Google Adsense Ads
গর্ভের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে জানার উপায়, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বুঝবেন যেভাবে
গর্ভের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে জানার কিছু উপায় রয়েছে, তবে এগুলোর মধ্যে কিছু পদ্ধতি কেবল ধারণা দিতে পারে এবং কিছু পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণ করা যায়।
কিছু প্রচলিত ধারণা:
- বমির প্রবণতা: মনে করা হয়, গর্ভাবস্থায় বেশি বমি হলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এর তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
- ত্বকের পরিবর্তন: প্রচলিত আছে, ছেলে সন্তান হলে মায়ের ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং মেয়ে সন্তান হলে ঔজ্জ্বল্য কমে যায়। এরও কোনো scientific প্রমাণ নেই।
- খাওয়ার রুচি: মিষ্টি খাবারের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকলে মেয়ে এবং নোনতা বা টক খাবারের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকলে ছেলে সন্তান হওয়ার ধারণা প্রচলিত। কিন্তু এটিও ভিত্তিহীন।
- পেটের আকার: উঁচু পেট হলে মেয়ে এবং ছড়ানো পেট হলে ছেলে সন্তান হবে, এমন ধারণা প্রচলিত। তবে পেটের আকার মায়ের শারীরিক গঠন এবং ভ্রূণের অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি:
- আলট্রাসনোগ্রাফি: এটি সবচেয়ে সহজ এবং বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। গর্ভাবস্থার ২০-২২ সপ্তাহ নাগাদ আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বাচ্চার লিঙ্গ প্রায় সঠিকভাবে জানা যায়। তবে, বাংলাদেশে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
- রক্তচাপ: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ বেশি থাকলে ছেলে এবং কম থাকলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এটি এখনও গবেষণার পর্যায়ে আছে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত নিষিদ্ধ। তাই, শুধুমাত্র আলট্রাসনোগ্রাফি বা অন্য কোনো পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে তা জানার চেষ্টা করা আইন পরিপন্থী।
Table of Contents
প্রতিটি নারীর জীবনে বিশেষ মুহূর্ত অন্তঃসত্ত্বার ৯ মাস। এ সময় নিজের শরীরে অন্য এক প্রাণের তিলে তিলে বেড়ে ওঠার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারেন না কোনো নারী। ভয়-আনন্দ সব মিলে এক মিশ্র অনুভূতি কাজ করে। একই সঙ্গে কৌতূহল কাজ করে—গর্ভের সন্তান কি ছেলে হবে, নাকি মেয়ে।
বাড়ির বৃদ্ধ মা কিংবা দাদিরা এ সময় নানা প্রচলিত কথা বলে থাকেন। যা থেকে ধারণা করা যায়, গর্ভের সন্তান ছেলে, না মেয়ে। এবার তাহলে গর্ভাবস্থার কিছু লক্ষণ দেখে নেয়া যাক।
১. মর্নিং সিকনেস, বলা হয়ে থাকে গর্ভের সন্তান যদি মেয়ে হয় তাহলে মর্নিং সিকনেস হয়ে থাকে। মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও দেখা দিয়ে থাকে। আর ছেলে হলে অন্তঃসত্ত্বা নারীর কোনো সমস্যাই হয় না।
২. গর্ভের সন্তান মেয়ে হলে নাকি বেশি মুড সুইংস হয়। কথায় কথায় রাগ ও কান্না পেয়ে থাকে। আর সন্তান ছেলে হলে এর বিপরীত হয়।
৩. শোওয়ার ধরন থেকেও অনেক সময় বোঝা যায়, সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে। ছেলে হলে বাম দিক ফিরে শুতে পছন্দ করেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। মেয়ে হলে ডান দিক করে ঘুমিয়ে থাকেন।
৪. ত্বক ও চুলে যদি তৈলাক্ত ভাব, ব্রণের মতো সমস্যা হয় তাহলে বলা হয়ে থাকে কন্যাসন্তান আসতে যাচ্ছে। অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি দেখতে আরও বেশি সুন্দরী হয়ে যায়, তাহলে পুত্রসন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫. অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হলে গর্ভে কন্যাসন্তান বেড়ে উঠছে। আবার ওই নারীর যদি ঝাল বা টক খেতে ইচ্ছা করে তাহলে পুত্রসন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
Google Adsense Ads
৬. আবার প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী অন্তঃসত্ত্বা নারীর হৃদস্পন্দন হার বেশি হলে মেয়েসন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৭. এছাড়া বলা হয়ে থাকে, বেবি বাম্প দেখেও বোঝা যায় গর্ভের সন্তান ছেলে, না মেয়ে হবে। বেবি বাম্প যদি নীচের দিকে ঝোলা থাকে তাহলে ধরে নেয়া হয় ছেলে হবে। আবার বেবি বাম্প পেটের মাঝামাঝি জায়গায় এবং বেশি উঁচু হলে মেয়ে সন্তান হবে বলা হয়।
পরিশেষে : গর্ভের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে জানার উপায়, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বুঝবেন যেভাবে,গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে,গর্ভের বাচ্চা ছেলে না মেয়ে তা বোঝার উপায়,ছেলে হবে না মেয়ে?
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আরো পড়ুন:
- MRA করার খরচ,MRA কেন করা হয়,MRA কি
- CT SCAN করার খরচ,CT SCAN কেন করা হয়,CT SCAN কি, CT SCAN এর কাজ কী?
- PET SCAN করার খরচ,PET SCAN কেন করা হয়,PET SCAN কি, PET SCAN এর কাজ কী?
- রাতে টক দই খেলে কি হয়, রাতে দই খাওয়া কি উচিত নয়
- Neuro-Kit Tablet এর কাজ কি | Neuro-Kit Tablet Side Effects
Google Adsense Ads