অনুচ্ছেদ ব্লু ইকোনমি অনুচ্ছেদ, ব্লু ইকোনমি অনুচ্ছেদ PDF Download,অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা ব্লু ইকোনমি, ব্লু ইকোনমি অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ ব্লু ইকোনমি (PDF Download)

বিষয়: অনুচ্ছেদ ব্লু ইকোনমি অনুচ্ছেদ, ব্লু ইকোনমি অনুচ্ছেদ PDF Download,অনুচ্ছেদ নিয়োগ পরীক্ষায় আসা ব্লু ইকোনমি, ব্লু ইকোনমি অনুচ্ছেদ বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ ব্লু ইকোনমি (PDF Download)

সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন :-০১

সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি (Blue Economy) হলো অর্থনীতির এমন একটি বিষয় যেখানে একটি দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ কিংবা সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই ‘সুনীল অর্থনীতি’ কিংবা ‘ব্লু ইকোনমি’ আরেক নাম ‘সমুদ্র অর্থনীতি’।

সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি।  সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতি।

সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যে সকল সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়, তা ব্লু -ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির পর্যায়ে পড়বে।

সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস। সমুদ্র থেকেই  মাছ কিংবা মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে খাবার চাহিদা ও অন্যান্য অর্থনৈতিক মেটায়; সমুদ্র মানুষ এবং পন্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সমুদ্র নানা ধরনের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ যেমন বালি, লবণ, কবাল্ট, গ্রাভেল, এবং কপার ইত্যাদির আধার হিসেবে ব্যবহূত হয় এবং তেল ও গ্যাস আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে সমুদ্র প্রয়োজন হয়। এসব উপাদান সমষ্টিকেই বলা হয় সুনীল অর্থনীতি (Blue Economy)।

সুনীল অর্থনীতির এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করা, সামাজিক পুঁজির সৃষ্টি করা, আয় বাড়ানো এবং সর্বোপরি পরিবেশে সঞ্চয়-বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।


আরো ও সাজেশন:-

সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন :-০২

ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আসলে সমুদ্রসম্পদনির্ভর পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি। ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ভবিষ্যতের অর্থনীতির রূপরেখা প্রণয়নে একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে ব্লু-ইকোনমির ধারণা দেন। 

মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ খাদ্য ও জ¦ালানি চাহিদা মেটাতে বিশ্ব নজর এখন সমুদ্র তলদেশে সঞ্চিত সম্পদের ওপর। পৃথিবীর ৬৩০ কোটি মানুষের ১৫ শতাংশ প্রোটিন চাহিদার জোগান দিচ্ছে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি। 

জনসংখ্যা পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৯০০ কোটি। এ বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও জ্বালানি চাহিদা পূরণের একমাত্র ক্ষেত্র হতে পারে সমুদ্রসম্পদ। সমুদ্র ঘিরে বিশ্ব বাণিজ্যে প্রতি বছর প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড হয়। আন্তর্জাতিক আমদানি রফতানির ৬০ ভাগ সমুদ্রপথে হয়ে থাকে। 

পৃথিবীর অনেক দেশ বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় আয়ের বেশির ভাগ অবদান রাখছে সমুদ্র অর্থনীতি। অস্ট্রেলিয়া সামুদ্রিক সম্পদের উৎকর্ষসাধন ও পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে বছরে আয় করছে ৪৪ বিলিয়ন ডলার। 

জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ভারত মহাসাগরের অনেক দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সমুদ্র অর্থনীতি। বাংলাদেশ পেয়েছে ভূ-খণ্ডের প্রায় সমআয়তনের সমুদ্রসীমা। উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে যদি সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগাতে পারি আমরা, তবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ শুধু সময়ের ব্যাপার।


Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Honors & Degree, HSC, SSC, JSC Suggestion


একবিংশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও বিশ্বায়নের যুগে বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলো সব বিকল্প সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তৎপর। সেজন্য সম্ভাবনাময় সব খাতকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। প্রাকৃতিক সম্পদ, সামুদ্রিকসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করে অনেক দেশ ইতোমধ্যে নিম্নআয়ের থেকে উচ্চ আয়ের দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলো দীর্ঘমেয়াদি কর্মকৌশল প্রণয়ন করে রাজস্ব থেকে ব্যয় করেছে লাখ লাখ ডলার। তেমনি করে দ্বিপক্ষীয়-বহুপাক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে দক্ষ জনবল নিয়োগ করে আর প্রযুক্তি ঘাটতি মেটাতে সহায়তা নিয়েছে উন্নত দেশগুলোর সমুদ্র বিশারদ ও উন্নত প্রযুক্তির। সমুদ্র অর্থনীতির সুফল পেতে আমাদেরও প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট সরকারি নীতিমালা ও বিনিয়োগ মানসিকতা। বাংলাদেশ সরকারের উচিত সামুদ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়াতে গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া ও প্রয়োজনে উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলোর সহায়তা নেয়া।

অতীতে সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বিরোধ থাকায় সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা ছিল বাংলাদেশের। জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নিয়ে সেই বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে। সমুদ্র আইনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সমুদ্রসীমা, যার ১২ নটিক্যাল মাইল রাজনৈতিক সীমা (এই অংশে বাংলাদেশ যা খুশি তাই করতে পারবে), ২০০ নটিক্যাল মাইল অবধি অর্থনৈতিক সীমা (প্রাণিজ-অপ্রাণিজ ও তেল-গ্যাসসহ খনিজসম্পদ উত্তোলনের ক্ষমতা) আর ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল মহীসোপান অঞ্চলে মৎস্য আহরণ, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলন ও অন্যান্য খনিজসম্পদ আহরণের আধিপত্য। ১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫ কিলোমিটার। 

সমুদ্র উপকূলবর্তী অনেক উন্নত দেশ সমুদ্রসীমায় সঞ্চিত সম্পদ কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করেছে। উদাহরণস্বরূপ দীর্ঘ মহীসোপান সম্পন্ন দেশের নাম হিসেবে নরওয়ের নামটি প্রণিধানযোগ্য। আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত দেশটিকে বলা হয় ‘ধীবরের দেশ’ অর্থাৎ মৎস্যজীবীদের দেশ। কেননা দেশটির উপকূলে রয়েছে সুদীর্ঘ মহীসোপান অঞ্চল। মহীসোপান অঞ্চল হলো উপকূল থেকে অপেক্ষাকৃত অগভীর অনধিক ১৮০ মিটার গভীর পর্যন্ত সমুদ্রের বিস্তৃত অংশ। এ মহীসোপান অংশই সামুদ্রিক মৎস্যচারণ ক্ষেত্র আর সবচেয়ে বেশি মৎস্য আহরিতও হয় ওই অংশে। তাই নরওয়ে সামুদ্রিক মৎস্য রফতানিতে বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশ। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধানতম খাতও মৎস্যসম্পদ।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন :-০৩

বর্তমানে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হলো সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি। জাতিসংঘ ২০১৫ সালে যে টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে, তার মূল কথাই হচ্ছে ব্লু ইকোনমি । বাংলাদেশ জনসংখ্যাবহুল একটি ছোট দেশ। রয়েছে সীমিত সম্পদ । এই সম্পদের অসীম ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বর্তমান সরকার। এর ফলস্বরূপ কৃষকরা এখন আর একটি ফসলের ওপর নির্ভর করে না। ঋতু অনুযায়ী তারা চাষাবাদ করে। ফলে একই জমিতে নানা ধরনের ফসল ফলে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংস্বম্পূর্ণ।

যেহেতু আমাদের জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান, তাই এই বিপুল জনগোষ্ঠিকে কাজে লাগিয়ে সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব। ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিশাল সমুদ্্র এলাকা (প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার) জয় করে বাংলাদেশ।

এর ফলে দেশের স্থলভাগের বাইরে জলসীমায়ও আরেক বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সুনীল অর্থনীতি : জাতীয় অগ্রগতিতে এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা’ শিরোনামে গোলটবিল পরামর্শমূলক পলিসি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, ‘সমুদ্র সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে জিডিপি ৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।’ উক্ত অনুষ্ঠানে সম্ভাবনা, সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে আলোচনা হয়। ব্লু ইকোনমির অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নকে আরও মজবুত করতে সমুদ্র সম্পদের কোন জুড়ি নেই। উক্ত গোলটেবিল অনুষ্ঠান থেকে জানা যায়, তেল ও গ্যাস রফতানিকারক দেশগুলো ২০৫৫ সালের পর তেল এবং ২০৬৫ সালের পরে গ্যাস রফতানি করবে না। এক্ষেত্রে দেশের বিপুল সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে জ্বালানি নিরাপত্তা পাওয়া সম্ভব হবে। বঙ্গোপসাগর হতে প্রতিবছর ৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছ ধরা সম্ভব হলেও আমারা ন্যূনতম পরিমাণ মাছ ধরছি। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মাছ আহরণ বাড়বে। গভীর সমুদ্রে টুনা জাতীয় মাছের প্রাচুর্য রয়েছে। সামুদ্রিক বিভিন্ন মৎস্য থেকে কসমেটিক, পুষ্টি, খাদ্য ও ওষুধ পাওয়া যায়। মেরিন জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যমান মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। বিশ্ববাণিজ্যের ৯০ ভাগই সম্পন্ন হয় সামুদ্রিক পরিবহনের মাধ্যমে । এই সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য উন্নতমানের বাণিজ্য জাহাজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

তাই স্থানীয় জাহাজ নির্মাণ কোম্পানিগুলোকে সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক জাহাজ নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করা দরকার। দেশে ৩০০টি শিপইয়ার্ড ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে বর্তমানে ছোট ও মধ্যম আকারের জাহাজ রফতানি করা হচ্ছে। রফতানি আয় বাড়ানোর জন্যও বড় জাহাজ তৈরির সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়াও সমুদ্রের অফসোর অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় উইন্ড মিল স্থাপন করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি পাওয়া যেতে পারে। আমাদের বিস্তীর্ণ সমুদ্রের ওয়েভ এবং জোয়ার-ভাটাকে ব্যবহার করে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। উন্নয়নে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে আগামী এক দশকের মধ্যে বিশ্বের কোবাল্ট, কপার, জিঙ্ক এবং ধাতুসমূহের উৎপাদনের ১০ ভাগ আসবে সমুদ্র থেকে। এ সকল মূল্যবান খনিজধাতু চিহ্নিত করার জন্য বাংলাদেশ এখনও যথোপযুক্ত গবেষণা ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি।

Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

দেশে প্রতিবছর ১৫ লাখ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানো হয়। বিশাল সমুদ্র এলাকায় উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার করলে লবণ বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। বঙ্গোপসাগরে আরও অনেক মূল্যবান ও ভারি খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে রয়েছে ইলমেনাইট, টাইটেনিয়াম অক্সাইড, রুটাইল, জিরকন, গার্নেট, ম্যাগনেটাইট, কোবাল্ট ও মোনাজাইটসহ অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ ছাড়াও বিদেশীরা আসে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। তাই ক্রুজশিপ এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারলে বিশাল এই সমুদ্র সীমার মাধ্যমে পর্যটন আয় বাড়ানো সম্ভব হবে বহুগুণ। বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ ভাগ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে সম্পদে রূপান্তর করার মাধ্যমে আমাদের অব্যবহৃত সম্পদ কাজে লাগানো প্রয়োজন। ব্লু ইকোনমির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বেকারত্ব কমবে। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘সমগ্র বিশ্বে মূল্যস্ফীতির দাপট। এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সমুদ্র অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ এদেশে যেমন রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা, তেমনি সম্পদে ভরা আমাদের এই দেশ। শুধু প্রয়োজন পর্যাপ্ত নীতিমালা ও সঠিক কর্মপরিকল্পনা। জনগণকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে শুরু করেছি।

তাই প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্প্রসারণ প্রয়োজন। সমুদ্রে গমন এবং গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য আলাদাভাবে গবেষণামূলক জাহাজ তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে সম্পদের পরিমাণ এবং মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। বিওআরআই কর্তৃক যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে ব্লু ইকোনমি উন্নয়নে নানা মাত্রিক পরিকল্পনা নিয়েছে বিওআরআই (বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট)। তার মধ্যে যেসব উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা রয়েছে পটেনশিয়াল ফিশিং জোন চিহ্নিতকরণ, সমুদ্র পর্যবেক্ষণ এবং রিয়েলটাইম ডাটা সিস্টেম চালুকরণ, বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি সম্পর্কিত বেজ লাইন ডাটা নির্ধারণ, একোয়া কালচার করা, সমুদ্র তীরবর্তী দূষণ রোধ, কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফি সম্পর্কিত বেজ লাইন ডাটা সমৃদ্ধকরণ। সমুদ্র বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরিসহ সমুদ্র বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম এরকম আরও কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের একমাত্র সমুদ্রবিদ্যা গবেষণা জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিওআরআই ২০১৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে যা দেশের সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মাইলফলক অর্জন। বিশ্ব অর্থনীতিতে সমুদ্র সম্পদ নানাভাবে অবদান রাখছে। বিশ্বের ৪৩০ কোটি মানুষের ১৫ ভাগ প্রোটিনের জোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও প্রাণী। সমুদ্রতলের গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে পৃথিবীর ৩০ ভাগ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সরবরাহ হচ্ছে। সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে মানুষের জ্ঞান খুব স্বল্প। তাই এই বিষয় পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি। শিশুকাল থেকেই জানা প্রয়োজন সমুদ্র দিয়ে আমরা কতভাবে উপকৃত হই। এই বিষয়ে কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ দরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সমুদ্র সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

Leave a Comment