Google Adsense Ads
সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় একটি ভাবসম্প্রসারণ লিখুন, ভাবসম্প্রসারণ রচনা সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয়
সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ
সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: সৌজন্য একটি বিশেষ গুণ এবং মার্জিত ও শিষ্টাচারসম্পন্ন মানুষের আচরণের প্রধান অনুষঙ্গ।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের মধ্যে সৌজন্যবোধ আপনা-আপনি তৈরি হয় না, জন্মসূত্রেও একে লাভ করা যায় না। শিক্ষা, বিচিত্র অভিজ্ঞতা, সহৃদয়পূর্ণ ও কোমল মানস-প্রকৃতি মানুষের সৌজন্যবোধের জাগরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে । মানুষের জীবনের একটি দীর্ঘ সময় বিদ্যায়তনিক পরিবেশে বা জ্ঞানচর্চার কাজে অতিবাহিত হয়। সময়েই মানুষ শিষ্টাচারী হয়ে উঠে শিক্ষার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সৌজন্যতা বা শিষ্টাচার অর্জন ।
ফলে, শিক্ষিত মানুষের সৌজন্যবোধ না থাকলে সে শিক্ষা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য। অপরদিকে কালচার বা সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের সামগ্রিক জীবন- প্রণালী, আচার-আচরণ, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ ইত্যাদির ধরণ বা পদ্ধতি। সংস্কৃতিবান মানুষের জগৎ ও জীবনের প্রতি থাকে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যায়ন । সাধারণ মানুষ থেকে একজন সংস্কৃতিবান মানুষকে সহজেই চিহ্নিত ও পৃথক করা যায়। সর্বসাধারণের মধ্যে তার স্বাতন্ত্র্য |
সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়। এদিক থেকে সৌজন্য হচ্ছে সংস্কৃতিবান মানুষের আচরণের একমাত্র অবলম্বন। ব্যক্তির আচরণে অসৌজন্যমূলক কিছু প্রকাশ পেলে তাকে আর যাই হোক সংস্কৃতিবান মনে করা হয় না। ভাবা হয়, তার উদ্ভব, বিকাশ ও পদচারণা অবশ্যই নিচু সংস্কৃতির মধ্যে। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত ও সভ্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেখানকার মানুষের আচরণ মাধুর্যপূর্ণ এবং সৌজন্যে পরিপূর্ণ। যে জাতি যত বেশি উন্নত, সভ্য এবং অলোকপ্রাপ্ত তাদের মধ্যে শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ ততো বেশি। এভাবে, সৌজন্য ব্যক্তি, জাতি ও দেশের সংস্কৃতির পরিচয় অন্য ব্যক্তি জাতি ও দেশের কাছে তুলে ধরে।
মন্তব্য: সৌজন্যহীনতা ব্যক্তির সম্পর্কে নেতিবাচক ও অপসংস্কৃতির ধারণার উদ্রেক করে। কাজেই সৌজন্যবোধ বিভিন্ন পর্যায় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের পরিচয় প্রদানে অশেষ গুরুত্ব বহন করে।
আরো ও সাজেশন:-
ভাবসম্প্রসারণ : সৌজন্যই সংস্কৃতির পরিচয়
মূলভাব : সৌজন্যবোধ একটি জাতির সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে অর্থাৎ ব্যবহারের মাধ্যমে কারো সত্যিকারের পরিচয় পাওয়া যায়।
সম্প্রসারিত ভাব : সৌজন্য হচ্ছে মানুষের আচার ব্যবহার যা অন্যের সংস্পর্শে আসলে ফুটে উঠে। শিক্ষার নির্যাসকে সৌজন্য হিসেবে অভিহিত করা যায়। একজন মানুষ শিক্ষিত নাকি অশিক্ষিত তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু যখন তার সাথে কথা বলা হয়, তখন তার ব্যবহার ও আচরণ দেখে বলে দেয়া সম্ভব তার পরিচয়। পুঁথিগত শিক্ষাই শুধু সৌজন্য শিক্ষা দেয় না, মূলত তা শেখার জন্য পরিবার ও জাতির সংস্কৃতি ও প্রজ্ঞা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। বস্তুত পরিবার হচ্ছে সমাজ তথা জাতির একক। তাই পরিবারে যখন কোন বিষয়ের চর্চা হয় তা ক্রমে ক্রমে জাতীয় পর্যায়ে স্থান করে নেয়। পরিবার হচ্ছে সকল শিক্ষার সূতিকাগার।
[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
পরিবারের সদস্যের সাথে চলাফেরা করলে তাদের আচার-ব্যবহার থেকে ঐ পরিবার সম্পর্কে যেমন ধারণা পাওয়া যায়, তেমনিভাবে যখন কোন জাতির কোন সদস্যদের সাথে আমরা কথা বলি, এক সাথে চলাফেরা করি, তার সৌজন্য, তার শিষ্টাচার আমাদের বলে দেবে তার সংস্কৃতি, জাতি হিসেবে তারা সভ্য না অসভ্য, শিক্ষিত নাকি অশিক্ষিত।
Google Adsense Ads
পথ ভুলে যাওয়া একজন পথিক, মরুভূমিতে তৃষ্ণায় ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারাল জ্ঞান ফেরার পর সে দেখলো দীর্ঘকায় আলখাল্লা পরিহিত একজন মানুষ তাকে পানি পান করাচ্ছে। লোকটি কথা না বললেও বুঝতে পারলো সে অবশ্যই একজন আফগান কেননা, অতিথিয়েতায় তারা বিশ্ব বিখ্যাত।
এমনি করে সৌজন্যতা গুচিয়ে দেয় ভাষার ব্যবধান, পরিচয়ে সমুন্নত করে কোন জাতিকে। আবার সৌজন্য ও শিষ্টাচার বর্জিত জাতিকে ঘৃণিত করে। কাজেই বলা যায় সৌজন্যই সংস্কৃতির পরিচয়।
রচনা ,প্রবন্ধ | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক | Paragraph | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র ও Application | উত্তর লিংক | অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক | Composition | উত্তর লিংক |
চিঠি ও Letter | উত্তর লিংক | প্রতিবেদন | উত্তর লিংক | CV | উত্তর লিংক |
ইমেল ও Email | উত্তর লিংক | সারাংশ ও সারমর্ম | উত্তর লিংক | Seen, Unseen | উত্তর লিংক |
Essay | উত্তর লিংক | Completing Story | উত্তর লিংক | Dialog/সংলাপ | উত্তর লিংক |
অনুবাদ | উত্তর লিংক | Short Stories/Poems/খুদেগল্প | উত্তর লিংক | Sentence Writing | উত্তর লিংক |
Google Adsense Ads