বর্তমানে কোডিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখায় ই-লার্নিং এর ভূমিকা’-বিষয়ক ২৫০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

বর্তমানে কোডিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখায় ই-লার্নিং এর ভূমিকা’-বিষয়ক ২৫০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

শিক্ষা এসএসসি পরীক্ষা প্রস্তুতি

Google Adsense Ads

বর্তমানে কোডিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখায় ই-লার্নিং এর ভূমিকা’-বিষয়ক ২৫০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

কোডিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখায় ই-লার্নিং এর ভূমিকা

ভূমিকা: পৃথিবীর ইতিহাসে কয়েকটি স্মরণীয় বছরের মধ্যে ২০২০ অন্যতম একটি বছর। যার সাক্ষী আমরা সবাই।

কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস নামক এক প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণে পুরা বিশ্ব স্থবির হয়ে আছে।

করোনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম চালু না রাখার যুক্তিকতা:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সারাবিশ্বব্যাপী মানুষ। মারাত্মক ছোঁয়া আছে এই ভাইরাসটির কারণে সারা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত প্রায় দশ লক্ষ ২৯ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করেছে। সর্বমোট সংক্রমিত হয়েছে পাঁচ কোটি আট লক্ষ লোক।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে।

পৃথিবীর সকল দেশের মতো বাংলাদেশ ও কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস এর সামাজিক সংক্রমণ রোধকল্পে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় না খোলায় শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

সামাজিক সংক্রমণ রোধ:
করোনাভাইরাস একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে ভাইরাস যা শুধুমাত্র একজন মানুষ থেকে অন্য জন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এ ভাইরাস খুব দ্রুত একজন থেকে অন্য জনের মধ্যে ছড়ায় সুতরাং একজন আক্রান্ত হলে ওই অঞ্চলের অনেক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা:
আমাদের বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হবেন কেউ বিচারপতি হবেন কেউ পৃথিবীর সর্বোচ্চ আসনে আসীন হতে পারেন।

বিকল্প পাঠদান:
দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন, কিশোর বাতায়ন, একসেস টু ইনফরমেশন, সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিভি চ্যানেল, রেডিও, মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।

ই-লার্নিং এর ধারণা:
ই-লার্নিং মানে হল ইলেকট্রনিক লার্নিং। শিক্ষা কার্যক্রমে ইলেকট্রনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান কে আরো আকর্ষণীয় ও আধুনিক আধুনিক ভাবে প্রদর্শন করার মাধ্যমেই ইলেকট্রনিক লার্নিং বা ই-লার্নিং বলে।

ই-লার্নিং এর সুবিধা সমূহ:
করোনাভাইরাস কালীন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা অনেকেই এখন এই লার্নিং এর সুবিধা সমূহ সম্পর্কে বাস্তবিকভাবে অবগত। শিক্ষা কার্যক্রমকে অনেক বেশি গতিশীল ও বোধগম্য করে তোলার জন্য ই লার্নিং এর কোনো বিকল্প নেই।
নিচে ইন্টারনেটের সুবিধা সমূহ আলোচনা করা হলো-

পাঠকে সহজ করা:
পাঠদান পদ্ধতি তে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিকট পাঠ কে অনেক বেশি সহজবোধ্য ও বোধগম্য করে তোলা যায়।

প্রায়োগিক শিক্ষা:
ই-লার্নিং এর বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিকট শিক্ষা কার্যক্রমকে অনেক বেশি প্রায়োগিক করা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকের পক্ষে সকল বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদান করা অনেকটা কঠিন হয়ে যায় যা লার্নিং এর উপকরণ ব্যবহার করে সহজভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়।

সহজবোধ্য উপস্থাপনা:
ইলেকট্রনিক পদ্ধতির বিভিন্ন মাধ্যম ভিডিও ছবি ও অডিও মাধ্যমে অনেক কঠিন পড়াশোনা শিক্ষার্থীদের কাছে সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়।

ঘরে বসে শিক্ষা:
ই-লার্নিং ব্যবহার করে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস উপভোগ করতে পারে।
এর বাস্তবিক প্রয়োগ আমরা দেখতে পেয়েছি কোভিদ 90 সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকা কালিন আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নামিদামি স্কুলের শিক্ষকদের ক্লাস সংসদ টিভি চ্যানেল ও ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পেয়েছি।
ই-লার্নিং এর ঘরে বসে শিক্ষার বিষয়ে এর চেয়ে বাস্তব উদাহরণ আর হতে পারে না।

উপকরণ তৈরিতে খরচ কমানো:
ই-লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শিক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরিতে বারবার টাকা খরচ না করে একবার সুন্দর ভাবে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরি করে সেটা বছরের পর বছর ব্যবহার করা যায়।

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

সময় ও অর্থের অপচয় রোধ:
শিক্ষায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বেশি সময় ও অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব। এখন একটি ই-বুক রিডার কম্পিউটার বা মোবাইল এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামকরা লেখকের এর বই পিডিএফ আকারে সংরক্ষণ করে সেটা যে কোন সময় পড়তে পারে।

উপসংহার:
সময়ে সাথে তাল মিলিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে উপযুক্ত এবং প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদানের জন্য ই-লার্নিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস কালীন সময়ে এর প্রমাণ আমরা পেয়েছি।

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

2 thoughts on “বর্তমানে কোডিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখায় ই-লার্নিং এর ভূমিকা’-বিষয়ক ২৫০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *