Google Adsense Ads
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিয়মিত তিন থেকে চার মাস অন্তর রক্তদান করতে পারে। এতে শারীরিক ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই; বরং রক্তদাতার শারীরিক সুস্থতা বাড়িয়ে দেয়। রক্তের বিভিন্ন গ্রুপ যেমন – AB+, AB-, B+, O+ ইত্যাদি।
রক্ত হলো লালবর্ণের ঘন তরল পদার্থ, যা হৃৎপিণ্ড, ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকার মধ্য দিয়ে নিয়মিত প্রবাহিত হয়। এটি বহু জৈব ও অজৈব পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত সামান্য লবণাক্ত, আঠালো ও ক্ষারধর্মী একধরনের তরল যোজক কলা। মানবদেহের জ্বালানি স্বরূপ এই রক্ত দেহের মোট ওজনের ৭ শতাংশ। মানুষের রক্তের গড় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
প্রধানত এই তরল পদার্থটি দেহে অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পরিবাহিত করে। এটি বাহিত হয় শিরা বা ধমনির মধ্য দিয়ে। দেহের প্রতিটি টিস্যুতে পৌঁছে দেয় খাবার ও অক্সিজেন। টিস্যুর বৃদ্ধি ও ক্ষয়রোধের জন্য এই খাবার ও অক্সিজেন অপরিহার্য। এ ছাড়া দেহের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন রক্তের মাধ্যমেই পৌঁছে যায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে, নিশ্চিত করে ওই অঙ্গের কর্মক্ষমতাকে।
রক্ত টিস্যুর বর্জ্য বের করে দেয়। কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বয়ে আনে ফুসফুসে, দেহের বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য। দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে রক্ত সাহায্য করে। দেহের অন্যান্য তরল পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে। যখন দেহ রোগাক্রান্ত হয়, তখন রক্তই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে জীবাণুর বিরুদ্ধে। দেহের ভেতরের এসিড ও ক্ষারের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখাও রক্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
রক্তে লোহিত, শ্বেত ও অণুচক্রিকা (প্লাটিলেট)—এই তিন ধরনের কণিকা থাকে। এই কণিকাগুলো অনুজ্জ্বল হলদে রঙের এক তরলের মধ্যে ডুবে থাকে। একে রক্তরস (প্লাজমা) বলে। লোহিত কণিকাগুলো ফুসফুস থেকে হৃৎপিণ্ড হয়ে সারা দেহে অক্সিজেন বয়ে নিয়ে যায় এবং সারা দেহের কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। শ্বেত কণিকা দেহে আক্রমণকারী জীবাণুকে ধ্বংস করে। আর জখমস্থানে রক্তকে জমাট বাঁধতে সহায়তা করে অণুচক্রিকা। রক্তরস এসব রক্তকণিকা সারা দেহে বয়ে নিয়ে বেড়ায়। পাশাপাশি রাসায়নিক পদার্থ ও পুষ্টি সরবরাহ করে দেহের বিভিন্ন অংশে।
রক্তের ৪৫ শতাংশই রক্তকণিকা। বাকি ৫৫ শতাংশ রক্তরস, যার ৯২ শতাংশই জল। রক্তকণাগুলোর প্রতিটির নির্দিষ্ট আয়ু আছে। সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচে লোহিত কণিকা, আয়ু ১২০ দিন মাত্র। বিভিন্ন ধরনের শ্বেত কণিকার আয়ু ভিন্ন ভিন্ন, দুই থেকে ১০ দিন। অণুচক্রিকা দুই দিন পর্যন্ত বাঁচে।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিয়মিত তিন থেকে চার মাস অন্তর রক্তদান করতে পারে। এতে শারীরিক ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই; বরং রক্তদাতার শারীরিক সুস্থতা বাড়িয়ে দেয়। রক্তের বিভিন্ন গ্রুপ যেমন – AB+, AB-, B+, O+ ইত্যাদি।
Google Adsense Ads
- How to Make Money Using Infolinks in Bangladesh,ইনফোলিংক দিয়ে কত টাকা আয় করা যায়?
- “সুন্দর পৃথিবী চাই” রুদ্র অয়ন
- এথিনা তাবাসসুম মিম,এথিনা তাবাসসুম মিম হট ভিডিও
- Athina Tabassum Mim,athinatabassummim, athiiiiiiiiiiii
- ২০ বছরে দেশি মুরগি খেতে না পারা ম্যাডাম কট,‘দেশি মুরগি খেতে না পারা’ আলোচিত সেই শিক্ষিকা সম্পর্কে যা জানা গেল
Google Adsense Ads