৯ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ৩য় সপ্তাহ ২০২১

Class: 9 Arts and Crafts Assignment Solution 3rd Week 2021

শিক্ষা Assignment এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

Google Adsense Ads

শিল্পকলা কী? বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্পকলা চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর

শিল্পকলা কী?

কল্পনা ও বাস্তবের মেলবন্ধন হল শিল্প। এই শিল্প বিভিন্ন রূপে কলার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। যেমন, ছবি, ভাস্কর্য, নৃত্য, থিয়েটার ইত্যাদি। এখানে এই মাধ্যমগুলো হল কলা। তাই একসাথে ‘শিল্পকলা’ বলা হয়।

শিল্পকলা বলতে বিশ্বের বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতিতে বিদ্যমান বহুবিধ কিছু মানব কর্মকাণ্ডকে বোঝায়, যেগুলিতে দেখা, শোনা বা পড়ার যোগ্য কিংবা পরিবেশন করার মতো এমন বিশেষ কোনও কিছু (বস্তু, পরিবেশ বা অভিজ্ঞতা) সৃষ্টি করা হয়, যার মাধ্যমে সৃষ্টিকারীর কল্পনাশক্তি বা কারিগরি দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে এবং দর্শক, শ্রোতা বা পাঠক বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে ও বুদ্ধি দিয়ে মানসিকভাবে যার সৌন্দর্য ও আবেগ উদ্রেককারী ক্ষমতার তারিফ করে। শিল্পকলায় সৃষ্ট বস্তুকে শিল্পকর্ম বলে এবং যে ব্যক্তি শিল্পকলার চর্চা করে শিল্পকর্ম সৃষ্টি করেন, তাকে শিল্পী বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্পকলা চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

কলা বা শিল্প শব্দের সাধারণ অর্থ হল, কোন কাজ সহজ, সুন্দর ও সার্থকভাবে সম্পন্ন করা।

শিল্পকলার অন্যতম প্রধান একটি কলা চিত্রকলা।
চিত্রকলার একটি বিশেষ মাধ্যম হল লোক চিত্রকলা।
যে চিত্রকলা কোন দেশের সাধারণ মানুষ এর জীবনের নানা দিকের চিত্র তুলে ধরে ও প্রধানত গ্রামীণ সমাজকে বহন করে তাকে সে দেশের লোক চিত্রকলা বলে। বাংলাদেশের লোক চিত্রকলা খুবই স্বমৃদ্ধ।

মানব মনের সুক্ষ অনুভূতিগুলোকে সৌন্দর্যরসে সিক্ত করে অপরের নিকট প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম হলো শিল্পকলা।

মানব মনের সহজাত আনন্দধারা বিকাশের জন্য শিল্পকলা চর্চা সবার জন্য অপরিহার্য।

শিল্পকলা একজন মানুষকে পরিপূর্ণ ও সুন্দর মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। শিল্পচর্চা মানুষের মাঝে সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি করে, মনকে তৃপ্ত করে। ভুবনে যে আনন্দ ধারা প্রবাহিত হচ্ছে তাতে শিল্পকলার মূল সত্যটি প্রকাশিত হচ্ছে। সব মানুষই জীবনের এ আনন্দকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল। কেননা আনন্দ প্রকাশ মানুষের জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। শিল্পচর্চা তাই সবার পক্ষে অপরিহার্য।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমাদের দেশে শিশুমাত্রই উপেক্ষিত, সুস্থ শৈশব থেকে তারা বঞ্চিত। হতদরিদ্র ও দরিদ্র পরিবারের শিশুর বঞ্চনার বাস্তবতা আমরা জানি, কিন্তু ধনীর সন্তানও কি আদর্শ শৈশব কাটাতে পারে? তাদের হয়তো ভোগ-আস্বাদনের সুযোগ সীমাহীন, কিন্তু শিশুর আনন্দের প্রধান উৎস তো অংশগ্রহণমূলক কাজে (বা খেলায়)। সেখানে অধিকাংশের জীবনই কাটে বন্দিদশায়, একাকিত্বে। সচরাচর শিশু খেলনার অপেক্ষায় থাকে না, কিন্তু খেলনা পেতে নিশ্চয় তার ভালো লাগে। অনেক বাবা-মা শিশুর এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তার সঙ্গে খেলার বদলে তাকে খেলনার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে শৃঙ্খলা আদায় করেন (চুপ করে বসে থাকা, দ্রুত খাওয়া ইত্যাদি)। বড়রা শিশুর ‘দুর্বলতা’কে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে নিজের কার্যসিদ্ধি করলেও পরিণামে শিশুর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত জিনিস আদায়ের দর-কষাকষির মনোবৃত্তি উসকে তোলেন। তাতে সম্পর্কের সারল্য ও স্বতঃস্ফূর্ততা চোট খায়, এর মধ্যে উভয় পক্ষে চালাকির প্রবণতা ঢুকতে থাকে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শিক্ষার একটা সংস্কৃতি আছে, যেমন সব বিষয়ের থাকে। শিক্ষার সংস্কৃতির নিহিত চাহিদা হলো মুক্ত পরিবেশ, অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ, প্রকাশের স্বাধীনতা।

তাই স্কুল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র ভাবলে তার অনুকূল সাংস্কৃতিক পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য শিক্ষার দুটি দিক নিয়ে ভাবা জরুরি Ñ

১. প্রশ্নের উত্তর-নির্ভর পরীক্ষাকেন্দ্রিক বিদ্যাচর্চার স্থলে জ্ঞানচর্চার জন্য ভাষা (বাংলা ও ইংরেজি) ও গণিতে দক্ষতা ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন হবে শিক্ষার মূল লক্ষ্য।

২. সেই লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের জন্য চাই জ্ঞানচর্চার সঙ্গে সঙ্গে আত্মপরিচয়ের শিকড়ের সঙ্গে শিশুমনের সংযোগ ঘটা। সে লক্ষ্যে চাই

ক. দেশ ও জনগোষ্ঠীর ইতিহাস-জ্ঞান, বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস, মানুষের অর্জন ও অবদান সম্পর্কে ধারণা।

খ. নিজের দেশজ সংস্কৃতির সঙ্গে সম্যক পরিচয় এবং বিশ্বসংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা।

গ. সৃজনশীলতার চর্চা এবং নিজের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলাচর্চা ও এসবের রসাস্বাদনের দক্ষতা অর্জন।

ঘ. চর্চার মাধ্যমে যুক্তি, বিচার-বিবেচনা, বিশ্লেষণের সক্ষমতা অর্জন।

Google Adsense Ads

ঙ. মানবিক গুণাবলি এবং নাগরিকের অধিকার, দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বর্তমানে শিল্পকলার বিশ্বব্যাপী চর্চা, প্রসার ও সংরক্ষণ সম্ভব হয়েছে। বিংশ শতাব্দী জুড়ে ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিল্প জাদুঘর, শিল্প প্রদর্শনশালা প্রভৃতি নির্মিত হয়েছে। এই সমস্ত স্থানে বিভিন্ন প্রকার শিল্পকীর্তির বিশ্লেষণ ও নথিবদ্ধকরণের পাশাপাশি জনসাধারণের উপভোগের স্বার্থে শিল্প প্রদর্শনীরও ব্যবস্থা করা হয়। গণমাধ্যমের উদ্ভব ও অগ্রগতি শিল্পকলার চর্চা ও বিস্তারের ক্ষেত্রে প্রভূত সহায়তা করছে। হুইটনি দ্বিবার্ষিক, সাও পাওলোর দ্বিবার্ষিক, ভেনিসের দ্বিবার্ষিক এবং কাসেলে অনুষ্ঠিত ডকুমেন্টা প্রভৃতির মাধ্যমে শিল্পের নিত্য নতুন ভঙ্গী ও ঐতিহ্যের বিকাশ সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রচলনের মাধ্যমে শিল্পকলায় উৎসাহ প্রদান শুরু হয়েছে। ইউনেস্কোর মত সংস্থাও বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকা প্রস্তুতির মাধ্যমে পৃথিবীর প্রধান প্রধান সৌধ ও স্মারক প্রভৃতির সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Google Adsense Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *