অনুচ্ছেদ নগর পরিবহন

অনুচ্ছেদ নগর পরিবহন, ‘নগর পরিবহন’ সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ লিখুন

যানজটমুক্ত নগর পরিবহন নগর উপহার দিতে রাজধানী ঢাকায় বাস ফ্র্যাঞ্চাইজি চালু করেছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে ‘নগর পরিবহন’ নামে লাল সবুজ রঙের বাস নামানো হয়েছে। এরইমধ্যে ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত রুটে ‘গ্রিন ক্লাস্টার’-এ এ সার্ভিস চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

সার্ভিসটি নিয়ে যাত্রী সাধারণের আগ্রহ থাকলেও বাধা একই রুটে ভিন্ন কোম্পানির পরিবহন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবহন মালিকরাও চাইছেন না সার্ভিসটি ভালোভাবে চলুক। এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে উদ্যোগটি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।

ব্যক্তি মালিকানাধীন বলয় থেকে গণপরিবহনকে মুক্ত করতেই কোম্পানির মাধ্যমে পরিবহন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর ব্রিজ রুটে পিক আওয়ারে ১০ মিনিট ও অফপিকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটের ব্যবধানে বাস ছাড়ছে। প্রতিটি স্পটে বাস সর্বোচ্চ দুই মিনিট করে দাঁড়াচ্ছে। প্রিন্টেড স্লিপে আদায় করার ফলে ভাড়া হচ্ছে না কোনও বচসা। একারণে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পরিবহনটি। ফলে দিনে দিনে বাসে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই ব্যক্তিমালিকানাধিন বাসগুলোর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলতে হচ্ছে পরিবহন সার্ভিসকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঢাকা নগর পরিবহন।

2022 বছরের ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটার চর, মোহাম্মপুর থেকে গুলিস্তান-মতিঝিল হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমটার পথে পরীক্ষামূলক বাস সার্ভিস চালু করে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। ৫০টি পরিবহন নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া পরিবহনটিতে আগামী সপ্তাহে আরও ৫০টির বেশি পরিবহন যুক্ত হচ্ছে। শৃঙ্খলা মেনে পরিবহন চলাচল করায় বেশ তৃপ্ত সাধারণ যাত্রীরা। তবে খুব অল্প সময়ে আশার আলো দেখা পরিবহনটির জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একই রুটে ব্যক্তিমালিকানাধীন অন্য কোম্পানির গণপরিবহন।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা নগর পরিবহন অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে নির্ধারিত স্থান থেকে যাত্রী তুলে এবং নির্ধারিত স্থানেই যাত্রী নামায়। কাউন্টারগুলোতে রয়েছে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা। যাত্রীরাও সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে উঠছেন বাসে। নির্ধারিত আসনের বাইরে দাঁড়ানো যাত্রীও তোলা হচ্ছে না। তবে রুটটিতে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার (যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার) ব্যবহার না করায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। এতে কিছুটা যাত্রী হারাচ্ছে পরিবহনটি।

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অন্যদিকে রুটটির বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে বিদ্যমান ১৩টি রুটের ৩৮২টি বাস এখনও চলাচল করছে। ওই পরিবহনগুলো নগর পরিবহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাত্রী তুলছে, যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকছে। এসব বাসে যত্রতত্র ওঠা-নামার সুযোগ থাকায় যাত্রীরাও শৃঙ্খলা ভাঙছেন। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হিমশিম খেতে হচ্ছে নতুন উদ্যোগটির।

অনুচ্ছেদ নগর পরিবহন PDF Download: 2

ব্যস্ততম নগরী রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালু হলো ঢাকা নগর পরিবহন। পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের প্রথম ধাপে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমটার পথে চলবে বাস।

সারা দেশে অনেক ফ্লাইওভার, অনেক আন্ডার পাস, অনেক ফোর লেন-সিক্স লেন আমরা করেছি। অবকাঠামোগত এত উন্নয়ন হওয়ার পরও স্বস্তি পাচ্ছি না। কারণ আমরা যতই উন্নয়ন করি, এসব উন্নয়নের সুফল যদি জনগণ না পায় তাহলে উন্নয়নের যে অর্থ সেটা ব্যর্থ হয়ে যায়।

আমাদের উন্নয়নকে ম্লান করে দেয় কতগুলো সমস্যা। আমাদের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ সড়কে শৃঙ্খলা-পরিবহনে শৃঙ্খলা। পরিবহন আর সড়কে যদি শৃঙ্খলা না থাকে এসব উন্নয়নের সুফল বাংলাদেশের জনগণ পাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বছর যে বড় বড় প্রকল্পের আমরা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, তার সুফল আমরা পাব না। কাজেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে নেওয়া মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আজ আমার সহকর্মী শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের ঘাটার চর, মোহাম্মপুর থেকে গুলিস্তান-মতিঝিল হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও কাঁচপুর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। দুর্ঘটনা যেমন আমাদের দুর্ভাবনা, তেমনই যানজটও আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। এ দুটি বিষয় মাথায় রেখে সুশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা, আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুজন তরুণ মেয়র যে উদ্যোগ নিয়েছেন

Leave a Comment