আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ঝুঁকি সম্পর্কে লিখ , আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ঝুঁকিসমূহ কি কি?

আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ঝুঁকি সম্পর্কে লিখ , আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ঝুঁকিসমূহ কি কি?

উত্তর : ভূমিকা : আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ঝুঁকিগুলো বর্ণনা করা হলো :

১. আর্থিক ঝুঁকি : আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আর্থিক ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়। কেননা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অধিক মূলধনের প্রয়োজন পড়ে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যদি আর্থিক নিরাপত্তা না পায় তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই বিনিয়োগকৃত মূলধন, যাতে সহজে ফেরত পাওয়া যায় সে ধরনের প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিত

২. অর্থনৈতিক কাঠামোগত ঝুঁকি : বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সকল ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের জন্যে সহায়ক নয়। তাই এই দেশে ব্যবসায় করতে গেলে অর্থনৈতিক কাঠামোগত ঝুঁকির বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে ।

৩. রাজনৈতিক ঝুঁকি : রাজনৈতিক ঝুঁকি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেদেশের সাথে ব্যবসা- বাণিজ্য করতে হবে সেদেশের রাজনৈতিক অবস্থা ও স্থিতিশীলতা বিবেচনা করতে হবে। রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল না হলে সেদেশে ব্যবসায়ের ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরো ও সাজেশন:-

৪. ধর্মীয় ঝুঁকি : ধর্ম মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন বসবাস করে ফলে তাদের খাদ্যাভাস ও সংস্কৃতির পার্থক্য লক্ষ করা যায়। আন্ত র্জাতিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করতে হয় ।

৫. প্রতিযোগিতামূলক ঝুঁকি : প্রতিযোগিতামূলক ঝুঁকি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। সেই প্রতিযোগিতার পরিবেশ কেমন তা বিবেচনা করতে হয় ।

৬. বাজারজাতকরণের ঝুঁকি : আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বাজারজাতকরণের ঝুঁকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান যুগ হলো বাজারজাতকরণের যুগ। যে সংগঠন যত বেশি কৌশলগতভাবে পণ্য বাজারজাত করতে পারবে সে সংগঠন তত বেশি সমৃদ্ধশীল হবে।

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৭. ভৌগোলিক ঝুঁকি : আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক ঝুঁকি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া আবহাওয়া জলবায়ু, ভূমিরূপ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হয়।

৮. মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ঝুঁকি : আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। তবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে চায় তখন তাকে যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। বিশ্ব বাজারে প্রবেশের পদ্ধতির উপর নির্ভর করে, কার কাছে কতটুকু মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তাই কোন পদ্ধতিতে মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ কেমন হবে তা বিবেচনায় নিতে হবে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে টিকে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের ঝুঁকিগুলো নিরসন করতে হবে।

Leave a Comment