Google Adsense Ads
বিষয়: বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যাওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ কী, বিয়ের পর কেন মোটা হয়ে যায় মেয়েরা, বিয়ের পর মেয়েরা যেসব কারণে মোটা হয়, বিয়ের পর সাধারণত মেয়েরা মোটা হয়ে যায় কেন?, বিয়ের পর বেশিরভাগ মহিলার ওজন বৃদ্ধি হয় কেন?
অনেকে মনে করে যে স্বামীর সাথে নিয়মিত সহবাস করার কারণে বিয়ের পরে মেয়েরা মোটা হয়ে যায়। নিয়মিত সহবাস নারী পুরুষের স্বাস্থ্য উপকার করে থাকে ঠিক, কিন্তু তাদের এ বাজে ধারণা সঠিক নয়। মূলত বিয়ের পর নারীরা মোটা হয়ে যায় নারীদের লাইফস্টাইল পরিবর্তন হওয়ার কারণে। আসুন জানি বিয়ের পর মেয়েদের মোটা হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
বিয়ের পর মেয়েরা মোটা ও ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারন:
বিয়ের পর যে ৮ টি কারণে নারীদের দ্রুত ওজন বেড়ে যায় এবং মোটা হতে শুরু করে…
০১. হরমোন নিঃসরণের পরিবর্তনঃ অধিকাংশ মেয়েরই বিয়ের পরে তাদের জীবনযাত্রা বদলে যায়। যার ফলে শরীরের হরমোনের নিঃসরণের দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। ফলাফল শরীরে বাড়তি মেদ জমতে শুরু করে। ওজন বাড়তে থাকে হু হু করে। সমীক্ষা বলছে, ৮২ শতাংশের নারীর বিয়ের ৫ বছরের মধ্যে দৈহিক ওজন বৃদ্ধি ঘটে।
০২. গাফলতিঃ বেশির ভাগ নারী বিয়ের আগে টাইট-ফিট শরীর ধরে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের দিকে খেয়াল রাখেন।
কিন্তু দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের পরেই সেই সমস্ত যত্নে কমতি দেখা দেয়। তার সাথে জাঙ্ক খাবার গ্রহণ,
ব্যায়াম না করার প্রবণতা তো দেখা দেয়, এর সাথে শুরু হয় নতুন জীবনের সাথে নিজেকে মিলিয়ে নেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা। যার ফলে বৃদ্ধি পায় ওজন।
০৩. ঘুমের স্বল্পতাঃ বিয়ের পরে নারীদের শুয়ে থাকার ভঙ্গি ও সময়ের অদলবদল হয়। রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে থাকার কারণে হজমের গোন্ডগোল দেখা দেয়। তাই শরীরে জমতে থাকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি।
০৪. মুখের রুচির পরিবর্তনঃ বিয়ের পর কখনো স্বামী আবার কখনো স্বামীর পরিবারের জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে নারীর রুচি বদলে যায়।
লাগাতার ভাবে আপস করতে গিয়ে নিজের প্রতি যত্নের ফাঁক থেকে যায়। নতুন পরিবেশের সাথে নতুন জীবনসঙ্গীর পছন্দের সাথে মিল রাখতে গিয়েও নিজের পছন্দের-অপছন্দের গুরুত্ব হারায়। যার ফলে শুরু হয় মেদবৃদ্ধি।
০৫. জাঙ্ক খাবারঃ বাড়ির তুলনায় রেস্তোরাঁ ও স্ন্যাক্সবারে খেতে বেশি পছন্দ করেন নববিবাহিত দম্পতিরা। অতিরিক্ত বাহিরের খাবার গ্রহণের ফলে দেহে দ্রুত চর্বি জমায়।
০৬. বয়সঃ বর্তমানে শহরের নারীদের গড়ে বিয়ের বয়স ২৮-৩০ বছর। ৩০ বছরের পরে নারী শরীরের বিপাক ক্রিয়া শ্লথ হয়ে যায়। যার ফলে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে।
০৭. টিভি দেখার নেশাঃ বিবাহের আগে যে নারী পড়াশোনা কিংবা অফিসের কাজের পরে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মশগুল থাকতো, দাম্পত্য জীবনে প্রবেশের পর কর্মক্ষেত্রের কাজ সেরে দ্রুত বাড়ি ফিরতে সে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। স্বামীও কর্মক্ষেত্র থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ পরিবারে সন্ধ্যায় বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে টিভি’র জোরালো ভূমিকা রাখে। টিভি’র সামনে ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে চর্বি না বাড়াই অস্বাভাবিক।
০৮. সন্তান গর্ভধারণঃ প্রায়ই দম্পতি বিয়ের ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সন্তান প্রসবের পরে বেশির ভাগ নারী ওজন কমানোর জন্য সচেষ্ট হন না। তাদের শরীরে গর্ভাবস্থার মেদ স্থায়ী আসন পেতে বসে।
- যৌনাঙ্গে চুলকানির দশটি কারণ ও তার ঘরোয়া প্রতিকার
- পেটের বাচ্চা নষ্ট করার ট্যাবলেট, পেটের বাচ্চা নষ্ট ওষুধ
১.সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা: বিয়ের আগে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে অনেক মেয়ে কঠিন ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। চর্বিযুক্ত খাবার, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড সব কিছুতেই তখন তাদের ‘না’ থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সব সময়ই একটা তাগিদ থাকে। তবে অনেকেই বিয়ের পর এই খাদ্যাভ্যাস আর ঠিকমতো মেনে চলতে পারে না।
২.ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার: বিয়ের পর বিভিন্ন দাওয়াতে গিয়ে বা বাড়িতে অতিথি এলে ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবারগুলোই বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। আবার অনেক মেয়েই নতুন নতুন রেসিপি রান্না করে পরিবারের লোকজনকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। এটিও ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পরিবারের সবাইকে ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে ভালোই লাগে, তবে এর মানে এই নয় যে, আপনাকেও সে সব খাবার চেখে দেখতে হবে!
৩.নিজের জন্য সময় নেই: বিয়ের পর নতুন সম্পর্ক, নতুন মানুষজন, সব কিছুর ভিড়ে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তখন গুরুত্ব বদলে যায় বা অগ্রাধিকার বদলে যায়, ফলে নিজের প্রতি আর নজর দেওয়া হয় না, ব্যায়াম তো দূরের বিষয়। বিয়ের পর মুটিয়ে যাওয়া এটি একটি বড় কারণ। আগে হয়তো ব্যায়ামের জন্য বা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পালনের জন্য সময় বের করতেন, তবে বিয়ের পর এগুলো আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে গিয়ে বা সংসারের কাজের ঝামেলায় নিজের জন্য আর সময়ই পাওয়া যায় না। মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথা ভেবে তাই নিজের জন্য সময় বের করুন। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করুন।
৪. বাইরের খাবার: বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ রান্না এড়িয়ে যাওয়া এবং বাইরের খাবার খাওয়া। অনেকেই বিয়ের পর রান্নার ক্ষেত্রে অতটা পটু থাকেন না, তখন বাইরের খাবার হয় ভরসা। বাইরের খাবার বা হোটেলের খাবারে প্রচুর তেল দেওয়া হয়। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
৫.গর্ভধারণের জন্য: গর্ভধারণের কারণে অধিকাংশ নারী ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন এই সময়টায় বেড়ে যায়।
৬. জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি: জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি গ্রহণ যেমন পিল বা ইনজেকশন এসব গ্রহণের কারণেও বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়।
৭.নিজেদের কাছে বেশি সময় থাকতে চাওয়া: অনেক স্বামীই রয়েছেন, যারা বেশি সময় ধরে স্ত্রীর সঙ্গ পছন্দ করেন। যার জন্য হয়তো স্ত্রীর আর ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না। পরস্পরের বোঝাপড়ার জন্য এটি অবশ্যই ভালো। তবে স্বাস্থ্যকেও তো গুরুত্ব দিতে হবে। তাই স্বামীকেও উদ্বুদ্ধ করুন আপনার সঙ্গে ব্যায়াম করতে। অথবা দুজনে একত্রে কোনো জিমে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।
৮. আলস্য: অলস লোকেরা শুধু খায় আর ঘুমায়। শরীরকে ফিট এবং কর্মক্ষম রাখার জন্য আর কোনো কাজ করে না। বিয়ের পর অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আবার অনেকে নিজের প্রতি এতই অবহেলা দেখায় যে শরীরের যত্ন নেয় না। বিয়ের পর ওজন বাড়ার বড় কারণ এই আলস্য।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে ও
Google Adsense Ads
- ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবে

- নরমাল ডেলিভারির ১০টি কার্যকর কৌশল জানুন

- ট্রিপটিন কি কাজ করে | Tryptin এর কাজ কি | Tryptin Side Effects

- আইবিএস রোগ কি এর লক্ষণ কারণ চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

- টাইফয়েড টিকা, টাইফয়েড টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

- MRI করার খরচ,MRI কেন করা হয়,MRI কি

Google Adsense Ads