Google Adsense Ads
সাধারণ শেয়ার মূলধনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
সাধারণ শেয়ার (Ordinary Share) হলো একটি কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের জন্য ইস্যু করা শেয়ারের অন্যতম প্রধান ধরনের যা শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানা এবং কোম্পানির লাভের উপর অংশীদারি প্রদান করে। সাধারণ শেয়ারের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
১. মালিকানা এবং ভোটাধিকার
- সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির মালিকানার অংশীদার হয়। তারা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কোম্পানির শেয়ারের অধিকারী এবং কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকারী।
- সাধারণ শেয়ারধারীরা ভোটাধিকার পায়, অর্থাৎ বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM) বা বিশেষ সাধারণ সভা (EGM)-এ তারা ভোট প্রদান করতে পারে এবং পরিচালক নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ করতে পারে।
২. লভ্যাংশ (Dividends)
- সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির লাভের একটি অংশ হিসেবে লভ্যাংশ পেতে পারে, তবে এটি শেয়ারহোল্ডারদের লাভ নির্ভর করে কোম্পানির লাভের পরিমাণ এবং পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তের উপর।
- সাধারণ শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ সাধারণত অগ্রাধিকার শেয়ারধারীদের তুলনায় কম বা অনিশ্চিত হতে পারে।
৩. ঝুঁকি
- সাধারণ শেয়ারধারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হন। যদি কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যায়, তবে শেয়ারহোল্ডাররা তাদের বিনিয়োগের মূলধন হারানোর সম্ভাবনা থাকে।
- কোম্পানির সম্পদ বিক্রির পর যেকোনো বাকি অর্থ অগ্রাধিকার শেয়ারধারী এবং ঋণদাতাদের প্রদান করা হয়, এবং তার পর সাধারণ শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
৪. মুলধনের স্থিতিশীলতা এবং পরিবর্তনশীলতা
- সাধারণ শেয়ারের মূল্য পরিবর্তনশীল। শেয়ারের বাজারমূল্য কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম, বাজার পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক শর্তের উপর নির্ভর করে উঠানামা করতে পারে।
- তবে, সাধারণ শেয়ারের দাম সাধারণত কোম্পানির কর্মক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার সাথে সম্পর্কিত।
৫. লভ্যাংশ পুনঃবিনিয়োগ (Retained Earnings)
- সাধারণ শেয়ারধারীরা লভ্যাংশ পুনঃবিনিয়োগের মাধ্যমে মূলধন অর্জন করতে পারে। অনেক কোম্পানি তাদের লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের পরিবর্তে পুনরায় ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারে, যা কোম্পানির ভবিষ্যত বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী আর্থিক অবস্থা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
৬. সর্বোচ্চ মালিকানা অধিকার
- সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির সর্বোচ্চ মালিকানা অধিকার উপভোগ করে। শেয়ারধারীরা কোম্পানির সম্পত্তি এবং মুনাফায় অংশীদার হয় এবং তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকারী।
৭. কোম্পানির দায়িত্ব
- সাধারণ শেয়ারধারী কোনো ধরণের ব্যক্তিগত দায়িত্ব বহন করে না। যদি কোম্পানি কোনো ঋণ বা দায়বদ্ধতার সম্মুখীন হয়, তবে শেয়ারহোল্ডারদের দায়িত্ব শুধুমাত্র তাদের বিনিয়োগের সীমা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
৮. স্টক ডিভিডেন্ড এবং রাইট শেয়ার
- কোম্পানি সাধারণ শেয়ারধারীদের স্টক ডিভিডেন্ড (অর্থাৎ নতুন শেয়ার ইস্যু) বা রাইট শেয়ার (অর্থাৎ শেয়ারধারীদের জন্য নতুন শেয়ার কেনার সুযোগ) দিতে পারে, যা তাদের জন্য অতিরিক্ত মূলধন তৈরি করতে সহায়ক।
উপসংহার
সাধারণ শেয়ার হলো একটি কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের প্রধান উপকরণ এবং এটি কোম্পানির মালিকানা, লভ্যাংশ, ঝুঁকি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সুযোগের সাথে সম্পর্কিত। সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশীদারি অধিকারী হলেও তারা অন্য ধরনের শেয়ারধারীদের তুলনায় বেশিরভাগ ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।
Google Adsense Ads
উপসংহার : সাধারণ শেয়ার মূলধনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।
আর্টিকেলের শেষ কথাঃ সাধারণ শেয়ার মূলধনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News অনুসরণ করুন
আরো পড়ুন:
- সাধারণ শেয়ার মূলধনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
- যৌথ মূলধন কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের বিভিন্ন উৎস সমূহ কি
- এজিএম এর গঠনমূলক ব্যবহার ব্যাখ্যা কর
- পরিচলন পর্ষদ বলতে কি বুঝ এবং পরিচালক পর্ষদের বিধিবদ্ধ দায়িত্বসমূহ আলোচনা কর
- কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যকার ইলেক্ট্রনিক কমিউনিকেশন সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ লেখ
Google Adsense Ads