অপরিচিতা গদ্যের মূল ভাব, ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের মূল ভাব আলোচনা কর, অপরিচিতা প্রবন্ধের মূলভাব কী?, অপরিচিতা প্রবন্ধের সারমর্ম, মূল ভাব আলোচনা ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের,এইচ এস সি বাংলা ১ম পত্র ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের মূল ভাব, hsc বাংলা ১ম পত্রের ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের মূল ভাব নোট, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র অপরিচিতা মূল ভাব সার সংক্ষেপ ও মূলভাব,অপরিচিতা প্রবন্ধের ব্যাখ্যা

বিষয়: ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ১০০% কমন ইসলামিক স্টাডিজ ৬ষ্ঠ পত্র সাজেশন ২০২১ অপরিচিতা গদ্যের মূল ভাব, ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের মূল ভাব আলোচনা কর, অপরিচিতা প্রবন্ধের মূলভাব কী?, অপরিচিতা প্রবন্ধের সারমর্ম, মূল ভাব আলোচনা ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের,এইচ এস সি বাংলা ১ম পত্র ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের মূল ভাব, hsc বাংলা ১ম পত্রের ‘অপরিচিতা’ প্রবন্ধের মূল ভাব নোট, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র অপরিচিতা মূল ভাব সার সংক্ষেপ ও মূলভাব,অপরিচিতা প্রবন্ধের ব্যাখ্যা

সারমর্ম:
‘অপরিচিতা’ গল্পে অপরিচিতা বিশেষণের আড়ালে যে ব্যক্তিত্বের অধিকারী নারীর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, তার নাম কল্যাণী। অমানবিক যৌতুক প্রথার নির্মম বলি হয়েছে এমন নারীদের গল্প ইতঃপূর্বে রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু এই গল্পেই প্রথম যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের কথকতা শোনালেন তিনি। এ গল্পে পিতা শম্ভুনাথ সেন এবং কন্যা কল্যাণীর স্বতন্ত্র বীক্ষা ও আচরণে সমাজে গেড়ে-বসা ঘৃণ্য যৌতুকপ্রথা প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। পিতার বলিষ্ঠ প্রতিরোধ এবং কন্যা কল্যাণীর দেশচেতনায় ঋদ্ধ ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও তার অভিব্যক্তিতে গল্পটি স্বার্থক।

‘অপরিচিতা’ উত্তম পুরুষের জবানিতে লেখা গল্প। গল্পের অনুপম ব্যক্তিত্বরহিত, পরিবারতন্ত্রের কাছে অসহায় পুতুলমাত্র। তাকে দেখলে আজো মনে হয়, সে যেন মায়ের কোলসংলগ্নে শিশুমাত্র। তারই বিয়ে উপলক্ষে যৌতুক নিয়ে নারীর চরম অবমাননাকালে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা-সম্প্রদানে অসম্মতি গল্পটির শীর্ষ মুহূর্তে। অনুপম নিজের গল্প বলতে গিয়ে ব্যাঙ্গার্থে জানিয়ে দিয়েছে সেই অঘটন সংঘটনের কথাটি। বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তখন কন্যার লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে শম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের জাগরণের মধ্য দিয়ে গল্পের শেষাংশে কল্যাণীর শুচিশুভ্র আত্মপ্রকাশ ও ভবিষ্যতের নতুন নারীর আগমনীর ইঙ্গিতে পরিসমাপ্তি।

অপরিচিতা মনস্তপে ভেঙ্গেপড়া এত ব্যক্তিত্বহীন যুবকের স্বীকারোক্তির গল্প, তার পাপসঙ্খলনের অকপট কথামালা। অনুপমে আত্মবিবৃতির সূত্র ধরেই গল্পের নারী কল্যাণী অসামান্য হয়ে উঠেছে। গল্পটিতে পুরুষতন্ত্রের অমানবিকতার স্ফূরণ যেমন ঘটেছে, তেমনি একই সঙ্গে পুরুষের ভাষ্যে নারীর প্রশস্তিরও কীর্তির হয়েছে।


আরো ও সাজেশন:-

পাঠ বিশ্লেষণ :
১। “বাহিরে তো সে ধরা দিলই না, তাহাকে মনেও আনিতে পারিলাম না।”
উত্তর : বিনুদাদার কল্যাণে অনুপমের বিয়ের আসরটা জমজমাট হয়ে উঠল। তার এমনই দুর্ভোগ যে, কনে আসার আগেই বিয়ে ভেঙে গেল। বিনুদার বর্ণনায় আকর্ষিত হয়ে কল্পনার দৃষ্টিতে তাকে দেখার সুযোগ সৃষ্টি হলেও তাকে চাক্ষুষ দেখার সুযোগই পেল না সে। বাইরে তো সে ধরা দিলই না, তাকে মনেও আনত পারল না অনুপম।

২। “এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি। ”
উত্তর : মায়ের সাথে যাত্রাপথে গাড়িতে ওঠার সময় কল্যাণীর কণ্ঠে প্রথম অনুপম শুনতে পায় ‘জায়গা আছে’ কথাটি। ‘জায়গা আছে’ কথাটি অনুপমের কাছে চিরজীবনের গানের ধুয়া হয়ে রয়েছে। কল্যাণীকে বিয়ে করতে পারেনি বলে অনুপমের কোন কষ্ট নেই, বরং সুযোগ হলে তার ছোটখাটো কাজ পর্যন্ত সে করে দেয়। আর মনে মনে ভাবে, এই তো সে জায়গা পেয়েছে। যদিও তার সম্পূর্ণ পরিচয় পায়নি, আজও সে অপরিচিতা। তবুও ভাগ্য ভালো যে, সে জায়গা পেয়েছে।

৩। “ছোটোকে যাঁহারা সামান্য বলিয়া ভুল করেন না তাঁহারা ইহার রস বুঝিবেন।”
উত্তর : গল্পের নায়ক অনুপমের জীবনের মাত্র চার বছরের চমক ইতিহাসটুকু ছোট। ছোট জলবিন্দুর মধ্যেই সিন্ধুর ব্যাপকতা থাকে, রসমাধুর্য থাকে। ওটুকু চয়ন করে নিতে হয়। এ কারণে ছোটকে যারা সামান্য বলে ভুল করেন না, তারা এর রস পান করে আনন্দ অনুভব করতে পারেন।

৪। “আমরা যে ধনী একথা তিনিও ভোলেন না, আমাকেও ভুলিতে দেন না।”
উত্তর : ধনী কথাটার মধ্যে এক ধরনের অহংকারবোধ যেমন আছে তেমনি অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার মনোভাবও আছে। বিশেষ করে যারা গরিব থেকে হঠাৎ ধনী হয়, তাদের ক্ষেত্রে এ কথা বেশি খাটে। অনুপমের মায়ের স্বভাবও মনোভাবের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। কারণ তিনি গরিব ঘরের মেয়ে, তাই হঠাৎ ধনী হওয়ার অহংকারটা নিজেও ভোলেন না, ছেলেকেও ভুলতে দেন না।

৫। “তাহাকে না খুঁড়িয়া এখানকার এক গণ্ডুষও রস পাইবার জো নাই।”
উত্তর : গোটা সংসারের দায়িত্বে যিনি থাকেন, তিনিই জানেন কী দিয়ে কী হয়, কার জন্য কী দরকার। সংসারের সব রহস্যই তার জানা থাকে। সে রহস্যের ছিটেফোঁটা রস উদঘাটন করতে চাইলে তাকে খুঁড়তে হয়। অনুপমদের সংসারের দায়িত্ব তার মামার ওপর। তাকে না খুঁড়ে এখানকার এক গণ্ডুষও রস পাওয়ার উপায় নেই।

৬। “এখনো আশা ছাড়ি নাই, কিন্তু মাতুলকে ছাড়িয়াছি।”
উত্তর : কানপুরে নামার সময় মেয়েটির নাম পরিচয় জানতে পেরে অনুপম ও তার মা দুজনই চমকে উঠল। তারপর মামার নিষেধ অমান্য করে , মাতৃ আজ্ঞা ঠেলে অনুপম কানপুরে চলে এলো। কল্যাণী ও তার বাবার সাথে দেখা করে হাতজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করল। শম্ভুনাথ বাবুর হৃদয় গলল। তাতে বিশেষ কোন ফল হলো না। কল্যাণী স্পষ্ট জানিয়ে দিল সে বিয়ে করবে না। বিয়ের আশায় সে মাতুলকে ছেড়েছে, তবু কল্যাণীর আশা সে এখনও ছাড়েনি।

৭। “মস্তু বাংলাদেশের মধ্যে আমিও একমাত্র পুরুষ যাহাকে কন্যার বাপ বিবাহের আসর হইতে নিজে ফিরাইয়া দিয়াছে।”
উত্তর : বাংলাদেশে সাধারণত বর ও বরের বাবা কোন কারণে কনেপক্ষের সাথে মতপার্থক্য হলে বিয়ের আসর থেকে চলে আসে অথবা কনেকে ত্যাগ করে। গল্পের নায়ক অনুপমের ক্ষেত্রেই এর বিপরীত ঘটনা ঘটেছে। কেবল মামার অহংকারের কারণেই তার মতো ব্যক্তিহীন সুুুপুরুষকে কন্যার বাবা বিয়ের আসর থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

৮। “ভিড়ের মধ্যে দেখিলে সকলের আগে তাঁর উপরে চোখ পড়িবার মতো চেহারা।”
উত্তর : সুগঠিত অঙ্গসৌষ্ঠবের মানুষের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। শম্ভুনাথ সেন সেরকম চেহারার একজন মানুষ। বিয়ের পর তিন দিন আগে তিনি অনুপমকে প্রথম চোখে দেখলেন এবং আর্শীবাদ করলেন। তাঁর বয়স চলি­শের কিছু এপারে বা ওপারে। চুল কাঁচা, গোঁফে পাক ধরতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে সুপুরুষ। ভিড়ের মধ্যে দেখলেও সবার আগে চোখে পড়ার মতো।

৯। “তাহার বিশেষত্ব এই যে, তাহার মধ্যে বয়সের তফাত কিছুমাত্র ছিল না।- ছোটদের সঙ্গে অনায়াসে এবং আনন্দে ছোট হইয়া গিয়াছিল।”
উত্তর : মিষ্টি সুরে ‘এখানে জায়গা আছে’ বলা মেয়েটিকে অনুপম এইমাত্র দেখল। এখনও তাকে সুর বলেই মনে হচ্ছে। দেখতে দেখতে চোখে পলক পড়ছে না। বয়স ষোলো সতেরো হবে। সারা দেহে নবযৌবনের আভা ছড়িয়ে আছে। কিন্তু তা তাকে ভারাক্রান্ত করে তোলেনি অর্থাৎ তার দেহ মনে কোথাও ভার চাপিয়ে দেয়নি। তার চলা ও বলার গতি সহজ স্বচ্ছন্দ, দীপ্তি নির্মল, সৌন্দর্যের শুচিতা অপূর্ব, কোথাও কোন জড়িমা নেই।

১০। “তিনি এমন বেহাই চান যাহার টাকা নাই অথচ যে টাকা দিতে কসুর করিবে না।”
উত্তর : অনুপমের মামা শোষণ ও শাসন দুটিই ভালো বোঝেন। তিনি আত্মীয়তাও রাখতে চান অথচ তাকে যথাযথ সম্মান দিতে চান না। তিনি তার ভাগ্নের জন্য এমন ঘরের মেয়ে চান, যে এ বাড়িতে মাথা হেঁট করে আসবে। এমন বেয়াই চান, যার টাকা নেই অথচ টাকা দিতে কসুর করবে না, যাকে শোষণ করা যাবে, আবার গুড়–গুড়ির পরিবর্তে হুঁকা দিলেও আপত্তি করবে না। বউ ও বেয়াই হবে তাদের বাড়ির সম্পূর্ণ অনুগত।

১১। “মামার একমাত্র লক্ষ্য ছিল, তিনি কোনমতেই কারও কাছে ঠকিবেন না।”
উত্তর : আড়ম্বরহীন বিয়ে বাড়িতে ঢুকে মামা খুশি হলেন না। তার ওপর কনের বাবার টানাটানির যে কথা শুনেছিলেন, তাতে তার ধারণা হলো লোকটা ঠকাতে পারেন। তাই তিনি বেয়াই মহাশয়কে বিয়ে শুরুর আগেই গহনার মান ও মাপ যাচাই করার সুযোগ দিতে অনুরোধ করলেন। কারণ তার মতে বিয়ের পরে আর কোন কথা তোলা যায় না। তার লক্ষ্য ছিল, তিনি কারও কাছে কোনাভাবেই ঠকবেন না।




গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (জ্ঞানমূলক):
১. ‘এ জীবনটা না দৈর্ঘ্যরে হিসাবে বড়, না গুণের হিসাবে’- বলতে বোঝানো হয়েছে – আত্মসমালোচনা।
২. ‘অপরিচিতা’ গল্পটি বর্ণিত হয়েছেÑউত্তম পুরুষের জবানিতে।
৩. নিজের নিস্ফল জীবনকে বোঝাতে অনুপম ব্যবহার করেছে  ফলের মতো গুটি’ উপমাটি।
৪. পণ্ডিতমশায় বিদ্রুপ করার জন্য অনুপমের চেহারার তুলনা করতেনÑশিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সাথে।
৫. ‘মাকাল ফল’ অর্থদুর্গন্ধ ও শাঁসযুক্ত খাওয়ার অনুপযোগী ফল।
৬. অনুপমের পিতা প্রচুর টাকা রোজগার করেছিল ওকালতি করে।
৭. অনুপমের পিতা চাকরি থেকে প্রথম অবকাশ নেন মৃত্যুর সময়।
৮. অনুপম মানুষ হয়েছে মার হাতে।
৯. অন্নপূর্ণা হচ্ছে দেবী দুর্গা।
১০. গজানন হচ্ছে গণেশ (গজ অর্থাৎ হাতির মত আনন যার)।
১১. দেবী দূর্গার ছেলে -২ জন (বড় পুত্র গণেশ ছোট পুত্র কার্তিক)।
১২. অনুপমের আসল অভিভাবকÑতার মামা।
১৩. অনুপমের মামা অনুপমের চেয়ে বয়সে ৬ বছরের বড়।
১৪. ফল্গু হচ্ছে – ভারতের গয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি নদীর নাম।
১৫. ফল্গু নদীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ওপরের অংশে বালির আস্তরণ কিন্তু ভেতরে জলস্রোত প্রবাহিত হয়।
১৬. যে নারী নিজেই স্বামী নির্বাচন করে তাকে বলে – স্বয়ংবরা।
১৭. অনুপমের মামার অস্থিমজ্জায় জড়িত ছিল – টাকার প্রতি আসক্তি।
১৮. পৃথিবীতে অনুপমের ভাগ্যদেবতার প্রধান এজেন্ট ছিল -তারা মামা।
১৯. অনুপমের বন্ধুর নাম – হরিশ (মানুষ হিসেবে রসিক ছিল)।
২০. হরিশ কাজ করত – কানপুরে।
২১. অনুপমের হৃদয়ের গোপন কথা প্রকাশ পেয়েছে – তরুমর্মরে।
২২. হরিশনের কথা শুনে অনুপমের শরীর মনÑবসন্ত বাতাসে বকুল বনের নব পল­বরাশির মতো কাঁপিতে কাঁপিতে আলোছায়া বনিতে লাগিল।
২৩. ‘অপরিচিতা’ গল্পে বকুলবনের নবপল­বরাশি’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে অনুপমের মনের অবস্থা।
২৪. শম্ভুনাথ বাবু পেশায় একজন ডাক্তার।
২৫. শম্ভুনাথ বাবুর বন্ধু পেশায় ছিলেন উকিল।
২৬. শম্ভুনাথ বাবু পশ্চিমে গিয়া বাস করিতেছেন -বংশ মর্যাদা রক্ষার্থে।
২৭. ‘অপরিচিতা’ গল্পে ‘পশ্চিমে’ বলতে বোঝানো হয়েছে ভারতের পশ্চিম অঞ্চলকে।
২৮. লক্ষীর ঘটটি একেবারে উপুড় করিয়া দিতে দ্বিধা হইবে না কোথাও শম্ভুনাথের কারণ কল্যাণী তার একমাত্র মেয়ে (অনুপমের মামার চিন্তা এটা)।
২৯. বিয়ের ভূমিকা অংশটা সমাধা হইয়া গেল – নির্বিঘে।
৩০. অনুপমের মামার মতে কলিকাতার বাহিরে পৃথিবীটা অন্তর্ভুক্ত আছে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের।
৩১. আন্দামান দ্বীপ -ভারতীয় সীমানাভুক্ত বঙ্গোপসাগরের অংশ বিশেষ।
৩২. স্বদেশী আন্দোলনের যুগে রাজবন্দিদের নির্বাসন শাস্তি দিয়ে পাঠানো হতো – আন্দামান দ্বীপে।
৩৩. কল্যাণীকে আর্শীবাদ করার জন্য পাঠানো হয়েছিল – অনুপমের পিসতুতো ভাই বিনুদাদাকে।
৩৪. অনুপম ষোল আনা নির্ভর করে – বিনুদাদার রুচি ও দক্ষতার উপর।
৩৫. বিনুদাদার ভাষা – অত্যন্ত আঁট।
৩৬. যেখানে সবাই বলে ‘চমৎকার’ বিনুদাদা সেখানে বলেনÑ চলনসই।
৩৭. মেয়ের সম্পর্ক বিনু দাদার কথা শুনে অনুপম তার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছ – পঞ্চশরের।
৩৮. হিন্দু পুরাণ অনুসারে প্রজাপতি হচ্ছে বিয়ের দেবতা(ব্রহ্মা)।
৩৯. পঞ্চশর হচ্ছে – মদনদেবের ব্যবহার্য পাঁচ ধরণের বাণ।
৪০. বিবাহ উপলক্ষে কলকাতায় আসিতে হইল – কন্যাপক্ষকে।
৪১. ‘বোঝা শক্ত, কেননা তিনি বড়ই চুপচাপ’ বলা হয়েছে- শম্ভুনাথ বাবুর প্রসঙ্গে।
৪২. ‘লোকটা নিতান্ত নির্জীব, একেবারে কোন তেজ নাই’ শম্ভুনাথ বাবু সম্পর্কে একথা ভেবেছিলেন অনুপমের মামা।
৪৩. অনুপমের মামা মনে মনে খুশি হইলেন কারণ বেহাইয়ের কোন তেজ নাই।


অপরিচিতা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ লাইন:
 হরিশের কাছে শুনিয়াছি, মেয়েটিকে আমার ফটোগ্রাফ দেখানো হইয়াছিল।
 কলিকাতার বাহিরে বাকি যে পৃথিবীটা আছে সমস্তটাকেই মামা আন্দামান দ্বীপের অন্তর্গত বলিয়া জানেন।
 আজ আমার বয়স সাতাশ মাত্র।
 মার হাতেই আমি মানুষ।
 কন্যার পিতা মাত্রেই স্বীকার করিবেন, আমি সৎপাত্র।
 আমার বন্ধু হরিশ কানপুরে কাজ করে।
 মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাঁহার কাছে গুরুতর।
 এক কালে ইহাদের বংশে লক্ষ¥ীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।
 দেশে বংশ মর্যাদা রাখিয়া চলা সহজ নয় বলিয়া ইনি পশ্চিমে গিয়া বাস করিতেছেন।
 মেয়ের বয়স যে পনেরো, তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইল।
 বিনুদা ফিরিয়া আসিয়া বলিলেন, “মন্দ নয় হে! খাঁটি সোনা বটে।”
 আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চশরের কোনো বিরোধ নাই।
 বিবাহ-উপলক্ষে কন্যাপক্ষকেই কলিকাতায় আসিতে হইল।
 “বাবাজি, একবার এই দিকে আসতে হচ্ছে।”
 স্যাকরা কহিল, “ইহা বিলাতি মাল, ইহাতে সোনার ভাগ সামান্যই আছে।”
 ঠাট্টার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।”
 চিরকাল গলার স্বর আমার কাছে বড়ো সত্য।
 তাহার একটিমাত্র ধুয়া-“গাড়িতে জায়গা আছে।”
 “না, আমরা গাড়ি ছাড়িব না।”
 সে বলিল, “মাতৃ-আজ্ঞা।”
 কেবল সেই এক রাত্রির অজানা কন্ঠের মধুর সুরের আসা-যাওয়া আছে।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment