাহকের অনুরােধক্রমে তার নিয়ােগকর্তা কর্তৃক তার বেতন হতে কর্তৃন করে ব্যাংকে পাঠানাের মাধ্যমে। এ ব্যাপারে কর্মরত ব্যাংকের সম্মতিপত্র প্রদান করতে হয়।
২. ব্যাংকের অনুকূলে প্রতিটি কিস্তির জন্য নির্দিষ্ট তারিখের ২৪টি পােস্ট-ডেটেড চেক গ্রাহকের নিকট থেকে নেয়া হয় এবং প্রতিটি চেক নির্দিষ্ট তারিখে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে উপস্থাপন করার মাধ্যমে আদায় করা হয়।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
জামানত ;
১. অন্যান্য চার্জ ডকুমেন্ট সম্পাদন ছাড়াও নিয়মিত মাসিক কিস্তি পরিশােধ করবে- এই মর্মে বিনিয়ােগ গ্রাহককে লিখিত অঙ্গীকারনামা ব্যাংকের নিকট প্রদান করতে হয়।
২. বিনিয়ােগ-গ্রাহকের সম অথবা তদুর্ধ পদমর্যাদাসম্পন্ন সহকর্মীর নিকট থেকে ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দেয়া হয়। ৯ গ্যারান্টি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্বারা সত্যায়িত হলে হয়। এছাড়াও অন্য যে কোনাে একজনের পরিবারের সদ হলে ভালাে হয়) ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দরকার হয়।
৩. স্বাধীন, পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে একই পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তির ব্যক্তিগত গ্যারান্টি প্রদান করতে হয়।
৪. যেসব গ্রাহক জমি, দালানকোঠা ইত্যাদি বন্ধক দেয়া ব্যাংকের বিনিয়ােগ সুবিধা ভােগ করছেন, এ প্রকল্পের আওতায় তারা বিনিয়ােগের সুবিধা গ্রহণ করতে চাইলে তাদেরকে বিদ্যমান সহায়ক জামানতের উপর অতিরিক্ত চার্জ প্রদান করতে হয়।
আবেদনের নিয়মাবলি : আগ্রহী আবেদনকারীদেরকে ব্যাংকের নির্ধারিত ফর্মে সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্রে আবেদনকারীর ব্যাংকের বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশ থাকতে হয়। ফরম ও স্কিমের নিয়ম-কানুন সম্বলিত পত্তিকা নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে নির্ধারিত শাখা হতে সংগ্রহ করা যায়। * বিনিয়ােগ তত্ত্বাবধান : এ প্রকল্পের আওতায় গ্রাহক নির্বাচন, বিনিয়ােগ বিতরণ ও আদায় এবং এর সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য ব্যাংক কমিশন ভিত্তিতে মেসার্স আনুদীপ সার্ভিসেস প্রাঃ লিঃ ইবনে সিনা গ্রুপ এনভেস্ট কোম্পানি লি., ফয়সল ইনভেষ্টমেন্ট ফাউন্ডেশন ও ক্রিসেন্ট করসালটেন্টসকে নিয়ােগ দান করেছে। তত্ত্বাবধানকারী সংস্থান কমিশন বার্ষিক নির্ধারিত হারে সংশ্লিষ্ট বিনিয়ােগ গ্রাহককে বহন করতে হয়।
রিস্ক ফান্ড ব্যাংকের বিনিয়ােগের পরিমাণের উপর নির্ধারিত হারে সংশ্লিষ্ট বিনিয়ােগ হিসাব ডেবিট করে এ প্রকল্পের আওতায় ব্যাংকে একটি ফান্ড সৃষ্টি করা হয়। গ্রাহককে প্রদত্ত সামগ্রীর সত্যিকার অর্থে কোনাে ক্ষতি হলে বা তা ধ্বংস হলে অথবা সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ব্যাংকের বিনিয়ােগ পরিশােধে ব্যাংকের নিকট গ্রহণযােগ্য কারণে একেবারেই অক্ষম হলে তা উক্ত রিস্ক ফান্ড হতে পূরণ বা সমন্বয় করা হয়।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- খিলাফত রাষ্ট্র ও আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য । খিলাফত রাষ্ট্র vs আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্র পার্থক্য
- What do you near by Business communication?, Explain the concept of business communication
- Describe the barriers to effective communication in business organization
- সমাজদর্শন ও রাষ্ট্র দর্শনের সম্পর্ক, সমাজদর্শ ও রাষ্ট্রদর্শনের সম্পর্ক, Relation between Social Philosophy & Political Philosophy
- দর্শনের বিষয়বস্তুকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়?, দর্শনের বিষয়বস্তু হিসেবে অধিবিদ্যা আলোচনা করুন।
- দর্শনের প্রকৃতি ও স্বরূপ আলোচনা কর