অর্থনৈতিক ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।,অর্থনৈতিক ভূগোলের প্রধান শাখা সমূহ উল্লেখ কর।,অর্থনৈতিক ভূগোলের পরিসর উল্লেখ কর / আলোচনা কর

প্রশ্ন সমাধান: অর্থনৈতিক ভূগোল

প্রশ্ন.1 অর্থনৈতিক ভূগোল কোন ভূগোলের অন্তর্গত?
উত্তর:- অর্থনৈতিক ভূগোল মানব ভূগোলের অন্তর্গত অন্যতম শাখা।

প্রশ্ন.2. কিভাবে এক-একটি সম্পদের সৃষ্টি হয়?
উত্তর:- প্রকৃতি, মানুষ, মান, সমাজ-সংস্কৃতি তথা বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলেই এক-একটি সম্পদের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন.3. জিয়ারমানের মতে সম্পদ হতে হলে বস্তুর কোন দুটো গুন থাকতে হবে?
উত্তর:- জিয়ারমানের মতে, সম্পদ হতে হলে কোন বস্তুর কার্যকারিতা ও উপকারিতা এই দুটো গুন থাকতে হবে।

প্রশ্ন.4. মানুষ সম্পদের সঙ্গে কিভাবে জড়িত?
উত্তর:- মানুষ সম্পদের সঙ্গে দুই ধরনে জড়িত – সম্পদের উৎপাদন এবং সম্পদের উপভোক্তা হিসেবে ।

প্রশ্ন.5. মানবসৃষ্ট সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর:- মানুষ দ্বারা সৃষ্ট সম্পদ যেমন ঘর, রাস্তা, উদ্যোগ, স্কুল ইত্যাদিকে মানবসৃষ্ট সম্পদ বলে।

প্রশ্ন.6. মানুষকে কেন মানব সম্পদ বলা হয়?
উত্তর:- সম্পদের উৎপাদক বা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মানুষকে মানব সম্পদ বলা হয় মানুষ ছাড়া সম্পদ অর্থহীন।

প্রশ্ন.7. দুর্লভ জৈবিক সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তর:- দুর্লভ জৈবিক সম্পদ:- বাঘ, হাতি, গন্ডার, সিংহ, ভালুক, ডলফিন, কুমির, কচ্ছপ ইত্যাদি

প্রশ্ন.8. অসমের মূল্যবান দুর্লভ উদ্ভিদ সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তর:- অসমের মূল্যবান দুর্লভ উদ্ভিদ:- ঘৃতকুমারী, সর্পগন্ধা, কালমেঘ, অর্জুন, অগরু, চিরতা, জাইফল, শতমুল ইত্যাদি।

প্রশ্ন.9. অসমের দুর্লভ লুপ্তপ্রায় প্রাণী সম্পদের উদাহরণ দাও।
উত্তর:- অসমের দুর্লভ লুপ্তপ্রায় প্রাণী:- সুনালি বান্দর, হলৌ বান্দর, বুনো মোষ, নল গাহরি (শূকর), শিশু মাছ, দেও হাস, ধনেশ পাখি, সারস, বনরৌ, সজারু ইত্যাদি।

প্রশ্ন.10. সম্পূর্ণ নাম লেখ।[IUCN, WWF, WCMC ]
উত্তর:-
a) IUCN = International Union for Conservation of Nature
b) WWF = World Wide Fund for Nature
c) WCMC = World Conservation Monitoring Centre

প্রশ্ন.11 বিশ্ব পরিবেশ দিবস কখন পালিত হয়?
উত্তর:-প্রতি বছর 5 জুন তারিখে বিশ্ব পরিবেশ দিবস (World Environment Day) পালন করা হয়

ছোট প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্ন.1. ভূগোলের প্রধান ভাগ কয়টি ও কি কি?
উত্তর:- ভূগোলের প্রধান ভাগ 2 টি:-
a) প্রাকৃতিক ভূগোল এবং
b) মানব ভূগোল

প্রশ্ন.2. অর্থনৈতিক ভূগোলের সংজ্ঞা লেখ।
উত্তর:- অর্থনৈতিক ভূগোলের সংজ্ঞা:
ভূগোলের যে শাখায় সম্পদের উৎপাদন, বিতরণ, উপভোগ ও বিনিময় এবং এদের সঙ্গে জড়িত মানুষের কার্যকলাপ, স্থান অকাল সাপেক্ষে অধ্যায়ন করে, তাকে অর্থনৈতিক ভূগোল বলে।

প্রশ্ন.3. সম্পদের অর্থ বা সংজ্ঞা লেখ।
উত্তর:- সম্পদের অর্থ বা সংজ্ঞা:
মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব বস্তু যার কার্যকারিতা এবং উপকারিতা গুণ থাকে যেমন বায়ু, জল, ফলমূল, ঘর ইত্যাদি সবাইকে সম্পদ বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রশ্ন.4. নিরপেক্ষ বা নিষ্ক্রিয় সামগ্রী বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- নিরপেক্ষ বা নিষ্ক্রিয় সামগ্রী: যেগুলো সামগ্রী মানুষের কোন উপকার বা অপকার করে না সেগুলো সামগ্রীকে নিরপেক্ষ সামগ্রী বলে যেমন মাটির তলায় থাকা খনিজ তেল।

প্রশ্ন.5. প্রতিরোধক সামগ্রী বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- প্রতিরোধক সামগ্রী: যেগুলো সামগ্রী মানুষের অপকার সাধন করে সেগুলোকে প্রতিরোধক সামগ্রী বলে যেমন- অনুর্বর মাটি, বন্যা পীড়িত অঞ্চল, দূষিত জল ইত্যাদি।

প্রশ্ন.6. সম্পদ ও সামগ্রীর পার্থক্য মধ্যে কি?
উত্তর:- সম্পদ ও সামগ্রীর মধ্যে পার্থক্য: সকল সম্পদই সামগ্রী কিন্তু একটি সামগ্রী সম্পদ নাও হতে পারে।

প্রশ্ন.7. প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- প্রাকৃতিক সম্পদ: প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়ে প্রকৃতিতে ব্যাপ্ত হয়ে থাকা সম্পদকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে যেমন- গাছপালা, জীব, বায়ু, পানি, সূর্যের আলো, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।

প্রশ্ন.8. মানবসৃষ্ট সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- মানবসৃষ্ট সম্পদ: প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে মানুষ নিজের জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রযুক্তির মাধ্যমে যেগুলো সামগ্রী প্রস্তুত করে নিজের ব্যবহারের উপযোগী করে তুলে, সেই সামগ্রী গুলোকে মানবসৃষ্ট সম্পদ বলে যেমন- বাঁশ থেকে কাগজ, কার্পাস থেকে কাপড়, সাবান, রং, তৈল, খাদ্য, ঔষধ, কাঠ, অলংকার ইত্যাদি ।

প্রশ্ন.9. মানব সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- মানব সম্পদ: প্রকৃতপক্ষে মানুষেই সম্পদের সৃষ্টিকর্তামানুষের নিজের জ্ঞান, বুদ্ধি, কর্মদক্ষতা, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও আগ্রহ ইত্যাদি গুণের জন্য মানুষকে মানব সম্পদ বলে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব থাকা সত্বেও কেবল মানব সম্পদের দ্রুত বিকাশের জন্য আজ জাপান, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশ পৃথিবীর এক একটি অগ্রণী ও সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত হয়েছে।

প্রশ্ন.10. জৈব সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর:- জৈব সম্পদ: প্রাণ বা জীবন থাকা সম্পদকে জৈব সম্পদ বলে যেমন- উদ্ভিদ, প্রাণী, মাছ, শস্য, জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি।

প্রশ্ন.11. অজৈব সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর:- অজৈব সম্পদ: প্রাণহীন নির্জীব সম্পদকে অজৈব সম্পদ বলে যেমন- মাটি, শিলা, বায়ু, জল, পাহাড়, কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি।

প্রশ্ন.12. কয়লা, খনিজ তেল, ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে কেন অজৈব সম্পদরূপে গণ্য করা হয়?
উত্তর:- উৎপত্তির দিক থেকে কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস মূলত: জৈবিক সম্পদ। বর্তমান অবস্থায় নির্জীব হওয়ায় এসবকে অজৈব সম্পদরূপে গণ্য করা হয় ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রশ্ন.13. নবীকরণ যোগ্য সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- নবীকরণ যোগ্য সম্পদ: যে সম্পদকে বার বার ব্যবহার করা যায় ও কখনো নিঃশেষ না হওয়ার মতো করে রাখতে পারা যায়, সেইগুলো সম্পদকে নবীকরণ যোগ্য সম্পদ বলে যেমন- বায়ু, পানি, সূর্যের আলো, গাছপালা, জীবজন্তু, মানুষ ইত্যাদি।

প্রশ্ন.14. অ-নবীকরণ যোগ্য সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- অ-নবীকরণ যোগ্য সম্পদ: যে সম্পদ একবার ব্যবহারের পর পুনর্ব্যবহার বা পুনরায় সৃষ্টি সম্ভব নয়, একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়, সেই সম্পদকে অ-নবীকরণ যোগ্য সম্পদ বলে যেমন- কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা, সোনা, রুপা, লোহা, চুনাপাথর ইত্যাদি।
প্রশ্ন.15. ব্যক্তিগত সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- ব্যক্তিগত সম্পদ: মানুষের নিজের দখলে থাকা বা অধিকারভুক্ত সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ বলে যেমন- ভালো চরিত্র, শিক্ষা, কর্মদক্ষতা, কৌশল, বুদ্ধি, নিজের ঘর-বাড়ি-জমি ইত্যাদি।

প্রশ্ন.16. জাতীয় সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- জাতীয় সম্পদ: একটি দেশের তত্ত্বাবধানে বা দখলে থাকা সকল সম্পদকেই জাতীয় সম্পদ বলে যেমন- রাস্তাঘাট, নদ-নদী, ভূমি, সেতু, সরকার, অভয়ারণ্য, অরণ্য, বিদ্যালয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি।

প্রশ্ন.17. আন্তর্জাতিক সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- আন্তর্জাতিক সম্পদ: সকল দেশ সহ সমগ্র বিশ্বের অন্তর্গত সকল সম্পদকেই আন্তর্জাতিক সম্পদ বলা হয় যেমন- সাগর-মহাসাগর, বায়ুমণ্ডল, জীবমণ্ডল, মহাদেশ গুলি, মহাকাশ ইত্যাদি।

প্রশ্ন.18. চির বিরাজমান সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- চির বিরাজমান সম্পদ: যেগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ পৃথিবীর সর্বত্র উপলব্ধ ও উপলভ্য সেগুলো সম্পদকে চির বিরাজমান সম্পদ বলে যেমন- বায়ু, পানি, সূর্যের আলো ইত্যাদি

প্রশ্ন.19. স্থানিক সম্পদ বলতে কি বোঝ?
উত্তর:- স্থানিক সম্পদ: যেগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ পৃথিবীর কিছু বিশেষ স্থানে উপলভ্য অর্থাৎ সবখানে পাওয়া যায় না, সেইগুলোকে স্থানিক সম্পদ বলে। যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, উদ্ভিদ, প্রাণী জীবজন্তু ( অসমের গন্ডার) ইত্যাদি।

বড় প্রশ্ন এবং উত্তর

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রশ্ন.1. অর্থনৈতিক ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- অর্থনৈতিক ভূগোলের বিষয়বস্তু হলঃ-
(উল্লেখ কর):
a)প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, বিতরণ ও গুনাগুন,
b) প্রাকৃতিক পরিবেশের ভিন্নতায় সৃষ্ট মানব পরিবেশ,
c) প্রাকৃতিক এবং মানব সৃষ্ট পরিবেশের উপাদান গুলির ভিন্নতার দরুন সৃষ্ট মানুষের জীবন প্রণালী ও কার্যকলাপ, এবং
d) সম্পদের সঙ্গে জড়িত মানুষের কার্যকলাপ
[ ( যদি “আলোচনা কর” প্রশ্ন করা হয় তবে এভাবে লিখবে) ]
অর্থনৈতিক ভূগোলে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, বিতরণ ও গুনাগুন আলোচনা করা হয়। পৃথীবির ওপরিভাগে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভিন্নতার ফলে কিভাবে মানব পরিবেশের সৃষ্টি হয় তাহা আলোচনা করা হয়। প্রাকৃতিক এবং মানব সৃষ্ট পরিবেশের উপাদান গুলির ভিন্নতার দরুন সৃষ্ট মানুষের জীবন প্রণালী ও কার্যকলাপ, এবং সম্পদের সঙ্গে জড়িত মানুষের কার্যকলাপ অর্থনৈতিক ভূগোলের বিষয়বস্তু।জর্জ চিশহমের মতে একটি স্থানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি এবং দিক নির্ণয় করাই হচ্ছে অর্থনৈতিক ভূগোলের মূল উদ্দেশ্য। জোন্স ডার্কেনওয়ান্ডের মতে অর্থনৈতিক ভূগোল বিশেষ করে উৎপাদনক্ষম বৃত্তি বা কার্যকলাপ অধ্যায়নের সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ভূগোল মূলত মানুষের উৎপাদনক্ষম কার্য এবং পরিবেশজনিত অবস্থার সঙ্গে এদের সম্পর্ক অধ্যায়ন করে।

প্রশ্ন.2. অর্থনৈতিক ভূগোলের প্রধান শাখা সমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর:- অর্থনৈতিক ভূগোলের প্রধান শাখা সমূহ হলঃ-
a) কৃষি ভূগোল
b) শিল্পীয় ভূগোল
c) সম্পদ ভূগোল
d) পরিবহন ভূগোল
e) বাজার ভূগোল
f) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ভূগোল
g) পর্যটন ভূগোল ইত্যাদি
এ সমস্ত শাখায় মানুষের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের বিতরণ এবং এর সঙ্গে জড়িত কারক ও প্রক্রিয়াসমূহ অধ্যয়ন করা হয়।

প্রশ্ন.3. অর্থনৈতিক ভূগোলের পরিসর উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- অর্থনৈতিক ভূগোলের পরিসরগুলো হলঃ-
অর্থনৈতিক ভূগোলের পরিসর মূলত পাঁচটি কথার সঙ্গে জড়িত-
a) অর্থনৈতিক কার্যটি সংঘটিত হওয়া স্থান।
b) অর্থনৈতিক কার্যটির বৈশিষ্ট্যগুলি।
c) অর্থনৈতিক কার্যটির সঙ্গে জড়িত আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলি।
d) অর্থনৈতিক কার্যটি সংঘটিত হওয়া স্থানটির কারণ এবং
e) অন্য স্থানে সেই অর্থনৈতিক কার্য সংঘটিত হলে তার ফলাফল।
জর্জ চিশহমের মতে একটি স্থানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি এবং দিক নির্ণয় করাই হচ্ছে অর্থনৈতিক ভূগোলের মূল উদ্দেশ্য। জোন্স ডার্কেনওয়ান্ডের মতে অর্থনৈতিক ভূগোল বিশেষ করে উৎপাদনক্ষম বৃত্তি বা কার্যকলাপ অধ্যায়নের সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ভূগোল মূলত মানুষের উৎপাদনক্ষম কার্য এবং পরিবেশজনিত অবস্থার সঙ্গে এদের সম্পর্ক অধ্যায়ন করে।

প্রশ্ন.4. মানুষের অর্থনৈতিক বৃত্তি বা কার্যের প্রকার গুলো উল্লেখ কর / নিচে আলোচনা করা হল:-

উত্তর:- মানুষের অর্থনৈতিক বৃত্তি বা কার্যের প্রকার গুলো হল / আলোচনা কর।-
a) প্রথম স্তরের / প্রথম স্তরীয় বৃত্তি বা প্রাথমিক কার্য: যে কাজ দ্বারা মানুষ প্রকৃতি থেকে সরাসরি (Directly) সম্পদ আহরণ করে। যেমন কৃষি, মা খনিজ ও বনজ সম্পদ আহরণ ইত্যাদি।
b) দ্বিতীয় স্তরের / দ্বি-স্তরীয় বৃত্তি বা উচ্চ কাজ: যে কার্যের দ্বারা মানুষ প্রকৃতি থেকে আহরিত সম্পদ নানা প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের ব্যবহারের উপযোগী করে তুলে। যেমন- শিল্প উৎপাদন, নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়া ইত্যাদি।
c) তৃতীয় স্তরের / ত্রি-স্তরীয় বৃত্তি বা গৌণ কাজ: যে কাজের মাধ্যমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের উৎপাদিত সামগ্রী উপভোক্তার কাছে পৌঁছানো হয়। যেমন- যাতায়াত, পরিবহন, বাজার, যোগাযোগ ইত্যাদি।
d) চতুর্থ স্তরের / চৌ-স্তরীয় বৃত্তি বা ঐচ্ছিক কাজ: যে কাজ দ্বি-স্তরীয় ও ত্রি-স্তরীয় বৃত্তিসমূহকে অধিক সুচল এবং ফলপ্রসূ করে তুলে। যেমন- ব্যাংক, প্রচার মাধ্যম প্রশাসন, শিক্ষা, গবেষণা ইত্যাদি ।

প্রশ্ন.5. অর্থনৈতিক ভূগোল অধ্যায়নের পদ্ধতি গুলো কি কি?

উত্তর:- অর্থনৈতিক ভূগোল অধ্যায়নের পদ্ধতি:
a) আঞ্চলিক পদ্ধতি, বিষয়বস্তু বা পণ্য দ্রব্য সম্বন্ধীয় পদ্ধতি,
b) আচরণগত পদ্ধতি
c) নীতি-নিয়ম পদ্ধতি
d) তন্ত্র বিশ্লেষণ পদ্ধতি
e) প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি ইত্যাদি

প্রশ্ন.6. অর্থনৈতিক ভূগোল অধ্যয়নের গুরুত্ব উল্লেখ কর / আলোচনা কর / বর্ণনা কর ।

উত্তর:- অর্থনৈতিক ভূগোল অধ্যয়নের গুরুত্ব হল:-
a) ভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যকলাপ প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীলতা সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ।
b) সম্পদের প্রাচুর্যতা, বিতরণ ও গুনাগুনের জ্ঞান লাভ করা।
c) মানুষের বৃত্তি সম এবং জীবন ধারণের মান নির্ণয়।
d) অর্থনৈতিক কার্যকলাপের তন্ন তন্ন আলোচনা করে সু-সংহত ও সু-স্থায়ী উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা করা।
e) শিল্প উদ্যোগ, পরিকাঠামো তৈরীর জন্য নীতি নির্দেশনা গ্রহণ করা ইত্যাদি উল্লেখিত মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভূগোল অধ্যায়নের গুরুত্ব রয়েছে।

প্রশ্ন.7. কৃষি ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- কৃষি ভূগোলের বিষয়বস্তু:
a) কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত কারক সমূহ অধ্যয়ন,
b) কৃষির প্রকারগুলো অধ্যয়ন,
c) কৃষি কার্যের বিতরণ ও পদ্ধতি অধ্যয়ন,
d) শস্যের উৎপাদন ও তার সঙ্গে জড়িত সূত্র সমূহ অধ্যয়ন,
e) কৃষি সামগ্রীর বাজার অধ্যয়ন,
f) আমদানি-রপ্তানি ইত্যাদির অধ্যয়ন করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রশ্ন.8. শিল্পীয় (দ্বি-স্তরীয়) ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- শিল্পীয় (দ্বি-স্তরীয়) ভূগোলের বিষয়বস্তু:
a) শিল্প স্থাপনের সঙ্গে জড়িত অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কারক সমূহ অধ্যয়ন করা।
b) শিল্পের প্রকার ও বিতরণ অধ্যয়ন করা।
c) শিল্প সামগ্রীর উৎপাদন ও পরিমাণ অধ্যয়ন করা।
d) শিল্প অবস্থানের সঙ্গে জড়িত সূত্র সমূহ অধ্যয়ন করা।
e) শিল্প উৎপাদিত সামগ্রির বাজার অধ্যয়ন করা।
f) উৎপাদিত সামগ্রির আমদানি-রপ্তানি অধ্যয়ন করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন.9. সম্পদ ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- সম্পদ ভূগোলের বিষয়বস্তু:
a) সম্পদ সমূহের প্রকার, পরিমাণ ও আঞ্চলিক বিতরণ অধ্যয়ন করা।
b) সম্পদ উদঘাটন বা আহরণ প্রক্রিয়া অধ্যয়ন করা।
c) সম্পদ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কারক সমূহ অধ্যয়ন করা।
d)সম্পদ ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক অধ্যয়ন করা ।
e) সম্পদের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন.10. পরিবহন ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- পরিবহন ভূগোলের বিষয়বস্তু:
a) পরিবহন ব্যবস্থার প্রকার এবং তার সঙ্গে জড়িত কারক সমূহ অধ্যয়ন করা
b)সম্পদের বিতরণ এ ব্যবস্থায় পরিবহনের ভূমিকা অধ্যয়ন করা
c) মানুষের যাতায়াত তথা কার্যকলাপে পরিবহনের ভূমিকা অধ্যয়ন করা
d)অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যে পরিবহনের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে অধ্যয়ন করা হয়

প্রশ্ন.11. বাজার ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- বাজার ভূগোলের বিষয়বস্তু:
a) বাজার স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ও তার কারক সমূহ অধ্যয়ন করা
b) বাজারের প্রকার সমূহ অধ্যয়ন করা
c) বাজারের বিতরণ ও বিতরণের কারক সমূহ অধ্যয়ন করা
d) ভিন্ন বাজারের মধ্যে সম্পর্ক সমূহ ইত্যাদি অধ্যয়ন করা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রশ্ন.12. পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ভূগোলের বিষয়বস্তু:
a)পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে জড়িত কারক সমূহ অধ্যয়ন করা
b) পরিকল্পনা ব্যবস্থা ও নীতি সমূহ অধ্যয়ন করা
c) সুস্থায়ী উন্নয়ন ব্যবস্থাসমূহ অধ্যয়ন করা
d) অঞ্চল তথা উৎপাদন ভিত্তিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ইত্যাদি অধ্যয়ন করা

প্রশ্ন.13. পর্যটন ভূগোলের বিষয়বস্তু উল্লেখ কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- পর্যটন ভূগোলের বিষয়বস্তু:
a) পর্যটন ও তার বিকাশের সঙ্গে জড়িত কারক সমূহ অধ্যয়ন করা
b) পর্যটনের প্রকার ও কেন্দ্রসমূহের কার্যকলাপ অধ্যয়ন করা
c) পর্যটন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনা ইত্যাদি অধ্যয়ন করা

প্রশ্ন.14. “সম্পদ পরিবর্তনশীল” – ব্যাখ্যা কর / আলোচনা কর।

উত্তর:- সম্পদ পরিবর্তনশীল:
আজ কোন সামগ্রী মানুষ ব্যবহার না করলেও বা মানুষের পক্ষে অপকারী হলেও ভবিষ্যতে সেই সামগ্রী মানুষের কল্যাণ সাধন করতে পারে। এরকম অনেক সামগ্রী মানুষের জ্ঞানের প্রসার, বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং প্রচেষ্টার ফলে আজ সম্পদে রূপান্তর হয়েছে। সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদের ধারণা, আহরণ এবং ব্যবহারেরও পরিবর্তন ঘটেছে। উদাহরণস্বরূপ আদিম মানব পাথর ঘষে আহরণ করা আগুন আজ দিয়াশলাই ঘষে উৎপন্ন করা, আবার একই কাজের জন্য বিভিন্ন সম্পদের ব্যবহার এবং একই সম্পদকে নানা কাজে ব্যবহার করাও সম্ভব হয়েছে।

প্রশ্ন.15. সম্পদ ও সম্পত্তির পার্থক্যগুলি লেখ।

উত্তর:- সম্পদ ও সম্পত্তির পার্থক্য:
a) যে সকল সামগ্রির বিনিময় মূল্য আছে, সেইগুলি সামগ্রীকে সম্পত্তি বলা হয়, কিন্তু সম্পদ হতে হলে তার কার্যকারিতা ও উপকারিতা এই দুটি গুনও থাকতে হবে।
b) সম্পত্তির যোগান সীমিত ও হস্তান্তরযোগ্য ঘর, বাড়ি, দোকান ইত্যাদি সম্পত্তি; কিন্তু জল, বাতাস, সূর্যের আলো সম্পত্তি নয় সম্পদ অর্থাৎ সকল সম্পত্তিই সম্পদ, কিন্তু সকল সম্পত্তি সম্পদ নাও হতে পারে।
c) সম্পদের দ্বারা মানুষের কল্যাণ হয়, কিন্তু সম্পত্তির দ্বারা মানুষের উপকার বা অপকার দুটোই ঘটতে পারে।
d) সব সম্পত্তির বাজার মূল্য আছে কিন্তু সব সম্পদের বাজার মূল্য নির্ণয় করা যায় না।

প্রশ্ন.16. সম্পদের শ্রেণীবিভাগ কর।

উত্তর:- সম্পদের শ্রেণীবিভাগ:
A) সৃষ্টি প্রক্রিয়া অনুসারে-
i) প্রাকৃতিক সম্পদ, ii) মানবসৃষ্ট সম্পদ এবং iii) মানব সম্পদ
B) গঠন অনুসারে-
i) জৈব সম্পদ এবং ii) অজৈব সম্পদ
C) উপলব্ধ স্থায়িত্ব অনুসারে-
i) নবীকরণ যোগ্য সম্পদ এবং ii) অ নবীকরণ যোগ্য সম্পদ
D) মালিকের সপ্ত অনুসারে-
i) ব্যক্তিগত সম্পদ, ii) জাতীয় সম্পদ এবং iii) আন্তর্জাতিক সম্পদ

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রশ্ন.17. সম্পদ সংরক্ষণ ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা কর।

উত্তর:- সম্পদ সংরক্ষণ ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা:
কোন ধরনের বিনাশ এবং অপব্যবহার না করে সম্পদের সম্ভাব্য পূর্ণ ও সঠিক ব্যবহার করা কার্য তথা ধারণাকে সম্পদ সংরক্ষণ বলা হয়।
সম্পদ সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ করে বহুকাল পর্যন্ত মানব কল্যাণ সাধন ও উপকৃত হওয়া। কারণ উন্নত দেশগুলি বিশ্বে শীর্ষ স্থান লাভ করতে গিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যাধিক ব্যবহার করিতেছে। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার অত্যাধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাইতেছে। এছাড়া অনবীকরণযোগ্য সম্পদ শেষ হতে চলেছে এবং বহু নবীকরণযোগ্য সম্পদের বিলুপ্তির সংকটে দেখা দিয়েছে। অরণ্য ধ্বংসের জন্য জীবঅন্তুর আবাসভূমি তথা জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং পারিপার্শ্বিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে। অবৈজ্ঞানিক ও বিবেকহীন ভাবে অতিমাত্রা প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার করে যাহাতে আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ক্ষণস্থায়ী না হয়, তার জন্য আমাদের উচিত সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়া।

প্রশ্ন.18. সম্পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?

উত্তর:- সম্পদের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলি:
a) উপকারিতা- সম্পদের দ্বারা মানুষের উপকার সাধন হয়।
b) কার্যকারিতা- সম্পদ ছাড়া কার্য সম্ভব নয়।
c) পরিবর্তনশীলতা- সম্পদ থেকে অন্যান্য সম্পদের সৃষ্টি হয় এবং এক সম্পদ অন্য সম্পদে রূপান্তরিত হয়।

প্রশ্ন. 19 সম্পদ সংরক্ষণের পদ্ধতি সমুহের বিস্তৃত আলোচনা কর।

উত্তর:- সম্পদ সংরক্ষণের পদ্ধতি:
a) বিকল্প সম্পদের সন্ধান:- গবেষণা ও জরিপের মাধ্যমে একটি সম্পদের বিকল্প সম্পদের আবিষ্কার ও উদঘাটন কার্য চালিয়ে যেতে হবে। উদাহরণস্বরূপ শক্তির উৎস কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদির বদলে সৌরশক্তি, জৈব শক্তি, বাতাস শক্তি, জলবিদ্যুৎ আদি আহরণ করা।
b) পুনরাবর্তন:- ব্যবহারের উপযোগী বর্জিত দ্রব্যকে পুনরাবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার করা যেমন পুরনো পলিব্যাগ, প্লাস্টিক, কাগজ, লোহা ও টিনের সামগ্রী ইত্যাদিকে নূতন অন্য সামগ্রী প্রস্তুত করে ব্যবহার করা।
c) অভিযোজন বা নব-প্রচলন:- সম্পদের প্রয়োগের ফলে উৎপন্ন ঋণাত্নক বা ক্ষতিকারক প্রভাব রোধ করতে নতুন উপায় গ্রহণ করা বা প্রচলন করা যেমন রাসায়নিক সারের প্রয়োগে মাটি যদি নষ্ট হয় তাহলে জৈব সার ব্যবহার করা যায়।
d) বর্জিত দ্রব্যের পরিমাণ হ্রাস:- বর্জিত দ্রব্যের উৎপাদন সীমিতকরণ এবং পুনরাবর্তনের মাধ্যমে বর্জিত দ্রব্যের পরিমাণ হ্রাস করা যায় যেমন কাগজ কলে উৎপাদিত বর্জিত বাশ কুটির শিল্পে ব্যবহার করা, ব্যবহৃত পুরনো কাপড় দিয়ে পুতুল তৈরি করা ইত্যাদি।
e) জ্ঞান ও শিক্ষার সম্প্রসারণ:- সম্পদের ভাণ্ডার, বিতরণ, উদঘাটন ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
f) সংরক্ষণ সম্পর্কীয় আইনের কার্যত রূপায়ন করা।
g) কোন সম্পদের সঞ্চিত পরিমাণের সঠিক মূল্যায়ন করা।
h) সম্পদ সমূহের ভবিষ্যৎ প্রয়োজন নির্ধারণ করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন.20. সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ : “আন্ত:রাষ্ট্রীয় পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা”(IUCN)।
উত্তর:- আন্ত:রাষ্ট্রীয় পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (IUCN): 1948 সালে UNESCO এর প্রথম সঞ্চালক প্রধান ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী ‘জুলিয়ান হাক্সলে’ র প্রচেষ্টায় ফ্রান্সে IUCN প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে “সমগ্র বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ তথা জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে অধ্যয়ন, গবেষণা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা”, IUCN এ নেতৃত্বে WWF এবং WCMC স্থাপিত হয়েছে।

প্রশ্ন.21. প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য স্থাপিত ভারতীয় সংস্থা বা অনুষ্ঠানগুলোর সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর:- প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য স্থাপিত সর্বভারতীয় সংস্থা:-

a) পরিবেশ, বন, ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় (MEFCC = Ministry of Environment, Forests and Climate Change) এর কাজ প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কীয় আইন প্রণয়ন করা
b) 1986 সালে স্থাপিত ভারতীয় বন গবেষণা ও শিক্ষা সংস্থা (ICFRE = Indian Council of Forestry Research and Education)
c) বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্র (CSE = Centre for Science & Environment)
d) গ্রীনপিস ইন্ডিয়া (Greenpeace India)
e) ভারতের বন্যপ্রাণী ন্যাস বা ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (WTI = Wildlife Trust of India)

অসমের সংস্থাগুলো:-
a) অসম বিজ্ঞান সমিতি (ASS = Assam Science Society)
b) আসাম বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ পরিষদ (ASTEC = Assam Science Technology & Enviromental Council)
c) আরণ্যক ইত্যাদি

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment