আদৰ্শ শিল্পনীতির বৈশিষ্ট্য গুলি লিখ, আদর্শ শিল্পনীতি প্রকৃতি আলোচনা কর, আদর্শ শিল্পনীতি আলোচনা করো, আদর্শ শিল্পনীতি বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?, শিল্পনীতির বৈশিষ্ট্য গুলি লিখ

প্রশ্ন সমাধান: আদৰ্শ শিল্পনীতির বৈশিষ্ট্য গুলি লিখ, আদর্শ শিল্পনীতি প্রকৃতি আলোচনা কর, আদর্শ শিল্পনীতি আলোচনা করো, আদর্শ শিল্পনীতি বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি?, শিল্পনীতির বৈশিষ্ট্য গুলি লিখ

দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে সরকার শিল্পস্থাপনে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সময়ে সময়ে শিল্প ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে সকল নিয়ম-নীতি, সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেন তাকেই শিল্প নীতি বলা হয়। তাই বলা যায় দেশের শিল্পায়ন তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুষ্ঠু ও বাস্তবমুখী শিল্প নীতির ভূমিকা ব্যাপক। একটি যুগোপযোগী, সুষ্ঠু ও আদর্শ শিল্প নীতিই পারে শিল্পস্থাপনে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে।

নিম্নে একটি আদর্শ ও বাস্ত বসম্মত শিল্প নীতির প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যবলির উল্লেখ করা হলো :

১. স্থিতিশীলতা : দেশের শিল্পায়নের লক্ষ্যে প্রণীত শিল্প নীতি একটি যৌক্তিক সময় কাল পর্যন্ত স্থিতিশীল প্রকৃতি হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে উদ্যোক্তাগণ শিল্পে বিনিয়োগে উৎসাহ বোধ করেন এবং দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা চেতনা প্রসূত কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রয়াস চালাতে দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকেন ।

২. শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন কৌশলের উপস্থিতি অর্থনৈতিক তথা শিল্পায়নের উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধিতে শিল্পোদ্যোগের ভূমিকা অপরিসীম । আর দেশে উদ্যোক্তা শ্রেণির উন্মোষ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের উপরই নির্ভর করে শিল্প নীতির বাস্তবায়ন। তাই শিল্প নীতিতে নতুন উদ্যোক্তা শ্রেণির সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। এবং এতদসংক্রান্ত বিবিধ কৌশলগত নীতি প্রণয়ন করতে হবে যেন শিল্পস্থাপনে সম্ভাব্য উদ্যোক্তাগণ এগিয়ে আসে ৷

৩. সরকারি সুযোগ-সুবিধা : আদর্শ শিল্প নীতিতে বিনিয়োগকারীদেরকে সরকার কর্তৃক প্রদেয় বিভিন্ন সুযোগ- -সুবিধার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে। কর রেয়াত, কর অবকাশ কি পরিমাণ এবং কত সময়ের জন্য দেয়া হবে। শিল্পোয়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ন্ত্রণকারী না সহায়তাকারী, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে ।


আরো ও সাজেশন:-

৪. জটিলতা দূরীকরণ : শিল্প নীতিতে বর্ণিত বিভিন্ন নিয়মনীতি, শিল্পস্থাপনে প্রদেয় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও প্রদত্ত সুবিধাদি অবশ্যই সুস্পষ্ট ও সংশ্লিষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়। কোনোরূপ শর্তারোপ করে যদি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় তবে শিল্পস্থাপনে প্রক্রিয়াগত সমস্যার সৃষ্টি হয়।

৫. রাজনৈতিক সংকীর্ণতা : শিল্প নীতি কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের সংকীর্ণ আদর্শ ও চিন্তা চেতনা প্রসূত না হয়ে বরং দেশের লাগসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনে বাস্তবতার নিরিখেই প্রণীত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এতে উদ্যোক্তা নিকট শিল্পনীতিক বাস্তব গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৬. শিল্পোদ্যোক্তা উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক তথা শিল্পায়নের উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধিতে শিল্পোদ্যোগের ভূমিকা অপরিসীম। আর দেশে উদ্যোক্তা শ্রেণির উন্মেষ, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের উপরই নির্ভর করে শিল্প নীতির বাস্তবায়ন। তাই শিল্প নীতিতে নতুন উদ্যোক্তা শ্রেণির সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে এবং এতদসংক্রান্ত বিবিধ কৌশলগত নীতি প্রণয়ন করতে হবে যেন শিল্পস্থাপনে সম্ভাব্য উদ্যোক্তাগণ এগিয়ে আসে।

৭. দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন : দেশে শিল্পায়নে সরকার বাস্ত বতার নিরিখে অনুকূল শিল্প নীতি প্রণয়ন করলেও তা প্রশাসনের দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দায়িত্বহীনতার কারণে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। তাই দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন যন্ত্রের উপস্থিতিই পারে শিল্পীতির বাস্তবায়ন ঘটাতে।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে, শিল্প নীতি একটি দেশের শিল্পায়নে সরকারের বিভিন্ন সময়ে প্রদেয় সুযোগ-সুবিধার বর্ণনা বিশেষ। তাই দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত চিন্তা ভাবনা, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত ভিত্তিক আদর্শ শিল্প নীতি সর্বমহলেরই কাম্য।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment