রমজানের রোজার সাহরি সম্পর্কে যা জান লিখ, সাহরির শেষ সময় সম্পর্কে ইমামদের অভিমত বর্ণনা কর

 

https://jobspointbd.com/

My Ads

Google Adsense Ads

রমজানের রোজার সাহরি সম্পর্কে যা জান লিখ, সাহরির শেষ সময় সম্পর্কে ইমামদের অভিমত বর্ণনা

রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের পূর্বে যা কিছু পানাহার করা হয়, তাকে সাহরি বলে। সাহরির মধ্যে অনেক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এটি ইহুদিদের ও আমাদের রোজার মধ্যে পার্থক্য করে দেয়। তাই রাসূল (সা.) সাহরির উপর বিশেষ আরোপ করেছেন ।

রমজানের রোজার সাহরি : নিম্নে রমজানের রোজার সাহরি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

১. সাহরি : রোজা রাখার জন্য সুবহে সাদিকের পূর্বে যে পানাহার করা হয় তাই সাহরি। সাহরি খাওয়া সুন্নাত এতে অনেক বরকত রয়েছে। রাসূল (সা.) বলেছেন— তোমরা সাহরি খাবে, কেননা এতে অনেক বরকত রয়েছে।

২. সাহরি খাওয়ার সময় : রমজানের যেকোনো রোজার জন্য সাহরি খেতে হয়। সাহরি খেতে হয় সুবহে সাদিকের পূর্বে কারও কারও মতে রাতের শেষ ষষ্ঠাংশে খেতে হয়। সাহরি খাওয়ার ক্ষেত্রে কতকগুলো বিষয়ের প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হয়। যেমন সাহরি একটু বিলম্বে খাওয়া সুন্নাত । তবে এমন বিলম্ব করা যাবে না যাতে সন্দেহের সৃষ্টি হয় ।

সাহরির সময় ক্ষুধা না থাকলেও কমপক্ষে এক গ্লাস পানি হলেও খেতে হবে। তাতে সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। আর সওয়াব হাসিল হয়ে যাবে ।
ঘুমের কারণে সাহরি খেতে না পারলেও রোজা রাখতে হবে। কারণ সাহরি খাওয়া ফরজ নয়; বরং রোজা ফরজ। কেউ ইচ্ছে করে সাহরি ত্যাগ করলে এটা তার জন্য উচিত নয়। কেননা এতে অনেক বরকত আছে ।


আরো ও সাজেশন:-

নিয়ত করার সময় থাকলে কিছু খেলে রোজা ভঙ্গ হয় না । সাহরি খাওয়ার শেষ সময় সম্পর্কে ইমামদের অভিমত : রোযা রাখার প্রস্তুতিস্বরূপ সুবহে সাদিকে পূর্বে (শেষ রাতে) যে পানাহার করা হয় তাকে সেহরী বলে। সেহরী খাওয়া সুন্নত। এতে অপরিসীম বরকত রয়েছে।

১. হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (রা.) ইরশাদ করেন- “তোমরা সেহরী খাবে। কেননা সেহরীতে বরকত রয়েছে।”

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Google Adsense Ads

২. হযরত শামী হতে বর্ণিত, সেহরী বিলম্বে খাওয়া সুন্নত, তবে সন্দেহের সময় পর্যন্ত বিলম্ব করা মাকরূহ। অর্থাৎ এমন সময় পর্যন্ত বিলম্ব করা যে সময় সেহরীর সময় আছে কি-না তাতে সন্দেহ জাগে। কোনো কোনো মানুষ মনে করে, আযান না হওয়া পর্যন্ত সেহরী খাওয়া জায়েজ । এটি একটি ভুল ধারণা। কেননা সুবেহে সাদিক হয়ে গেলে পানাহার জায়েজ নয়, আযান হোক বা না হোক- এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকা উচিত ।

৩. রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- “সেহরীর সব খাদ্যের মধ্যেই বরকত রয়েছে, কাজেই তা (সেহরী খাওয়া) বাদ দিও না যদিও বা এক গ্লাস পানি দ্বারা সেহরী খাও। কেননা যার সেহরী খায় আল্লাহ তা’ওয়াল তাদের জন্য রহমত নাজিল করেন।”

উপসংহার : হাদিসে কুদসীতে আছে,“রোজা আমার জন্য আর আমি এর প্রতিদান দিব । সুতরাং আমাদের উচিত রোজার ছোট ছোট মাসালা মাসায়েল ভালো করে জেনে তার মতো করে আমল করে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ নিয়ে আসা নিজের জীবনে।”

Google Adsense Ads

Leave a Comment