Google Adsense Ads
খুব সহজ ভাষায় ভয়েস ওভার হলো এমন একটি পদ্ধতি (production technique) যেখানে গলার স্বর (কথা বলা বা কোনো কণ্ঠস্বর) যা আমরা শুনতে পাই তা আসলে আলাদাভাবে রেকর্ড করা হয়েছে।
যেমন ধরা যাক আমরা টিভিতে যে কার্টুন দেখি, সেই কার্টুনের ছবি তো তৈরী হয়েছে আসলে অ্যানিমেশন পদ্ধতির মাধ্যমে। আপনার ভয়েস দিয়ে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন, ভয়েস আর্টিস্ট প্রতি ভাগে কাজে লাগিয়ে টাকা উপার্জন করার উপায়
কিন্তু সেই কার্টুনের চরিত্রগুলি যে কথাগুলো বলে সেগুলো আসলে একজন মানুষের কণ্ঠস্বর আলাদাভাবে রেকর্ড করে তা ওই অ্যানিমেশনের সঙ্গে এমন সুন্দর ভাবে মেলবন্ধন করা হয়েছে যে আমাদের মনে হয় চরিত্রগুলোই আসলে কথা বলছে।
এই যে একজন মানুষের গলার স্বর আলাদাভাবে রেকর্ড করে ব্যবহার করা হল, এটাই হল ভয়েস ওভার।
আপনার ভয়েস দিয়ে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন, ভয়েস আর্টিস্ট প্রতি ভাগে কাজে লাগিয়ে টাকা উপার্জন করার উপায়
ভয়েস ওভার কাকে বলে ?
টিভিতে বা এখন মোবাইলেও যে কোনো সিনেমা বা ভিডিও আমরা দেখি তাতে চরিত্ররা যে কথাগুলি বলে, বলে আমরা শুনতে পাই তা অনেকক্ষেত্রে কিন্তু আসলে ক্যামেরা দিয়ে ছবিটি শ্যূট করার পরে আবার আলাদা করে শুধুমাত্র সিনেমার বাক্যলাপগুলি আবার রেকর্ডিং রুমে রেকর্ড করা হয় (এটা হয় বলেই সিনেমার সংলাপ আমরা ভালো ভাবে শুনতে পাই), এটাও একপ্রকার ভয়েস ওভার।
যে কোনো ভাষার সিনেমা যখন অন্য কোনো ভাষায় ডাবিং করা হয় তখন ও আসলে ভয়েস ওভারই ব্যবহার করা হয়, কারণ সিনেমার ছবি এক থাকে শুধু শব্দ (ভাষা) বদলে যায়।
এছাড়া আমরা ট্রেন, প্লেন, রেডিওতে যে শব্দ শুনি যেখানে আমাদের বিভিন্ন কথার মাধ্যমে ইন্সট্রাকশন বা নির্দেশ দেওয়া হয়, এগুলি সবই হলো ভয়েস ওভার।
কি কি ক্ষেত্রে ভয়েস ওভার ব্যবহার করা হয়?
- বিদেশী ভাষার সিনেমার ডাবিং
- টিভি প্রোগ্রাম
- কমার্সিয়াল
- রেডিও বা অডিও নাটক / গল্প
- ভিডিও গেম
- অডিও বুক
- প্রোমো
- ট্রেলার
- ট্রেনিং /ই -লার্নিং
- পডকাস্ট
দেখা যাক কিভাবে আমরা ভয়েস ওভার করে কিভাবে টাকা উপার্জন করতে পারবো ?
বাড়ি বসে অনলাইনে আয় করার অন্যান্য পদ্ধতির মতোই বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমরা আমাদের গলার স্বর ব্যবহার করে অর্থাৎ কথা বলে অর্থ উপার্জন করতে পারি।
ভয়েস ওভার করে কত টাকা ইনকাম করা যায় ?
একজন মানুষ ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কত টাকা উপার্জন করতে পারবে তা অনেকটাই নির্ভর করবে সে কি ধরণের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করবে তার ওপর। যেমন – টিভি অ্যাডভার্টাইসমেন্ট , কমার্শিয়াল, গান, কার্টুন চরিত্র, প্রধান চরিত্র নাকি সাপোর্টিং রোলের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট।
এটা কি কোনো রোজগারের প্রধান পথ (ফুল টাইম জব) হিসেবে নেওয়া যায় ?
হ্যাঁ অবশ্যই নেওয়া যায়। এই যে ডোরেমন, সিন্-চ্যান, ছোটা ভীম, গোপাল ভাঁড়, নন্টে ফন্টের মতো কার্টুন এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা কিন্তু বেশিরভাগটাই ভয়েস ওভার আর্টিস্টদের দক্ষতায় তারা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বলে।
আর সত্যি যদি কারোর কণ্ঠস্বরের ট্যালেন্ট থাকে, আর প্রথম দিকে ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে নিজে কাজের সুযোগ করে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে সত্যিই এটা খুব ভালো পেশা।
ভয়েস ওভার করতে গেলে বাড়িতে কি কি যন্ত্রপাতি রাখা প্রয়োজনীয়?
কি কি জিনিস লাগবে –
যদি কোনো রেকর্ডিং ষ্টুডিওতে রেকর্ডিং করেন তাহলে সত্যি বাড়িতে কিছু কেনার দরকার নেই।
কিন্তু আমাদের এই নিবন্ধর উদ্দেশ্যই হলো বাড়িতে বসে কিভাবে ভয়েস ওভার করা যায়, সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া, তাই যারা ভয়েস ওভার এর কাজ করতে চায় তাদের বাড়িতে সমস্ত ব্যবস্থা করে রাখতেই হবে।
- মাইক্রোফোন
- মাইক স্ট্যান্ড
- হেডফোন
- সফটওয়্যার ( AUDACITY, OCEANAUDIO ইত্যাদি)
- ল্যাপটপ বা কম্পিউটার
- একদম নিঃস্তব্ধ পরিবেশ
বিশেষ দ্রষ্টব্য –
১. যখনই কোনো ওয়েবসাইটে নিজেকে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে যুক্ত করতে চাইবেন, ভালো করে দেখে নেবেন যে সেই সাইটটি আপনার জানা ভাষার ভয়েস ওভার পরিষেবা দেয় কিনা।
২. যদি আপনি একের বেশী ভাষা বলতে সাবলীল হন, তাহলে আপনি বিভিন্ন ভাষার VO আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেবার জন্য একই ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন।
৩. যদি দেখেন কোনো ওয়েবসাইট বাংলা ভয়েস ওভার সার্ভিস দেয় না, সেক্ষেত্রে আপনি যদি ইংরেজির ইন্ডিয়ান অ্যাকসেন্ট এ সাবলীল হন তাহলে তার জন্যও আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে ভয়েস ওভার এর ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ পাওয়া যায় ?
ভয়েস ওভার এর কাজ করতে যদি ইচ্ছুক হন তাহলে তার জন্য দু ধরণের সাইটে নিজেকে নথিভুক্ত বা রেজিস্টার করে VO আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দিতে পারা যায়। যেমন –
১) বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (এমন প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন বিষয়েই ফ্রীল্যান্সিং কাজ করা যায়)
২) শুধুমাত্র ভয়েস ওভার পরিষেবা দেয় এরকম বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস –
শুধুমাত্র ভয়েস ওভার কাজের সাইট না হলেও ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে হলে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে রেজিস্টার করা ও কাজ শুরু করার চেষ্টা করতেই হবে কারণ এই সব সাইটগুলির জনপ্রিয়তা ও কাস্টমার বেস সবচেয়ে বেশী।
সেরকমই কয়েকটি মার্কেটপ্লেস সাইট হল –
Fiverr –
এটি হলো এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে যে কেউ (ফ্রীল্যান্সার রা) সমস্ত ধরণের কাজই পেতে পারে এবং যেহেতু এটা ফ্রীল্যান্সারদের জন্য যথেষ্ট বড় মার্কেটপ্লেস তাই এখানে সত্যি কাজ পাবার সম্ভাবনা অন্যান্য ভয়েস ওভার সাইটের তুলনাতে বেশি।
বিশেষ করে যারা নতুন এই ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য তো বটেই।
- ইমেইল মার্কেটিং কী? বিস্তারিত
- ইমেইল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় সম্ভব?
- গুগল থেকে কিভাবে আয় করব
- ইউটিউব থেকে আয়
কেন ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও রেজিস্টার করে প্রোফাইল বানিয়ে রাখা দরকার?
শুধুমাত্র ভয়েস ওভার এর জন্য নির্দিষ্ট যে সাইটগুলি আছে তারা যে সবাই বাংলায় বা স্থানীয় ভাষায় কাজ দিতে সক্ষম এরকম নয়, বরং বেশিরভাগ বিদেশী সাইটগুলির বাংলা ভয়েস ওভার সার্ভিস নেই বা যদিও থাকে তা এতটাই কম যে শুধুমাত্র যদি কেউ ভাবে যে ঐরকম একটি সাইটে রেজিস্টার করে বাংলা ভয়েস ওভার করবেন ভাবেন, তাহলে তার আর কাজ করা হবেনা।
কিন্তু Fiverr এর মতো মার্কেটপ্লেসগুলিতে সত্যি কাজের সুযোগ তুলনায় বেশি পাওয়া যায়। তাই প্রথমদিকে এইরকম কোনো সাইটে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তারপর বিশেষ সাইটগুলিতে যাওয়া ভালো।
(বা একসাথেই সমস্ত সাইটে প্রোফাইল বানিয়ে রাখতে পারেন। এবার যেখান থেকে কাজ পাওয়া যাবে সেই সুযোগ গ্রহণ করে নিজেকে প্রমান করুন।)
UPWORK –
এটিও একটি মার্কেট প্লেস যেখানে ভয়েস ওভার কাজের জন্য নিজের প্রোফাইল বানিয়ে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে যুক্ত হওয়া খুবই দরকার।
Trulancer.com –
এটিও ফ্রীল্যান্সারদের একটি মার্কেট প্লেস upwork ও Fiverr এর মতো। এখানেও রেজিস্টার করে রাখতেই পারা যায় কারণ বাংলা ভয়েস ওভার এর কাজ এখান থেকেও পাওয়া যেতে পারে।
LinkedIn –
এই সাইটটিও যেহেতু বিভিন্ন পেশার মানুষের ( ফুলটাইম ই হোক বা পার্ট টাইম বা ফ্রীল্যান্সার) কাজ খুঁজে দেবার মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে, তাই এখানেও নিজের প্রোফাইল বানিয়ে রাখা আবশ্যিক।
এবার দেখা যাক যে সাইটগুলি শুধুমাত্র ভয়েস ওভার কাজের জন্যই বিখ্যাত –
ভয়েস ওভার এর কাজ করার ৯ টি ওয়েবসাইট
Bunnystudio –
এই প্ল্যাটফর্মটি যারা একদম নতুন VO হিসেবে কাজ করতে চাইছেন তাদের জন্য সত্যি খুব ভালো।
ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ আপনাকে প্রতি ঘন্টায় কাজ পিছু কত চার্জ করবেন তা ঠিক করতে দেয় এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে কাজে লাগিয়ে আপনার মেলবক্স এ আপনার প্রোফাইল অনুযায়ী কাজ পাঠিয়ে দেয়, এর ফলে আপনাকে লিস্ট থেকে কাজ বেছে নেবার ঝামেলা থেকে মুক্ত করে দেয়।
কোন কোন ভাষায় ভয়েস ওভার করতে পারেন?
এখানে অবশ্যই আপনি আপনার যে কোনো ভাষাতেই ভয়েস রেকর্ড করে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
এই প্ল্যাটফর্ম পৃথিবীর প্রায় সব ভাষার ভয়েস ওভার পরিষেবা দিয়ে থাকে।
ভয়েস আর্টিস্ট বা ভয়েস অ্যাক্টরদের কাজের জন্য খুবই কার্যকরী একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। এখানে ভয়েস ওভার ছাড়াও রাইটার, ট্রান্সলেটর, ট্রান্সক্রাইবার, অডিও/ ভিডিও প্রোডিউসার, অডিওবুক ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও ইচ্ছে হলে যুক্ত হতে পারেন।
কিন্তু এখানে খুব তাড়াতড়ি কাজ করে দিতে হয়।
পেমেন্ট – paypal ও payoneer এর মাধ্যমে
Voices123
অসাধারণ একটি ওয়েবসাইট যা সত্যি খুবই সহজভাবে কাজ পাওয়ার উপযুক্ত। এই প্ল্যাটফর্মটি এই ইন্ডাস্ট্রিতে যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং এদের কাস্টমার বেসও যথেষ্ট বড়ো।
পেমেন্ট – এখানে অডিও ফাইলের সময় কতক্ষন তার উপরে কিরকম পেমেন্ট পাবেন তা নির্ভর করে ।
কীরকম পেমেন্ট পাবেন তা আপনাকে ক্লায়েন্ট এর সাথে দরাদরি করে ঠিক করতে হবে। ভয়েস ১২৩ শুধুমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
পেমেন্ট পার্টনার – পেপ্যাল
ওয়েবসাইটে VO আর্টিস্ট হিসেবে যুক্ত হবার পদ্ধতি –
খুব সহজেই এই ওয়েবসাইটে ভয়েস ওভার অ্যাক্টর বা আর্টিস্ট হিসেবে যোগদান করা সম্ভব।
শুধুমাত্র নিজের গলার স্বর সুন্দর করে রেকর্ড করুন এবং এই ওয়েবসাইটে এসে কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে নিজের অ্যাকাউন্ট বানান, আপনার রেকর্ড করা অডিও আপলোড করে দিন, ব্যাস আপনার কাজ শেষ।
যদি আপনার ভয়েস কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয় তাহলে রিজেক্ট হবেন না।
এখানে তিন ধরণের অ্যাকাউন্ট হয়, স্ট্যান্ডার্ড , প্রিমিয়াম, ও প্ল্যাটিনাম। যে কেউ স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টটি বিনামূল্যে খুলতে পারবে।
ফ্রি অ্যাকাউন্ট থেকে আগে কাজ করুন, যদি দেখেন আপনার কাজটি ভালো লাগছে ও আরো বেশি কাজ করতে ইচ্ছুক তখন প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট নেবেন।
আরও পড়ুন:
- ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম
- গুগল অ্যাডসেন্স সেরা নিশ বা টপিক,গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য কিছু হাই পেইং নিশ
- ঘরে বসে আয় করার উপায়, ঘরে বসে আয় করার ১০টি উপায়
কোন কোন ভাষায় ভয়েস ওভার করতে পারেন?
বাংলা, ইংরেজি , হিন্দি সহ সমস্ত ভাষাতেই সম্ভব।
Voices.com
এটা এমন একটি ওয়েবসাইট যার হেডকোয়ার্টার লন্ডন ও কানাডা তে।
আর এরা বেশির ভাগ ভয়েস ওভার পরিষেবা দিয়ে থাকে ইউরোপিয়ান ও উত্তর আমেরিকান অ্যাকসেন্ট এর উপর।
তাই একথা বলতেই হয় যে যাদের এই ভাষাগুলি মাতৃভাষা নয়, তাদের জন্য এই সাইটে কাজ করা খুব একটা লাভজনক নয়, (যদিও এখন বেশ কিছু সাইট অন্যান্য স্থানীয় ভাষার কাজও অনেক সময় করায়, কিন্তু তা সংখ্যায় খুবই কম।)
এখানে যে কেউ কোনো মূল্য ছাড়াই ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন এবং তারপর নিজের একটা ভালো প্রোফাইল বানাতে হবে (ডেমো দিয়ে), আপনার প্রোফাইল দেখে যদি ক্লায়েন্টদের পছন্দ হয় তাহলে আপনি কাজ পাবেন।
যদিও সাইটটি একদম যারা ভয়েস ওভার দুনিয়ায় নতুন তাদের জন্য নয়।
পেমেন্ট – এদের নিজস্ব Escrow সার্ভিস আছে , অর্থাৎ পেমেন্ট পদ্ধতি যথেষ্ট ভালো।
(In other words, the client pays Voices before you do the work. You automatically get paid if you do a good job. If you don’t, the client receives their money back.)
যদিও “ফ্রি রেজিস্ট্রেশন” করে কাজ পাবার সম্ভাবনা কম থাকে, কারণ এদের যে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন আছে $৪৯ এ তা দিয়ে যদি রেজিস্ট্রেশন কেউ করে তাহলে অনেক কাজের সুযোগ আসে।
কোন কোন ভাষায় ভয়েস ওভার করতে পারেন?
বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি সহ সমস্ত ভাষাতেই সম্ভব।
Voice ১২৩, bunnystudio, voices.com এগুলি খুবই জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলেও এগুলি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম তাই আলাদা করে বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেবার সুযোগ এখানে কম।
এবার এমন কিছু বিশেষ সাইটের উল্লেখ করা হবে যারা বাংলা ভয়েস ওভার সার্ভিসকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় –
অতি অবশ্যই যে সাইটগুলো নতুনদের বাংলা ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেবার জন্য সবচেয়ে ভালো –
Voquent.com –
অসাধারণ একটি ওয়েবসাইট , বাংলাতে ভয়েস ওভার করতে চাইলে অতি অবশ্যই এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেওয়া উচিত।
কোনো রেজিস্ট্রেশন মূল্য ছাড়াই এখানে যোগদান করতে পারবেন।
Voyzapp.com –
যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন তাদের জন্য যথেষ্ট ভালো প্ল্যাটফর্ম। সেই অর্থে কোনো টাকা দিয়ে এখানে কাজ পেতে হয় না।
এই সাইটটি তুলনামূলক নতুন এবং বেশিরভাগ ভারতীয় ভাষায় VO সার্ভিস দেয়।
পেমেন্ট মেথড – এদের নিজস্ব Escrow সিস্টেম আছে টি পেমেন্ট এর জন্য তাই পেমেন্ট এর চিন্তা করার দরকার নেই।
Voicetalentonline.com –
এখানেও কোনো জয়েনিং ফী নেই , তাই এই ওয়েবসাইটে যুক্ত হতে রেজিস্টার করুন ও ডেমো পাঠান যদি কর্তৃপক্ষের পছন্দ হয় তাহলে এখান থেকেও কাজ পেতে পারেন।
Covoco.co –
এটিও যথেষ্ট জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। আগে কোনো পেমেন্ট করতে হয় না।
পেমেন্ট – Paypal দিয়ে করা হয়।
অতি অবশ্যই এখানেও রেজিস্টার করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
Google Adsense Ads
- ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম
- গুগল অ্যাডসেন্স সেরা নিশ বা টপিক,গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য কিছু হাই পেইং নিশ
- ঘরে বসে আয় করার উপায়, ঘরে বসে আয় করার ১০টি উপায়
ব্যাকস্টেজ
১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে প্রায় পঞ্চাশ বছরে ধরে ব্যাকস্টেজ ভয়েস আর্টিস্টদের কাজ দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষের বেশি ভয়েস আর্টিস্ট এই ওয়েবসাইটে কাজ করছেন। এখানে আপনি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ক্যারিয়ার টিপস, ক্যারিয়ার অ্যাডভাইস ইত্যাদিও পড়তে পারবেন।
কাস্টিং কল ক্লাব
অনেক ধরণের বিষয়ের উপর কাস্টিং ক্লাবে ভয়েস আর্টিস্টের কাজ পাবেন। এর মধ্যে ইথিকস, অনলাইন মার্কেটিং, বিজনেস, অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি। এখানেও প্রায় ১ লক্ষের বেশি ভয়েস আর্টিস্ট রয়েছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে এখানে হাজারের বেশি নতুন ভয়েস ওভারের কাজ পাওয়া যায়।
ক্রাউডস্পিং এল এল সি
ক্রাউডস্প্রিং মূলত ক্রিয়েটিভ মানুষদের জন্য স্বর্গের মতো। এখানে ক্রিয়েটিভরা বিভিন্ন ধরণের কাজ খুঁজে পাবেন। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষের বেশি মানুষ এখানে কাজ করেছেন। এখানে আপনি ভয়েস আর্টিস্টের কাজের পাশাপাশি লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্ট, প্রোডাক্ট ডিজাইন এন্ড নেমিং ইত্যাদি কাজ খুঁজে পাবেন।
ম্যান্ডি
১৯৭০ সালে থেকে ম্যান্ডি ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে আসছে। তারা মূলত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অ্যাক্টর কমিউনিটি। এখানে আপনি ভয়েস ওভারের কাজের পাশাপাশি ফিল্ম অ্যাক্টর, টিভি ক্রু, থিয়েটার প্রফেশনাল, চাইল্ড অ্যাক্টর, ভয়েস আর্টিস্ট, সিঙ্গার, মিউজিশিয়ানের কাজও পাবেন।
প্রো জি
প্রো জি মূলত ইউক্রেনের একটি বিশেষ ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্ম। ১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি ইউজার এখানে রেজিস্টার্ড হয়েছেন। যেহেতু এটি একটি ফ্রিল্যান্স প্লাটফর্ম সুতরাং এখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজের পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও অসংখ্য কাজ খুঁজে পাবেন।
স্পট লাইট
স্পট লাইট মূলত লন্ডন বেইজড ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি যেখানে আপনি বিভিন্ন কাজের (অ্যাক্টিং, টিভি ক্রু, থিয়েটার ইত্যাদি) পাশাপাশি ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ খুঁজে পাবেন। ১৯২৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় কয়েক লক্ষের বেশি মানুষ এখানে কাজ করেছেন।
ওয়ার্ক মার্কেট
বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানির সাথে যুক্ত এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে আপনি হাজার ধরণের কাজ খুঁজে পাবেন। ক্রিয়েটিভ মানুষদের জন্য এখানে রয়েছে ক্রিয়েটিভভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ। ওয়ার্ক মার্কেটে আপনি খুঁজে পাবেন ভয়েস অ্যাক্টর হিসেবে কাজের হাজারটা ধরণ।
বোডেলগো
বোডলগো শুধুমাত্র ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার ওয়েবসাইটই নয়, আপনি চাইলে এখান থেকে ভয়েস আর্টিস্ট খুঁজে বের করতে পারবেন এবং তাদের দিয়ে কাজ করাতে পারবেন। ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করার জন্য এখানে আপনি খুঁজে পাবেন বিভিন্ন ভাষার প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি কাজ।
ডিরেক্ট ভয়েসেস
ডিরেক্ট ভয়েসেস প্রায় ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন কোম্পানিতে ভয়েস আর্টিস্ট নিয়োগ দিয়ে আসছে। আপনি এখানে রেজিস্ট্রেশন করে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন। স্পেনের এই কোম্পানি থেকে সারা বিশ্বের বড় বড় প্রডিউসার ও ডিরেক্টররা ভয়েস আর্টিস্ট খুঁজে থাকেন।
দ্যা ভয়েস রাল্ম
দ্যা ভয়েস রাল্মকে বলা হয় ভয়েস ডিকশনারি। এখান থেকে বিভিন্ন ফিল্ম ডিরেক্টররা ভয়েস আর্টিস্ট খুঁজে থাকেন। এখানে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার ভয়েস ওভার আপলোড করলেই হবে। মেইলের মাধ্যমে আপনাকে কাজ দেয়া হবে। এখানে মূলত ভয়েস প্রফেশনাল দ্বারা ভয়েস আর্টিস্ট নিয়োগ দেয়া হয়।
ভয়েস আর্কাইভ
অ্যামাজন, গুগল, এয়ার বি এন বির মতো কোম্পানিগুলো এই ভয়েস আর্কাইভ থেকে ভয়েস আর্টিস্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। ভয়েস আর্কাইভ কোনো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস নয়, তবে এখানে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলে চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। চাকরি হয়ে গেলে আপনি ঘরে বসেও কাজ করতে পারবেন।
ভয়েস বানি
ভয়েস আর্কাইভের মতো ভয়েস বানিও অসাধারণ একটি ভয়েস ওভার কোম্পানি যেখান থেকে অনেক বড় বড় কোম্পানি ভয়েস ওভার নিয়ে থাকেন। ভয়েস বানি থেকে আপনি অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ভয়েস অ্যাক্টর হিসেবেও যোগ দিতে পারবেন। এখানেও আপনাকে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে।
ভয়েস ওয়ান টু থ্রি
২০০৩ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি যে মার্কেটপ্লেসটি ভয়েস আর্টিস্টদের নজরে এসেছে এটা হচ্ছে ভয়েস ওয়ান টু থ্রি। কারণ এই ভয়েস ওভার কোম্পানিটি শুধুমাত্র ভয়েস অ্যাক্টরদের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস। অন্যান্য ফ্রিল্যান্স মার্কেট প্লেসের মতোই সব নিয়মকানুন হলেও কাজ শুধুমাত্র একটিই, আর সেটা হচ্ছে ভয়েস ওভার।
ভয়েসেস প্রো (ব্লু কম্পাস লিমিটেড)
ভয়েসেস প্রো মূলত ম্যান্ডির সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছে। যদিও ম্যান্ডি থেকে আপনি সব ধরণের কাজই খুঁজে পাবেন কিন্তু শুধুমাত্র ভয়েসেস প্রো থেকে আপনি ভয়েস ওভারের কাজগুলো খুঁজে পাবেন। এখানে মূলত প্রফেশনাল ভয়েস আর্টিস্টদের দ্বারা কাজ করানো হয়।
অ্যাড ভয়েস
অ্যাড ভয়েস মূলত একটি প্রোডাকশন কোম্পানি যেখানে তারা বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য ভয়েস আর্টিস্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। লন্ডন বেইজড একটি প্রোডাকশন কোম্পানির হাত ধরে অনেক বড় বড় সিনেমা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে। এখানে শুধুমাত্র ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেই কাজ করতে পারবেন, অন্যান্য কাজের জন্য এখানে বাইরে থেকে ইউজার নিয়োগ দেয়া হয় না।
ঘরে বসে টাকা আয় করার কিছু পরামর্শ
- ভয়েস ওভার আর্টিস্ট টাকা ইনকাম করুন
- ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরির গুরুত্ব
- ছাত্রজীবনে পার্ট টাইম চাকরি করে ইনকাম করার উপায়
- ই-বুক বানিয়ে কিভাবে আয় করা যাই
- ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়
- ছবি ও ফুটেজ বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম
- অনলাইন সার্ভে থেকে আয়
- ব্লগার ওয়েবসাইট পোষ্ট ইনডেক্স করবো কিভাবে
- ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে টাকা আয়
- ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম
- গুগল অ্যাডসেন্স সেরা নিশ বা টপিক,গুগল এডসেন্স কাজ করার জন্য কিছু হাই পেইং নিশ
- ঘরে বসে আয় করার উপায়, ঘরে বসে আয় করার ১০টি উপায়
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারেন যেভাবে টাকা আয় করবেন বিস্তারিত
- ব্লগিং করে ইনকাম অনলাইনে যেভাবে টাকা আয় করবেন বিস্তারিত
- ১০০% নিশ্চিত অনলাইন ইনকামের পথ
- কনটেন্টরাইটিংওব্লগিংবিস্তারিতজানতেক্লিককরুন!
- ছাত্রজীবনে আয় করবেন যেভাবে
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
- ওয়েব ডিজাইন কি ? কিভাবে শিখব, ওয়েব ডিজাইন
- What is email marketing? Details
- এসইও কি? কিভাবে এসইও শিখবো?,এসইও (SEO) কি?
- কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে ইনকাম করা যাই
- CPA marketing কি ? সিপিএ মার্কেটিং এর লাভ ও উদাহরণ
- ইমেইল মার্কেটিং কী? বিস্তারিত
- ইমেইল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় সম্ভব?
- গুগল থেকে কিভাবে আয় করব
- ইউটিউব থেকে আয়
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
Google Adsense Ads