জ্বর পর হাত পায়ের ব্যথা করনীয় কি, জ্বর পরবর্তী শরীরে ব্যথার চিকিৎসা

 

https://jobspointbd.com/

My Ads

Google Adsense Ads

জ্বর পর হাত পায়ের ব্যথা করনীয় কি, জ্বর পরবর্তী শরীরে ব্যথার চিকিৎসা

জ্বরের পর হাত-পায়ে ব্যথা হওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার। ভাইরাস জ্বর, ডেঙ্গু, ফ্লু বা অন্য ইনফেকশনের পর শরীরে দুর্বলতা আর মাংসপেশীতে ব্যথা দেখা দেয়। এটা সাধারণত সাময়িক এবং কিছু যত্ন নিলেই ধীরে ধীরে সেরে যায়। জ্বর পর হাত পায়ের ব্যথা করনীয় কি

আপনার করণীয়:

  1. বিশ্রাম নিন – শরীরকে রিকভারি করার সময় দিন।
  2. পানি বেশি খান – জ্বরের পর ডিহাইড্রেশন হয়, তাই স্যুপ, ডাবের পানি, হালকা ঝোল জাতীয় খাবার খান।
  3. গরম পানির সেঁক – ব্যথা বেশি থাকলে গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে হালকা সেঁক দিতে পারেন।
  4. হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং – ব্যথা কমে এলে ধীরে ধীরে শরীর নড়াচড়া শুরু করুন।
  5. পেইন রিলিভার – খুব বেশি ব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন (ডোজ অনুযায়ী, ওভারডোজ নয়)।
  6. পুষ্টিকর খাবার – প্রোটিন (ডিম, মাছ, ডাল) আর ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার খান।

কখন ডাক্তার দেখাবেন:

  • জ্বর নামার পরও ব্যথা একেবারেই কমছে না
  • হাত-পা ফুলে যাচ্ছে বা লাল হয়ে যাচ্ছে
  • হাঁটতে বা দাঁড়াতে সমস্যা হচ্ছে
  • আবার জ্বর আসছ

আরো পড়ুন: কীভাবে প্যারাসিটামল ওভারডোজের লক্ষণগুলি

সাধারণত ৩–৭ দিনের মধ্যে এই ব্যথা কমে যায়।

পরিশেষে : জ্বর পর হাত পায়ের ব্যথা করনীয় কি, জ্বর পরবর্তী শরীরে ব্যথার চিকিৎসা, জ্বরের সঙ্গে কেন শরীর ব্যথা করে, জ্বরে শরীর ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় কী কী?

জ্বরের পর হাত–পায়ের ব্যথা কমানোর জন্য সাধারণত পেইন রিলিভার আর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অযথা বেশি ওষুধ খাওয়া উচিত না।

সাধারণত ব্যবহার করা যায় এমন ওষুধ (ডাক্তারের অনুমতিসহ):

  1. প্যারাসিটামল (Paracetamol / Ace / Napa ইত্যাদি)
    • ব্যথা আর জ্বর দুটোই কমায়।
    • সাধারণত 500 mg ট্যাবলেট খাওয়া হয়।
    • দিনে সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম (৮টা ট্যাবলেট) এর বেশি খাওয়া যাবে না।
  2. ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen / Fenobid / Flexib ইত্যাদি)
    • মাংসপেশীর ব্যথা আর প্রদাহ কমায়।
    • সাধারণত 200–400 mg ট্যাবলেট দিনে ২–৩ বার খাওয়া হয়।
    • খালি পেটে খাবেন না, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
  3. অন্য সহায়ক ওষুধ
    • ভিটামিন C বা বি-কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্ট শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।
    • ইলেক্ট্রোলাইট/ওআরএস শরীরের পানি-লবণ পূরণ করে।

সতর্কতা:

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় জ্বর নিয়ন্ত্রণে করার উপায়,গর্ভাবস্থায় জ্বর নিয়ন্ত্রণে করুন

Google Adsense Ads

  • যদি ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ইবুপ্রোফেন বা এ ধরনের NSAID একেবারেই খাবেন না (কারণ রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়)। সেক্ষেত্রে শুধু প্যারাসিটামলই নিরাপদ।
  • লিভার বা কিডনির পুরনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ব্যথা ৫–৭ দিনের মধ্যে না কমলে বা নতুন জ্বর/ফুলে যাওয়া/লাল হয়ে যাওয়া দেখা দিলে ডাক্তার দেখান।

আপনি কি চান আমি আপনার জন্য একটা সিম্পল তালিকা করে লিখে দিই—ডেঙ্গু হলে কোন ওষুধ, ভাইরাস জ্বর হলে কোন ওষুধ আলাদা করে? তাহলে সহজে বুঝতে পারবেন।

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

আরো পড়ুন:

Google Adsense Ads

Leave a Comment