জাতির ৪ নেতাকে নিয়ে নিয়োগ পরিক্ষার প্রকাশ প্রশ্ন, ১০০ প্রশ্নোত্তরে জাতির ৪ নেতা, নিয়োগ পরীক্ষার জন্য - প্রশ্নমালায় জাতির ৪ নেতা, চাকরির পরীক্ষায় জাতির ৪ নেতাকে নিয়ে আসতে পারে যেসব প্রশ্ন, জাতির ৪ নেতা সম্পর্কে কিছু তথ্য,জাতির ৪ নেতাকে চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

জাতীয় চার নেতাকে ‘জাতীয় নেতা’ বলা হয় কেন?,তাঁরা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তাঁরা একসাথে মৃত্যুবরণ, জাতীয় চার নেতার সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম(১৯২৫-১৯৭৫, তাজউদ্দিন আহমেদ,মোহাম্মদ মনসুর আলী(১৯১৯-১৯৭৫), আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান

শিক্ষা জানা অজানা নিয়োগ পরীক্ষা পরীক্ষা প্রস্তুতি

Google Adsense Ads

জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে ভাইভাতে প্রশ্ন করা হয়, চলুন সংক্ষেপে দেখে নিই:

১। সৈয়দ নজরুল ইসলাম(১৯২৫-১৯৭৫
২। তাজউদ্দিন আহমেদ
৩। মোহাম্মদ মনসুর আলী(১৯১৯-১৯৭৫)
৪। আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান

যে প্রশ্নটি ভাইভাতে প্রায় প্রায় করা হয় তা হল:

জাতীয় চার নেতাকে ‘জাতীয় নেতা’ বলা হয় কেন?

-তাঁরা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তাঁরা একসাথে মৃত্যুবরণ করেছেন তাই। একটু ভেবে দেখুন অনেকেই জাতীয় পর্যায়রে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে জাতীয় নেতা বলা হলেও একসাথে ৩ নেতা বা ৫ নেতা বলা হয়না। উল্লেখিত ৪ নেতা এক সময় জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং একই ভাগ্য বরণ করেছেন বলে তাদেরকে ৪ নেতা বলা হয়। সেদিন জেলে ৪ জন একসাথে না মরে যদি ৩ জন মারা যেতে বাকী একজন গ্রেফতারই না হতো তাহলে আজ তাদেরকে জাতীয় ৩ নেতা বলা হতো। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, , শেরে বাংলা ফজলুল হক, মাওলানা ভাষানী এরাও জাতীয় নেতা কিন্তু তারা একই ভাগ্য বরন করেন নি বলে এদেরকে ৩ নেতা বলা হয় না।

জাতীয় চার নেতার সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি :

১। তাজউদ্দীন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫):

– ১৯২৫ সালে গাজীপুর জেলারকাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
– ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি আইনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করেন।
– ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা ছাত্রলীগের (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
– রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে তিনি ভাষা আন্দোলনকালে গ্রেফতার হন এবং কারা নির্যাতন ভোগ করেন।
– ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন।
– ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
– ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন এবং মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন।
– স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তাজউদ্দিন আহমদ কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

২। মোহাম্মদ মনসুর আলী (১৯১৯-১৯৭৫):

– ১৯১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের ‘কুড়িপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
– ১৯৪৫ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ এবং ল’ পাস করেন।
– ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
– স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ মনসুর আলীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

৩। সৈয়দ নজরুল ইসলাম (১৯২৫-১৯৭৫):

– ১৯২৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার যমোদল দামপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৭ সালে এমএ এবং ১৯৫৩ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
– ১৯৫৭ সালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
– ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন ।
– ১৯৬৬-৬৯ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
– ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
– স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদে শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

৪। আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (১৯২৬-১৯৭৫):

– ১৯২৬ সালের ২৬ জুন নাটোর মহকুমার বাগাতীপাড়া থানার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
– ১৯৪৬ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স পাশ করেন এবং রাজশাহী আইন কলেজ হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
– ১৯৫৭ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
– ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
– স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
– ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন৷
– ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

Google Adsense Ads

চাকুরি

    Google Adsense Ads

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *