হেনরি কুপার জীবনী ও বক্সিং জীবন।। হেনরি কুপারআত্মজীবনী পাঠ-২

Google Adsense Ads

জীবনী
লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী হেনরি কুপার তার সহোদর যমজ ভাই জর্জ কুপারকে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের বেলিংহাম স্টেটে বেড়ে ওঠেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় তারা সাসেক্স উপকূলে চলে যান।

১৯৪২ সালে তাদের বাবা হেনরি সিনিয়র যুদ্ধে চলে যান। লিউয়িসহ্যামের এথেলনে রোড স্কুলে পড়াশুনো করেছেন দু’ভাই। পাশাপাশি বড় হয়ে উঠার সুবাধে হেনরি খেলার মাঠে নকআউট করেন জর্জকে।

ঐ সমযে চলমান বিশ্বযুদ্ধের কঠিন ও দুর্বিষহ জীবনের প্রেক্ষাপটে হেনরি কুপার দৈনিক পত্রিকা বিক্রয় থেকে শুরু করে ব্যবহৃত গলফ্‌ বলগুলোকে পুণরায় নতুন করে ক্লাবহাউজে বিক্রয় ইত্যাদি অনেকগুলো কাজে নিযুক্ত ছিলেন।

দু’ভাই ফুটবল এবং ক্রিকেটেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছেন।[৫] জর্জ কুপার ১১ এপ্রিল, ২০১০ সালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান। হেনরি কুপারকে মুষ্টিযুদ্ধে দক্ষতার কারণে জাতীয় সেবা হিসেবে রয়্যাল আর্মি অর্ডন্যান্স কোরে নিয়োগ দেয়া হয়।[৬] হেনরি কুপার কর্তৃক বিশ্বখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলীকে ভূপাতিত করায় স্মরণীয় হয়ে আছেন।

এছাড়াও, তিনি হেভিওয়েটে জোরা ফোলে, রয় হ্যারিস, কার্ল মিল্ডেনবার্গার, অ্যালেক্স মিটেফ, ওয়েন বেথিয়া, ব্রায়ান লন্ডন, জো এর্সকাইন, জোস ম্যানুয়েল আর্টেইন, পিয়েরো টোমাসোনি, ডিক ওয়াইপারম্যান, ডিক রিচার্ডসন, বিলি ওয়াকার, টনি হিউজেস, জ্যাক বোদেল, জেফারসন ডেভিস এবং গাওয়ি ডি ক্লার্ককে পরাভূত করেন।

বক্সিং জীবন

কুপার বাহাতি বক্সার বা মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি অর্থোডক্স ভঙ্গীমায বা হাত ও পা সামনে রাখতেন সাউথপ ভঙ্গীমার পরিবর্তে। এ প্রচেষ্টার দরুন তিনি ব্যতিক্রমধর্মী শক্তিশালী বাম হুকের সাহায্যে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আক্রমণ করতেন। “আওয়ার এনেরি” নামে যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় বক্সার হিসেবে দর্শকদের কাছে পরিচিত ছিলেন হেনরি কুপার।

তিনি ১৯৪৯ সালে শৌখিন মুষ্টিযোদ্ধা হিসেবে এলথাম এ্যামেচার বক্সিং ক্লাবে যোগ দেন এবং চুরাশিটি খেলার মধ্যে তেয়াত্তরটি খেলায় জয়ী হন। সতের বছর বয়সে দু’টির মধ্যে একটিতে অ্যাবা লাইট-হেভিওয়েট শিরোপা জয় করেন। সেনাবাহিনীতে যোগদানের পূর্বে ১৯৫২ সালের অলিম্পিক ক্রীড়ায় বৃটেনের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) খেলোয়াড় আনাতোলি পেট্রোভের কাছে ২য় পর্যায়ে হেরে যান।

হেনরি একসময় শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে ব্রিটিশ, ইউরোপিয়ান এবং কমনওয়েলথ্‌ হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়নধারীদের তালিকায় ছিলেন। শুরুতে শিরোপা নির্ধারণী প্রতিযোগিতায় তার অবস্থান ছিল অসফলতায় ভরপুর।

জো বায়গ্রেভস্‌, ইঙ্গিমার জনসন এবং জো এরস্কিনকের কাছে হেরে যান। তারপর তিনি তৎকালীন সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী জোরা ফোলিকে হারান। জানুয়ারি, ১৯৫৯ সালে ব্রিটিশ এবং কমনওয়েলথ্‌ বেল্টের নতুন চ্যাম্পিয়ন ব্রায়ান লন্ডনকে ১৫ রাউন্ডের গেমে হারান।

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment