ইক্যুইটি মূলধনের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ, ইক্যুইটি মূলধনের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিত আলোচনা কর

ইক্যুইটি মূলধনের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লিখ, ইক্যুইটি মূলধনের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো বিস্তারিত আলোচনা কর, ইক্যুইটি মূলধনের সুবিধা সমূহ আলোচনা কর

ভূমিকা : কোম্পানির/ব্যবসায়ের মূলধন কাঠামো হতে সকল দায়-দেনা পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে ইক্যুইটি মূলধন বলে। নিম্নে ইক্যুইটি মূলধনের সুবিধাসমূহ আলোচনা করা হলো-

১. কম মূলধন ব্যয় : কোম্পানির সকল প্রকার মূলধনের মধ্যে ইক্যুইটি মূলধনের মূলধন ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম। কারণ মালিকগণ নিজেরাই এ মূলধন সরবরাহ করে বিধায় কোনো প্রকার সুদ প্রদান করতে হয় না ।

২. পরিশোধ সময়কাল নেই : ইক্যুইটি মূলধন পরিশোধের কোনো নির্দিষ্ট সময়কাল নেই। ইক্যুইটি শেয়ার হতে প্রাপ্ত তহবিল প্রতিষ্ঠানের জীবদ্দশায় পরিশোধ করতে হয় না।

৩. কোনো স্থায়ী খরচ নেই : ইক্যুইটি মূলধনই একমাত্র উৎস যার জন্য প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকার স্থায়ী খরচ দিতে হয় না। প্রতিষ্ঠানের মুনাফা হতে লভ্যাংশ বিতরণের প্রশ্ন উঠে। লভ্যাংশ প্রদান এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু ঋণপত্রের ক্ষেত্রে মুনাফা হোক বা না হোক সুদ প্রদান করতে হয় ।

৪. কম ঝুঁকি : ইক্যুইটি মূলধনের অন্যতম সুবিধা হলো এ মূলধনের জন্য প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো বাড়তি ঝুঁকির উদ্ভব হয় না ।

৫. ঋণ সংগ্রহের সহজসাধ্যতা : কোনো কোম্পানি যথেষ্ট আদায়কৃত ইক্যুইটি মূলধন থাকলে তার পক্ষে ঋণ সংগ্রহ করা সহজসাধ্য হয়। কারণ ঋণদাতারা তাদের আসল ফেরত পাওয়া সম্বন্ধে অধিকর নিশ্চিত হন ।

৬. নিয়ন্ত্রণ : ইক্যুইটি মূলধনের মাধ্যমে ব্যবসায়ের তহবিল সংগৃহীত হলে বর্তমান ব্যবস্থাপনার হাতেই নিয়ন্ত্রণ থাকে এতে ব্যবস্থাপনার অস্থিরতা হ্রাস পায় ৷

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, ইক্যুইটি মূলধনের উপরিউক্ত সুবিধাসমূহের কারণেই অধিকাংশ কোম্পানি অন্যান্য উৎস হতে মূলধন সংগ্রহ অপেক্ষা ইক্যুইটি মূলধন সংগ্রহকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে ।

ভূমিকা : কম মূলধন ব্যয় কোনো স্থায়ী খরচ নেই, ঋণ সংগ্রহের সহজসাধ্যতা ইত্যাদির মতো সুবিধা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও ইক্যুইটি মূলধনের বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ করা যায়। নিয়ে ইক্যুইটি মূলধনের অসুবিধাসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১. লিভারেজের অনুপস্থিতি : ইক্যুইটি মূলধন মানেই লিভারেজবিহীন মূলধন। ব্যবসায়ে স্থায়ী ব্যয়যুক্ত মূলধনের কারণে Leverange এর উৎপত্তি হয়, ঘরে কোম্পানির অর্জিত মুনাফা হতে সকল খরচ বাদ দেওয়ার পর তা সকল মালিকের মধ্যে মূলধন অনুপাতে বণ্টন করা হয় তা Earning penshare (EPS)-কে হ্রাস করে।

২. ব্যয়বহুল : ইক্যুইটি মূলধনের কারণে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অধিক ঝুঁকি বহন করতে হয় বিধায় ঋণ অপেক্ষা সাধারণ শেয়ারের প্রকৃত বা নিহিত ব্যয় বেশি থাকে। শেয়ারহোল্ডারদের সুদের হার অপেক্ষা অধিক লভ্যাংশ প্রত্যাশা করে ।

৩. গড় মূলধন ব্যয় : ইক্যুইটি মূলধন অধিক হলে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক গড় মূলধন ব্যয় বেশি হয় ।

৪. নিয়ন্ত্রণ সমস্যা : ইক্যুইটি মূলধনের নিজস্ব অর্থায়ন ব্যতীত শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ অর্জিত হলে শেয়ারহোল্ডার মানের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

৫. অতিরিক্ত অলস অর্থ : ইক্যুইটি মূলধনের একটা বড় অংশ অলস অর্থ হিসেবে পড়ে থাকতে পারে যদি কোনো কারণে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সুবিধা হ্রাস পায়। এরূপ অলস অর্থ মূলধন খরচের পরিমাণকে বাড়িয়ে দেয় এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহার বাধার সৃষ্টি করে ।

৬. কর সুবিধা হতে বঞ্চিত : ইক্যুইটি মূলধন বিনিয়োগ হতে প্রাপ্ত আয়ের উপর কোনো কর অনুমোদনযোগ্য খরচ না থাকায় কোম্পানি ব্যবসায়/প্রতিষ্ঠান কর সুবিধা হতে বঞ্চিত হয় ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ইক্যুইটি মূলধনের এসব অসুবিধা সত্ত্বেও সুবিধার পরিমাণ এবং কোম্পানির উপর মালিকের মালিকানা স্বত্ব প্রতিষ্ঠার ফলে ইক্যুইটি ব্যবহার অনেক বেশি ।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ ইক্যুইটি মূলধনের উপকারিতা ও অপকারিতা কী?,ইক্যুইটি মূলধনের সুবিধা ও অসুবিধা ৫ টি পয়েন্ট

Leave a Comment