Google Adsense Ads
এমনিতেই করোনার আবহ, তার উপরে বর্ষাকাল। দুয়ে মিলে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কারণ, করোনা আতঙ্কের মাঝে বর্ষা ঋতুর প্রকোপের ফলে দেখা দিচ্ছে নানাবিধ রোগের সংক্রমণ। সাধারণ জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টাইফয়েড, ডেঙ্গু ইত্যাদির পাশাপাশি দেখা দিচ্ছে পেটের রোগ। তাই এই সময় নিজেদের সুস্থ রাখাটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটা বিষয়। আর সুস্থ থাকতে নজর দিতে হবে নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই সুষম খাবার গ্রহণ ও শরীর চর্চার মাধ্যমে নিজেদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। খাবারের মধ্যে হয়তো নিয়মিত রাখছেন বিভিন্ন ধরনের ফলও। এই করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন আনারস।
ফ্ল্যাভোনয়েড থাকায় আনারস পুষ্টিগুণেও ভরপুর। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, সহজলভ্য এই আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফাইবার, ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ইত্যাদিতে ভরপুর এই ফল।
পুষ্টির পরিমাণ
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি এক কাপ অর্থাৎ ১৬৫ গ্রাম তাজা আনারসে পুষ্টির পরিমাণ- ক্যালোরি – ৭৪, ফ্যাট – ০ গ্রাম, কোলেস্টেরল – ০ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম – ২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম – ২০৬ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট – ১৯.৫ গ্রাম, ফাইবার – ২.৩ গ্রাম, সুগার – ১৩.৭ গ্রাম, প্রোটিন – ১ গ্রাম, ভিটামিন সি – ২৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২১ মিলিগ্রাম।
রোজ কী আনারস পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে?
একজন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টুকরো আনারস খেতে পারেন। কখনোই একটা গোটা আনারস একা খাবেন না। এই ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে কখনোই রস বের করে খাবেন না। কারণ, রস বের করে খেলে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। তাই টুকরো করে খান।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
১) অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়ক আনারস কেবল পুষ্টিতে সমৃদ্ধ নয়, এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আনারস বহু শতাব্দী ধরে ঔষধের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং এনজাইম যা সম্মিলিতভাবে অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তুলতে এবং প্রদাহকে দমন করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মমাফিক আনারস খান, তাদের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কম।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে আনারসের থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফ্যাটের পরিমাণ অনেকটাই কম যা শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই এই লো-ক্যালোরি যুক্ত ফলটি রোজ আপনার ডায়েটে রাখুন।
৪) হাড় গঠনে আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এই দুই উপাদান হাড়কে শক্ত করতে এবং হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। পাশাপাশি দাঁতের সুরক্ষায়ও কার্যকর ভূমিকা পালন করে আনারস।
৫) হজম ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে আনারসে রয়েছে অনেকগুলো ডাইজেসটিভ এনজাইম, যা ব্রোমেলেইন নামে পরিচিত। এই ব্রোমেলেইন বদহজম বা হজমজনিত যেকোনও সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে জল ও ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Google Adsense Ads
৬) চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আনারসে থাকে বিটা ক্যারোটিন যা চোখের রেটিনাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোগ হওয়া থেকে চোখকে রক্ষা করে। এই ম্যাকুলার ডিজেনারেশন চোখের রেটিনাকে নষ্ট করে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দেয়। রোজ আনারস খেলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বেড়ে যায়।
৭) হার্টের সমস্যা দূর করে আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম থাকে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য দুর্দান্ত। এছাড়াও ব্রণ ও ত্বকের যেকোনও সমস্যা দূর করতে, তারুণ্য ধরে রাখতে এবং আর্থারাইটিস-এর লক্ষণগুলি দূর করতে খুবই সহায়ক এই ফল।
- একটি কোম্পানির সিএসআর পলিসি প্রস্তুতির পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর
- স্বেচ্ছাসেবক সিএসআর রিপোর্ট এর বিতর্কসমূহ বর্ণনা কর
- সিএসআর এবং কর্পোরেট কৌশল বলতে কি বুঝায়
- কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার সূচক সমূহ কি কি
- PSC এর উপ সহকারী পদের প্রশ্ন উত্তর pdf ২০২৫
Google Adsense Ads