Google Adsense Ads
করোনা কি ভাবে ফুসফুস আক্রান্ত করে এবং তার প্রতিকার বিস্তারিত
করোনাভাইরাস ফুসফুস কীভাবে আক্রমণ করে?
করোনাভাইরাস (SARS-CoV-2) শ্বাসনালী দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসের কোষে আক্রমণ করে। এটি মূলত ACE2 রিসেপ্টর নামক একটি প্রোটিনের মাধ্যমে ফুসফুসের কোষে প্রবেশ করে। সংক্রমণের পর কীভাবে এটি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ শুরু
- করোনাভাইরাস নাক, গলা এবং শ্বাসনালীর উপরিভাগে প্রথম আক্রমণ করে।
- ভাইরাসটি ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষ (যা বাতাসকে শোষণ করে) সংক্রমিত করে।
২. প্রদাহ সৃষ্টি
- ভাইরাস ফুসফুসের কোষকে ধ্বংস করতে শুরু করে।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাস ধ্বংস করার জন্য প্রদাহ সৃষ্টি করে।
- এই প্রদাহের ফলে ফুসফুস ফুলে ওঠে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
৩. শ্লেষ্মা জমা এবং অক্সিজেন কমে যাওয়া
- প্রদাহের কারণে শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা জমা হয়।
- ফুসফুসে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড বিনিময় ব্যাহত হয়, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়।
৪. নিউমোনিয়া এবং ARDS
- গুরুতর ক্ষেত্রে ফুসফুসে নিউমোনিয়া হয় এবং অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিন্ড্রোম (ARDS) দেখা দেয়।
- এই অবস্থায় ফুসফুস সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যেতে পারে।
করোনায় ফুসফুস রক্ষার উপায় ও প্রতিকার
১. প্রাথমিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা
- টিকা নেওয়া: COVID-19 টিকা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
- মাস্ক ব্যবহার: ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে।
- হাত ধোয়া: সাবান বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত ধুয়ে নিন।
- সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা এড়িয়ে চলুন।
২. সংক্রমণের পর প্রাথমিক চিকিৎসা
- বেড রেস্ট এবং হাইড্রেশন: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং পানি পান করুন।
- জ্বর ও ব্যথার জন্য ওষুধ: চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করুন।
- শ্বাসের ব্যায়াম: ফুসফুস সচল রাখতে সহজ শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন।
৩. জটিলতার ক্ষেত্রে চিকিৎসা
- অক্সিজেন থেরাপি: অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হবে।
- স্টেরয়েড: প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।
- অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ: রেমডেসিভির বা প্যাক্সলোভিডের মতো ওষুধ গুরুতর রোগীদের দেওয়া হয়।
- ভেন্টিলেশন: শ্বাসকষ্ট তীব্র হলে রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়।
৪. ফুসফুস পুনরুদ্ধারে যত্ন
- ফিজিওথেরাপি: শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- পুষ্টিকর খাবার: ভিটামিন ডি, সি, এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম: ধীরে ধীরে হাঁটা বা যোগব্যায়াম ফুসফুস সুস্থ করতে সহায়ক।
উপসংহার
করোনাভাইরাস ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে, তবে প্রাথমিক প্রতিরোধ, দ্রুত চিকিৎসা, এবং পরবর্তী যত্নের মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভাবকে অনেকাংশে কমানো সম্ভব। সচেতনতা ও সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণই ফুসফুস সুরক্ষার মূল চাবিকাঠি।
Google Adsense Ads
- MRA করার খরচ,MRA কেন করা হয়,MRA কি
- CT SCAN করার খরচ,CT SCAN কেন করা হয়,CT SCAN কি, CT SCAN এর কাজ কী?
- PET SCAN করার খরচ,PET SCAN কেন করা হয়,PET SCAN কি, PET SCAN এর কাজ কী?
- ভালো পর্ষদ কক্ষ অনুশীলনের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর
- পর্যায়ক্রমিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য সমূহ বর্ণনা কর
Google Adsense Ads