"লা আদওয়া" সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?

“লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?

ইসলাম

Google Adsense Ads

“লা আদওয়া” সংক্রমন নেই!হাদীসটি কী বুঝায়?

সংক্রমণ বনাম আকিদা,লাযিম বনাম #মুতাআদ্দী!

🕳
রোগ ছড়ায় না। ছড়ায় রোগের কারণ। সাপ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে। বিচ্ছু ও পিঁপড়াও এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে। সাপ, পিঁপড়া ও বিচ্ছু জীব। স্থানান্তরণের এই সামর্থ্য আল্লাহ পাক তাদের দান করেছেন। ভাইরাস জীবকণা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হওয়ার সামর্থ্য আল্লাহ পাক তাকেও দান করেছেন। এই স্থানান্তর হওয়ার অন্য নাম সংক্রমণ।

🕳
সাপ, পিঁপড়া, বিচ্ছু দেখা যায়, তাদের স্থানান্তরণ মানলে আকিদা নষ্ট হয় না। ভাইরাস চোখে দেখা যায় না, ভাইরাসের স্থানান্তরণ মানলে আকিদা নষ্ট হবে?
সাপ-বিচ্ছু কামড় দিলে মানুষ মারা যেতে পারে। মারা যাওয়া ইয়াকিনী নয়। তারপরও সাপ থেকে দূরে থাকা সতর্কতা। এই সতর্কতা অবলম্বন করলে আকিদা নষ্ট হয় না। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে রোগ হতে পারে। রোগ হলে মানুষ মারা যেতে পারে। রোগ হওয়া ইয়াকিনী নয়। মারা যাওয়াও ইয়াকিনী নয়। ভাইরাস থেকে দূরে থাকার নাম সতর্কতা। এই সতর্কতা অবলম্বন করলে কি আকিদা নষ্ট হবে?

🕳
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রোগ ছড়ায় না। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগনও বলেন রোগ ছড়ায় না। তবে তারা বলেন, রোগের কারণ ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া ছড়ায়। কেন ছড়াবে না? তারা জীব বা জীবকণা যে!

🕳
সাপের কামড়ে লোকটি মরে গেছে -এই কথা বলা জায়েজ। কিন্তু সাপের কামড়ই তার মৃত্যুর হাকিকী কারণ মনে করা হারাম। মনে করলে আকিদা নষ্ট। লোকটি আগুনে পুড়ে মরে গেছে – এই কথা বলা জায়েজ। আগুনকেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ মনে করা হারাম। এমন মনে করলে আকিদা নষ্ট।

🕳
ভাইরাসের সংক্রমণে লোকটি মারা গেছে – এ কথা বলা জায়েজ। ভাইরাসকেই মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ মনে করা হারাম। এমন মনে করলে আকিদা নষ্ট।
বাস নিজে নিজে আসতে পারে না। তাকে ড্রাইভার চালিয়ে আনে। তারপরও বাস এসেছে বলা জায়েজ। এভাবে বলা প্রচলিত। সব আসবাবের ক্ষেত্রে ঠিক একই কথা। আসবাবের দিকে ফলাফলকে সম্পর্কিত করা জায়েজ। তবে আসবাবকে ফলাফলের প্রকৃত কারণ মনে করা হারাম। আকিদার বিপরীত।

🕳
আসবাবের মধ্যে প্রভাব আছে। আল্লাহ পাক চাইলে এই প্রভাব প্রতিফলিত হয়। আল্লাহ পাক করেন। তাঁর করা হলো ‘হও’ বলা। তিনি ইচ্ছে করলেই হয়ে যায়। ইচ্ছে না করলে হয় না। সব ক্ষেত্রেই একই কথা। রোগ হোক বা অন্য কিছু। আসবাবের প্রভাবকে স্বীকার করা বাস্তবতা। এর পেছনে প্রকৃত প্রভাব বিস্তারকারী আল্লাহ পাকের কুদরত। এই কুদরত হলো ইচ্ছে করলেই হয়ে যাওয়া। এই কুদরতের কারনেই সবকিছু হয় – এই কথা মনে করা আকিদা।

🕳
সংস্পর্শে গেলেই ভাইরাস ঢুকবে- এমন ইয়াকীন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও করেন না। তাইতো সংস্পর্শে যারা গেছে তাদের সবাইকে টেস্ট করা হয়। সংস্পর্শে গেলেই হবে এমন ইয়াকিনী বিশ্বাস রাখলে তো সবাইকে টেস্ট করানো হতো না, ধরেই নেয়া হতো ঢুকে গেছে। এ জন্য নেগেটিভ আসলেও বলা হয় না – কিভাবে নেগেটিভ এলো?

🕳
ভাইরাস ঢুকলেই রোগ হওয়া ইয়াকিনী – এ-কথাও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনে করেন না। বরং করোনার মতো তীব্র সংক্রামক ভাইরাসের ক্ষেত্রেও বলা হচ্ছে আশি ভাগ কোন আলামত ছাড়া কিংবা মৃদু আলামতের সাথে ভাইরাস বহন করে। বিশ ভাগে আলামত তীব্র হয়। এর মধ্যে পাঁচভাগ ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে পৌঁছে যায়। মরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়।
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘লা আদওয়া’ বলে রোগের স্বয়ংক্রিয় স্থানান্তরকে অস্বীকার করেন, কিন্তু সংক্রমণের সম্ভাবনাকে ( রোগের কারণ ছড়িয়ে পড়াকে) অস্বীকার করেন না। কারন সংক্রমণকে অস্বীকার করা বাস্তবতা বিরোধী।

🕳
এই বিষয়টি অন্য সব আসবাবের ক্ষেত্রে যেমন এখানেও তেমন। বস্তুবাদীরা আসবাবকে প্রকৃত কারণ মনে করে, আর মুমিন আল্লাহ পাকের ইচ্ছাকে প্রকৃত কারণ মনে করেন।
গর্তে সাপ থাকার সন্দেহ থাকলে হাত ঢুকাতে নিষেধ করা যেমন যৌক্তিক, রোগের কারণ ( জীবানু) ছড়ানোর দ্বারা একটা ঝুঁকিপূর্ণ অংশের মৃত্যু ঘটার আশঙ্কায় সমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়টিও যৌক্তিক। চাই তা মসজিদে হোক বা অন্যত্র।
এক ব্যক্তি রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে নিজের পরিচয় দিয়ে বললো, আমি তবীব ( চিকিৎসক)। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সংশোধন করে দিয়ে বললেন, তবীব তো আল্লাহ পাক।
উদ্দেশ্য ছিলো, যেন ঐ ব্যক্তি নিজেকে প্রকৃত সুস্থতা দানকারী মনে না করে। আল্লাহ পাকই যে প্রকৃত সুস্থতা দানকারী এই আকিদা যেন সে রাখে। কিন্তু পরবর্তীতে তবীব শব্দটি ঠিকই ডাক্তারের জন্য ব্যবহার প্রসিদ্ধ হয়ে যায়। প্রকৃত সুস্থতা দানকারী হিসেবে নয়, সুস্থতার কারন বা সবব হিসেবে।

Google Adsense Ads

🖤
‘লা আদওয়া ‘ – হাদীসটির বিষয়ও এমন। মূল আকিদা ঠিক করে দেয়া, #জাহেলী যুগের ধারণা রদ করা, সবব বা কারণকে অস্বীকার করা নয়।
আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে নিজের বিশ্বাস ও আমলের হেফাজতের তাওফীক দিন।

★(আল্লাহ লেখক কে উত্তম ও নিরাপদ হায়াত দান করুন।কতইনা সাবলীল বুঝানোর ক্ষমতা💙)
অনেকেই আমাকে এ বিষয়ে কিছু বলতে বলেছিলেন, তাদের জন্য শেয়ার করলাম।

সূত্র/fb.com/abdulhimd.saifullah

Google Adsense Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *