অশ্বগন্ধার ভেষজগুণ

অশ্বগন্ধা ছোট, শক্ত কাঁটাবিশিষ্ট, খাড়া ও শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট একটি গাছ। এটির পাতাগুলো দেখতে অনেকটা খচ্চরের কানের মতো এবং বিপরীত দিকে ৮.১২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। ঝোপঝাড় ও উচ্চতায় এবং কা-ের গঠন অনেকটা বেগুন গাছের মতো। পাতা ও ডাঁটার গায়ে রয়েছে সূক্ষ্ম লোম।

বীজগুলো বেগুনের মতোই লালচে বর্ণের। গাছটিতে ছোট ছোট ফুল ধরে। আমাদের দেশের মতো নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোয় অশ্বাগন্ধা জন্মিলেও গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বেশি জন্মে।

প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশাস্ত্রে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে প্রায় তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে অশ্বগন্ধা ট্র্যাডিশনাল হার্বস হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে বলে জানা যায়।

এ পর্যন্ত অশ্বগন্ধা নিয়ে দুইশর বেশি গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। এসব গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যে অশ্বগন্ধার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকারিতা পাওয়া যায়। যেমন- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে; শক্তি, সামর্থ্য ও জীবনীশক্তি বৃদ্ধি করে; মানসিক উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ও অবসাদ দূর করে; বুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে; ব্রেইন সেল ধ্বংস থেকে রক্ষা করে;

শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করে; ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে; হেপাটিক গ্লাইকোজেন ও হিমোগ্লোবিন লেভেল বৃদ্ধি করে;

অকাল বার্ধক্য রোধে ভূমিকা রাখে; হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং কফ নিরাময়ে কাজ করে; যৌনশক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং হরমোন বাড়ায়।

অশ্বগন্ধা মদ্যপানের আসক্তি কমায়, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যায়, অশ্বগন্ধা ক্যানসার কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কাজেই অশ্বাগন্ধার নির্যাস আপনি চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করে এই করোনাকালে সুস্থ থাকতে পারেন।

Leave a Comment