অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে SAFTA ও EFTA বিশ্লেষণ কর, অর্থনৈতিক সময়ে ভিত্তিতে SAFTA ও EFTA ব্যাখ্যা কর, অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে EFTA বিশ্লেষণ

প্রশ্ন সমাধান: অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে SAFTA ও EFTA বিশ্লেষণ কর, অর্থনৈতিক সময়ে ভিত্তিতে SAFTA ও EFTA ব্যাখ্যা কর, অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে EFTA বিশ্লেষণ

ভূমিকা : বর্তমান যুগ হলাে বিশ্বায়নের যুগ। এ যুগে। একটি দেশ অন্য দেশের সাহায্য-সহযােগিতা ছাড়া প্রায় অচল। এ নির্ভরশীলতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন ও সংস্থা গড়ে উঠেছে। তন্মধ্যে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল। (SAFTA) এবং ইউরােপীয় ফ্রিট্রেড অ্যাসােসিয়েশন বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। এ দুটি দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরােপীয় অঞ্চলে । অর্থনৈতিক সংহতির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। | ০ অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে SAFTA বিশ্লেষণ SAFTA-এর পূর্ণরূপ হলাে- South Asian Free Trade Area. বা দক্ষিণ এশিয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল। নিম্নে অর্থনৈতিক সংহতির ভিত্তিতে SAFTA-এর ব্যাখ্যা প্রদান করা হলাে

১. সব ধরনের উৎপাদিত পণ্য বাণিজ্যের আওতাভুক্ত করা । SAFTA-এর মাধ্যমে এর সদস্য দেশগুলাে হতে সব ধরনের উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়। এতে করে সদস্য দেশগুলাের মধ্যে অর্থনৈতিক সংহতি সৃষ্টি হয়, যা উক্ত অঞ্চলের জনগণকে সদস্যসমূহের উৎপাদিত . পণ্য অনায়াসে ভােগ করার সুযােগ সৃষ্টি করেছে।

২. অনুন্নত দেশের জন্য বিশেষ সুবিধা : SAFTA চুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলাে শুল্ক সুবিধা পেয়ে থাকে। এতে করে এসব অঞ্চলে নিজ দেশীয় পণ্য অবাধে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক সংহতির মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অনুন্নত দেশগুলােও এগিয়ে যাচ্ছে।

৩. বাণিজ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি : দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (SAFTA)-এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের সব ধরনের দেশ অবাধে বাণিজ্য করার ক্ষমতা লাভ করেছে। এতে করে এসব দেশের বাণিজ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরাে বেগবান হয়েছে।

৪. আঞ্চলিক বাণিজ্যের গভীরতা অর্জন : প্রয়ােজনীয় সরবরাহ নিশ্চিতকরণ চুক্তির আওতাভুক্ত সদস্য দেশসমূহ তথা SAFTA-এর সদস্য দেশসমূহের রপ্তানিযােগ্য পণ্যের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রপ্তানি কাঠামাের বহুমুখীকরণ যার ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্যের গভীরতা অর্জন করা সম্ভব হয়। এজন্য SAFTA-এর গুরুত্ব ও প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।

৫. বাণিজ্য সংক্রান্ত সুবিধাদির সহজলভ্যতা : দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে SAFTA-এর অন্যতম। গুরুত্বপূর্ণ দিক হলাে বাণিজ্য সংক্রান্ত সুবিধাদির সহজলভ্যতা। এ সংস্থাটি সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য সুবিধা খুব সহজেই নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকাকে গতিশীল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।


আরো ও সাজেশন:-

৬. সুস্থ প্রতিযােগিতা : আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক বাণিজ্যে সুস্থ প্রতিযােগিতার বিকল্প নেই। অর্থনৈতিক সংহতির কথা বিবেচনায় এনে SAFTA সদস্য দেশে স্বকীয় অর্থনৈতিক অবস্থার আলােকে প্রতিযােগিতার এবং পক্ষপাতমুক্ত ও ন্যায়বিচারপূর্ণ সুবিধাদির প্রবর্তনের উপর সমধিক গুরুত্ব দেয়।

৭. অবাধে পণ্য চলাচল : SAFTA-এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলাে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে অবাধে পণ্য চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ ধরনের চলাচল শুল্ক হার, আধা শুল্ক হার এবং অশুল্ক বিষয়ক বাধানিষেধ এবং সমতুল্য বিষয় প্রত্যাহারের মাধ্যমে পরিচালনা করার ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে EFTA বিশ্লেষণ : EFTA-এর পূর্ণরূপ হলাে- European Free Trade Association. অর্থাৎ ইউরােপীয় মুক্ত বাণিজ্য সংস্থা। নিম্নে সংস্থাটিকে অর্থনৈতিক সংহতির আলােকে ব্যাখ্যা করা হলাে

১. বিনামূল্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযােগিতা উন্নীতকরণ : ইউরােপীয় মুক্ত বাণিজ্য সংস্থা (EFTA)-এর সচিবালয় ব্রাসেলস, জেনেভা এবং লুক্সেমবার্গের অফিসে, ইউরােপ ও বিশ্বব্যাপী তাদের সদস্যদের মধ্যে বিনামূল্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযােগিতাকে উন্নীত করার লক্ষ্যে উচ্চ দক্ষ ও যােগ্য কর্মীদের জন্য সুযােগ প্রদান করে। EFTA সচিবালয় EFTA সদস্য দেশগুলােকে সেবা প্রদান করে।

২. বাণিজ্য ক্ষমতা বৃদ্ধি : EFTA-এর অন্যতম লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলাে ইউরােপীয় অঞ্চলের দেশগুলাের বাণিজ্যে ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এ সংস্থাটি অবাধে বাণিজ্যের সুযােগ সৃষ্টি করেছে বলে ইউরােপীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলের আওতাভুক্ত দেশগুলাের বাণিজ্য ক্ষমতা উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৩. সদস্য দেশসমূহের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন। EFTA মূলত ইউরােপীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংহতির জন্য প্রতিষ্ঠিত। এ সংস্থাটির মাধ্যমে এ অঞ্চলের দেশগুলাে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। ফলে তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক সাহায্য-সহযােগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি পারস্পরিক বন্ধুত্বও বেড়েছে বহুলাংশে, যা বর্তমান বিশ্বে একটি দেশের অর্থনীতিকে টিকে থাকতে ব্যাপক সহায়তা করে থাকে।

৪. বৃহদায়তন উৎপাদন : EFTA-এর মাধ্যমে এর সদস্য দেশগুলো অবাধে একে অপরের সাথে বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারে । এতে করে তারা রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন বহুলাংশে সক্ষম। ফলশ্রুতিতে এসব দেশের বৃহদায়তন উৎপাদন পরিলক্ষিত হয় যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

৫. শুল্কমুক্ত বাণিজ্য : EFTA-এর মাধ্যমে এর সদস্য দেশসমূহ শুল্কমুক্ত হয়ে একে অপরের সাথে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিনিময় করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে এসব দেশের রপ্তানিকৃত পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা অধিক হারে অর্জিত হচ্ছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলো উন্নতি লাভ করছে। তাই অর্থনৈতিক সংহতির ‘দিক থেকে ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (EFTA) এর গুরুত্ব অপরিসীম।

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনায় পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, SAFTA ও EFTA হলো দুটি আঞ্চলিক সহযোগী ও বাণিজ্য সংস্থা এ দুটি সংস্থা যথাক্রমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল এবং ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয়েছে। এসব দেশের অর্থনৈতিক সংহতির দিক থেকে সংস্থায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment