Google Adsense Ads
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার এর দায়-দায়িত্ব ও অধিকার সমূহ আলোচনা কর
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার (Institutional Shareholders) বলতে সেসব প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে বুঝায় যারা বড় পরিমাণে শেয়ার ধারণ করে। এগুলোর মধ্যে ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, পেনশন ফান্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, এবং অন্যান্য বড় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত। প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডাররা সাধারণত ব্যবসায়ের অংশীদার হিসেবে কাজ করে এবং কোম্পানির পরিচালনা ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডারদের দায়-দায়িত্ব এবং অধিকারসমূহ নিম্নরূপ:
১. দায়-দায়িত্বসমূহ:
ক. কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি জবাবদিহিতা:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডারদের একটি প্রধান দায়িত্ব হলো কোম্পানির লভ্যাংশ এবং কর্মক্ষমতার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। তারা তাদের বিনিয়োগের মাধ্যমে কোম্পানির ভবিষ্যৎ উন্নতির দিকে লক্ষ্য রাখে।
খ. সর্বোচ্চ শেয়ারহোল্ডিং সীমা মেনে চলা:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডারদের কর্তব্য হলো তাদের শেয়ারের মালিকানা কানুন অনুযায়ী নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা করা। কিছু ক্ষেত্রে, তারা সংশ্লিষ্ট বিধিমালা এবং নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য।
গ. কোম্পানির নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডারদের একটি বড় দায়িত্ব হলো কোম্পানির নেতৃত্ব এবং ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের সিদ্ধান্তগুলোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা, বিশেষত যখন এটি শেয়ারহোল্ডারদের লাভ এবং কোম্পানির স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
ঘ. নীতি ও আইন মান্য করা:
- তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডিং সম্পর্কিত আইন ও বিধিমালা মেনে চলতে বাধ্য। তাদের অবশ্যই তাদের শেয়ারধারণের ব্যাপারে কোম্পানি আইনের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে।
২. অধিকারসমূহ:
ক. ভোটাধিকার:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডারদের একটি মূল অধিকার হলো ভোটাধিকার। তারা সাধারণ সভা (AGM) বা বিশেষ সভায় (EGM) উপস্থিত হয়ে নির্বাচিত পরিচালকগণ বা কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাদের মতামত প্রদানে অংশ নিতে পারে।
খ. লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকারী। তারা কোম্পানির লাভের একটি অংশ হিসেবে নির্ধারিত লভ্যাংশ পেতে পারেন। সাধারণ শেয়ারধারীদের মতো, প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডাররা কম বা বেশি লভ্যাংশ পাওয়ার সুযোগ পেতে পারে।
গ. কোম্পানির তথ্য পাওয়ার অধিকার:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির অর্থনৈতিক অবস্থা এবং প্রতিষ্ঠানিক উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার অধিকারী। তাদের আইনত নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার জন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে দায়বদ্ধ থাকতে হয়।
ঘ. মূলধন বৃদ্ধি বা বিক্রি:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার বিক্রি বা নতুন শেয়ার ক্রয় করতে পারে। তারা কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধির জন্য নতুন শেয়ার ইস্যু বা অন্য বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি বা মালিকানা বাড়াতে পারেন।
ঙ. কোম্পানি সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার থাকে কোম্পানির নতুন নীতিমালা বা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের। উদাহরণস্বরূপ, তারা একটি নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে, যা কোম্পানির ভবিষ্যৎ অবস্থান প্রভাবিত করতে পারে।
চ. শেয়ারহোল্ডারদের সুযোগ সুবিধা:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডাররা বিশেষত বড় বিনিয়োগকারী হওয়ার কারণে, কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানির পক্ষ থেকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা পেতে পারে, যেমন প্রথম শেয়ার ক্রয়ের সুযোগ বা বিশেষ ডিভিডেন্ড সুবিধা।
উপসংহার:
প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডাররা একটি কোম্পানির শেয়ারধারক শ্রেণীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের দায়-দায়িত্ব হলো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি জবাবদিহিতা এবং আইন মেনে চলা, এবং তাদের অধিকারগুলো কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, লভ্যাংশ প্রাপ্তি, তথ্য পাওয়া, এবং শেয়ার বিক্রি করার মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করা। এই দায়িত্ব এবং অধিকারগুলি কোম্পানির পরিচালনা এবং শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়ক।
Google Adsense Ads
উপসংহার : প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার এর দায়-দায়িত্ব ও অধিকার সমূহ আলোচনা কর
একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।
আর্টিকেলের শেষ কথাঃ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার এর দায়-দায়িত্ব ও অধিকার সমূহ আলোচনা কর
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ আপডেট পেতে Google News অনুসরণ করুন
আরো পড়ুন:
- প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার এর দায়-দায়িত্ব ও অধিকার সমূহ আলোচনা কর
- কোম্পানি সাধারণ সভার প্রকারভেদ আলোচনা কর
- শেয়ার মূলধন কি এবং শেয়ার মূলধনের শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর
- সাধারণ শেয়ার মূলধনের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
- যৌথ মূলধন কোম্পানির মূলধন সংগ্রহের বিভিন্ন উৎস সমূহ কি
Google Adsense Ads